নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিপুণ আল ইমরান

আমি বাংলাদেশী।

নিপুণ আল ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছোট ছেলে

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

[ চাকরি টা ছেড়ে দেওয়ার পর থেকেই বাসায় অফুরন্ত অবসর সময় কাটাচ্ছি। আমার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছোট ছেলের স্কুলে আজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিন্ত্ত সে যায় নি। তার কোনো ধরনের আগ্রহ-ই নেই Extra curricular activities এর প্রতি। ছোট বেলা থেকেই সে এ রকম স্বভাবের। পড়ার প্রতি মনোযোগ যতটা না, তার থেকে সাতগুণ বেশি রুবেলের সাথে খুনসুটি আর Mobile Facebooking এর প্রতি। সে শিশুপ্রিয় Cartoon চরিত্রগুলো আঁকতে খুব পছন্দ করে।কম্পিউটারে সারাদিন বসে থাকাটা



পড়ায় ফাঁকি দিয়ে প্রিয় কার্টুন চরিত্রের ছবি আঁকায় খুব মনোযোগী আমার ছেলে।

এক সময় তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। ওর মা আর আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা Official কাজে ব্যস্ত থাকার কারনে ওর এসব অভ্যাস দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।

গত ১০/০২/১৫ তে চাকরি ছেড়ে দেয়ায় বাসাতেই বেশি থাকা হয়। যতক্ষণ ও বাসায় থাকে আমি ওকে পর্যবেক্ষণ করি। খুব Fast ছেলে-যেমন লেখাপড়ায়, তেমন ফাঁকিবাজিতে। চেয়ার-টেবিলের সাথে তার Relation টা কে আপেল-চাকুর সাথে সম্পর্কটার তুলনা করা চলে। সকালে সে পড়তে বসেছে। আধ ঘণ্টার মধ্যে দুইবার half করেছে। আমার সাথে গল্প করার চেষ্টা করেছে তিন বার। পাঠ্য বিষয়গুলোর কোনটি কোন কাজে লাগবে -এটা তার জিজ্ঞাসা। বিষয়টা এমন নয় যে সে কোনবিষয় কম বোঝে। ছাত্র হিসেবে সে অনন্য। যে কোনো বিষয় সে দ্রুত আয়ত্ত করতে পারে। চমৎকার Deliver করে। নিজ ইচছায় যখন সে লেখে তখন তা চমৎকার-আর যখন অন্যের আদেশে লেখে তখন তা কদাকার।

আমি ভাবতে বসি তাকে নিয়ে। সৃজনশীলতার এই যুগে প্রথম থেকেই ভালো করে না শিখলে ওর কাঠামো দুর্বল থাকবে। শ্রেণি উপযুক্ত পর্যাপ্ত বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান না থাকলে তার মধ্যে সৃজনশীলতা আসবে কোথা থেকে-? অনেকগুলো Subject ওকে পড়তে হয়। প্রতিটি বিষয়ের উপরে-ই সমান মনোযোগ না দিলে ভবিষ্যত জীবনে ওর পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ও মেধাবী কিন্ত্ত লেখাপড়ার প্রতি উদাসীন। মনোযোগ দিয়ে সে দশ মিনিটের বেশি পড়তে পারে না। বিভিন্ন বিষয়ে মাথা খাটাতে সে রাজী নয়। তার প্রিয় কিছু বিষয় আছে, যা নিয়ে সে নিজেকে নাওয়া-খাওয়া ভুলিয়ে ব্যস্ত রাখতে পারে।

স্বেচ্ছায় সে যে কাজগুলো পছন্দ করে তা হল ছবি আঁকা ও কম্পিউটারে কাজ করা, যা ও নিজের ধৈর্য্য ও চেষ্টার ফলেই শিখেছে। আমাকে অনেক কাজে ও সাহায্য করে। আমিও ওকে উৎসাহ দেই। অপছন্দনীয় বিষয়গুলো নিয়ে পড়ে না থেকে নিজের প্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকাটাকে ই আমি শ্রেয় মনে করি। কিন্ত্ত ওর মা আবার এসবের ঘোরবিরোধী। JSC তে ভাল Result না করলে Science নিয়ে পড়া যাবে না। আবার Science না পড়লে Medical, Engineering কলেজে Chance পাওয়া যাবে না। ভবিষ্যত অন্ধকার। আমি তো এটাও মানি। ছেলেকে যখন পড়তে বলি তখন ওর মুখটা দেখে বড় মায়া হয়। যদি নিশ্চিত হয়ে ওকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম “বেছে নাও, তোমার পছন্দের বিষয়”'



https://www.facebook.com/annaficoachingcentre





মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.