নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য উন্মোচিত হোক

দেশ কে ভালবাসি এই যদি হয় আমার অন্যায় তবে আমি অপরাধী

নষ্ট শয়তান

দ্যা হাম্বা এ্যান্ড ছাগু হান্টার। http://www.facebook.com/noshtos.angel.1

নষ্ট শয়তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুজিব বাহিনী, রক্ষীবাহিনীর উত্তরসূরী হান্ড্রেড ক্রুসেডারঃ গুম খুন এর জন্য যারা প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

গুম খুনের রাজনীতি আওয়ামীলিগ সরকারের নতুন কিছু না। আর এই ব্যাপারটা আওয়ামী সরকার প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।



আওয়ামী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা গুম খুনের জন্য প্রথম তৈরী করে মুজিব বাহিনী। এই মুজিব বাহিনীর ব্যাপারে আমার এই পোষ্ট টা দেখতে পারেন।



প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ ফজলুল হক মনির মুজিব বাহিনীর হাতে যে সকল মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছে তাদের বিচার কবে হবে?



এরই ধারাবাহিকতায় তৈরী হয় রক্ষীবাহিনী। দেখুন নিম্নোল্লেখিত পোষ্টটি



আওয়ামীলীগের আবার রক্ষীবাহিনী তৈরী করা দরকার। বিএনপি প্রতিহতের জন্য



সেই যুগ শেষ হয়ে এই যুগে এসে মুজিব বাহিনী, রক্ষীবাহিনীর উত্তর সূরী হিসাবে আজকে তৈরী হয়েছে হান্ড্রেড ক্রুসেডার। কেন এই ক্রুসেডার?



আমি অনুরোধ করব এই লেখায় আপনি যখন ঢুকবেন তখন নিম্নলিখিত মানূষগুলোর কথা একটু স্বরন করবেন।





বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধীজীবীদের পৃথিবী থেকে মুছে দেয়ার উদ্দেশ্যে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে বাছাই করা ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের ১০০জন সশস্ত্র ক্যাডার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এ্যান্ড এনালাইসিস উইং ‘র’ এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভারতের দেরাদুনে সুদীর্ঘ ৬ মাস ব্যাপী কমান্ডো ট্রেনিং নিয়ে ২০১০ সালের জুন থেকে শুরু করে গুপ্ত হত্যা, অপহরণ ইত্যাদিসহ বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেছে।



“ক্রুসেডার-হান্ড্রেড” কোডমেনের এই দলটি ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ভারতের প্রবেশ করে এবং ২০১০ সালের মধ্য জুন পর্যন্ত অবস্থান করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু তরুন কমান্ডোদের প্রশিক্ষণ দেয়ার নাম করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চৌকস কমান্ডো প্রশিক্ষকরা এইসকল তরুণদের দূর্ধর্ষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এ্যান্ড এনালাইসিস উইং ‘র’ এর মূল পরিকল্পনায় এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় “ক্রুসেড হান্ড্রেড” এর পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।)





সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকাল থেকেই মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী ভারতীয় ‘র’ এবং ব্রিটিশ এমআই সিক্স এর সাথে দীর্ঘকাল ধরে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করেন। শেখ হাসিনার সাথে তার পারিবারিক ঘনিষ্ঠতারসূত্রেই তিনি ‘র’ এবং এমআই সিক্স এর সাথে সর্ম্পক তৈরী করেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা হওয়ায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানার ভাসুর হওয়ার সুবাদে মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী সরকারে অপরিহার্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।



“ক্রুসেডার হান্ড্রেস” টীমের পুরো ব্যাচের সদস্যদের তিনি নিজে এবং তার অনুগত কিছু সহকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের দিয়ে সরকার দলীয় ক্যাডারদের মধ্য থেকে বাছাই করেন। ‘ক্রুসেডার হান্ড্রেড’ গ্রুপের সদস্যরা ভারত থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে এলে তাদের হাতে বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় বেশ কিছু রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের একটি হিট লিস্ট সরবরাহ করা হয়। তথ্যমতে, ‘ক্রুসেডার হান্ড্রেড’ গ্যাং এর হাতে সরবরাহকৃত তালিকায় ৮৩ ব্যক্তির নাম রয়েছে যাদের নাম পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।



প্রশিক্ষিত এ গুপ্তঘাতক দলের সদস্যরা রাজধানীর গুলশান ও বারিধারা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে অবস্থান করছে। বারিধারা ভিত্তিক গুপ্তঘাতকেরা মেজর জেনারেল (অব) তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং গুপ্তঘাতকদের আবাসস্থলসমূহ অত্যাধুনিক সার্ভেইল্যান্স যন্ত্রপাতি সজ্জিত ও এসকল আবাসস্থলে জনসাধারণের অনুপ্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। অতি সম্প্রতি গুম হওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতা এম. ইলিয়াস আলীর নামও “ক্রুসেডার হান্ড্রেড” ফোর্স-এর তালিকায় রয়েছে।



হিট লিস্টে রয়েছে এমন কিছু নেতাদের নাম আমার নিউ দিল্লিস্থ সোর্স প্রকাশ করেছে যাদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ আমানুল্লাহ আমান, মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, এম. ইলিয়াস আলী, হাবিবুন নবী সোহেল, আব্দুল্লাহ আল নোমান, কাজী জাফর আহমদ, মীর কাসেম আলী, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল আলম প্রধান, আ. স. ম. আব্দুর রব, মুফতি ফজলুল হক আমিনী এবং মওলানা ফজলুল করীম, শফিক রেহমান, মেহনাজ রশীদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ক্যাপ্টেন তারেক রহমান এবং তাজুল ইসলাম ফারুক (কিছু নাম গার্ডিয়ানের ২৮ তারিখের রিপোর্ট থেকে সংযোজিত)। আওয়ামী লীগ এবং “র” সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এদেরকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নিশ্চিহ্ন করবে কেননা আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসতে এ মিশনকে ক্ষমতাশীন দল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাব্যস্ত করেছে।



ক্রুসেডার হান্ড্রেড গ্যাংটির ক্ষুদ্র ও মাঝারী পাল্লার সাইলেন্সারযুক্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, গ্যাস বোমা সমৃদ্ধ এবং অপারেশনের জন্য রয়েছে যানবাহন। বাংলাদেশী যে কোন গোয়েন্দা সংস্থার চোখ এড়াতে এ দলের কিছু সদস্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে। এ গ্যাং এর প্রতিটি সদস্য বিশাল অঙ্কের অর্থসহ বিবিধ অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা যথা সদস্যদের পরিবার-পরিজনদের জন্য ঢকা শহরে এ্যাপাটমেন্ট ও ক্ষুদ্র ব্যবসার সুযোগ পেয়ে থাকে। দিনের বেলায় এরা প্রকাশ্যে মুখ দেখাতে পারে না এবং প্রায় পুরোদিন এদেরকে ঢাকা শহরের আস্তানায় অবস্থান করতে হয়। আর জরুরী প্রয়োজনে বাইরে রাস্তায় বের হতে হলে তাদেরকে জনসাধারণের কাছ থেকে তাদের মুখ লুকানোর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কালো রঙ্গের হেলমেট পরিধান করতে হয়। পর্যায়ক্রমে এ টিমের সকল সদস্যকে ৭ থেক ১০ দিনের বিনোদনের জন্য গোপনে ভারতে প্রেরণ করা হয় এবং ভ্রমনের কোন প্রকার দলিলপত্র প্রদর্শন ছাড়াই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নির্বঘ্নে পারাপারের জন্য তারা অনুমতিপ্রাপ্ত।



আশাকরি ধৈর্যধরে এতক্ষণ প্রতিবেদনটি পড়েছেন এবং নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে হয়তো আপনার। কিন্তু আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল তারিখে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার “NSG boost to Hasina inner cordon : Handpicked commandos to train at Manesar” প্রতিবেদনটি। প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের মতো একটি চৌকস কমান্ডো বাহিনী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় একদল তরুনকে ইতোমধ্যেই ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের মানেশ্বরে অবস্থিত ন্যাশন্যাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) এ প্রশিক্ষণ শুরু করেছে।



দেখুন কি লেখা হয়েছিল সেখানে

Kolkata: Bangladeshi Prime Minister Sheikh Hasina may soon get the kind of security cover provided to top-notch VVIPs in India like Prime Minister Manmohan Singh and UPA chairperson Sonia Gandhi. According to sources in Dhaka, a group of young people have been handpicked to receive training at the National Security Guard (NSG) set-up at Manesar, Haryana. These commandos, once trained, will form the inner cordon of Hasina’s security.



