![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলার নেই তেমন কিছু!
অস্থির লাগছে। প্রচন্ড অস্থির। গত ২৫ ও ২৬ তারিখ - দুই দিনে ঢাকার পিলখানায় মূহুর্তে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর কথা ভেবে যতটা না অবাক হচ্ছি, তার থেকে বেশি ঘৃনা হচ্ছে আমার। কিছুটা নিজের প্রতি, আর কিছুটা স্বাজাতির প্রতি। আমাকে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্থানী ছেলেগুলো একগুয়ে বলে জানে। সময় পেলেই যে আমি দু'কথা শুরু করি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। গর্ব ভরে আমি আমার দেশের বীরদের কথা শোনাই সবাইকে। কিছুদিন আগে বিডিআরের সাথে ভারতের বি.এস.এফ-এর সংঘর্ষে হাতেগোনা কয়েকজন বিডিআরের হাতে বিএসএফ-এর চরম ভাবে পরাজীত হবার গল্প বলতে বলতে আমি অনুভব করছিলাম যেন অন্য জগতে চলে যাচ্ছি। অথচ কাল আমি সেই পাকিস্তানী/ভারতীয় ছেলেগুলোর সামনে দাড়াতে লজ্জা পাবো। মনেমনে হয়তো পাকিস্থানীদের বলবো, তোমরা যা করে এসেছিলে ৭১-এ, সেটাই আমরা করে দেখালাম ২০০৯-এ।
রাগ-ক্ষোভ! আজ সব জল হয়ে গিয়েছে। নিজেদের রক্তে নিজেদের উল্লাস দেখে আজ আমি নির্বাক। ভালোবাসার মানুষটা যখন বলছিল "আমার খুব ভয় লাগছে" তখন আমি উত্তরে বলি "ভয় নেই, ওই দেশে আমি থাকবো না"। মাগো, আজ তোমাকে বাংলাদেশ বলতেও আমার কুন্ঠা হয়। 'বাংলাদেশ' শব্দটাকেই যেন গত দুদিন পিলখানায় পদদলিত ও ধর্ষিত হতে হয়েছে। আচ্ছা, বিডিআরের পুরো কর্মকান্ডটাকে কি বিপ্লব বলা চলে? অন্তত কিছু মানুষতো তাই মনে করে। বিডিআরের জোয়ানদের সাথে যে বৈষম্যমূলক আচরন করা হচ্ছিল তার যোগ্য জবাব তারা দিয়েছে। এটাই মানুষের কাছে মূখ্য। এক্ষেত্রে আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন ছিল, ওই যে ১২ বছরের মেয়েটা - সে কি দূর্নীতি করেছিল? যে নারীদের সাথে তারা লাঞ্ছনাকর আচরন করলো, তাদের দোষটা কোথায় ছিল? কিম্বা এরকম ঘটনা ঘটানোর পর সাধারন ক্ষমা চাওয়ার ধৃষ্টতাইবা তারা কি করে দেখায় এবং সর্বপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী - আপনাকে সাধারন ক্ষমা করার অধিকারই বা কে দিল? যেই আপনি সারা জীবন যুদ্ধ করে আসছেন বঙ্গবন্ধু সহ আপনার পরিবারের সবার বিচার চেয়ে, সেই আপনি কি কোন দিন দাড়াতে পারবেন বাবা-মাহারা ঐ ছেলেমেয়ে গুলোর সামনে যাদের বাবা-মার হত্যাকারীকে আপনি ক্ষমা করে দিয়েছেন? হয়তো পারবেন। তা না হলে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ আর কি হলেন।
