![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্যা হাম্বা এ্যান্ড ছাগু হান্টার। http://www.facebook.com/noshtos.angel.1
সাধারণ ক্ষমা প্রসঙ্গে শহীদ পরিবারবর্গ
’৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের মাতা, পিতা, স্ত্রী, ও পুত্ররা শেখ মুজিবুর রহমানের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাকে কিভাবে দেখেন ঢাকার সাপ্তাহিক বিচিত্রায় পরবর্তীকালে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ তরুণ মুক্তিযোদ্ধা রুমির মা লেখিকা জাহানারা ইমাম বলেছেন, ‘গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যায় যাদের ভূমিকা সস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছিল, স্বাধীনতার পর পরই তাঁদের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সাধারণ ক্ষমার জন্য তা হয় নি। তত্কালীন সরকারের সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্ত ছিল মারাত্মক একটি ভুল। সেদিন ক্ষমা ঘোষণা না করা হলে ঘাতকরা নিজেদের সমাজে পুনর্বাসিত করার সুযোগ পেত না।.......
‘প্রখ্যাত সাংবাদিক শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার বলেন, বর্তমানে রাজাকার, আল বদরদের যে দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে তা শেখ মুজিবের সাধারণ ক্ষমারই ফল। ওই ক্ষমা ছিল বিচার-বুদ্ধি হীন। সেদিন সরকার যদি ঘাতকদের বিচার করে সাজা দিত, তাহলে আজ এ অবস্থা হত না।
‘পান্না কায়সার বলেন, আওয়ামী লীগের প্রথম সারির কোন নেতা যুদ্ধে আপনজন হারান নি। ফলে স্বজন হারানোর ব্যথা তাদের জানা ছিল না। ঘাতকদের তারা সহজেই ক্ষমা করে দিতে পেরেছিলেন। তাই আজ খালেকের মত ঘাতকরা বুক ফুলিয়ে সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং নতুন হত্যার ইন্ধন যোগাচ্ছে। আমার মেয়ে যখন ঘাতক খালেকের বই পড়ে নানা প্রশ্ন করে, আমি উত্তর দিতে পারি না।...
‘দেশ স্বাধীন হবার একদিন আগে, ১৫ ডিসেম্বর আলবদর, রাজাকাররা এক পরিবারের তিন সহোদর ভাইকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। পরদিন ১৬ ডিসেম্বর, যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের দিনে রায়ের বাজার বধ্যবূমিতে তিন ভাইয়ের লাশ পাওয়া যায়। এই তিন ভাই হচ্ছেন শহীদ বদিউজ্জামান বদি, শহীদ শাহজাহান ও শহীদ করিমুজ্জামান ওরফে মল্লুক জাহান।
‘তিন শহীদ ভাইয়ের পিতা-মাতা অনেক আগেই মারা গেছেন। এখন শুধু শহীদ বদি’র বিধবা স্ত্রী ও চার ছেলেমেয়ে বেঁচে আছে। অপর দু’ভাই অবিবাহিত ছিলেন। বর্তমানে শহীদ বদি পরিবাদেরর সার্বিক দেখা শোনা করেন তাদের ফুপাতো ভাই মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হুদা। তিনি ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের অধীনে যুদ্ধ করেছেন।
‘শহীদ বদি পরিবাবেরর মুখপাত্র হয়ে মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হুদা আওয়ামী লীগ সরকারের সাধারণ ক্ষমা সম্পর্কে বলেন, রাষ্ট্র প্রধান যে কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু যারা লাখ লাখ স্বাধীনতাকামী লোককে হত্যা করেছিল তাদের ক্ষমা করে দেয়া অমার্জনীয় অপরাধ ছিল। ছিল একটি চরম ভুল সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, শুধু ক্ষমা নয়, ঐসরকার শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি ন্যূনতম কৃতজ্ঞতাও প্রদর্শন করেনি।
‘সাধারণ ক্ষমার কারণে ৭১-এর ঘাতকরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে—এ কথা উল্লেখ করে শামসুল হুদা বলেন, এই দেশ যদি সত্যি স্বাধীন হেয়ে থাকে, তাহলে এই স্বাধীন দেশে ঘাতকদের রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করে দিতে হবে।
‘দশম শ্রেণীর ছাত্র শহীদ বদির পুত্র তুরানুজ্জামানের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধ, আল বদরদের হত্যাকান্ড সবই একটি ধোঁয়াটে ব্যাপার। কিছুটা বিভ্রান্তও সে। তবে ১৬ বছরের তুরান এ কথা বলেন যে, আমার পিতার হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ায় আমি স্তব্ধ।
‘ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ও প্রগতিশীল আন্দোলণের অন্যতম সৈনিক শহীদ ডাঃ মর্তুজার স্ত্রী মিসেস মর্তুজা বলেন, যাদের প্রাণ গেছে , তাদের আত্মীয়- স্বজনরাই বুঝতে পেরেছেন, শেখ মুজিবের সাধারণ ক্ষমার মর্মান্তিক মর্ম।
‘স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রারম্ভে হানাদার বাহিনীর দোসরদের হাতে নিহত, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙারোর একুশে ফেব্রুয়ারী’ গানের অমর সুরকার শহীদ আলতাফ মাহমুদের স্ত্রী সারা মাহমুদ বলেন, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা কোন ভাবেই উচিত হয় নি। সেদিন সাধারণ ক্ষমা না করা হলে, অন্তত: আমার স্বামীকে হত্যা করে কোথায় দাফন করা হয়েছিল তা জানতে পারতাম। কিন্তু সাধারণ ক্ষমার ফলে আমার স্বামীর বধ্য ভূমির ঠিকানা পাই নি।
