নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি যে আনারস খাচ্ছেন সেটা \'গর্ভবতী\', জানেন তো?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৪



বসন্তের ভীষণ গরমে পথে ঘাটে লেবুর শরবত, তরমুজের মতো আরো একটি জনপ্রিয় ফলের নাম আনারস। দেখতে ভালো, খেতে সুস্বাদু দামেও সাধ্যসীমার মধ্যে। ১০ থেকে ২০ টাকায় একপিস আনারস কিনলেই দোকানি আপনাকে বিট লবনের স্বাদে কেটে ছিলে মাখিয়ে প্যাকেট করে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে যে আনারসটি তার পুষ্টিগুন কিন্তু প্রশ্নাতীত। তবে আমার সাবধান বানী তখন-ই কার্যকর যখন এই আনারস টিকে ব্যবসায়ীক উদ্দ্যেশে রাসয়নিকের ব্যবহারে খাবার অনুপযোগী করে বাজারজাত করা হয়েছে।

ফলমূলে কীটনাশকের ব্যবহার বেশ পুরোনো ইস্যু। গাছ এবং ফল কে কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতেই সেই ৬০ এর দশক থেকে মূলত কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু শুধু সেই কাজেই থেমে থাকেনি বিজ্ঞান। আবিষ্কার করেছে আরো অনেক রাসয়নিক। যার মধ্যে ক্যালসিয়াম কার্বাইড একটা উল্লেখ যোগ্য নাম। ফরমালিন যখন প্রতিদিনের আতংকের নাম তখন অন্য অনেক রাসয়নিকের মতোই ক্যালসিয়াম কার্বাইড আমাদের গুরুত্বের বাইরে থেকে যাচ্ছে। খাদ্যে যেসব রাসনিক মেশানো হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ফরমালিন, প্যারা ফরমালিন, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ডিডিটি, ইথেফন, কৃত্রিম হরমোন, ক্যারিথ্রিন এবং রাসায়নিক রং।

আনারসের বাম্পার ফলনের জন্য টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলা বেশ বিখ্যাত। এখান থেকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০ট্রাক ভর্তি আনারস পৌঁছে যায় দেশের আনাচে কানাচে। খোদ মধুপুরের বাজারেও রাসয়নিক মুক্ত আনারস পাওয়া বেশ কঠিন। আনারস দ্রুত বর্ধন এবং পাকানোর জন্য যে হরমোনাল রাসয়নিক ব্যবহার করা হয় তার নাম গর্ভবতী। আর আনারসের রং সুন্দর করার জন্য দেয়া হয় রাইপেন ব্রান্ডের ইথেফন। মেডিসিন ছাড়া যে রং হয় না তা কিন্তু নয়, হয় তবে দেরি হয়। মানে ফলটিকে প্রাকৃতিক ভাবে পাকার সময় দিতে হয়। আনারস প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতে এবং খাবার উপযোগী হতে সময় লাগে তিন মাস। কিন্তু বেশি লাভের আশায় দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে চাষীরা ব্যবহার করছেন রাসয়নিক। শেয়াল আনারস বাগানের প্রধান শত্রু। ১৯৯০ সাল থেকে মধুপুরের আনারসে ইথেফন ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং তারপর থেকে শেয়ালও এই ফল খায় না।

কৃষকরা নিজেরা নিজেদের খাবারের জন্য যে আনারস গুলো আলাদা করে রাখেন তাবে রাসয়নিক স্প্রে করেন না। কারণ তারাও জানে স্প্রে করা আনারস খেলে নানা রোগব্যাধি হয়। তিন মাসে প্রকৃ্তিক ভাবে ম্যাচিয়ুর হতে না দিয়ে দুই মাসে যেটা বাজারজাত করনের জন্যই মধুপুরের আনারস চাষীরা বেশি দাম পাবার আশা জেনে এবং না জেনে এই ক্ষতিকর রাসয়নিক ব্যবহার করে যাচ্ছেন। ইথাইলিন বা ক্যালসিয়াম কার্বাইড প্রয়োগের কারণে ২-৪ দিনের মধ্যেই ফল হলুদ রং ধারণ করে। বাস্তবে এসব ফল বাইরে পাকা মনে হলেও এর ভিতরের অংশে অপূর্ণতা থেকেই যায়। ফল পাকাতে যে বিপজ্জনক রাসায়নিক পর্দাথটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় তার নাম কার্বাইড। স্থানীয় বাজারে কীটনাশকের দোকানে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে রাইপেন, টমটম, প্যানোফিক্স, সুপারফিক্স নামক কেমিক্যালগুলো।