যাক, এসব আবেগের কথায় গিয়ে কাজ নেই। এর থেকে বরং যুক্তির কথায় আসা যাক। অনেকে বলছে কয়েকটা জীবনের উপর দিয়ে হলেও একটা বৈষম্যমূলক যুগের অবসান ঘটলো। কথাটায় আপাতদৃষ্টে যুক্তি আছে বৈ কি! এখন বিডিআররা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। কে মরলো, কে ধর্ষিত হলো এটা আর কয় দিন মনে রাখবে মানুষ? কিন্তু সমস্যা হলো, আমার কাছে ঐ কয়েকজন আপাত তুচ্ছ মৃত ও লাঞ্ছিতাই গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি। যাদের আমরা কয়েকজন মৃত বলছি, তারাই কারো কারো কাছে প্রিয়তম স্বামী, স্নেহময়ী বাবা বা শেষ ভালোবাসার স্থান মা। যে নারী সম্ভ্রম হারিয়েছে, সে যে আজ আমার কাছে একাত্তরের বিরঙ্গনা। তাদের যে আমি 'কয়েকটা প্রান' হিসেবে দেখতে পারিনা। ...ফেইসবুক খুলে কিছু সময় বসে ছিলাম। হঠাৎ মনে হলো, যে অফিসারগুলো মারা গেলো তাদের ছেলেমেয়েরাওতো ফেইসবুক ব্যবহার করতো। ওরা এখন কি করছে? ওদের প্রোফাইল গুলোতে কি সেই ভয়াবহ রক্তের দাগ দেখা যায়? হয়তো যায়। আমরা দেখতে পাই না, কিন্তু যে দেখতে পায়, তার কাছে এই দাগ কোন দিনও মোছার না।
একবন্ধু ফেইসবুকে লিখেছে (যার ভাই কিছু আগে সবকিছু ঘুরে দেখে এসেছে), "ভাইয়া এসেছে। যা বললো শুনে ভয় লাগছে। একাত্তেরেও নাকি মানুষ এত কষ্ট পায়নি। শুধু বুলেট দিয়ে মারেনি, মাজহার ভাইয়ের চোখ এবং মাথার এক অংশ নাই। মেয়েদের রেপ করে আর বাচ্চাদের ছাদ থেকে ফেলে মেরেছে।" খালাতো বোনের সূত্র থেকে শুনলাম, যার বাসা পিলখানার একদম পাশেই, তারা নিজচোখে লাশ পোড়ানো এবং ম্যানহোলে ঢোকানোর দৃশ্য দেখেছে। পরে নদী থেকে লাশ উদ্ধারের পর সেই কথার সত্যতাও পাওয়া যায়। এতো শুধু বিপ্লব না, রীতিমত মহা বিপ্লব। বিপ্লবে টগবগ করা জোয়ানদের উৎসাহ দেখে কিছু মানুষকে বলতেও শুনলাম 'হ্যাটস অফ টু বিডিআর'। বাহ, অতি চমৎকার! একেই না বলে বাপের বেটা। তবে সমস্যা হলো আমার এই খুতখুতে মন তাদের জন্যও একটা প্রশ্ন দাড় করিয়েছে। গতকাল যদি আপনাদের মায়ের শাড়ির আচল ধরে বিডিআর টান দিত, তাহলেও কি আপনারা একই কথা বলতেন? যদি পারেন, তবে এবার আমি বলবো হ্যাটস অফ টু ইউ।
আমার কাছে এতদিন বাঙালীর প্রতিভূ ছিল সিরাজ, তিতুমীর। কাল ভোর থেকে আমি মীরজাফরকেই বরং নেতা মানবো; কারন সেই তো আসল বিপ্লব ঘটিয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রিলায় রেভুলেশনের দেশ ইংল্যান্ডকেতো সেই আমাদের কাছে তুলে ধরেছিল। মনেপড়ে কলকাতার ভিক্ট্রোরিয়া মেমোরিয়ালে দেখেছিলাম পলাশীর যুদ্ধের পর মীরজাফরের স্বাক্ষর করা বাংলাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়ার সেই দলিল। এই দলিলইতো আমাদের নিয়ে গিয়েছিল এক নুতন সভ্যতার দেশে। কোথাকার কোন সিরাজ, তিতুমীর, ক্ষুধিরাম মরলো; ওই সব কেউ মনে রাখে নাকি? সময় সব ভুলিয়ে দেয়। বেঁচে থাকে কেবল মীরজাফর। তোমরা বলো সে বিশ্বাসঘাতক ছিল? ছিঃ! ওভাবে বলতে হয় না। আসো এক সাথে বলি - হ্যাটস অফ টু মীরজাফর! বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক!!!