‘তিনি বলেন, ঘাতকদের অনেকেকে আমরা চিনি। সেদিন যদি তাদের ফাঁসি দেয়া হতো তাহলেও কিছুটা শান্তি পেতাম । অন্তত: বুঝতাম যে, হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। তবে আখনও তাদের শাস্তি দেয়া যায়। আমি আশা করবো সরকার এটা বিচনা করবেন। মিসেস সারা মাহমুদ ঘাতকদের বর্তমান তত্পরতা সম্পর্কে বলেন, ’৭১ সালে পাকিস্তানী সৈন্যদের সঙ্গে মিলে যারা একের প এক হত্যাকান্ড চালিয়েছে, তারাই আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে একইভাবেব কাজ করছে। আর এটা ঐ সাধারণ ক্ষমারই ফল।
‘শহীদ অধ্যাপক মোফাজ্জণ হায়দার চৌধুরীর স্ত্রী মিসেস মনোয়োরা চৌধুরী বলেন, ঘাতকদের সাধারণ ক্ষমা করা হবে তা আমরা ভাবরতই পারিনি। কিন্তু সরকার সাধারণ ক্ষমা করে দিলেন। আমরা ভেবেছিলাম শেখ মুজিবুর বহমান ঢাকায় এসে ঘাতকদের বিচার করবেন। কিন্তু তিনি তা করলেন না। শেখ মুজিব তো ব্যক্তিগতভাবেও আমদের চিনতেন। সে চেনা-জানাটুকুও কাজে লাগালো না।
‘স্বাধীনতাযুদ্ধের শুরুতে নিহত জ্যোতির্ময় গুহ ঠকুরতার বিধবা স্তী বাসন্তী গুহ ঠকারতা সাধারণ ক্ষমা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রথমেই প্রশ্ন তোলেন যে, ১শ’ ৯৫ জন যুদ্ধ অপরাধী পাক সামরিক অফিসারদের কোন বিচার হলো না? শেখ মুজিব তো বহুবার বললেন, যুদ্ধ অপরাধী পাক সামরিক অফিসারদের বিচার করবেন। কিন্তু পারলেন না। আবার তিনি এ দেশীয় ঘাতকদেরও ক্ষমা করে দিলেন। আর এই ক্ষমাটাই সবকিছু এলোমেলো করে দিলো। সেদিন যদি ক্ষমা না করে অন্তত: দু’একজন ঘাতকেরও যদি সাজা হতো তাহলে অনেক শহীদ পরিবারই শান্তি পেতেন। তাছাড়া ঘাতকরাও আজ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারতো না।
‘শহীদ অধ্যাপক সিরাজুল হকের স্ত্রী বেগম সুরাইয়া খানম বলেন, ঘাতকদের আমরা তো ক্ষমা করিনি। ক্ষমা করেছে সরকার। আমরা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু তা পাইনি। এতে বছর পরে বিচার চাইবোই বা কার কাছে?’
‘শহীদ অধ্যাপক মোহাম্মদ সাদেকের স্ত্রী শামসুন্নাহার হতাশায়, ভয়ে কাতর। তিনি গভীর উদ্বেগ নিয়ে মেখ মুজিবের সাধারণ ক্ষমা সম্পর্কে বলেন, যাদের ক্ষমা করা হয়েছে তাদেরকে আমরা ঘৃণার চোখে দেখি। সেই ক্ষমার জোরে আজ সেই সব দালাল রাজাকাররা এখন আমাদের বাড়ি থেকে উত্খাতের চেষ্টা করছে।
‘তিনি বলেন, সাধারণ ক্ষমা একটা গুরুতর অপরাধ ছিল। সে সব ঘাতককে আমরা সবাই চিনি এবং জানি। তারা আমাদের চারপাশেই আছে। কিন্তু আমাদের করার কিছুই নাই।
‘এদেশের সংবাদপত্র জগতের উজ্জল ব্যক্তিত্ব এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ‘মঞ্চ নেপথ্য’ কলামের লেখক সিরাজউদ্দিন হোসেনের জ্যৈষ্ঠ পুত্র শাহীন রেজা বলেন, শুধু সাধারণ ক্ষমা নয়, এর আগে বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছিল। হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সুকৌশলে রেহাই দেয়া হয়। অথচ যাদের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডের কোন প্রমাণ ছিলনা তাদেরকে জেলে ঢোকানো হয়। এছাড়াও যারা হত্যার মূল পরিকল্পনা করেছিল তারাও অদৃশ্য হাতের ছোঁয়ায় সকল দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্ত হয়ে যায়। এরকম প্রহসনমূলক বিচারর পর আবার আসলো সাধারণ ক্ষমা।
‘শাহীন রেজা বলেন, এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এর সাথে একমাত্র তুলনা হয় জার্মান একনায়ক হিটলারের ‘কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের হত্যাকান্ডের। অথচ তত্কালীন সরকার জঘন্য হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিলেন। এটা অত্যন্ত গর্তিত কাজ হয়েছিল। আর এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তত্কালীন সরকারের অদুরদর্শিতাই প্রমাণিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছিল বলেই আজ তারা সমাজ ও রাজরীতিতে পুনর্ববাসিত হয়েছে।
‘ইউনিট কমান্ডার শহীদ শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহের বাকির বৃদ্ধ পিতা শেখ মোহাম্মদ আবদুল বারী বলেন, শহীদদের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতে আওয়ামী লীগ সরকার ’৭১-এর ঘতকদের ক্ষমা করে দিল। এই ক্ষমা ছিল এক অদ্ভুত খেয়ালীপনা। পৃথিবীতে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। খুনীদের ক্ষমা করে দিয়ে যে অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে তা মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত সাধারণ বিষয় যে, যারা হত্যা করে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু তা হয়নি। আর এই না হওয়াটা অমার্জনীয় অপরাধ হয়েছে।’(বিচিত্রা:স্বাধীনতা দিবস ’৮৭ বিশেষ সংখ্যা, পৃ: ২৮-৩৩)
কি ছিল সেই ‘বাংলাদেশ দালাল অধ্যাদেশ ১৯৭২’ : ঘাতকদের রক্ষাকবচ?