আনারসের জীবন চক্র যদি এক লাইনে বলা হয়, তবে এমন দাঁড়ায় যে আনারস এখন হরমোনে বাড়ে, রাইপেনে পাঁকে, ফরমালিনে টেকে। প্রথমে আনারসে ফুল আসলেই স্প্রে করা হয় হরমোন। এতে ফুলেফেঁপে বড় হয়ে ওঠে আনারস। এরপর সেই আনরসে ইথোফেন স্প্রে করা হয়। এতে দ্রুত পেঁকে যায় আনারস। আর সবশেষে স্প্রে হয় ফরমালিন। এতে অসময়ে পাকানো আনারস পচনের হাত থেকে রক্ষা পায়। ফরমালিন স্প্রের পরদিন কাটা হয় আনারস। সুপারফিক্স নামের একটি গ্রোথ হরমোনের কার্যকারিতা হলো এতে একটি আনারস এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিকের তুলনায় তিন থেকে চার গুন বড় ও মোটাসোটা হয়। রাইপেন বা টমটম নামের এই ওষুধগুলো গাছে স্প্রে করলে এক থেকে তিন দিনের মধ্যে আনারসে লাল রঙ ধরে। এবং রাসয়নিক ব্যবহারে চাষীর আরেকটি লাভ হচ্ছে ক্ষেতের সব আনারস একসাথে পাকে।

কিভাবে চিনবেন রাসয়নিক মুক্ত আনারস। দেখতে অসুন্দর, আকারে ছোট। আনারসে ওষুধ না দিলে গোড়া থেকে পাকাঁ শুরু হয় এবং এক-দুই চোখ রং হয়।

ফরমালিনের বিরুদ্ধে অভিযানের কথা শুনে থাকলেও বাকি যে সব রাসয়নিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর প্রতিরোধে তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো যে বাজারের প্রায় ৮২ ভাগ খাদ্যে ফরমালিনের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়েছে। গত ৫ বছরে আমি যে পরিমান আনারস খেয়েছি তাতে নির্দ্বিধায় বলা যায়, আমি ইতিহাস! যদিও খাওয়ার সময় আমি জানতাম এগুলো পাহাড়ী আনারস। তাই এতো মিষ্টি এবং সুস্বাদু। পরে জেনেছি তথ্যটা ভুল জানতাম।

কোন ফলে কোন রাসনিক পদার্থ আছে সেটা জানাই এখন সুস্থ থাকার পূর্বশর্ত।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঠগ বাছতে তো গাঁ উজাড় হবার দশা নন্দিনী :(
আনারস এখন হরমোনে বাড়ে, রাইপেনে পাঁকে, ফরমালিনে টেকে আনারস ।

এত গেলো আনারস ,তরমুজের ইতিহাস তো আরও ভয়াবহ X((

সচেতনতা মুলক পোষ্ট এ ++++

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তরমুজের ইতিহাস আসছে :) :)

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভাল পোস্ট।থ্যাংক্যু ||

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৯

রাজসোহান বলেছেন: দেশে কি অনেক গরম নাকি? আনারস আমার তেমন পছন্দের ফল না।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল গতকাল। আজও সম্ভবত এ্মন-ই ছিলো।
:( :(

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১২

অন্তু নীল বলেছেন: কন কী ?
এতদিন ফরমালিন খায়া শরীরে মানায় নিছি, এখন গর্ভবতী খায়া মইরবার চাই না।
...............।
ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট দিয়ে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সাবধান !!

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২২

সোহানী বলেছেন: হায়রে...... দেশে এ নিয়ে কারো তো দেখি মাথা ব্যাথা নেই... অবশ্য মাথাটো শুধু টাকা পাচারেই ব্যস্ত। আম/আনারস-জনতা মরলো কি বাঁচলো তাতে কাকের কি!!!!!!!!!!