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০০৯
ডবিলিন, আয়ারল্যান্ড।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:২৮
অচেনা সৈকত বলেছেন: এই ব্লগের সস্তা রাজনীতি আর আবেগের বেসাতি দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত। আপনাকে ধন্যবাদ সত্য কথাটা বলার জন্য।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৩৭
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: আনেক কষ্ট থেকে লেখাটা লিখেছি। নিজেদের রক্তে নিজেদের ভিজে যেতে দেখবো, ভাবিনি।
ব্লগে আসার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৪০
রাজর্ষী বলেছেন: আবেগের বেসাতি থাকবেই। কিন্তু তারমানে এই না যে এই সব অপরাধগুলো ঢাকা পড়বে। বিপ্লব করুক আর যাই করুক যারা খুন, ধর্ষন করেছে এরা অপরাধী, এদের বিচার করতে হবে। ঠিক যেমন ৭১ এ যারা যুদ্ধপরাধ করেছে তাদের বিচার হবে।
সাধারন ক্ষমার আওতায় যে অপরাধীরা পড়ে না সেটা বোঝাও সাধারন জ্ঞানের অংশ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৪৩
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: সহমত।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৪৩
বাফড়া বলেছেন: কথা সত্য... কিন্তু এখন এইটা স্টপ করার সময়... বিচার পরে হবে, এবং বিচার অবশ্যই করতে হবে.. এখন নীতি কপচাইতে গিয়া যদি ফাকতালে আরো মানুষ মারা যায় তাইলে ব্যাপারটা সুবিধার হইব না... সবাই কিন্তু এখন এইটাই খেয়াল করতাছে যে চান্সে এখন বিডিআরের চামড়া তুলে নাকি সেনাবাহিনী!!
আর মীরজাফরের সাথে এই ঘটনার প্যারালাল টানাটা সাহিত্যিক দৃষ্টিভংগি বিচারে হয়ত ঠিকই আছে (আফটার অল একজনের লেখকের কাজই হইল বিশেষণ দেয়া আর উপমার জোড়াতালি দিয়া যাওয়া), কিন্তু বাস্তবতার বিচারে সীমান্ত পাহারা দিয়া যাওয়া বিডিআর জওয়ানদের বিদ্রোহের সাথে মীরজাফরীয় বিপ্লবের মিল টানা টা আপনার পারস্পেকটিভ আর আপনার লেখাটারেই গোলমালে ফেলায়া দেয়... আপনারা পারেনও... পাবলিকরে হুজুগে কয়া নিজেরাই কি কইতে কি কন খেয়াল থাকেনা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৪৬
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: হ্যাটস অফ টু ইউ!
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৫১
বাফড়া বলেছেন: থ্যংকিউ... এই কারনে যে টুপি খোলা অভিবাদনের মত কড়কড়ে বাংলায় না কয়া ইংলিশ কথাটারে ইংলিশেই কইছেন... হ্যাটস অফরে বাংলায় কড়কড়া কইরা কওয়াটাও একরকমের অপরিমিতিবোধের মাঝে পড়ে!!!
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৫৩
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: এ কথাটা জটিল বলেছেন।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৫৯
মরি-নাই বলেছেন: একমত@বাফড়া।
@নিয়াজ
বিচার চাই। তার আগে জানতে চাই ততটা যতটা সত্য জানা সম্ভব।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৬
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: আমিও।
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৫৯
সোনার বাংলা বলেছেন:
গত দুই দিন কিছু ব্লগারের আর্মি বিদ্বেষ দেখেছি। এক ব্লগার তো তাদের মৃত্যু তে
দেশের লাভের হিসাব কষতে বসে গেছে....। এরা কি মানুষ না অন্য কিছু ভাবতে
পারি না।
অসাধারন পোষ্ট।
ধন্যবাদ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:১৮
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: আমার নিজের আর্মির প্রতি তেমন কোন আবেগ-অনুভুতি নেই, এমন কি তাদের দূর্নীতিকেও আমি উপেক্ষা করছি না; কিন্তু সব কিছুরতো একটা সিস্টেম আছে। এভাবেতো হতে পারে না, তাই না?
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০০
মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: এতগুলো আর্মি অফিসারের মৃত্যু কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
প্রতিটি ঘটনার (নাকি দুর্ঘটনা?) পরই আমরা আবেগ আর যুক্তি'র মিশেলে এমন কিছু করি - যাতে ঘটনাটির মূল উদ্দেশ্য চাপা থেকে যায়।
আবেগের কথা যদি বলতেই হয় - তাহলে না হয় এভাবে বলি - নিহত অফিসারগুলো যেমন ছিলেন কারও ভাই কেমন কারো স্বামী,কারও বাবা - তেমনি যাদের কারনে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তারাও কারো ভাই, স্বামী বা বাবা। আবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে সেনাবাহিনী দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্যাতিত মানুষগুলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রগুলো - যাদের জীবন এক অর্থে অচল করে দেয়া হয়েছে - তারাও কারও ভাই,কারও ছেলে। কেন হল, কেন হচ্ছে এমন ঘটনাগুলো?