Officials in Delhi refused to comment on the matter but said the NSG does provide training to personnel from friendly countries.



What seems to have prompted this move is the growing concern over Hasina’s security. It has been revealed that on one occasion in 2009, the Bangladeshi PM had to spend a few hours without a single security personnel around her. Hasina then had to make a desperate call to the Bangladeshi president, before a security detail reached her official residence.



“In the last few months, Hasina has announced in her public meetings that there are elements within her own country who would like to overthrow her elected government. This would certainly involve an assasination attempt on her. India wants stability in the region and would like a democratically elected government to be in place in Bangladesh. An attempt on Hasina’s life may even take place when she is on official visits to other countries. It is only justified that India shows concern about her security,” an official in Delhi said.



The NSG imparts training in a number of fields, including VIP security. In fact, the set-up in Manesar is touted as a ‘centre of excellence’ in this field. During training, personnel develop physical and mental agility that includes unarmed combat skills. Training is imparted in providing mobile and static security, including access control, observation techniques, ground control and mobile security drill.

“Trainees also learn precision firing, sharp shooting and reflex training. The course encompasses defensive and evasive driving skills and building up awareness about IEDs and booby traps. More than development of physical skills, the course stresses on mental prowess. Unlike other units, the role of the inner cordon is to prevent any attempt on the VIP’s life. If need be, the bodyguards would have to take bullets meant for the person under their protection. A special kind of mental strength is required for this. Apart from the physical part of the training, there are theory classes involved, in which trainees learn about techniques used by assasins and bombers in history,” the official said.

It is already a known fact that India and Bangladesh have inked defence ties which involves training of Bangladesh Army personnel at the Counter Insurgency and Jungle Warfare School in Vairangte, Mizoram.



Defence officials said Bangladesh is keen to revamp its security network to tackle terror strikes, assasination bids and urban warfare scenarios. India has apparently agreed to provide all support to ensure peace and stability in the neighbourhood.



লিঙ্ক দেখুন



এবার একটু টাইমলাইনটা মিলিয়ে দেখুন।



শ্রীলংকা গার্ডিয়ান পত্রিকায় যে তারিখে ট্রেনিং শুরুর কথা বলা হয়েছে কয়েকমাস পরে টাইম অব ইন্ডিয়া পত্রিকার রিটোর্টেও তেমনি স্বীকার করা হয়েছে যে ইতোমধ্যেই ট্রেনিং শুরু হয়ে গেছে। শুধু প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ভিন্ন বলা হচ্ছে। এর কারণও আগেই বলা হয়েছে, গুম অপহরণের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়ার ক্ষেত্রে সঠিক উদ্দেশ্য প্রকাশ করা অসম্ভব কেননা তাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যকার দু’য়েকজন মানবিকবোধ সম্পন্ন অফিসার বেঁকে বসতে পারেন এবং তথ্য ফাঁস হলে বিশ্বব্যাপী ভারত ও আওয়ামী লীগ বেকায়দায় পড়ে যেতে পারে। তাই কৌশলে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলে আওয়ামী লীগের গুন্ডাদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশে গুমের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছ।




একটা ব্যাপারে আমি পরিস্কার বলতে চাই এইদেশে রাজাকারের বিচার আমরা সবাই চাই। কিন্তু সেই বিচারকে যেভাবে দলীয়ভাবে নিয়ে বিএনপি আর জামাতকে এক করে ফেলার পায়তারা নোংরা আওয়ামী মানসিকতা করে ছিল তার দায়ভার আওয়ামীলীগ কেই করতে হবে। সাধারন মানুষের চেতনাকে নোংরাভাবে ব্যাবহার করার ইতিহাস একমাত্র আওয়ামীলীগেরই আছে। যার জ্বলন্ত প্রমান শাহবাগের পবিত্র আন্দোলন। যাকে নোংরা ভাবে দলীয়করন করে পুরো আন্দোলন ধবংস করা।



মনে রাখবেন জামাত আর বিএনপি একনা।



সত্য উন্মোচিত হোক।




সূত্রঃ Click This Link

Click This Link

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: বাঃ অনেক পরিশ্রম করছেন, কিন্তু সারথক হয় নি , চালিয়ে জান দেখি কাজে লাগে কি না, শিবিরের ছাগল গুলা আজকাল তাইলে লিক্তেও শিখছে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৭

নষ্ট শয়তান বলেছেন: এই তো সোনার পোলা আইচ। এইটা শিবির না বিএনপি। ওই শিবির বেইচ্চা আর কতদিন চালাবা? তোমাগো ম তের মিল না হইলেই তো শিবির। তা কোনটা লইয়া সোনা তুমার আপত্তি তা কিন্তু কইলা না।

এই সব কইরা আর পার পাবা না। জনগন জানবে কি করতে আছ তুমরা। আর শিবির আমরা না তুম্রা। এই দেখ কে জামাতের আমীর আর কার লাগে জামাতের পিরীত।



২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৮

মরা নদী বলেশ্বর বলেছেন: বেকুব জাতির কোনও উপকারে আসবে বলে মনে হয়না,,,,,,,,,,,,,,,,তবে লেখা নিঃসন্দেহে ভাল....................চালিয়ে যান,,,,,,

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৪

নষ্ট শয়তান বলেছেন: সত্য উন্মোচিত হোক।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: এখন কবিরা নীরব :(

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৫

নষ্ট শয়তান বলেছেন: সত্য উন্মোচিত হোক।

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৪

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
জামাতি সাইট

আসাম টাইমস ও শৃলংকা গার্ডিয়ান।

এই তাদের ভরসা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আইয়া পড়ছ!!!!!!!!!!

তা কাগো উপ্রে তুমার ভরসা একটু কইয়া যাও দিকিন সোনার পোলা? আর ওই মানূষ গুলা যে গুম হইল এইডা নিয়া কিছু কইলা না। নাকি দেশী পত্রিকার উপরো তুমার ভরসা নাই

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৭

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: সত্য সবসময় তিতা ,,,
সুন্দর ত্বথ্য মুলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ( + )

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৬

নষ্ট শয়তান বলেছেন: সত্য উন্মোচিত হোক।

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

এই আমি সেই আমি বলেছেন: মনে রাখবেন জামাত আর বিএনপি একনা।[/si

মাহমুদ কারিগর ফেল । গাজার নৌকা এভারেস্ট দিয়া যায় ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩২

নষ্ট শয়তান বলেছেন: হ গাঞ্জার নৌকা আকাশ দিয়া যায়

আব্দুল হাম্বাডার গলায় দড়িদে। এই নাও ঘাস খাও

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

এই আমি সেই আমি বলেছেন: মনে রাখবেন জামাত আর বিএনপি একনা।[/si

এক মায়ের পেটের দুই ভাই ।

মাহমুদ কারিগর ফেল । গাজার নৌকা এভারেস্ট দিয়া যায়া।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: গাঞ্জা কি বেশী প্রছে? গ্যান্দার মা তোর ঝারুডা কৈ?

আগে টয়লেট টা পরিস্কার কইরা নিস ঝারুডা দিয়া।

আর একটা গাঞ্জুত্তী আইছে

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: গাজার দাম বেড়ে গেছে এইকারণেই । #:-S

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আরে তুমি ও ল্যাদাইতে আইচ? গাজা খাইয়া আর একখান ভিটামিন পুস্ত খিচাও। যত্তসব গাজাখোর। গ্যান্দার মা তোর ঝারুডা আনোতো এই সব গাঞ্জা খোর গুলারে ঝাটাইয়া বাইর কর

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০২

বুনো বলেছেন: আয় হায় লেঞ্জায় আগুন ধরে গেছে দেখি। =p~ =p~

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

নষ্ট শয়তান বলেছেন: একোনো আগুন দেই নাই খালি হাল্কা বাতাস দিতাছি..............আগুন দিলাম বইলা ;)

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৭

বাংলার হাসান বলেছেন: আওয়ামী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা গুম খুনের জন্য প্রথম তৈরী করে মুজিব বাহিনী।

শ্রদ্বেয় লেখক, আপনি আওয়ামী লীগকে গালিদেন বা বিএনপির গুষ্টি উদ্ধার করেন তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু ভুল তথ্য বলাটা কি ঠিক?