স্বাধীনতাবিরোধী কুখ্যাত খুনী দালালদের জনরোষ থেকে বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকেই প্রচেষ্টা চালানো শুরু করে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে কুখ্যাত খুনী এবং দালালদের জন্য একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়ায় জেলখানা। কুখ্যাত দালালদের কাছ থেকে সে সময় আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে ১১ হাজার লিখিত আবেদনপত্র পড়েছিল, তাদেরকে জেলখানায় সরিয়ে নেয়া জন্য। এদের বিচারের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার কালক্ষেপণ নীতি গ্রহণ করেন।
‘বাংলাদেশ দালাল অধ্যাদেশ ১৯৭২’ : ঘাতকদের রক্ষাকবচ
শেখ মুজিব ও তাঁর সরকারের অন্যান্য সদস্যদের বক্তৃতা বিবৃতির পাশাপাশি চলতে থাকে দালালদের সুরক্ষার আয়োজন। বিভিন্ন মহল থেকে দালালদের বিচারের জন্য সংক্ষিপ্ত আদালোতের দাবীকে উপেক্ষা করে ২৪ জানুয়ারী জারী করা হয় ‘বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ ১৯৭২’।দালালদের বিচারের জন্য এই আদেশ অনুযায়ী আসামীর ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করার অধিকার থাকলেও ফরিয়াদীকে ট্রাইব্যুনালের বিচার্য অপরাধের জন্য অন্য কোন আদালতের বিচার প্রার্থনার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।
গণহত্যাকারী ও দালাল নেতাদের সুকৌশলে রক্ষার জন্যই প্রণীত হয়েছিল এই আইন। কারণ আইনের ৭ম ধারায় বলা হয়েছিল, থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি যদি কোন অপরাধকে অপরাধ না বলেন তবে অন্য কারো কথা বিশ্বাস করা হবে না, অন্য কারও অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার হবে না ট্রাইব্যুনালে। অন্য কোন আদালতেও মামলা দায়ের করা যাবে না। দালালদের আত্মীয়-স্বজনের ওসিকে তুষ্ট করার মত আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল, স্বজন হারানো নির্যাতিত দরিদ্র জনসাধারণের তা ছিল না।
২৮ মার্চ দালাল আইনে বিচারের জন্য সারাদেশের সমস্ত জেলায় মোট ৭৩টি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যেসব অপরাধের বিচার করা হবে তা অন্য কোন আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত বলে ঘোষণা করা হয়। এপ্রিল মাস থেকে দালাল আইনের বিচার কাজ শুরু হয়।
দালাল আইন কুখ্যাত খুনী দালালদের জন্য রক্ষাকবচ হিসাবে দেখা দেয়। যে শান্তি কমিটির মূল কাজ ছিল নিরপরাধ বাঙ্গালীদের হত্যা তালিকা প্রস্তুত করা এবং তাদের হত্যার জন্য পাকসেনাকে সহায়তা করা, তার সদস্যরা সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদন্ড পেয়ে নিস্তার পেয়ে যায়। শান্তি কমিটির নিজস্ব ঘোষণা অনুযায়ীই এর মূল কাজ ছিল তাদের ভাষায় ‘দুষ্কৃতকারী ও ভারতীয় চরদের তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদেরকে নির্মূল করা’, সুতরাং যে কোন দালালের সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার জন্য তার শান্তি কমিটির সদস্য প্রমাণিত হওয়াই ছিল যথেষ্ট।
৩০ নভেম্বর ১৯৭৩ তারিখে তথাকথিত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আগে ৩১ অক্টোবর ১৯৭৩ পর্যন্ত দালাল-অধ্যাদেশে অভিযুক্ত মোট ৩৭ হাজার ৪ শত ৭১ জনের মধ্যে ২ হজার ৮ শত ৪৮ জনের মামলার নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছিল ৭ শত ৫২ জন, বাকী ২ হাজার জন বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। এর মধ্যে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় মাত্র একজন রাজাকারকে। সুতরাং সহজেই প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে কি গণহত্যাযজ্ঞের সেই ভয়াবহ দিনগুলোতে দালালরা কোন মানুষকে হত্যা করে নি, নির্যাতিত লক্ষ কোটি মানুষের জবানবন্দী কি সবই মনগড়া গল্প ছিল? নারকীয় বধ্যভূমিগুলিতে প্রাপ্ত বহুবিধ নৃশংস নির্যাতনের চিত্রসহ বিকৃত লাশগুলির সবই কি ছিল শুধু পাক সেনার শিকার?