++++

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাহলে এই রাসায়নিক ফল কেনা হলে কিভাবে এসব রাসায়নিকের প্রভাব থেকে বাচা তার কি কোনো উপায় আছে?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তেমন নির্ভরযোগ্য কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। তবে অনেককে দেখাছি আপেল কিনে ৩০মিনিট ভিনেগার যুক্ত পানিতে ডুবিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে তারপর খেতে। যদিও এই পদ্ধতি কতটা বৈজ্ঞানিক সেটা আমার জানা নাই।

একমাত্র রাসয়নিকের উৎপাদন, আমদানী এবং বিতরন বন্ধ করা গেলেই ফলমূল খাওয়ার উপযোগী করা সম্ভব।

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫১

কালনী নদী বলেছেন: তরমুজের কাহিনীর অপেক্ষায় রহিলাম বোন :)

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ :) :)

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৯

বোকামানুষ বলেছেন: ফল খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে সব :(

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :( :( :(

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৮

কলাবাগান১ বলেছেন: ethephon-the ripening hormone ethylene precursor is used worldwide to ripen fruits. Specially banana from south american countries before coming to the stores of American grocery stories. Otherwise, the time it takes to from the banana tree to the store shelf, they will rot.
It is acceptable as they are produced by the plants themselves. It is not a banned chemical.

Avoid formalin not ethylene. Ethylene (to ripen fruits) is farmer friendly technology

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: গ্রোথ হরমোন একটি স্টরয়েড শ্রেনির হরমোন। এই হরমোন প্রয়োগের ২৮ দিন পর্যন্ত ফলের মধ্যে এর কার্যকারিতা থাকে। তাই ২৮ দিন পর ফল গ্রহণে কোন ক্ষতি হয়না। কিন্তু যেহেতু তিন দিনের মধ্যে আনারস বাজারে তোলা হয়, তাই ক্ষতির ঝুঁকি থেকেই যায়।

তাছাড়া হরমোন ব্যবহারের কোন শিক্ষা আমাদের দেশের কৃষকের মধ্যে নেই। যেখানে ১৬ লিটার পানিতে ৫ মিলি লিটার হরমোন স্প্রের অনুমোদন আছে কৃষি অধিদপ্তরের, সেখানে কৃষক কোম্পানি ও ব্যবসায়ীর পরামর্শে ভুল সময়ে ব্যবহার করেন ১০০ থেকে ২০০ এমএল।

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: Ethylene is not a steroid group hormone

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: "কৃত্রিম হরমোন" এর কথা বলতে চেয়েছি। শুধু ফরমালিনকে নিষিদ্ধ করলে চলবে না।

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লোম বাছতে কম্বল সাফ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




শুধু আনারস কেন, সর্বপ্রকার ফলমূল গর্ভবতী আর সন্তান পাচার হয় বিদেশে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)
ফলমূলের উৎপাদন বাড়ানোর সাথে সাথে, রাসয়নিকের আমাদানী কমাতে হবে।

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: স্থানীয় পর্যায়ে এই ব্যাপারে একবার কথা বলেছিলাম, কৃষকরা জানেই না যে এই গুলো বিষ। এক শ্রেনীর ঔষুধ বিক্রেতারা এইগুলোকে সার/ মেডিসিন বলে বিক্রি করছে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সচেতনতা বাড়াতে হবে।
বিনিয়োগ, গণসংযোগ এবং আন্তরিকতাই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে।
:) :)

১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!
বাঙালির জীবনীশক্তি বোধহয় পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। এতো কিছুর পরও বেঁচে আছে!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আগে কী এত বেশি ক্যান্সার, কিডনী ড্যামেজ, হৃদরোগ এর কথা শোনা যেত? প্রতিবন্ধী শিশুদের কথাও মাথায় রাখতে হবে।

কিছু মানুষের লাভ এবং লোভের চাকা সচল রাখতেই স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে আমাদের বসবাস।

ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল :) :)

১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আনারসের জীবন চক্র যদি এক লাইনে যদি বলা হয়, তবে এমন দাঁড়ায় যে আনারস এখন হরমোনে বাড়ে, রাইপেনে পাঁকে, ফরমালিনে টেকে।