আবেগকে না হয় কিছুক্ষণের জন্য দূরে রাখি। স্বাধীনতার পর থেকে দুই রাষ্ট্রপতি হত্যা, ক্ষমতা দখল আর দেশের সবচেয়ে বড় অংকের দুর্নীতি করেও পার পেয়ে যাওয়া সংস্থাটি কোনটি ? - সেনাবাহিনী।
একটি স্বাধীন দেশে থেকে ফ্রাংকেস্টাইন হয়ে ওঠা এই সেনাবাহিনী সাধারন মানুষদের "ব্লাডি সিভিলিয়ান" বলেই মনে করে। বিভিন্ন জায়গায় ডেপুটেশনে গিয়ে করা দুর্নীতি আর মানুষরে উপর নির্যাতনের কারনে সেনাবাহিনীর উপর মানুষ বিরক্ত। বিডিআরের ঘটনাই প্রথম নয়, এর আগে কিন্তু আনসারেও আর্মির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও। কিন্তু প্রতিবারই দোষীরা পার পেয়ে গেছে। আর এটাই ভয়ংকর। বারবার দোষ করে পার পাওয়ার ফলে ধরাকে সরা জ্ঞান করা শুরু করেছে।
যার ফলাফল - অপারেশন ডাল ভাতে দুর্নীতি, বিডিআরে অনিয়ম, দুর্ব্যবহার।
বাংলাদেশের মত গরীব দেশেতুলনামূলক কম সুবিধা পেয়ে রৌমারী সীমান্তে নিজের রক্ত দিয়ে দেশ রক্ষা করে বিডিআররা পায়য় সরকারের কাছ থেকে - বঞ্চনা।
আর দেশের বাজেটের বড় একটা অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মত দেশে রাজার হালে বসবাস করেও দুর্নীতিবাজ সেনাবাহিনী করে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত আর সাধারন মানুষ ও ছাত্রদের উপর নির্যাতন।
কেন বিদ্রোহ করবে না, মানুষ? দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট নিয়ে সেনাবাহিনী কি করেছে দেশের জন্য? যেখানে কিছুই করা হয় না,সেখানে কেন সেনাবাহিনীর বাজেট সহ সবকিছু আড়ালে থাকবে।
আমার টাকায় গড়ে ওঠা সেনাবাহিনী আমাকে চোখ রাংগাবে, আর আমি বসে থাকব?
এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি তদন্ত হলেও কেন বিডিআরের ডিজি'র স্ত্রী দুর্নীতি, কেন সেনাবাহিনী'র দুর্নীতি'র তদন্ত হবে না। কেন নতুন এফ -১৬ এর সমপরিমাণ দাম দিয়ে সেকেন্ড হ্যান্ড এফ-৭ কেনা হবে? আর সেই দুর্নীতি'র তদন্ত হবে না?
আর যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার অনেক কিছুই আমরা জানতে পারব না। যেমন - অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, বিডিআর ডিজি প্রথম গুলি ছোড়েন।
ঘটনাচক্রে, বিডিআর আর সেনাবাহিনী -দুটোকেই কাছ থেকে দেখেছি। তাই অনেক কিছু জানি বা জানছি - যেগুলো মানা যায় না।
সমাধান কোথায়? সেই ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা সেনাবাহিনী'র গঠন পরিবর্তন করতে হবে - ব্রিটিশ আর পাকিস্তান আমলে গড়ে ওঠা সেনাবাহিনী'র মূল উদ্দেশ্যের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর যে পার্থক্য থাকা উচিত ছিল তার কোনটিই ছিল না।
ট্রান্সপারেন্সি আনতে হবে সব জায়গায়। সবকিছু প্রকাশ করতে হবে। আর তা না হলে, ভবিষ্যতে হয়ত ১৫ লাখ মানুষের পরিবারের জন্য শোক প্রকাশ করতে হবে।
আরও অনেক কিছু আছে, যা বলতে গেলে মন্তব্যটা আরো বড়ই হবে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৮
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: আমি কিন্তু সেনাবাহিনীর অফিসারদের পক্ষ নিয়ে লিখিনি। আমি বলেছি এটা পদ্ধতি নয়। যেটা করেছে তারা, এখনতো একই ব্যবহার তারাও প্রত্যাশা করে। আবেগ তারাই আগে দেখিয়েছে।
৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৮
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: আর্মিরা যাতে কাউকে রাস্তা ঘাটে চড় মারতে না পারে ,
কাউকে বিনা কারনে লাঠির বাড়ি দিতে না পারে এই কারনে
"হ্যাটস অফ টু বিডিআর"
নিহতদের প্রতি সমবেদনা ... এই অন্যায়ের বিচার চাই
সাথে সাথে এইটা মনে রাখতে চাই .... জুলুমবাজ কেউ ই ধরা ছোয়ার বাইরে না ;
যারা কেবল অস্ত্রের জোর চিনে তাদের শায়েস্তা করতে অস্ত্রই লাগে
বিডিআর এর ঘটনায় মীরজাফর হইল কে ?