দালাল আইনের অধীনে ট্রাইব্যুনালের বিচারও ছিল প্রহসন মাত্র। একটি দৃষ্টান্ত এ প্রসংঙ্গে দেয়া যেতে পারে। সাংবাদিক সাহিত্যিক শহীদুল্লা কায়সারের অপহরণকারী আল বদরটির বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে শহীদুল্লা কায়সারকে অপহরণের অভিযোগ সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছিল, কিন্তু তবু তাকে মাত্র ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। গণহত্যার উদ্দেশ্যে শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর ইত্যাদি দলে যোগদানকারী ব্যক্তিদের এইভাবে লঘু শাস্তি দিয়ে কিছু দিনের জন্য কারাগারে রেখে বিক্ষুব্ধ জনতা এবং তাদের হাতে নির্যাতিতদের রোষানল থেকে রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
দালাল রক্ষার এই ষড়যন্ত্র কুখ্যাত দালালদের তথাকথিত বিচার হওয়ার পূর্বে জনসাধারণের কাছে ধরা পড়ে নি। তবে সচেতন বুদ্ধিজীবী শেণী প্রথম থেকেই এই চক্রান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। এরপর যখন দেখা গেল সরাসরি গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী দালালরা নামমাত্র শাস্তি পেয়ে নিষ্কৃতি পাচ্ছে তখন এ ব্যাপারে সচেতনতা আরো বৃদ্ধি পায়।
২৩ জুলাই ১৯৭২ তারিখে দৈনিক বাংলায় এ বিষয়ে ‘দালাল আইন সংশোধনের প্রয়োজন’ শীর্ষক একটি রিপোর্টে লেখা হয় — ‘দেশ স্বাধীন হবার পর দালাল বলে যাদের আটক করা হয়েছে তদের শতকরা ৭৫ জনেরই মুক্তি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই বিপুল সংখ্যক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।
‘পুলিশের সংখ্যা এমনিতেই অপ্রতুল। তদুপরি কোলাবরেটরস অ্যাক্ট-এ অভিযোগ তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে শুধু থানার ওসিকে। কিন্তু ওসির পক্ষে একা অসংখ্য মামলার তদন্ত করা এক প্রকার অসম্ভব।......
‘এ ছাড়া দালাল আইন সম্পর্কেও কিছু বক্তব্য রয়েছে আইন বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা বলেছেন, দালাল আইন করা হয়েছে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধের বিচার করার জন্য। কাজেই সে অপরাধ প্রমাণের জন্য অনুসরণ করতে হয় একশ বছরের পুরনো ‘এভিডেন্স অ্যাক্ট’। এই অ্যাক্ট হয়েছে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধের বিচার করার জন্য। কাজেই বিশেষ পরিস্থিতির অপরাধের প্রমাণের জন্য প্রণীত এভিডেন্স অ্যাক্ট অনুসরণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে নানা জটিলতা। ফলে অপরাধ প্রমাণ করা হয়ে উঠেছে অনেক ক্ষেত্রে দুঃসাধ্য।......
‘একটা উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে পরিষ্কার ভাবে। ধরা যাক একজন রাজাকার অপহরণ করেছে কোন এক ব্যক্তিকে, তার পর থেকে সে ব্যক্তির আর সন্ধান মেলেনি। এই অবস্থায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে এই সিদ্ধান্ত করা যায় স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু যদি সেই রাজাকারটির বিরুদ্ধে মামলা চলে দালাল আইনে, তবে তার বিরুদ্ধে আনা যাবে না হত্যার অভিযোগ। অভিযোগ আনা হবে হত্যার জন্যা অপহরণ করা হয়েছে। কারণ এভিডেন্স অ্যাক্টে হত্যার চাক্ষুষ সাক্ষ্য প্রমাণ না এনে খুনের অভিযোগ প্রমাণ করা যায় না। সুতরাং এক্ষেত্রে যদিও লোকটি খুন হয়েছেন তবুও আইনের মার-প্যাচে আসামীকে খুনী প্রমাণ করা যাবে না।’
বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার বাধ্য হয় এ বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য। ৪ আগস্ট ১৯৭২ তারিখে মন্ত্রীসভা সাব কমিটির এক বৈঠকে অপরাধীধের সর্বোচ্চ শাস্তি দানের বিধান রাখার জন্য দালাল আইন সংশোধনের বিষয় নিয়ে আরোচনা করা হয়। তবে বৈঠকে কোন সদ্ধান্ত নেয়া হয় নি।
এইভাবে কালক্ষেপণের খেলা চলতে থাকে। ১৯৭৩ সালের ১৩ জুলই তত্কালীন আইন মন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর গণহত্যাকারীদের সহায়তাকারীদের বিচারের জন্য রাষ্ট্রকে ক্ষমতা দেবার উদ্দেশ্যে আনীত সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপন করেন। বিলটিতে বাংলাদেশ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করে গণহত্যাকারীদের দোসরদের বিচার করার জন্য রাষ্ট্রকে নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেবার কথা বলা হয়।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৫০
নষ্ট শয়তান বলেছেন: সত্য উন্মোচিত হোক
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৭
বুনো বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ তরুণ মুক্তিযোদ্ধা রুমির মা লেখিকা জাহানারা ইমাম বলেছেন, ‘গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যায় যাদের ভূমিকা সস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছিল, স্বাধীনতার পর পরই তাঁদের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সাধারণ ক্ষমার জন্য তা হয় নি। তত্কালীন সরকারের সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্ত ছিল মারাত্মক একটি ভুল। সেদিন ক্ষমা ঘোষণা না করা হলে ঘাতকরা নিজেদের সমাজে পুনর্বাসিত করার সুযোগ পেত না।
ইতিহাস না জানা হাম্বাগুলো তো জাহানারা ইমামকেও তাহাদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে। এগুলো ওরা জানেও না। জানলে উনাকেও ছাগু বলে দিত।
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
নষ্ট শয়তান বলেছেন: এইবার দেখেন ক্যামন ত্যানা প্যাচায়। কিন্তু সে সাহস ও পাবে না। এইগুলা কাওয়ার্ড। যেই দেখে সত্যি বের হইছে আস্তে কইরা কাইটা পড়ে।
দেখেন না দায়িত্ববান আর দিকভ্রান্ত দুই মহাবীর আমাকে ব্যান করছে আমার কি দোষ আমি দুইখান নিরীহ কুচসেন মারছিলাম।
উনারাই নাকি ব্লগে সব চেয়ে আওয়ামী জানেওয়ালা!!!!!!!!!!!!!!!