মুজিব বাহীনি ছিল মুলত “বিএলএফ” আর “বিএলএফ” গঠন হয় ১৯৬৯ এ, যার উদ্দেশ্য ছিল দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্য নিয়ে এবং এটা “নিউক্লিয়াস” এর তৈরী। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সময় “বিএলএফ” এর নাম পরিবর্তন করে “মুজিব বাহীনি” করা হয়। দেশ স্বাধীন হবার পর দেশের শাসন কাঠামো নিয়ে আওয়ামী লীগের সাথে দন্ধের কারনে ১৯৭২ এ “বিএলএফ” অর্থাৎ “মুজিব বাহীনি” মুক্তিযুদ্ধের ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় ”জাসদ” অতএব “মুজিব বাহীনি” র নাম দিয়ে কিছু লিখার আগে এই বিষয় গুলো পরিস্কার করা কি উচিৎ নয়?

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০১

নষ্ট শয়তান বলেছেন: ভাই আপনার ব্লগ থেক গুরে এলাম।

আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি হয় আপনি মিস গাইডেড অথবা না যেনে শোনা কথা বলছেন। মুজিব বাহিনী তৈরী হয় ভারতীয় জেনারেল উবানের সহায়তায় মূলত তার প্রতক্ষ্য তত্বাবধানে মুজিব বাহিনী অস্ত্র ধরে। মুজিব বাহিনীর চার জন নেতা ছিল

সিরাজুল আলম খান

শেখ ফজলুল হক মনি

আব্দুর রাজ্জাক

তোফায়েল আহমেদ

এ ব্যাপারে আপনি জেনারেল উবানের এর ফ্যান্টম অভ চিটাগাং ফিপিথ আর্মি' ইন বাংলাদেশ' পৃঃ ১৩৮-১৩৯ দেখেন।

আর জাসদ তৈরী হয় মুলত শেখ মনির স্বেচ্চাচারিতার জন্য। এব্যাপারে আমি একটা পোষ্ট দেব আশা করি আপনার সংশয় নিরশয় হবে। সাথে থাকুন।

কাউকে দায়ী করার আগে আরো ভাল ভাবে জানবেন।

সত্য উন্মোচিত হোক।

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৮

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: হিট লিষ্টের বাকি গুলোকে কি মারতে পারবে? সবই তো ফাস করে দিলেন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

নষ্ট শয়তান বলেছেন: এই প্রশ্ন আপনি আমাকে করে কি বলতে চেয়েছেন? খোলসা করুন।

১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

এই আমি সেই আমি বলেছেন: বাবা কি ভাষা ? বস্তির ঝগড়াটে মহিলারাও হার মানে । আপনার কপালে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি " ১০০ হাত দূরে থাকুন " লাগানো উচিত । দেখলাম আপনি অন্যের কুল ঠিকুজী নির্ণয় করছেন কিন্তু আপনার অজান্তেই আপনার পশ্চাতদেশ উদাম হয়ে গেছে ।

আপনি বলছেন জামাত বিম্পি এক না , কিন্তু তারেক জিয়া বলে এক মায়ের পেটের দুই ভাই । হিল্লী দিল্লী ঘুরে , আকাশ সমুদ্র মন্থন করে তথ্য হাজির করেন আর এইটা জানেন না এটা বিশ্বাস করিনা । আর এটা ঢাকার জন্যই এই খিস্তি খেউর ।

গুম খুন করার জন্য বিদেশী ট্রেনিং লাগবে , বাংলাদেশের ট্রেনিং মানসম্পন্ন নয় । তারপর আর কি সব জানি বলেছেন ; দিনের বেলা বাহির হয়না , মুখ ঢেকে রাখে , বিনোদনের জন্য ডাকটিকেট ছাড়া ইন্ডিয়া পাঠায় ব্লা ব্লা ব্লা এই জন্যই বলেছি গাজার নৌকা পাহাড় দিয়া যায় ।

সত্যই মাহমুদ কারিগর ফেল ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: রাম করলে লীলা খেলা আর তারেক করলে হারামজাদা?

বাহ বাহ শেখ হাসিনা যখন বলেন তিনি জামাতে আমীর তখন?

১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

এই আমি সেই আমি বলেছেন: এই তো ভদ্র ছেলে । এই ভাবে শব্দ প্রয়োগে শালীনতা বজায় রাখবে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৩

নষ্ট শয়তান বলেছেন: হুন সোনার পোলা ভদ্রতা কখনো কখনো ভাদাগোধারে দূর্বলতা। এই হাম্বা চিন্তা বাদ দিয়া সময় হইছে ভদ্রতা শিখানো বুজলা

১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৪

এই আমি সেই আমি বলেছেন: তুই আবার তোর অরিজিনে ফিরে গেছিস। লক্ষ্য করে দেখলাম তোর কাছে যখন কোন যুক্তি থাকেনা তুই শুরু করিস খিস্তি খেউর , আর তুই তখন এতটাই বেসামাল যে তোর শব্দ চয়ন কোন এলাকার বা তার অর্থও বোধগম্য নয়।

যতটুকু বুঝতে পারছি তুই উপরে কোন এক মহিলাকে ঝাড়ু দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করতে বলেছিস । তারপর কার মা যেন হা হা হা তাকে বলিস সে ঝাড়ু দিয়ে তোর মুখ টা যেন পরিষ্কার করে দেয় আর এই থেরাপি দীর্ঘ মেয়াদী । এটা প্রত্যহ দুবেলা চলবে । তারপর তোর বাক্য বিন্যাস এবং শব্দ চয়ন যখন সন্তোষ জনক মানে পৌছাবে আমরা গ্রীন সিগন্যাল দিলে এই দন্ত মাজন প্রক্রিয়া বন্ধ হবে ।

অনেক বাড়ির গেটে যেমন লেখা থাকে " কুকুর হইতে সাবধান " সে ভাবে আপাতত তোর কপালে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি " ১০০ হাত দূরে থাকুন " লাগিয়ে নিস । কারন ইতর প্রানি কামড়ালে ৪০ টা ইঞ্জেকশন নিতে হয় , সে বড় যন্ত্রনাদায়ক ।




২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১২

নষ্ট শয়তান বলেছেন: ত রে তো ঝাড়ূ মারলেও কামই ইতেছেনা। নিত্য দুই বেলা গেন্দির মার ঝারু খাইতে তো ঠিক ই আইতাছস।

যেমন কুকুর তেম্ন মুগুর গেন্দির মা পিছা র লগে আমার ব্যাতটাও নিয়া আয়....................... অর পশ্চাদ্দেশে দুইটা গদাম দিয়া দেই দেখি তারপরও আসে কিনা

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৪

এই আমি সেই আমি বলেছেন: অনেক বাড়ির গেটে যেমন লেখা থাকে " কুকুর হইতে সাবধান " সে ভাবে আপাতত তোর কপালে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি " ১০০ হাত দূরে থাকুন " লাগিয়ে নিস । কারন ইতর প্রানি কামড়ালে ৪০ টা ইঞ্জেকশন নিতে হয় , সে বড় যন্ত্রনাদায়ক ।

বুঝতে পারলাম তোকে ভাষা শিক্ষা দেয়া আমার কাজ না । এটা বাবা মার কাজ ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৮

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আবার ও ঘেউ ঘেউ করতে আসছিস? আয় তু তু তু..................... তারপর তুমার পশ্চাতদেশে গুইনা গুইনা সাতটা ব্যাতের বারি,

যা দূর হ নেড়ী কুকুর কোথাকার

১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩০

সাধারণমানুষ বলেছেন: বারিধারা ভিত্তিক গুপ্তঘাতকেরা মেজর জেনারেল (অব) তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং গুপ্তঘাতকদের আবাসস্থলসমূহ অত্যাধুনিক সার্ভেইল্যান্স যন্ত্রপাতি সজ্জিত ও এসকল আবাসস্থলে জনসাধারণের অনুপ্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।

"ক্রুসেডার হান্ড্রেড গ্যাংটির ক্ষুদ্র ও মাঝারী পাল্লার সাইলেন্সারযুক্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, গ্যাস বোমা সমৃদ্ধ এবং অপারেশনের জন্য রয়েছে যানবাহন। "

বাংলাদেশী যে কোন গোয়েন্দা সংস্থার চোখ এড়াতে এ দলের কিছু সদস্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।


এ গ্যাং এর প্রতিটি সদস্য বিশাল অঙ্কের অর্থসহ বিবিধ অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা যথা সদস্যদের পরিবার-পরিজনদের জন্য ঢকা শহরে এ্যাপাটমেন্ট ও ক্ষুদ্র ব্যবসার সুযোগ পেয়ে থাকে। দিনের বেলায় এরা প্রকাশ্যে মুখ দেখাতে পারে না এবং প্রায় পুরোদিন এদেরকে ঢাকা শহরের আস্তানায় অবস্থান করতে হয়। আর জরুরী প্রয়োজনে বাইরে রাস্তায় বের হতে হলে তাদেরকে জনসাধারণের কাছ থেকে তাদের মুখ লুকানোর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কালো রঙ্গের হেলমেট পরিধান করতে হয়।



ভাই যেভাবে লিখছেন এতকিছু বের হবার পরে কোন সিক্রেট টিম আর সিক্রেট কি থাকলো ?