মইন ইউ নাকি ?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:১৪
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার কি মনে হয় এর পর আর্মির রাস্তাঘাটে চড় মারা বন্ধ হবে? আমার কিন্তু সেটা মনে হয় না। আর্মির যে 'ব্লাডি সিভিলিয়ান' দাপট, সেটা এখনও থাকবে। হয়তো আরো বাড়বে। তবে, আর্মির উপর ক্ষোভ থাকায় বিডিআরের অপরাধগুলোকে হাল্কা করে দেখার কোন অবকাশ নেই।
মীরজাফরটা মেটাফরিকাল। দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করছে।
১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:১২
মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কিন্তু সেনাবাহিনীর অফিসারদের পক্ষ নিয়ে লিখিনি। আমি বলেছি এটা পদ্ধতি নয়। যেটা করেছে তারা, এখনতো একই ব্যবহার তারাও প্রত্যাশা করে। আবেগ তারাই আগে দেখিয়েছে।
বুঝেছি।
আমি বলছি সিস্টেম পরিবর্তনের কথা। বারবার কেন শুধু সেনাবাহিনীর সাথেই আনসার, ছাত্র,বিডিআর এর সমস্যা হচ্ছে।
এখন থেকেই চিন্তা না করলে পাকিস্তান হতে দেরী নেই বাংলাদেশের।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:১৬
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: সেনাবাহিনীকে নিয়ে কোন সরকার ঘাটায় না। এটাই সবচেয়ে বড় সত্য। সেনাপ্রধানের পরিবর্তন করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এ্যালার্ট হয়ে, তারপর করে। একটাই কারন, অস্ত্র ওদের হাতে। আর সেই অস্ত্র কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে মানুষকে, সেটা গতদুদিনতো আমরা দেখলাম। মন্ত্রীদের নিজেদেরও জানের ভয় আছে! এখনতো মনে হয় আরো বাড়বে।
১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:২৫
অচেনা আগন্তক বলেছেন: @শূন্য আরণ্যক - রাস্তায় মানুষকে চড় মারা, কান ধরে উঠ-বস করানোর দৃশ্য আমি ঢাকা শহরে আর্মি সেপাইদের সাথে বিডিআর সেপাইদেরও করাতে দেখেছি জরুরী অবস্হার সময়।
এক ব্লগারের ব্লগে আজ বলেছিলাম হুলিগানিজম আর বিদ্রোহ এক জিনিষ নয়, সেই কথাটাই আবার বলি (যদিও আমার কথাটা উনার পছন্দ হয়নি)। অপরাধীদের সঠিক বিচার হোক, এটা চাই। তবে অপরাধী সন্দেহে যদি বিডিআর সদস্যদের নির্বিচারে খুন করা হয় সেটা সমর্থন করিনা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪১
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: "অপরাধীদের সঠিক বিচার হোক, এটা চাই। তবে অপরাধী সন্দেহে যদি বিডিআর সদস্যদের নির্বিচারে খুন করা হয় সেটা সমর্থন করিনা।" - সম্পূর্ন সহমত।
১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:২৯
অচেনা সৈকত বলেছেন: অচেনা আগন্তকের সাথে সহমত।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪১
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: আমিও।
১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৩৮
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: একমত @ মোস্তফা মনির ...
@ অচেনা সৈকত --
ভাই ... আপনে আসলেই জিনিষটা ধরতে পারেন নাই
৭১ এ হাজার হাজার খান সেনা মানুষ মারসে এখন কি সবার বিচার করবেন ?
না ইয়াহিয়া, ভুট্টো , নিয়াজী , টিক্কা খান দের থু থু দিবেন?
এই ঘটনা গুলির নেপথ্য থেকে যারা চালায় তাদের ঘৃনা করছি ..