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২২
তানজিদ_রূপক বলেছেন: কঠিন কঠিন
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৬
নষ্ট শয়তান বলেছেন: সত্য উন্মোচিত হোক
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: এই তথ্য গুলো কৈ পাইসেন? কোন বইয়ে পেয়ে থাকলে বই এর নাম দিন। পড়ে দেখি।
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
নষ্ট শয়তান বলেছেন: এই তথ্যগুলো কই পাইচি ? শুরুতেই পত্রিকার নাম দেয়া আছে।
আর 'বাংলাদেশ দালাল অধ্যাদেশ ১৯৭২' কি মনে হয় আমি নিজে বানাইছি? যে কোন জায়গায় গেলেই পাবেন। খুজে বের করার দায়িত্ব আপনার।
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬
আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: +++++++++্
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৩
নষ্ট শয়তান বলেছেন: সত্য উন্মোচিত হোক
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
অেসন বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ তরুণ মুক্তিযোদ্ধা রুমির মা লেখিকা জাহানারা ইমাম বলেছেন, ‘গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যায় যাদের ভূমিকা সস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছিল, স্বাধীনতার পর পরই তাঁদের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সাধারণ ক্ষমার জন্য তা হয় নি। তত্কালীন সরকারের সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্ত ছিল মারাত্মক একটি ভুল। সেদিন ক্ষমা ঘোষণা না করা হলে ঘাতকরা নিজেদের সমাজে পুনর্বাসিত করার সুযোগ পেত না।
-আবেগের বশবর্তী হয়ে রুমির মা লেখিকা জাহানারা ইমাম এটা বলেছেন।
কিন্তু বাস্তবতা হলো গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা সাধারণ ক্ষমার আওতা বর্হিভূত। ঘাতকদের সমাজে পুনর্বাসিত করার সুযোগ দিয়েছে ৭৫ পরবর্তী
সরকারগুলো।
সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করা না হলে তো আপনারা গনহত্যার দায়ে বঙ্গবন্ধুর
মরনোত্তর বিচার দাবী করতেন।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৭
নষ্ট শয়তান বলেছেন: জাসদের ৩০০০০ হাজার কর্মী হত্যার জন্য যখন কেউ টুটা করল না আর আপনি আসলেন সামান্য কিছু রাজাকারের বিচার চাইতে আমরা বঙ্গবন্ধুর মরোনোত্তর বিচার চাব?
বেশ বেশ বেশ। হাত তালি দিলাম আপনার যুক্তি শুনে।
৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৪
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: মুজিব রাজাকারদের ক্ষমা করেছিল আর আমরা রাজকারদের সাথে ঐখ্যজোট করি !
মুজিবের সাধরন ক্ষমা প্রত্যাক্ষান করে সবাই যখন রাজাকাদের বিচারের দাবীতে এক হয় তখন আমরা বিচার দাবী কারীদের নাস্তিক বলি!!
বর্তমানের আমরা আরও বেশী ভয়ংকর আমরা রাজাকারদের প্রধানমন্ত্রী / মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দিই !!!
হ্যা আমরাও রাজাকারের বিচার চাই....
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩২
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ভেরী গুড বয়। বিচার তো আম্রাও চাই তো শেখ হাসিনার হাতে দুই তৃতাংসের বেশী সিট আছে করে ফেললেই হল।
কেন তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করছে না। ওইভাবে করবে। সাথে আছি জনাব। দেখি না কি হয়। আপনি এখনো ছোট্ট ছেলে অনেক কিছু জানেন না বড় হোন বুজবেন।
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫০
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হ ভাই অপেক্ষায় রইলাম দেখী না কি অয় !
তবে এতটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন, রাজাকারের বিচার করতেই হবে।
সেটা লীগ / দল যেই করুক।
যদিও জোটবদ্ধ থাকা অবস্থায় দলের কাছ থেকে বিচার আশা করা যায় না।
যাই হউক, ছোট্ট ছেলে, তত্ত্বাবধায়ক, রাজনীতি ইত্যাদি ইত্যাদি বুঝি কম, তবে তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে কারা প্রথম ফাল পাড়ছিল তা আমার টুকটাক জানা আছে।
আর আপনার বড় মানুষ, দেইখ্যা বহুত ভালা লাগে। আপনাদের মত বিশাল বিশাল রুই কাতলার লগে এই চুনোপুটি বসবাস করতে পেরে গর্ববোধ করে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৩
নষ্ট শয়তান বলেছেন: আর তত্ত্বাবাধায়ক কারা চাইছিল নিশ্চয় ই জানেন? এখন কারা চায় না তাও জানেন?
