![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশাল একটা সাদা পাথরের চত্বর, এ মাথা থেকে ও মাথা দেখা যায় না। চারপাশে যেন সাদা তুলোর মতো হালকা মেঘের আনাগোনা। অনেক দূর থেকে কিছু বাচ্চার আনন্দ মিশ্রিত চেঁচামেচি ভেসে আসছে। পালকের মতো হালকা হয়ে তিনি সামনের দিকে ভেসে যাচ্ছেন। একটা দরজা খুলে যেতেই সামনে ভোরের শুভ্রতায় ভরা একটা বাগান ভেসে উঠল। লম্বা আলখাল্লা পরা, বরফের মতো শুভ্র দাড়িওয়ালা একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন, তাকে ঘিরে বসে আছে অনেকগুলি শিশু। যেন অগণিত মুক্তো ছড়িয়ে আছে।
তিনি দরজা খুলে ঢুকতেই সবাই তার দিকে ফিরে তাকাল। তাদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠল। একজন শিশু দৌড়ে এসে তার হাত ধরে বলল, “তুমি তো বলেছিলে, তুমি সবকিছু রক্ষা করবে।”
টালমাটাল নিশ্বাস নিয়ে তালিয়া রেগেভ বিছানা থেকে উঠে বসলেন। চারপাশে আধো অন্ধকার। শহরের শব্দ এখনো জাগেনি, শুধুই কিছু পাখির ডাক আর কিছু মুহূর্ত আগেও যে স্বপ্ন তাকে ঘিরে রেখেছিল, সেটার গন্ধ যেন এখনো বাতাসে ভাসছে।
ধীরে পা ফেলে তিনি ঘরের এক কোণায় চলে গেলেন যেখানে কাঠের উপর একটি ছোট টেবিল, একটি মেনোরা বাতি, একটি পুরোনো প্রার্থনার গ্রন্থ রাখা। যে ছোট টেবিলের সামনে তিনি শিশুকালে তার দাদীর সঙ্গে বসতেন।
তিনি মোমবাতি জ্বালালেন। আলোর কাঁপা শিখাটি যেন ঠিক তার হৃদয়ের মতো, অস্থির, কিন্তু জেগে আছে।
তিনি হাঁটু গেড়ে বসলেন। মাথা নিচু করলেন।
“সেই দরজা, সেই শিশু, সেই বার্তা, এবার তৃতীয়বার একই স্বপ্ন ... কেউ বলছে কিছু, কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না। আমাকে বুঝতে হবে।”
তার চোখ বন্ধ হয়ে এল। চোখের পেছনে আবার সেই দৃশ্য স্পষ্ট হয়ে উঠছে—
সাদা পাথরের বিশাল প্রান্তর...
সেই শিশু দৌড়ে এসে হাত ধরছে...
“তুমি তো বলেছিলে, তুমি সবকিছু রক্ষা করবে।”
©somewhere in net ltd.