নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাগজের তৈরি কাক

নকল কাক

নকল কাক

নকল কাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ্যমবুশ ১২

০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:২৭

ওভাল টেবিলের চারপাশে ইসরায়েলি কেবিনেটের সদস্যরা বসে আছেন। ঘরে বেশ কিছু স্যাটেলাইট ছবি, মানচিত্র, ও কায়রো থেকে আসা একটি এনক্রিপ্টেড গোয়েন্দা নোট ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতে হাতে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মুখ গম্ভীর করে নোটটি রেখে বললেন, “ওরা আসলে চায় আমরা সব থামিয়ে দিই। যেন কিছুই হয়নি। রাফাহ খুলে দিই, যাতে আবার অস্ত্র ঢোকে গাজায়? এসব কি আমরা করতে পারি?”

শিল্প ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী সায় দিয়ে বললেন, “মানুষ মরেছে আমাদের, রাস্তায় রক্ত। এখন আমরা যদি তাদের মানবিক আবেদন মেনে নিই, জনগণ আমাদের ছিঁড়ে খাবে। কেউ মানবে না।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা একটু ভিন্ন মত দিলেন, “তবুও এটা সত্যি, আমাদের এখন মিশর দরকার। রেড সি পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে। ওদের ছাড়া আমরা এই মুহূর্তে কিছু করতে পারি না। ওরা জানে আমরা দুর্বল। আমরা জানি আমরা দুর্বল।”

মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের একজন কর্মকর্তা বললেন, “আমরা এখন কোন বড় স্কেল সামরিক অপারেশন চালাতে পারছি না। একটা ক্যারিয়ার গেছে, আমাদের সাবমেরিনগুলো গেছে, নৌঘাঁটিগুলো রিস্ক জোনে। মিশরের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়া মানে আত্মহত্যা।”

সবাই কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকে।

তালিয়া রেগেভ তখনও কিছু বলেননি। তিনি কাগজের পাতায় চোখ রাখছেন, মুখে অদ্ভুত এক নিরবতা। পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিছুটা বিরক্তভাবে তাকালেন তার দিকে।

“তালিয়া, আপনি চুপ করে আছেন। আপনি এই মুহূর্তে নেতৃত্বে আছেন। আপনি কি ভাবছেন?”

তালিয়া চোখ তুললেন ধীরে, তারপর একটু সময় নিয়ে বললেন, “আমরা যে অবস্থানে আছি, সেটা আমাদের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের ফল। মিশর এখন সুযোগ নিচ্ছে, এটা সত্যি। কিন্তু ওরা শত্রু না। ওরা নিজেদের জন্য খেলছে, যেমন আমরা খেলি। এই মুহূর্তে আমাদের বড় প্রতিপক্ষ সাগরের নিচে লুকিয়ে আছে। উপরে যারা আছে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা আমাদের পক্ষে বিপজ্জনক।”

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আবার চাপ দিলেন, “ওরা চায় আমরা গাজায় আগের অবস্থায় ফিরে যাই। হামাস আবার আত্মবিশ্বাস পাবে।”

তালিয়া বললেন, “পুরোটা মানা সম্ভব না। কিন্তু আংশিক বিরতি, শর্তসাপেক্ষ মানবিক করিডর, তা আলোচনার ভিত্তি হতে পারে। আমরা যদি তাৎক্ষণিকভাবে রেজেক্ট করি, তাহলে আন্তর্জাতিক মহলে আমরা আগ্রাসী হিসেবে প্রতিস্থাপিত হবো।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বললেন, “আর যদি এতে তারা আমাদের দুর্বল ভাবে?”

তালিয়া একটু এগিয়ে বসলেন। “আমরা দুর্বল। এটা একটা সাময়িক সত্য। কিন্তু দুর্বলতার মধ্যেও যদি আমরা কৌশল বজায় রাখি, তাহলে তার ভয় অনেক বেশি হয়। আমরা এখন মানবিক করিডর খুলে দিয়ে মিশরকে বলব - তোমরা যদি আমাদের সাহায্য করো শত্রুকে খুঁজে পেতে, আমরা তোমাদের কথা শুনতে রাজি।”

তিনি থামলেন। তারপর যুক্তি দিলেন, “আমি তিন দিনের জন্য একটি সীমিত যুদ্ধবিরতি ও করিডরের পক্ষে। এ সময়ের মধ্যে আমরা গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করবো, শত্রুর গতিবিধি বুঝবো। তারপর যা করণীয়, করব, নিজের শর্তে, নিজের সময়মতো।”

একজন সিনিয়র মিলিটারি জেনারেল চুপচাপ শুনছিলেন। তারপর ফিসফিস করে বললেন, “এই মেয়েটা ভয়ঙ্কর ঠাণ্ডা মাথার। গরম মাথায় বোকামি করেনি, যেটা প্রাক্তনরা করত।”

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তাকিয়ে রইলেন তালিয়ার দিকে। “তিন দিন, ঠিক আছে। তবে কেউ যেন ভেবে না বসে আমরা হেরে গেছি।”

তালিয়া কেবল মাথা ঝাঁকালেন। “আমরা হারিনি। আমরা হিসেব করছি।”

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৫

শায়মা বলেছেন: সমাপ্ত!

১২ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:১১

নকল কাক বলেছেন: #:-S

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.