বেশ বেশ এইতো অনেক কিছু জানেন।
না ভাই আমিও আপনার মত এক চুনোপুটি যদি আপনি তা হোন।
ক্ষমতার জন্য কারা ৮৫তে জামাতের সাথে জোট বাধছে তাও জানেন। বুড়া হয়ে গেছি যখন তখন পটল তুলতে পারি তাই সামান্য কিছু জিনিস আবারো শেয়ার করে গেলাম।
বিবেক আপনাদের
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৫
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হ ভাই আমি আরও কিছু ব্যাফার জানি তা অইল,
রাজাকারগরে কে প্রথম প্রধানমন্ত্রী বানাইছিল তাও আমার জানা আছে।
তত্বাবধায়ক নিয়া মাথা ঘামাই না। এই দুই দল ক্ষমতায় আইলেই কি আর না আইলেই কি ?
কোন হালায় কইতে পারব আমারা জনগনের জন্য কাজ করছি ?
বিবেক আপনাদের
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫০
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ঠিক রাজাকারদের কে প্রথম দেশে থাকনের পারমিশন দিছিল জানেন তো সাধারন ক্ষমা ঘোষনা কইরা?
আর তত্ত্বাবধায়ক নিয়া মাতা গামানোর তো দরকার দেকিনা। বাকশাল তো আইলো বইলা।
তারপর ইন্ডিয়ার প্রজাতন্ত্র। বাহ বাহ।
কেউ ই কাম করে নাই কিন্তু জনগনের লগে ধোকাবাজী কি ভাবে মানুম! কতায় কতায় মিথ্যা কতা এইতো আম্লীগ।
১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫১
মামুন হতভাগা বলেছেন: আওয়ামী লীগ ক্ষমা কইরা মহা বদ কাজ করছিল,তারা আসলেই খারাপ।
আওয়ামী লীগ আবার নতুন করে সেই বিচার শুরু করছে,তারা আসলেই খুব খারাপ।
এত যাত্রা/সিনেমা না কইরা সোজা কন,যে যারা বিচারের মুখোমুখি তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিল আর শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ ছিল হানাদার পাক বাহিনীর দোসর।
আর এটাও কইয়া ফালান যে,আপনি ছিলাম সেই জামায়াতি মুক্তিযোদ্ধাদের গেলমানের সরদার।
ব্যস,কিচ্ছা শ্যাস।
ফাকিস্থান জিন্দাবাদ
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০০
নষ্ট শয়তান বলেছেন: এই তো আইসা গেছেন ভাইজান।
না না ভাইজান আমার বিরাত ভূল ইইয়া গেছে আমি ভুল লিকছি কিন্তু যারা কতাগুলা কইছে তারাও তো রাজাকার ছিল তাই না?
পান্না কায়সার বলেন, আওয়ামী লীগের প্রথম সারির কোন নেতা যুদ্ধে আপনজন হারান নি। ফলে স্বজন হারানোর ব্যথা তাদের জানা ছিল না।
ছুড এক খান কুচশেন আওয়ামীলীগ এর কয়খান যেন সিট? তো তত্ত্বাবধায়য়ক বাতিলের মত কইরা রাজাকার গো বিচার করুক লগে খালেদা জিয়ার বিচার করুক আর হের লগে দেশের ৩৮% মানুষের বিচার করুক। আমি নাই ভাই।
ক্ষ্যামা চাই জ়য় বাংলা। জয় বাকশালী।
উরে বাবা।
গু আযম তো ৮৫ তে ভাল ই তুমাগো লগে গেল্মান গেল্মান ক্যালছে। কইয়া রাক্লাম আবারো খেল্বা তুম্রা তুম্রা নব্য রাজাকার।
যতসব রাজাকারের দল। যা ভাগ
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০২
নষ্ট শয়তান বলেছেন: আপাতত ব্লক থাক নব্য রাজাকার কালকে আবার দেখা হবে। আমি যামু একন আমার অনুপস্থিতে আইসা যেন আমার ব্লগ গান্ধা না করতে পার। পারলে আবার রাইতে আইস। কথা হবে
১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৪
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আচ্ছা ভাই একটা ব্যাফার ঠিক বুঝলাম না, আফনারা যুক্তিতে না পারলে মাইনষেরে বিশেষন দেন কেরে ?
আফনারা এতই আদর্শের সৈনিক যে যেই থালায় ব্লগিং করেন, যেই থালা ব্যাবহার কইরা আফনেগ নেতা নেত্রীগরে মহান ঘুষনা দেন,
সেই থালারে আবার ফ্যাসিষ্ট, একচোখা ও দল কানা কন ব্যাফারডা কি ?
Click This Link
আফনেগ নীতি আর আদর্শ দেইখা আপনাদের প্রতি আমার বহুত সম্মান অয় !!!!
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৭
নষ্ট শয়তান বলেছেন: কতার খেলা খেল্বেন না। আমি মোতেই সে রকম কিছু বলিনি আপনাদের মত মানূশগদের জন্য আজকে সামু র এই অবস্থা। যারা চেষ্টা করে অন্যদের না থাকলে এক্লারা রাজত্ব করবে।
সামু ঠিক আছে।
আপ্নারা থিক নাই। বাকশালী চেত্না আপনাদের মধ্যে ভালই আছে।। এক্ক রাজত্ব
১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১০
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হে হে হে মশিউরে ভদ্রলোকরে সত্যিকারের সত্যিকার আওয়ামিলীগ কয় আর আফনে ভদ্রলোকরে নব্য রাজাকার কইলেন ?
ভাই আফনেগ আদর্শ দেইখা, আফনেগ উপরে বহুত মায়া হয়।
নিরপেক্ষ সামু আফনাদের কাছে
ফ্যাসিষ্ট, একচোখা ও দল কানা
আমি রাজনীতি করি না, আর আফনেগ কাছে
আমি আম্লীগ এর সমর্থক
মামুন হতভাগা একজন লীগ সমর্থক, রাজাকার দেখলে গদাম দেয়,
আর মামুন হতভাগা আফনেগ কাছে নব্য রাজাকার
আফনেগ নীতি আর আদর্শ দেইখা আপনাদের প্রতি আমার বহুত মায়া অয় !!!!