আমি বলছিনা যে আপনি ভুল বা মিথ্যা। কিন্তু একটু ভাবেন , CIA, MI6, Raw,ISI ,KGB এদের নাম তো আমরা কবে থিকাই শুনতেছি এবার নিষ্চিত ভাবে বলেন এরা কেমনে চলে কিভাবে অপারেশন চালায়, কি ধরনের আর্মস ইউজ করে ?

কোন ১০০% এক্যুরেট ইনফো কেউ দিতে পারবে ?

ডিজিএফআই তো দেশি এদের ব্যাপারেই খোজ নিয়েন আর্মির কেউ কিছু নিষ্চিত ভাবে বলতে পারে কিনা ?

নেভার কারন এই ইনফো লিক মানে ঐ টিম শেষ।

সো সেই হিসাবে যাবতীয় ইনফো কই থাকে , ফ্যামিলি কি করে, দিনে না রাতে বের হয়? যানবাহন ? ইত্যাদি ইত্যাদি সবই জানা গেলে হান্ড্রেড ক্রুসেডার কিন্তু শেষ ।

মাথা খাটান ভাই , এত জলদি সহজে এইসব নিউজ বিশ্বাস করলে কেমনে কি ?

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫১

নষ্ট শয়তান বলেছেন: ভাই আপ্নের কথায় চমৎকার যুক্তি আছে, শুধু সামান্য একটু ফাক ওইটুকু পূরন করলেই চল্বে। আপনি বলছেন CIA, MI6, Raw,ISI ,KGB আবার ডিজিএফআই এরা কিন্তু এক জিনিস আর পার্টিক্যাডার রা কিন্তু ভিন্ন জিনিস। এই ক্রুসেডার রা কিন্তু সরকারী ছত্রছায়ায় পেটোয়া বাহিনী উন্নত অস্ত্র আর প্রশিক্ষন প্রাপ্ত। জাষ্ট শিবির, সর্বহারা নক্সাল এদের উন্নত ট্রেনিং দিলে যা হয় আর কি

আশা করি বুজা গেছে।

এরা আন্ডারগ্রাউন্ডে কাজ করে।

শিবির ও কিন্তু সব সময় বলে তারা দুধে ধোয়া তুলসীপাতা। তাইনা

১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৪

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: রাতে এক খোয়াড়েই থাকি


তবে হ্যা জনসম্মুখে আমরা এক জিনিস না B-))

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৮

নষ্ট শয়তান বলেছেন: বাহ বাহ এইতো বাবুর মুখে খই ফুটছে।

১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৬

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হরতাল করে মানুষ পিটায়া মাঠ করে রাখতে হবে

সাথে

বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে সামুর মাঠও গরম রাখতে হপে ..... :-B

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২১

নষ্ট শয়তান বলেছেন: সোনার পোলা তুমাগো লগে ভাল ব্যাবহার করলে তুম্রা মনে কর দূর্ব্লতা। তা তুম্রাও দাও না দুই চাইরটা পোষ্ট।

আর সামু তো হাম্বাগোধারে বেইচ্চা দেওয়া হয়নাই তাই না?

নাকি এই জায়গায় খালি তুমাগো পোষ্ট ই দেওনের কতা। যাও যাইয়া খালেদা জিয়েরে গালি দিয়া পোষ্ট দাও জান তো ওই টুকুই।

আর মাল্টিতে আস কেন। অরিজিনালে আস। কথা আচে।

১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৬

ফরটি ইজ দা নিউ থারটি বলেছেন: ভাইয়েরা

চলেন আমরা আমাদের সময়টা ব্লগ বা ফেসবুকে অন্যের গীবত না করে সুষ্ঠুভাবে আল্লাহর ইবাদতে ব্যয় করি। জীবন দুই দিনের, ইহজগতের এসব সিলসিলায় না জড়িয়ে নামাজ, জিকির, রোজা রেখে সিরাতুল মুস্তাকিম এর দিকে চলতে শুরু করি। আল্লাহ আমাদের সুবুদ্ধি দিন, আমিন

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৪

নষ্ট শয়তান বলেছেন: অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও ঈমানের অঙ্গ ভাইজান

২০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩২

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ভাই মাল্টি মানে কি বলতে চাচ্ছেন ?
মামুন সবসময় মামুনের মাল্টি, মাইন্ট ইট :D

আর ভাই আফনাদের মতেইত সামু ফ্যাসিষ্ট, একচোখা ও দল কানা। আপনার নিজেরা সামুরে ভিবিন্ন দলের চর আখ্যায়িত করেন আবার সামুতে আফনেগ দলের প্রচার প্রচারনা চালান দেইখ্যা আমার ব্রাফুক হাসী পায়।

Click This Link

আফনেগ নীতি আর আদর্শ দেইখা আপনাদের প্রতি আমার বহুত সম্মান অয় B-))

আর আওয়ামিলীগের দালাল কইলে রাগ করুম না কারন যারা হারমির মতন সামুরে আওয়ামিলীগের দালাল কইতে পারে তাদের কাছে আমিত সাধারন.... :P

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

নষ্ট শয়তান বলেছেন: মাল্টির মার বড় গলা

২১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৪

হইচই বলেছেন: যাহা বলিব সত্য বলিব সত্য বই মিথ্যা বলিব না

একটা বাক্য ঠিক মতো লিখতে পারিস না আসছিস ব্লগিং করতে?দল করা আর ব্লগিং করা কি এক কথারে মাতাল?ঠিক করে বাংলা বানান লিখবি না হলে উর্দুতে লিখবি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

নষ্ট শয়তান বলেছেন: দেখি ভাই সাহেব হিন্দিতে লেখা যায় কিনা!!!!:P

২২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

ফরটি ইজ দা নিউ থারটি বলেছেন: লেখক বলেছেন: অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও ঈমানের অঙ্গ


তাহলে একটু বলবেন, জামাতে ইসলামী কেন পাকিস্তানী বাহিনীকে বাংগালীর বিরুদ্ধে অন্যায় করতে সাহায্য করেছিল?

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

নষ্ট শয়তান বলেছেন: এই কথাগুলো আপনার জামাত নেতাদের কাছে জিজ্ঞাস করলে ভাল ছিল না? তারাই আপানার শিক্ষক যাদের পিছনে আছেন।



২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১১

হইচই বলেছেন: ফরটি ইজ দা নিউ থারটি @জবাব নাই।এইটা জামাত প্রডাক্ট নিজামির গেলমান।

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

নষ্ট শয়তান বলেছেন: তুমি ব্লক রাজাকারের গেল্মান।

২৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৬

ফরটি ইজ দা নিউ থারটি বলেছেন: হইচই ভাই

ধন্যবাদ


বাকিদেরকে বলি, আপনারা যারা যারা জামাতের কার্যকৌশলে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে বলছি। আপনারা এইসব নাস্তিকতা, সেকুলারিজম টাইপের শব্দ দিয়ে জামাতে ইসলামীর মত একটা মিথ্যাবাদী দলের সাথে পারবেন না। এদেরকে মোকাবেলা করার জন্য আপনারা তবলীগে আসেন, চিল্লায় যান, আলেমদের সাথে বসে বসে হাদিস কোরান অধ্যয়ন করুন। মওদুদীর তাফসীর অনেক আগেই তাবলীগের আলেমরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আপনারা কোরান না জেনে কোরানের নিয়া মিথ্যা ব্যাখ্যা দেওয়া জামাতেইসলামীর সাথে পারবেন না।