আর এইটা বের হলো ... কেউ ই ধরা ছোয়ার বাইরে না
যারা উন্নত শরীরের উন্নত মস্তকে আমার মতো সাধারন মানুষকে পা দলিয়ে দেয়ার চিন্তা এক সেকেন্ডর ও দ্বিধা আসে না
তাদের আমি বলি দেখ এবার -- তুমি ও আমার নাগালেই
বিশেষ করে মউন ইউ সাহেবের তো তুলনাই নাই ... ট্রেনটা কে ট্রেকে তুলে -- ট্রেনের মাল সামান পকেটে ভরে বেশ আরামেই আসেন বস!
@ নিয়াজ .......... দিস ইজ আ লেসন ফর ব্লাডি আর্মিজ দোজ সোয়াইনজ হু সেইস "ব্লাডি সিভিলিয়ানজ"
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪৩
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: সিভিলিয়ান মেরে সিভিলিয়ানদের পক্ষে লেসন দিল বিডিআর? এর থেকে বড় আয়রনী আমি জীবনে খুব কম শুনেছি।
১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪০
মিছে মন্ডল বলেছেন: সহমত। ব্লগের সস্তা দেশপ্রেম ও রাজনীতি দেখানোদের প্রতি রইলো চরম ঘৃণা....
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪৫
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আর্মি অফিসারদের যদি অপরাধ খুঁজে পাওয়া যায়, সেটার জন্য বিচার হবে। তাই বলে গনহারে নির্বিচারে অফিসার হত্যা এবং পরিবারের উপর নির্যাতন মেনে নেয়া যায় না। এটাকে অন্তত দেশপ্রেম বলে না।
১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪৮
তর্পন বলেছেন: একাত্তর বা মীরজাফর বা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সঙ্গে এই বিডিআর বিদ্রোহের সম্পর্ক কোথায় বুঝি নি ।
১. "...তোমরা যা করে এসেছিলে ৭১-এ, সেটাই আমরা করে দেখালাম ২০০৯-এ.."
আপনার মাথা ঠিক আছে তো? একাত্তরের নিরিহ বাংলাদেশীদের সাধারন মানুষের উপর ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকান্ড, লূন্ঠন, ধর্ষণের সঙ্গে বিডিআর এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্তর্কোন্দল এবং হত্যাকান্ডের তুলনা শুধু অন্যায়ই না বরং আপত্তিকর । বিডিআর বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী বাহিনী ।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তত্কালীন ই.পি.আরের অবদান অনস্বীকার্য। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ আছে কিন্তু এখানেও রয়েছে অনেক দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা ।এখন
বি্ডিআরের বিদ্রোহের কারন দেশের ক্ষমতা নয়, তাদের বেঁচে থাকার জন্য দু খন্ড রুটি, সংসার চালানোর জন্য কিছু অর্থ আর দুর্গম এলাকায় ডিউটিতে যাবার জন্য পুরনো জীপ । দীর্ঘ দিনের পুন্জিভূ ক্ষোভের মাথায় এরা সহকর্মী সেনা কর্তাদের হত্যা
করে যা করেছে তা কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। কিন্তু তাদের কে হানাদার পাকিস্তানবাহিনীর বা মীর জাফরের সঙ্গে তুলনা নিন্দনীয় ।
২. "..অথচ কাল আমি সেই পাকিস্তানী/ভারতীয় ছেলেগুলোর সামনে দাড়াতে লজ্জা পাবো।..."
এত লজ্জার কী হল? বাংলাদেশের ভিতরের সমস্যা, এটা আমাদের নিজস্ব সমস্যা । অন্যদেশের নাক গলানোর দরকার অনাকাংক্ষিত । আমি বরং একটি পজিটিভ দিক দেখি । দেশের সদ্যনির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকার শক্তিপ্রয়োগ না করে রাজনৈতিকভাবে একে সামল দিয়েছেন । এখন বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপের কথা উঠছে । সেই শক্তি কে হবে? হয় ভারতের র অথবা পাকিস্তানপন্হী স্বাধীনতাবিরোধী চক্র!
৩. "..ক্ষেত্রে আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন ছিল, ওই যে ১২ বছরের মেয়েটা - সে কি দূর্নীতি করেছিল? যে নারীদের সাথে তারা লাঞ্ছনাকর আচরন করলো, তাদের দোষটা কোথায় ছিল?.."