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ব্লগে আছি খুব ভাল ভাবেই জানি কে লীগ কে ছাগু কে জাতীয়তাব্দী। যে ছেলে জাতীয়তাবাদী আর জামাত এক করে ফেলে সে আর যাই হোক লীগ না। এরা নব্য রাজাকার।
অনেক হইছে আপনি আর ত্যানা প্যাচাবেন না
১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: এই বার নতুন যোগ করলেন
বাকশালী চেত্না
নাস্তিক কইবেন কবে ?
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ব্লগে ফালতু ত্যানা অনেক প্যাচাইছেন যদি পারেন পোষ্ট ভিত্তিক আলোচনা হোক
১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯
হইচই বলেছেন: কিরে ছাগুর পুত ছাগু বড় ফ্রি পাইছিলা ল্যাদাইছো।বাপেরা আইসা পড়ছে এলা ক্ষেমা দেও ছাগুগিরি।ওকে?
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
নষ্ট শয়তান বলেছেন: এই হোল আওয়ামী বাকশালী চেতনা। মানূষ জন দেখুক। তুমি ব্লক
১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: এই কুত্তাগুলা যখন কোন যুক্তি তর্ক ও ত্বথ্য প্রমানে পারবে না তখনই শুরু করবে ট্যাগিং ,, অযথা অন্যায় ট্যাগিং বেজন্মা জারজ গুলাই করে
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ভাই দেখেন এক্তাও কোন লাইনের কথা না খালি ট্যাগবাজি, গালাগালি, অসভ্যতামি।
বাকশালী চেত্না।
১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: পোস্ট ভিত্তিক আলোচনা করমু, প্রশ্ন এড়ায়া যাবেন না, উত্তর দিবেন (নাহলে বুঝব আপনি নিজে ত্যানা প্যাচাতে চাচ্ছেন)
রাজাকার দের মাফ করা যদি দোষ হয় তাইলে এদের সাথে ঐখ্যজোট করা কত বড় দোষের সেই কথা কি ভাবছেন একবার ?
মাফ করাদের সমালোচনা করেন আবার সমর্থন দান কারী (ঐ্যজোট কারী) দের সমর্থন করেন!! B:-) B:-)
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
নষ্ট শয়তান বলেছেন: আপ্নার এই বকনা মার্কা উত্তর আরো একটা পোষ্টের দিয়া আইচি। '৮৫তে মনে হয় তখনো আপনার জন্ম হয় নাই কারন আপনি এর আগেই আমাকে বলেছেন আপনার ভোটের বয়স হয় নাই।
না না ঐক্য জোট কারীদের বিচার চাই। আসেন শুরু করি '৮৫তে কারা জামাতের সাথে ঐক্যজোট করছে একটু দেখি।
পারলে বিচার ওইখান্দিয়া শুরু করেন। রাজাকার বেয়াই ঘরে থাকতে পারবে। এক লগে আন্দোলন করতে পারবে? এর সব দোষ বিএনপির।
শুন বাছা। তোমার বহুত প্যানর প্যানর শুঞ্চী আপাতত এইদিকে আর আইসো না। আর একটু বড় হও তারপর আস।
১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
যোগী বলেছেন: কজী হাই ফাইভ!!!!!
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
নষ্ট শয়তান বলেছেন: আরে বচ আপ্নে? ওই কেডা আচিস বচ্রে চা বিড়ি দে আপ্নে তো বিরাট মানূষ তা পুলাপান্রে না লাগাইয়া নিজে কিছু কন না? দেখি কেম্ন আপ্নের জানাশুনা?
অনেক হাই ফাইভ দেব।
১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মিঠাপুর বলেছেন: হা হা হা...
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৩
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ভাই অনেকের পেছনে আগুন ধরছে আর আপ্নে হাসেন যান মিয়া আপ্নে ভালা না
১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৯
মেঘের দেশে স্বপ্নডানা বলেছেন: আপনি কি ছাগু??
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
নষ্ট শয়তান বলেছেন: খুব চমৎকার একটা মন্তব্য দিছেন আপনার মন্তব্যটা এই পোষ্টের জন্য একটা বাকশালী দৃষ্টান্ত।
সারা পোষ্টে আমি রাজাকারদের বিচার চাইলাম আর আপনি কিনা আমাকে বললেন ছাগু।
আপনি কি রাজাকার নাকি। তাই যদি হোন দূরে গিয়া মর। ওই গেন্দির মা তোর টয়লেট কুড়ানোর ঝাটা টা আন একটা রাজাকার ছাগু আসছে আওয়ামী ভেক নিয়া।
ভাল কইরা ঝাটা মার এইডারে
২০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫২
মেঘের দেশে স্বপ্নডানা বলেছেন: হি হি হি, ভাইয়া রাগ করেন কেন!! আমি তো ব্লগে নতুন, অতো বুঝিও না, অনেকে গালি দিয়েছে তাই বললাম।
আপনি তাহলে ছাগু না??
আসলে ছাগুদেরকেও তো বলতে শুনি, যে আওয়ামীলীগ এর সাথে জোট করেছিল, তাই বিএনপিও জামাতের বন্ধু হয়ে গেছে, আপনিও কমেন্টে সেই ছবি টবিগুলো দিলেন, তাই জিজ্ঞেস করলাম।
আপনি তাহলে ছাগু নন তাই না? তবে জামাত ভালবাসেন??