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আওয়ামী ভেক ধারী ছাগু। কোন ছাগু আমি আমার ব্লগে চাই না তুমিও ব্লক খাও।

২৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২০

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: @ফরটি ইজ দা নিউ থারটি

কবি এখানেই নিরব ..... B-)) B-))

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

নষ্ট শয়তান বলেছেন: বাহ বাহ রাজাকারে মন্তব্য দেখি এক আম্লীগ ব্যাপক খুশী এইতো হবে আর কয়দিন পর।

যাহ হয়েছিল ৮৫তে

২৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: @ফরটি ইজ দা নিউ থারটি

আমি নিশ্চিত কিছুক্ষন আপনারে গালী দিব
অথবা আওয়ামিলীগের দালাল কইব
নাইলে মাল্টি কইব

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

নষ্ট শয়তান বলেছেন: তুমিতো আম্লীগের দালাল এইটা নিয়া আর সন্দেহ কি বকনা বাছুর

২৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৯

ফরটি ইজ দা নিউ থারটি বলেছেন:
ভাই

গালি দিলে করার কিছু নাই, বিশ্বজিৎ এর মৃত্যুর ফটো দেখে আমিও দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে এর বিচার চেয়েছি। আমি জনগন এর একজন, কাজ করার জন্য আমাকেও হরতাল পার হয়ে বাসে ঝুলে কামাই রোজগার করতে যেতে হয়। এসব জামাতের লোকজন দাড়ি টুপি লাগিয়ে প্রতিদিন মিথ্যাকথা বলে, এদের কাছ থেকে এর চাইতে ভাল কি পাবেন?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আমার পোষ্টে হাম্বা ভেকধারী ছাগু দেখতে চাই না

২৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪১

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ভাই আমি কোন দলের সমর্থন কখনও করি না,

আমি শুধু কইতে চাই জামাত - শিবির ধর্মের কেউ না,ওরা ধর্মব্যাবসায়ী
আর এই কথা কইলেই ওগ মেজাজ খারপ অয়
ওরা আমারে আওয়ামিলীগের সমর্থক বলে।


@ফরটি ইজ দা নিউ থারটি

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আরে আমার সোনার ন্যাকা পোলা তুমি কোন দল কর না। অরে রাজাকারটা কি কয়?

তুমি তাইলে তত্বাবধায়ক ফালতু পোলাপান।

২৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:০৫

নীল জানালা বলেছেন: আপ্নে এতো ক্ষেপেন ক্যা? জামাত বিএনপি অবশ্যই এক না। জামাই আর বৌ ও কিন্তু এক না, দুইজন আলাদা ব্যাক্ত। কিন্তু তার পরেও এক।
অবশ্য বিএনপির বর্তমান ভুমিকাটা আওয়ামিলীগও পালন করসে এক সময়। বিএনপি এখন জামাতরে কোলে নিসে। আবার আম্লীগ নিসে এরশাদরে। জামাত ধর্ম ব্যাবসা করে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকি দালাল আছিল। এরশাদ স্বেচ্ছাচারী, স্বৈরাচার, অগনতান্ত্রিক মানষিকতার অধিকারি একটা লম্পট চরিত্রহীন দালাল। কোনটা ভাল? এখন কথা হৈল এরশাদরে যদি আম্লীগ ছাইরা দেয় তাইলে দল ভারি করার জন্য ঐটারে বিএনপি নিয়া নিব। আবার আম্লিগও হয়তো জামাতরে নিয়া নিত যদি জল এতোটা ঘোলা না হৈত। আম্লিগের যদি সদিচ্ছা থাকতো তাইলে জামাত তথা সাম্প্রদায়িক রাজনিতি নিষিদ্ধ করতো এবং এরশাদ হারামিটারেও রাজনিতির মাঠে নিয়া সংসদে কুতকুত খেলতোনা। খুব সহজেই এটা করা যেত। জনমত এবং যুক্তি অনুকূলেই ছিল। কিন্তু সব হারামির পাছা একসূত্রে গাঁথা। আপনে বিএনপির একটিভিস্ট, সুতরাং হারামি, অন্য কেউ আম্লিগের এক্টিভিস্ট সুতরাং সেও হারামি। আমি সাধারন জনতার একজন। হারামিদের কান্ড কারখানায় দেইখা আমি অবাক। সব হারামি নিপাত যাক।

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আর আপনার মত জনতা হোল ভোদাই পাবলিক, যারা দূরে দাঁড়িয়ে সবার দোষ ধরে সত্য বলার সৎ সাহস নাই। তবে সৌভাগ্য এই ধরনের ভোদাঈ দেশে খুব বেশী নাই।

সব ভোদাই চুপ থাকুক তা হলেও বাচি।

৩০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩২

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: নীল জানালা বলেছেন: জামাত বিএনপি অবশ্যই এক না। জামাই আর বৌ ও কিন্তু এক না, দুইজন আলাদা ব্যাক্ত। কিন্তু তার পরেও এক।

নীল জানালা এইটা কি কইল ! জটিল কইছেন তো !

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

নষ্ট শয়তান বলেছেন: দানা@ মুজিব বাহিনী, রক্ষীবাহিনীর উত্তরসূরী হান্ড্রেড ক্রুসেডারঃ গুম খুন এর জন্য যারা প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত এই ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছিল। যতদূর জানি আপ্নে জ্ঞানী গুনী লীগ বিষেশ অজ্ঞ।

তো এই ব্যাপারে আলোচনা হোক ফালতু বকনা বাছুরদের সাথে আপনার নাচা আশা করি না।

পারলে পোশ্ত রিলেটেদ আলোচনা হউক

৩১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪

সরকার৮৪ বলেছেন: দানা@ আওয়ামী বিরুধী পোষ্ট দিলে আপনার লাগে কেন?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

নষ্ট শয়তান বলেছেন: দানা একটা হাম্বা ধারী ছাগু তাই লাগে ভাই

৩২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: দুনিয়া তাবদ লোক মিসগাইডেড :D :D :D :D , আর আমাদের ব্লগার ভাইজান রাইট গাইডেড, উনি জাহা বলিবে তাহাই সত্য বাক্য, আমরা যা বলব হয় তা হাম্বা অথবা ভাদা দারা আক্রান্ত, আর ইনি জাহা বলবেন তা সহি কবুলিয়াতনামা, এঁর উপর কিছু বললেই লোক জন খারাপ, আর লক্ষণীয় বিষয় এই যে জামাত শিবির এঁর বিপক্ষে বললেই উনি উত্তিজিত হয়ে জান, চিন্তার বিষয়।

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আবাল হাম্বা আবার ল্যাদাইতো আইছো, লাথি ঝাটা খাইলেও তো দেখি লজ্জা হয়না একেবারে টীপিক্যাল গরু