প্রথমে আনারসে ফুল আসলেই স্প্রে করা হয় হরমোন। এতে ফুলেফেঁপে বড় হয়ে ওঠে আনারস। এরপর সেই আনরসে ইথোফেন স্প্রে করা হয়। এতে দ্রুত পেঁকে যায় আনারস। আর সবশেষে স্প্রে হয় ফরমালিন। এতে অসময়ে পাকানো আনারস পচনের হাত থেকে রক্ষা পায়। ফরমালিন স্প্রের পরদিন কাটা হয় আনারস। সুপারফিক্স নামের একটি গ্রোথ হরমোনের কার্যকারিতা হলো এতে একটি আনারস এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিকের তুলনায় তিন থেকে চার গুন বড় ও মোটাসোটা হয়। রাইপেন বা টমটম নামের এই ওষুধগুলো গাছে স্প্রে করলে এক থেকে তিন দিনের মধ্যে আনারসে লাল রঙ ধরে। এবং রাসয়নিক ব্যবহারে চাষীর আরেকটি লাভ হচ্ছে ক্ষেতের সব আনারস একসাথে পাকে।

খুব ভাল লাগল।
বিষ চক্রকে নিয়ন্ত্রিত করতে সচেতনতা ছড়িয়ে যাক!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!!
ধন্যবাদ!! :)

১৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অগ্নিসারথি ভাই,
সামনে এগিয়ে যান !!!
সাথে ছিলাম, আছি, থাকবো :) :)
ভোট দেয়া চলছে........... চলবে

১৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার সচেতনতামূলক পোষ্ট। ধন্যবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

রমিত বলেছেন: চমৎকার সচেতনতামূলক পোষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভালো থাকবেন :) :)

১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর জনকল্যানমূলক পোস্ট। ভাল কথা, সারা শহরে (গ্রামের কথা বলছিনা) এমন একটা খাবারের নাম করা যাবেনা যাতে ভেজাল বা বিষ নেই!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!!!!!!!!!!!!!!!!
স হ ম ত

২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৯

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ভালো খারাপ আনারসের ছবি দিলে ভালো হতো । লিখার বণর্নায় অনেকের সমস্যা হতে পারে ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঠিক আছে........
খুঁজে দেখি ছবি পাওয়া যায় কিনা !
ধন্যবাদ :)

২১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১২

পুলহ বলেছেন: কি অবস্থা, শিয়াল পর্যন্ত এইসব ফল খায় না...!!
গুছিয়ে, সহজবোধ্য উপায়ে লিখেছেন। চমতকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
এতো বীভতসতার মধ্যেও হাসি পেলো 'গত ৫ বছরে আমি যে পরিমান আনারস খেয়েছি তাতে নির্দ্বিধায় বলা যায়, আমি ইতিহাস!'- পড়ে, হা হা..
ভালো থাকবেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে আমি মহসিন হলের সামনে থেকে আনারস মাখানো খাওয়া শুরু করি আর সেন্ট্রাল লাইব্রেরী পর্যন্ত ২/৩ দোকান থেকে কিনে খেতে খেতে হেঁটে হেঁটে গল্প করি।

মারা গেলে আমার এপিটাফে নিশ্চয় লেখা থাকবে কার্বাইট দেয়া আনারস খেয়ে ………………… ইতিহাস হয়ে গেছে”।

ধন্যবাদ পুলহ, ভালো থাকবেন। রাসয়নিক মিশ্রিত ফল একদম খাবেন না।

২২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলার ক্বৃষকও ক্রিমিন্যাল হয়ে গেছে; ভালো মানুষ বাংলায় নেই; লাঠি ব্যতিত কাজ হবে না; সোস্যালিজম হয়তো এদের আবার মানুষ হতে সাহায্য করবে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: চাঁদগাজী, বাংলার ক্বৃষক আছে বলেই খেয়ে-পরে বেঁচে বর্তে আছেন। কোনো ইজমেই কাজ হবে না। মানুষের দরকার সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা।