ভুল হল নাকি ভাইয়া? রাগ করবেন না, ছোট বোনের মতো আমি আপনার।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৮
নষ্ট শয়তান বলেছেন: পড়াশুনা কর ছোট বোন। কোন বোনের ভাই কি ছাগু হতে পারে বিশেষ করে তোমার মত মুক্তিযোদ্ধা বোনের
রাজনীতি আরো পরে
২১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৩
নষ্ট ছেলে বলেছেন: আপ্নে মিয়া নষ্টও আবার শয়তানও আপ্নের কাম কাইজ ভালা হইব ক্যাম্নে
আপ্নের নাম, ঠিকানা, আইপি এড্রেস মনে হয় এলরেডি বিটিআরসি'তে গেছেগা
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৭
নষ্ট শয়তান বলেছেন: জয় বাংলা।
তয় মিথ্যা কি কইলাম এট্টু কবেন নাকি
২২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১১
নষ্ট ছেলে বলেছেন: ক্ষেত্র বিশেষে সত্যি বলাও অপরাধ!
ধরেন, আপনার সত্যি শুইনা কারো োদে আগুন ধইরা গেল
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৩
নষ্ট শয়তান বলেছেন:
২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৬
কয়েস সামী বলেছেন: ছবিগুলা কই পাইলেন? অনেক আগের।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ছবিগুলাতো হেরা কয় আমি ফডুশপে বানাইছি
মিথ্যা কি চাপা থাকে ভাই?
২৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৮
আহমেদ রিজভী বলেছেন: আওয়ামীলীগ এমনি এক চিজ যে গাছেরটাও চায় তলারটাও চায় আবার কান্ডেরটাও চায় । এক কথায় সর্বভোক ।
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪১
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ভাই সর্বভূক তো কাউয়া। এই কতা শুনলে কাউয়া ও লজ্জা পাবে।
২৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৯
রকি০০৭ বলেছেন: চরম পোস্ট ভাই। ++++++++++++++++++++++ তবে ব্যপারটা হইল, এই আবাল গুলা বুঝে না কিচ্ছু খালি পারে ত্যনা প্যচাইতে। আপ্নে লেখতে থাকেন।
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৫
নষ্ট শয়তান বলেছেন: এইগুলা বকনা বাছুর এইগুলার জন্য এই পোষ্ট না ভাই।
চাইছিলাম জানাশুনা কেউ আইবো এক সোনার পোলাও আইল না
দুই একজন আইসা আবার ফুত কইরা চইলা যায়
২৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
অেসন বলেছেন: জাসদের রাজনীতি যে ভূল ছিল, তা কি তাদের বর্তমান বা প্রয়াত
নেতাদের রাজনীতি দেখে বুঝেন নাই ? তাদের নেতারাই তো এখন বঙ্গবন্ধু
সরকারকে দায়ী করে না। অথচ আপনি বললেন।
তৎকালীন জাসদ কর্মী হত্যার জন্য দায়ী ছিল তৎকালীন জাসদ এর হঠকারী রাজনীতি।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
নষ্ট শয়তান বলেছেন: অেসন@ ধন্যবাদ আপনার চমৎকার প্রশ্নের জন্য। যদিও এই পোষ্ট হল সাধারন ক্ষমার ব্যাপারে শহীদ পরিবারগুলোর গুমড়ে ওঠা কান্না?
জাসদ নিয়ে আপনি কি জানেন? আপনি কি জানেন ছাত্রলীগ জন্মই হল স্বজন প্রিতি থেকে।
১৯৭২ সালের ২১, ২২, ২৩ জুলাই ছাত্রলীগের প্রথম সন্মেলন। দুই গ্রুপ। মনি গ্রুপ রেস্কোর্স আর সিরাজুল আলম খান গ্রুপ পল্টন ময়দানে। প্রায় সবাই কিন্তু সিরাজ গ্রুপে যোগ দেয়। কিন্তু স্বজন প্রিতিতে সিরাজ সাহেবের ছাত্রলীগ পাত্তা পায় না। যাক সে সব কথা এ ব্যাপারে আমি বিস্তারিত লিখব।
আসুন আপনার প্রশ্নে সেই সময় জাসদের প্রায় ৩০ হাজার কর্মী মেরে ফেলা হয় তৈরী হয় গনবাহিনী, কিন্তু সরকারী পৃষ্টপোষকতায় নাৎসী ষ্টাইলে রক্ষীবাহিনী আর মুজিব বাহিনী গনবাহিনী ধ্বংস করে দেয়।
জাসদ তৎকালীন এবং পরবর্তী সময় আসংখ্য বার এনিয়ে বলছে।
বিভিন্ন লেখায় এ ব্যাপারে পরিস্কার আছে। ৭৫ এর পট পরিবর্তনে সমস্ত হিসাব নিকাশ পালটে যায় জাসদ বিলীন হয়ে যায় বিভিন্ন পার্টিতে।
বেঈমানী আমাদের রক্তে।
যার কারনে এই ইনু আজকে আওয়ামীলীগের মন্ত্রী।
মনে রাখবেন ৩০ হাজের তাজা প্রান যাদের প্রায় সবাই মুক্তিযোদ্ধা এই স্বাধীন মাটিতে তাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে জীবন দেয়।
বঙ্গবন্ধুর অব্দান আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু তিনি কোন দেবতা ছিলেন না। এটা পরিস্কার হওয়া দরকার।
২৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: তয় অনেক দিন পর যে নতুন কিছু আবিষ্কার হচ্ছে এই ব্যাপারে কি বলবেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৩
ঘুমকাতুর বলেছেন: কবি নীরব