৩৩| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:২২

শুভখান বলেছেন:
‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দিন বদলের প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’Ñ স্লোগানকে সামনে রেখে গত ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নিয়ম রক্ষার ১৯তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তমবারের মতো দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দ্বিতীয়বারের মতো সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক। শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটা ছিল আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় কাউন্সিল। দলের গঠনতন্ত্র মতে, কাউন্সিলরেরা হলেন সব ক্ষমতার অধিকারী নির্বাহী কমিটি নির্বাচনের ব্যাপারে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান দলগুলোর মধ্যে অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে যে, সভাপতির ওপর সব ক্ষমতা প্রদান করা হয় দলের নির্বাহী কমিটি গঠনের। এটা কতটুকু গণতান্ত্রিক তা পর্যালোচনার দাবি রাখে। গঠনতন্ত্রে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ আছে, ‘কাউন্সিলরদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব হলো কার্যকরী কমিটি নির্বাচন করা। আর সভানেত্রী কার্যকরী কমিটির মাত্র ২৬ জন সদস্য মনোনীত করতে পারবেন বা এর ক্ষমতা রাখেন।’
সামগ্রিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বর্তমানে কাউন্সিলরেরা হলেন ঠুঁটো জগন্নাথ। সব ক্ষমতার অধিকারী সভাপতি; তিনি যা বলবেন তা-ই গঠনতন্ত্র। আর কাউন্সিল হলো নিয়ম রক্ষার আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। যে স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগ সম্মেলন শেষ করল, তা গত চার বছরের শাসনামলে কতটুকু বাস্তবায়ন করেছে, তা বিশ্লেষণ করা দরকার। কোনো সমাজ বা রাষ্ট্র বিকশিত হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে, সে সমাজ বা রাষ্ট্রে শান্তিÍ বিরাজ করা। গত চার বছরের শাসন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রাষ্ট্রে অশান্তি আর বিভাজন সৃষ্টি করে চলেছে। প্রথমে আঘাত আসে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর ওপর। সেনাবাহিনীর সেরা চৌকস কর্মকর্তাদের বিডিআরে প্রেষণে নিযুক্ত ৫৮ জন শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা একসাথে নিহত হলেন। বিডিআর বিদ্রোহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এর আগে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে বিডিআর প্রতিনিধিরা দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করেছে, যা বিরল ঘটনা। একই সাথে এত সেনাকর্মকর্তা হত্যা মুক্তিযুদ্ধেও সংঘটিত হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে, তা বাংলাদেশে বিগত কয়েক শতাব্দীতেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। রামু, উখিয়া ও পটিয়ার কয়েক শতকের পুরনো বৌদ্ধমন্দির আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের নেতৃত্বে ধ্বংস করা হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও নন্দীরহাট হিন্দুপল্লী ও মন্দির পুড়িয়ে ধ্বংস ও লুটপাট, সাতক্ষীরা ও দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে হিন্দুপল্লী লুটপাট ও আগুন দিয়ে ধ্বংস, বাগেরহাটে কচুয়া উপজেলার চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা কর্তৃক হিন্দু গৃহবধূকে ধর্ষণ এবং তা প্রকাশ হয়ে পড়লে ভীতি প্রদর্শন করে তাদের সপরিবারে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া, নওগাঁয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা কর্তৃক খ্রিষ্টানদের জায়গা দখলÑ যা অতীতে অন্য কোনো সরকারের আমলে ঘটেনি। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অপহরণ এখন দেশে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা একলা চলাফেরা করতে এখন ভয় পান। সরকারের বাহিনী কর্তৃক গার্মেন্ট শ্রমিকনেতা অপহরণের পর হত্যা আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলের অনেক জননন্দিত নেতাকর্মীকে অপহরণের পর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যার মূল আসামিদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। নিরীহ দোকানদার তরুণ বিশ্বজিৎ দাসকে যেভাবে সরকারি ক্যাডারেরা রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে সেই দৃশ্য কোনো সুস্থ মানুষ দেখলে অসুস্থ হতে বাধ্য। নারী নির্যাতন, অপহরণ ও ধর্ষণ যেভাবে বেড়ে চলেছে তা বিবেকবান মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত, চলছে আওয়ামী লীগের দলবাজির শাসন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি আসামিদের ক্ষমা প্রদর্শন করে জেল থেকে বের করে এনে সমাজকে করে তুলছে অস্থিতিশীল। সর্বোপরি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের চার বছরে দেশে ২৪ জন গুম, ৭০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’। তাদের তথ্যমতে- একই সময়ে ৮০৫ জন নারী ও মেয়ে শিশু ধর্ষণের, ১০১ জন গণধর্ষণের এবং ১৩ জন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়। একের পর এক হত্যা মামলার আসামিদের মামলা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
জাতি-রাষ্ট্র বিকশিত হওয়ার মূল শর্ত হলো সেই রাষ্ট্র বা সমাজে গণতন্ত্র কার্যকর বা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হতে হয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা সমাজ হলো যুক্তিবাদী। রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে কতটুকু ক্রিয়াশীল তার দ্বারা নির্ণয় করা হয় গণতন্ত্রের কার্যকারিতা। এ জন্য জরুরি হলো, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কতটুকু স্বাধীনভাবে ক্রিয়াশীল তার মূল্যায়ন; যেমন বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, জনপ্রশাসন কতটুকু স্বাধীন, সর্বোপরি আইন বিভাগ কতটুকু কার্যকর।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ২০০৯ সালে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। বিরোধী দল সংসদকে কার্যকর করার মানসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এবং মন্ত্রিসভার শপথ নেয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে। এটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রথম দেখা যায়। কিন্তু সরকার বিরোধী দলের সহযোগিতাকে দুর্বলতা মনে করেছে। গত চার বছরে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো সংসদকে কার্যকর করতে না পারা। আজ দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রশ্নের সম্মুখীন। সুপ্রিম কোর্টকে দলীয়করণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গণমাধ্যমের ওপর অদৃশ্য সেন্সর আরোপ করা হয়েছে। সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের ওপর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। সরকার সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। পত্রিকার সম্পাদককে উদ্দেশ্যমূলক হয়রানি করা হচ্ছে। সরকারি প্রচার মাধ্যমের খবর বেসরকারি টিভিতে প্রচারে বাধ্য করা হচ্ছে। বিভিন্ন কায়দায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে।
দেশে আজো প্রতিষ্ঠা পায়নি সংবিধানের নির্দেশিত স্থানীয় সরকার। ২১ বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিদ্যমান স্থানীয় সরকারের সব সংস্থাকে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের পরিবর্তে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। আপিল বিভাগের এই নির্দেশনা সরকার কার্যকর করেনি আজো। উল্টো এই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং জেলা পরিষদ প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে পরিচালিত করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
নির্বাচিত কমিশনের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। দলীয় ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং এর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই। দুর্নীতি দমন কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনসহ রাষ্ট্রের সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক চলতে বাধ্য করা হয়, যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হওয়ার অন্যতম বাধা।
উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিনির্ভর করে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর। উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। এতে দেশে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ হচ্ছে খুব কম। উন্নয়নের একটি পূর্বশর্ত হলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন। দেশে বিদ্যুৎ-গ্যাসের অভাবে ুদ্র ও মাঝারি এবং বড় বহু শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েও উৎপাদনে যেতে পারছে না। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অন্যতম বড় বাধা হলো দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। প্রতিনিয়ত দুর্নীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি আন্তর্জাতিকপর্যায়ে দেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। হলমার্ক, কুইক রেন্টাল ও শেয়ারবাজারের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। পুঁজির বিকাশ নির্ভর করে শেয়ারবাজার কতটুকু কার্যকর তার ওপর। বলতে গেলে ‘উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও দিন বদলের প্রত্যয়’ পরিণত হয়েছে স্লোগানসর্বস্ব বুলিতে।
তির পরও আমদানি বাড়ানো যাচ্ছে না। এতে অর্থনীতিতে এক ধরনের শ্লথগতির চক্র সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিণামে সবকিছুতে মন্দাভাব চাঙ্গা হচ্ছে। অর্থনৈতিক বিকাশ হারে ধীরে ধীরে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। আর বাড়ছে স্থির আয়ের লোকদের দুর্দশা।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির বহুমুখী প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। সরকারের এই মেয়াদের শাসনব্যবস্থার অন্যতম প্রবণতা হচ্ছে ঘৃণা ছড়ানো নীতি। এ নীতি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হচ্ছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন মেরুকরণকে কেন্দ্র করে এ নীতি বিন্যাস করা হচ্ছে। এর অভ্যন্তরীণ প্রভাবে সমাজে এক ধরনের দ্বিধাবিভক্তি ও হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের পরিবর্তে মানুষ নেতিবাচক প্রবণতায় আক্রান্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হচ্ছে। অর্থনীতির সার্বিক চাহিদা হ্রাসে দেখা যাচ্ছে এর বিশেষ ভূমিকা। একই সাথে সরকারের উৎপাদনমুখী অগ্রাধিকার নিরাপত্তামুখী হয়ে পড়ায় অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বাড়ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স ও রফতানি বাজারের ওপর পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। ১৯৭১ সালে আমেরিকার পাকিস্তানকে সমর্থনদানের বিষয়টি সংসদের আলোচনায়ও বারবার আসছে। দেশটি ২২ শতাংশ বাংলাদেশী রফতানি পণ্য কেনার পরও বাংলাদেশের জন্ম শত্রুর তালিকায় ফেলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এতে মার্কিন প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের কার্যকর সহযোগিতা থেকে বাংলাদেশ অনেকখানি বঞ্চিত হচ্ছে। পদ্মা সেতুর ঋণ টানাপড়েনে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা বাতিল প্রক্রিয়ায়ও এর বিপজ্জনক পরিণতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইউরোপ হলো বাংলাদেশের বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য। ইউরোপও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। সরকার জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ‘স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার’দের ফাঁসির দাবিতে মঞ্চ তৈরিতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে ফাঁসির দাবি আর রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধকরণ দু’টিরই বিরোধিতা করে গেছেন সফরকারী ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের একটি নিত্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ১৯৭১ কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি মেরুকরণের প্রভাব বৈদেশিক কর্মসংস্থানেও পড়ছে। আন্তর্জাতিকভাবে মানি লন্ডারিং আইনে কড়াকড়ির কারণে হুন্ডি চ্যানেলের রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি আসছে। ফলে এবার ২০ শতাংশের কাছাকাছি রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু নতুন জনশক্তি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেতে পারছে না। সরকারের রাজনৈতিক বিভাজননীতির ব্যাপারে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে আপত্তি জানিয়ে আসছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশগুলো। এ ব্যাপারে সেখানকার প্রবাসীদের মধ্যে শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
বাংলাদেশ গত চার দশকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক দূর এগিয়েছে। দুই লাখ কোটি টাকার কোটায় চলে গেছে জাতীয় বাজেট। অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের চিন্তাও করা হচ্ছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়টি হলো এই অগ্রগতির ইঞ্জিন যেন ধীরে ধীরে গতি হারাতে শুরু করছে। নতুন শিল্প গড়ার মতো গ্যাস বিদ্যুৎ দেয়া যাচ্ছে না। এক শতাংশের কম সুদের দীর্ঘমেয়াদি রেয়াতি ঋণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালানোর তহবিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এর বিপরীতে ৫-৬ শতাংশ সুদে সভরেন বন্ড ছেড়ে বিদেশী মুদ্রা সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল করে ফেলায় এর প্রভাবে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। আর উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় রফতানি বাজারের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা দুর্বল হচ্ছে বাংলাদেশী পণ্যের। সরকারের রাজস্ব সংগ্রহে সাফল্য গত বছরের এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডের পরিবর্তে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্র কেনার বিলাসিতা ঋণের চক্রে বেঁধে ফেলছে দেশকে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ হানাহানির রণহুঙ্কার ছড়িয়ে পড়ছে। শান্তি, স্বস্তি আর স্থিতি অর্থনীতিতে যে গতি সৃষ্টি করে নতুন পরিস্থিতিতে তা যে আবার উল্টোমুখী হতে শুরু করেছে তাতে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।


জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) পদে ১৪২ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৩৭ জনই ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক কমিটির নেতা-কর্মী।
গত ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এনএসআইয়ের ডিএডি পদে ১৪২ জনের নিয়োগপত্র ছাড়া হয়। তাতে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিতে যোগ দিতে বলা হয়।
নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতা-কর্মী। এঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার চেয়ে দলীয় বিবেচনাই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৭ জনের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। এঁদের ১৩ জনই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁরা বর্তমান কমিটির বিভিন্ন পদে রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখার নেতা, একজন ইডেন কলেজ শাখার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, ১৪ জন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখার সাবেক নেতা। বাকি ছয়জন ছাত্রলীগের ‘সক্রিয় কর্মী’।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এনএসআইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) পদে নিয়োগের জন্য ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি তালিকাও পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এনএসআইয়ের ডিএডি পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয় গত ২১ অক্টোবর। মিরপুর কমার্স কলেজে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রায় তিন হাজার জন অংশ নেন। ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রবেশপত্র পাঠানো নিশ্চিত করতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ১৪৫ জন নেতা-কর্মীর একটি তালিকা পাঠানো হয়। কিন্তু তালিকার অনেকেই প্রথম প্রবেশপত্র পাননি। এরপর ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তদবির করে বাকিদের প্রবেশপত্র পাওয়ার ব্যবস্থা করে।
তবে এই সহযোগিতা করার কথা অস্বীকার করেছেন বর্তমান সভাপতি বদিউজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। বদিউজ্জামান বলেন, ‘ছাত্রলীগের ৮-১০ জন নেতা-কর্মীর চাকরি হয়েছে বলে শুনেছি। মেধার ভিত্তিতেই তাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন বলে জানি।’ আর সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, গোয়েন্দা সংস্থায় নিয়োগের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো যোগাযোগ নেই।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, লিখিত পরীক্ষার পর উত্তীর্ণদের কোনো তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তবে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে সংশ্লিষ্টদের সবার ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগে ১৯ নভেম্বর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার (সদ্য বিলুপ্ত কমিটি) সভাপতি শেখ সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিবের সই করা ৫২ জন নেতা-কর্মীর নামের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে শেখ সোহেল রানা এ রকম তালিকা পাঠানোর কথা প্রথম আলোর কাছে অস্বীকার করেন। তবে সাজ্জাদ সাকিব এ রকম তালিকা পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় নিজেদের নেতা-কর্মীদের জন্য কাজ করি। তাঁদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেছেন, কিন্তু পদবি পাননি এবং যাঁদের পারিবারিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের নিয়ে তালিকাটি করা হয়েছিল।’
পরে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায়, ছাত্রলীগের প্যাডে পাঠানো তালিকা থেকে ২৪ জন নিয়োগপত্র পেয়েছেন। তাঁরা হলেন: ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সাজ্জাদ ইবনে রায়হান, মো. ফয়েজ উদ্দিন, মো. ওয়াসিম উদ্দিন, মো. মেজবাহ উদ্দিন ও মো. আজিজুল হক, যুগ্ম সম্পাদক এ জি এম সাদিদ জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল হক, উপ-মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদক রাজীব কুমার দাস, উপ-প্রচার সম্পাদক মো. বাহারুল হুসাইন, ফজলুল হক মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, একই হলের সাংগঠনিক সম্পাদক তারিক হাসান, শহীদুল্লাহ হলের সহসভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন, ‘সক্রিয় কর্মী’ সুমন বিশ্বাস, বিপুল চন্দ্র দাস ও আবদুল্লাহ আল মামুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাকারিয়া কবীর, সাবেক সহসম্পাদক জিয়াউল হক, সাবেক উপ-কর্মসূচি প্রণয়ন ও পরিকল্পনা সম্পাদক দেওয়ান মনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহসভাপতি পলাশ গোমস্তা, সাবেক প্রচার সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মিয়া মাহমুদ হাসান, সাবেক সহসম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাবেক পরিবেশ সম্পাদক এফ এম ফয়সাল প্রমুখ।
ছাত্রলীগের পাঠানো ওই তালিকার বাইরে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটিতে থাকা আরও ১৩ জন নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁরা হলেন: বর্তমান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদ মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদক মো. আল-আমিন, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মারুফ, উপ-প্রচার সম্পাদক দেবব্রত দাশ, ইডেন কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপক্রীড়া সম্পাদক আজমুল হোসেন, সাবেক সহসম্পাদক আনোয়ার হোসেন মনির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক পরিকল্পনা সম্পাদক রেজাউল করিম, জিয়া হলের সাবেক সহসভাপতি মো. আহসান খান, ফজলুল হক হলের সাবেক সহসভাপতি সাইফ আহমেদ শাকিল, কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক সাবেক এস কে সাইলক হোসেন, বঙ্গবন্ধু হল শাখার কর্মী শরীফুল আলম তানভীর ও জসীমউদ্দীন হল শাখার কর্মী মোহাম্মদ মেরাজুল ইসলাম।
জানতে চাইলে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের নেতা দেওয়ান মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তালিকা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমার নাম সেখানে আছে কি না, জানি না।’
নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয় প্রাধান্য পাওয়ার কথাও অস্বীকার করে দেওয়ান মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুনেছি, পরীক্ষায় পাসের নম্বর প্রথমে ৮০ ধরা হয়েছিল। এরপর পাস নম্বর চার কমানো হয়েছে।’