কে বলেছে এটা? সামহোয়ারের আগের পোস্টগুলো পড়ুন । এই নারী ধর্ষনর বিষয়টি সম্ভবত গুজব বা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছড়ানো হয়েছে । এটি নিয়ে কোন সংবাদ মাধ্যমে কিছু শোনা যায় নি।
৪. রকম ঘটনা ঘটানোর পর সাধারন ক্ষমা চাওয়ার ধৃষ্টতাইবা তারা কি করে দেখায় এবং সর্বপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী - আপনাকে সাধারন ক্ষমা করার অধিকারই বা কে দিল
বিদ্রোহের জন্য এমিনেস্টি পেয়েছে এরা । এই এমিনেস্টি হত্যা বা এধরনের গুরুত্বপুর্ণ অপরাধের জন্য প্রযোজ্য নয় । এতে কেউ খুনী প্রমাণিত হলে শাস্তি হওয়ার কথা । মাসকিলিং এর সাজা হয় না । আপনি হলে কী করতেন? ১৫০০০ জোয়ানের সবগুলোকে ফাঁসিতে ঝুলাতেন?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০০
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: ভাই, আপনার বুদ্ধিতে আমার লেখার অর্থ বোঝার সাধ্য নাই। অথবা বুঝেও আপনি বুঝতে পারছেন না। ২ নাম্বার পয়েন্টা ৭১-এ পাকিস্তান দেখিয়েছিল। আর ১ নিয়ে কিছু বললাম না। লজ্জা না থাকলে মানুষ লজ্জা পায় না, এটাই স্বাভাবিক।
তবে আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো আপনার হাতে অস্ত্র থাকলে আপনি বিডিআরের থেকেও বেশি ভয়াবহ হতেন।
১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০০
ঈশান৭২৮৫ বলেছেন: মোসতফা মনির সৌরভ এর সাথে একমত।
একটা পোস্ট এ পড়েছিলাম যে বিডিআরদের তৈরী করে আর্মীরা। সুতরাং তারা তাই করেছে যা এই পজিশনে আর্মীরা থাকলে করত। আমি আর্মী বিদ্বেষী নই আবার বিডিআর এর এইরকম নৃশংস হত্যাকান্ডের পক্ষেও নই। কিছু কিছু ব্যাপার তারা বাড়াবাড়ি করেছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে আর্মিদের সাথে যদি কেউ এইরকম করত। তাহলে তারা আরো আগেই এইরকম আচরন করত। এর নজির আগেই দেশ দেখেছে। তারা কি ক্ষমা করেছিল শেখ রাসেলকে? তারাও তো জ়িয়াউর রহমানকে এইভাবে ব্রাশফায়ার করে মেরেছিল। তাদের নীতিতে তৈরী সৈনিকরা তো তাদের মতই হবে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০২
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: খুব সহজ একটা প্রশ্ন করি - ধরুন আপনার ভাই মারা গেল গতকালের ঘটনায়। রাস্তায় হাটতে গিয়েই মারা গেলো। এবার এই পোস্টে আপনার মন্তব্যটা কেমন হবে?
১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১১
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: @নিয়াজ ... আপনে প্রতিটা প্রশ্ন ব্যাক্তিগত পর্যায়ে আনছেন কেন ?
আমার ভাইকে মারলে আমি ও কাদতাম .. হাতে অস্ত্র থাকলে প্রয়োগ করতাম ..
কিন্তু আমার ভাই যদি অন্যায়কারী হয় ... আমার কান্না দেখতে কে আসবে ?
প্রতিটা অপরাধীর মা - বোন ভাই -বাবা আত্নীয় স্বজন থাকে
তাই বলে তাদের কে কি সমাজ ছেড়ে দেয় ?
বিডিআর এর ঘটনাটা অন্যায় হয়েছে কিন্তু বিদ্রোহ কে কি দিয়ে রুখবেন আপনি ...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
এই কথাটা অন্তত স্বীকার করুন .. এই সব উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তারা এক একজন আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১৭
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: "এই সব উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তারা এক একজন আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে" - এটা কিন্তু আমি অস্বীকার করছি না। আমার পোস্টে আমি একবারও লিখি নাই তারা দূর্নীতি করেনি। আমার বন্ধুর সাথে আজ কথা হচ্ছিল, সে জিজ্ঞেস করলো ছেলেমেয়েদের কি হবে? আমার উত্তর ছিল, যে টাকা আছে, কয়েকজনম কেটে যাবে। এই বিষয়টা নিয়ে আমি আসলে কিছুই বলছি না। সেটা বিচারের বিষয়। তাছাড়া ব্যাক্তিগত পর্যায়েও নিচ্ছি না। আমি মানবতার দিকটা তুলে ধরছি। অনেকের মন্তব্যে মনে হচ্ছে রাস্তার কুকুর মারা হয়েছে। যদি দূর্নীতিই প্রধান কারন হয়ে থাকে, তাহলেতো দেশের প্রধানতন্ত্রীর নামেই অনেক কোটি টাকার মামলা আছে মিগ কেনা নিয়ে। তবে তাকে ভোট কেন দিল মানুষ? আমার মতে দূর্নীতি বা বিডিআর এখানে বাহানা। আর্মির প্রতি কিছু মানুষের ক্ষোভ আছে। সেটাই দেখাচ্ছে। সেজন্যই বললাম, যদি সেই লোকটা আমার আপনার ভাই হতো, তাহলেও কি এমনই করতেন?