শাসক আসে- শাসক যায়…………………. শুধু শোষনের ধরনটা বদলায়।

২৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

মোরশেদ পারভেজ বলেছেন: এই লেখাটি ফেচবুকে শেয়ার করতে চাই।
অনুমতি পাবো?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অবশ্য-ই অনুমতি দেয়া যাবে।
ধন্যবাদ :)

২৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


" মানুষের দরকার সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা। "

-মানুষকে নিয়ম কানুনের মাঝ দিয়ে চলার সমাজ গড়তে হবে অর্থনীতি ও রাজনৈতিক নিয়মে; "অধিকার নিশ্চিত" করার সরকার দরকার, সেটাই সোসয়ালিজম; এখনও সরকার আছে; কিন্তু "অঢিকার নিশ্চিত" করার ক্ষমতা ওদের নেই, নাগরিকেও নেই।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বুদ্ধিমতি’রা তর্ক করে না :) :)

২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দুঃখজনক ।

বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন । এমনভাবে বিষ আমরা প্রতিদিন খাচ্ছি, তাই মাঝে মাঝে ভাবি আমরা বেঁচে আছি কীভাবে !!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই, আমরা এখনো বেঁচে আছি!!

২৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫১

ওলে ওলে বলেছেন: অবশেষে আবুল হায়াতের দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে মুখ খুললেন বাংলা সিনেমার মুকুটবিহীন সম্রাট প্রবীর মিত্র। গত ১৮ই মার্চ আবুল হায়াত গোপনে দ্বিতীয় বিবাহের কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন। গোপন ক্যামেরায় তোলা সেসময়কার একটি সেলফি পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হলে আবুল হায়াতের এই কুকীর্তির কথা সবাই জেনে যায়। তবে এতদিন পর্যন্ত মোটামুটি চুপই ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা।



এবার সেই ধারার ব্যতিক্রম হয়ে আবারো প্রবীর মিত্র জাগিয়ে তুললেন তার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। আবুল হায়াতের কট্টর সমালোচনা করে প্রবীর মিত্র বলেন, "আবুলটা আর আগের মত নেই। সে নষ্ট হয়ে গেছে। দুই মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সে একাজটা না করলেও পারত। ছিহ, ধিক্কার!"

এব্যাপারে আবুল হায়াতের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ফোনে কয়েকটি মিসকল দেয়া হলেও তিনি কল ব্যাক করেননি। যতটুকু ধারণা করা হচ্ছে, তা থেকে বোঝা যায়, ক্যারিয়ার বাঁচাতেই মিডিয়ার কাছে আবুল হায়াতের এই ল‍ুকোচুরি !

আরও পড়ুন, চলে গেলেন আরজে সালমান

২৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সরকার যদি কঠোর হস্তে এই ব্যাপারগুলো দমন না করে, তবে এই জাতির ভবিষ্যত অন্ধকার! :(

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!

২৮| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ২:৪১

মহা সমন্বয় বলেছেন: আজকে থেকে আমি আনারস খাওয়া বাদ দিলাম।

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :) :)

২৯| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

রাফা বলেছেন: জনসচেতনতা মূলক পোষ্টে +++++
কৃষকদেরকে বুঝাতে হবে কোনটার ব্যাবহার কতটুকু হওয়া উচিত।অধিক মুনাফার লোভে মানুষের ক্ষতি যে করছে তারা তা তাদের উপলব্দিতে নিয়ে আসতে হবে।এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।

সহজবোধ্য করে লেখার জন্য ধন্যবাদ,নান্দনিক নন্দিনী।

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: স হ ম ত
:) :)

ধন্যবাদ!!

৩০| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: জেনে না জেনে কত কত বিষ খেয়ে ফেলছি আর খাচ্ছি।আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো এত বিষ খেয়েও এখনো বেঁচে আছি :)
বাজারেতো ফ্রেশ ফল নেই।এখন উৎপাদনের শুরুতেই ফলকে বিষাক্ত করার ফরমুলা ব্যবহার হচ্ছে।

১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সচেতন হবার সময় এসেছে। সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন!
ভালো থাকবেন :)

৩১| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ইচ্ছে করে সব ফল খাওয়া ছেড়ে দিয়ে বৈরাগী হয়ে পথে পথে ঘুরি....... :-B

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তাতে কী সমস্যার সমাধান হবে??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.