এক ভয়ঙ্কর দানব ছাত্রলীগ


সুশীল বড়–য়া: ‘আমি হিন্দু। আমার নাম বিশ্বজিৎ দাস।’ এভাবে নিজের পরিচয় দিয়ে বিপন্ন তরুণটি জীবন রক্ষা করতে চেয়েছিলেন দানবদের হাত থেকে। বিশ্বজিৎ দাস মনে করেছিলেন হিন্দু পরিচয় জানলে ছাত্রলীগ নামক ভয়ঙ্কর দানবের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে পারবেন। কিন্তু মনুষ্যরূপী দানবেরা তার কথায় কর্ণপাত না করে চাপাতি ও রডের আঘাতে আঘাতে বিশ্বজিতের জীবনবাতি দিনে দুপুরে নিভিয়ে দিয়ে বীরের বেশে তাদের আস্তানায় পুলিশ বাহিনীর সম্মুখ দিয়ে চলে গেল।
গত ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অবরোধ কর্মসূচি প্রতিরোধ করার জন্য পুরনো ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। সেই মিছিল থেকে বিশ্বজিতের ওপরই নগ্ন হামলা করা হয়। বিশ্বজিৎ তখন তার কর্মস্থল দর্জির দোকানে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক মিটার দূরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করছিল। কিন্তু বিশ্বজিতের প্রাণ রক্ষায় তাদের কোনো উদ্যোগই ছিল না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েক দিন আগে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন ‘বিরোধী দলের আন্দোলন প্রতিহত’ করার। বিশ্বজিতের নৃশংস ও বিভীষিকাময় এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের ভয়ঙ্কর ক্যাডাররা।

ছাত্রলীগের ভয়াবহ সন্ত্রাসীদের দানবদের এরকম তাণ্ডব নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর থেকে তাদের জঘন্য কার্যকলাপে বাংলাদেশের নিরীহ জনগণ অতিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বেপরোয়া কার্যকলাপ দেখলে বুঝতে অসুবিধা হয় না, সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন স্তব্ধ করার জন্য রাস্তায় নামানো হয়েছে এদের। এ পর্যন্ত যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণসহ নানা অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সচেতন ছাত্র শিক্ষকসহ সমাজের বিবেকবান মানুষ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের। ২৯ এপ্রিল ২০১২ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মী এবং আন্দোলনরত শিক্ষক ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের কর্মীরা নৃশংস হামলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি কাজী মাহমুদকে গুরুতরভাবে আহত করেছে। ১৫ মে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম এ কলেজ এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েক নেতার নেতৃত্বে জমি দখল করতে ওরা ছালিয়া এলাকার গ্রামবাসীর সাথে সঙ্ঘাতে লিপ্ত হয়। ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকা দুই ছাত্রলীগ নেতা অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি তাদের জামিনে ছাড়িয়ে আনেন। ৯ জুন হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগের সহসভাপতি নিহত হয়। ৮ জুলাই সিলেট এম সি কলেজের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাস ছাত্রলীগের দুষ্কৃতকারীরা পুড়িয়ে ধ্বংস করে। ৭ জানুয়ারি মাগুরায় সিআইডির ভবন নির্মাণের দরপত্র ছিনতাই করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মাগুরা জেলার সাধারণ সম্পাদক মীর সুমন। টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের জঘন্য পাশবিকতার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের মানববন্ধনে বাধা দেয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হক জাকির। তারা কেন নরপশু ধর্ষকদের পক্ষে দাঁড়াল জনমনে এটা একটা বড় প্রশ্ন।

স্বাধীনতা-উত্তর ছাত্রলীগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এমন অপকর্ম নেই যা তারা করতে পারে না। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত তারা ব্যাংক ডাকাতি, সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, গুদাম লুটসহ সব অপকর্ম করেছিল। আওয়ামী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের ক্ষতচিহ্ন এখনো বহন করে চলেছেন মহাজোট শরীক, জাসদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শরীফ নুরুল আম্বিয়া। ১৯৭৩ সালে জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আ ফ ম মাহবুবুল হক (বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ)। তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবনের সামনে থেকে অপহরণ করে উইলি জিপে তুলে নিয়ে যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন, ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা। তাদের ওপর ওরা ব্যাপক নির্যাতন চালায়, যার পরিণতিতে সারা জীবনের জন্য শরীফ নুরুল আম্বিয়ার একটি হাত অকেজো হয়ে যায়। একই সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে জাসদ ছাত্রলীগের নেতা মিয়া মোশতাক আহমদকে (সরকারের অস্কারপ্রাপ্ত সচিব) থাপ্পড় মেরে নিচতলার মাটিতে ফেলে দেন তখন যিনি অনেকের ভাষায়, রাজপুত্র। ১৯৭৩ সালে ডাকসু নির্বাচনে ভরাডুবি দেখে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নির্বাচন পণ্ড করে দেয় এই ছাত্রলীগ। ডাকসু নির্বাচনে জাসদ ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী আ ফ ম মাহবুবুল হকের মাহবুব-জহুর প্যানেলের কাছে তৎকালীন মুজিববাদী ছাত্রলীগ-ছাত্র ইউনিয়নের লেনিন-গামা প্যানেল বিপুল ভোটে পরাজয় দেখে খুব বড় নেতার পুত্রের নেতৃত্বে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ডাকসু নির্বাচন বানচাল করে দেয়। ১৯৭৪ সালে মুজিববাদী ছাত্রলীগের খুব বড় নেতার কোন্দলে সূর্য সেন হলে নাজমুল হক কোহিনূরসহ সাত ছাত্রকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়, যা সারাবিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের এসব অপকর্মের ফলে তখন সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঁচানব্বই শতাংশ ছাত্র সংসদে নির্বাচিত হয়েছিল সরকারবিরোধী জাসদ ছাত্রলীগ। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ছাত্রলীগের পুরনো আতঙ্ক আবারো বাংলাদেশের জনগণের সামনে হাজির হয়। সে সময় ছাত্রলীগের ক্যাডারদের মাত্র দুটো ঘটনা উল্লেখ করতে চাই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাডারের ছাত্রী ধর্ষণের সেঞ্চুরি ঘটা করে পালন করা হয়, যা দেশের বিবেকবান মানুষের অন্তরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করে। অন্য ঘটনাটি হলো ইংরেজি নববর্ষের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তরুণী বাঁধনের ওপর ছাত্রলীগ ক্যাডারদের পাশবিক নির্যাতন, যা দেশের বাইরেও আলোড়ন সৃষ্টি করে।

শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত পত্রিকা শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ানে ২৩ এপ্রিল ২০১২ প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর ১০০ জন বাছাই করা ক্যাডারকে ২০০৯ সালে ভারতের দেরাদুনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর তত্ত্বাবধানে ছয় মাসের কমান্ডো ট্রেনিং দিয়ে সেদেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডো ট্রেনাররা বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। ট্রেনিংপ্রাপ্ত এ ক্যাডারদের কোড বা গোপন নাম হলো ‘ক্রুসেডার-১০০’। সেই রিপোর্টের শিরোনাম হলো “বাংলার বাঘরা ‘র’ কারাগারে।” এতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক ট্রেনিং দেয়ার প্রকল্পটি ‘র’ দ্বারা তৈরি হওয়ার পর এর সামগ্রিক কার্যক্রম সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা, যাদের যোগাযোগ রয়েছে সরাসরি ‘র’ এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ এর সঙ্গে আরো বলা হয়, ‘ক্রুসেডার-১০০’ গ্রুপটি ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল, সংবাদকর্মী এবং অন্যদের অপহরণ, খুন, গুম করে ফেলেছে।

জনগণ মনে করে, আজ দুর্বৃত্ত ছাত্রলীগ দানবদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রাজনীতির মাঠে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, যাতে প্রতিপক্ষকে সন্ত্রাস, গুম, খুন, অপহরণের মাধ্যমে ঘায়েল করতে পারে। তারা জন মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়েও রাজপথে কেউ আন্দোলন করতে না পারে।

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

নষ্ট শয়তান বলেছেন: ব্রো আপনি কি করছেন। আপনাকে শুধু অভিনন্দন জানালে কম করা হবে। কোথায় ছিলেন এত দিন?

পোষ্ট দিন পোষ্ট দিন। আপনার এই মন্তব্য (আসলে আমি মন্তব্য বলব না) একটা এপিক থেকে আমি কিছু কিছু তথ্য নিয়ে কাজ করব।

চিয়ার্স মেট। জাতীয়তাবাদী আর একজন শক্তিশালী লেখক পেল ।

৩৪| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

শিপন মোল্লা বলেছেন: কি ভাই আপনি কি পোস্ট দেন নাকি হাম্বাদের হুগায় বাস না সো দেন যে তাদের পুটু জ্বলে ক্যান ? তয় ভাই পারলে মুখে দেন হেদের আবার মুখ ভারি খারাপ।

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৬

নষ্ট শয়তান বলেছেন: ঠিক আছে ভাই এখন থেকে হেগো মুখেই দেব বেশী কথা বললে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.