১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১৯
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: ঘুমাতে গেলাম। কাল এসে নুতন মন্তব্যের উত্তর দেব। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে কারো মনে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন।
শুভরাত্রী।
১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৪১
রিসাত বলেছেন: আপনি এইখানে হত্যার যে বিবরণ দিলেন ইনফরমেশনের সূত্র উল্লেখ করেননি,,, কিছুতো লিংক দিতে পারতেন,,,
"মেয়েদের রেপ করে আর বাচ্চাদের ছাদ থেকে ফেলে মেরেছে।"
তাহলে কিছু আবার মুক্তি পেয়ে বলে কেনো যে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যাবহার করা হয়নি?
রাতের পর থেকে অনেক আর্মি অফিসারদের স্টেটমেন্ট পরিবর্তন হয়েছে,,, বিডিআরদের পিলখানায় আর ধানমন্ডির মাঠে আটকায় রাখা হইছে,,, আর আর্মিরা এমন সব তথ্য ফলাও করে বলতেছেন যাতে সহানুভুতি তাদের দিকে যায়,,,
এখান থেকে এই ভাবে কনক্লুশনে চলে যাওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১৪
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: আমি একটা কোটেশন মার্ক ব্যবহার করেছি। আশা করি সেটা নজরে এসেছে।
আর কিছু হোক বা না হোক, অন্তত হত্যার সমর্থন আমি করতে পারি না। আমার কনক্লুশনে যেতে এর থেকে বেশি প্রমান দরকান নেই।
২০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৪৭
রিসাত বলেছেন: বিডিআররা দেশের বাইরের কোন শক্তি না,,, লেখার সময় এই কথাটা মাথায় রাখবেন,,, তাদেরও পরিবার পরিজন আছেন,,,
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১৫
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: ঠিক এই কথাটাই বোঝাতে চেয়েছি। কুকুরের মত যে অফিসারদের মারা হলো, তাদের পরিবার পরিজন আছে। কমেন্ট করার সময় মনে রাখবেন।
২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৪৯
ঈশান৭২৮৫ বলেছেন: আমি সেটাকে এক্সিডেন্ট হিসেবেই মানতাম।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১৭
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার ভাই যেদিন মারা যাবে, জানাজায় আমাকে ডাকবেন। আমি আপনার হাসি মুখটা দেখতে চাই সেদিন। প্রতারনার সীমা থাকা উচিত। অন্তত এভাবে মন্তব্য করে নিজেকে হাস্যকর করে তুলবেন না।
২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৫
ত্রিভুজ বলেছেন: নিয়াজ ভাই, গত দুইদিন অনেক মানুষের আসল পরিচয় পেলাম। এই ভয়াভয় ঘটনার পরেও কত অবলীলায় লোকজন বিডিআর এর এই হত্যাকান্ডের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে...... কী বলবো!
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১৮
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: ত্রিভুজ ভাই, আমি নিজে আর্মির প্রতি ফেড আপ। তাই বলে তাদের যেভাবে কুকুরের মত ট্রিট করা হচ্ছে, অবাক হয়ে যাচ্ছি। কিছু মানুষতো বোধবুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন। আপনার উপরের মন্তব্যটা দেখুন।
২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৯
ঈশান৭২৮৫ বলেছেন: Click This Link
পড়ুন আশা করি আমার মনোভাব বুঝতে পারবেন।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:০২
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: পোস্টটা পড়ে ভালো লাগলো। সুন্দর লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:২৬
অচেনা সৈকত বলেছেন: হ্যাটস অফ টু মীরজাফর। বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক। কিছু বলার নেই আর।