![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(অক্ষ্যাত হাতের লেখা। পুরো গল্প পড়ার ধৈর্য্য
হয়তবা কারো হবে না। তারপরও দিলাম।)
কিছু মানুষ আছে, রাত জাগা যাদের অদ্ভুদ রকমের নেশা হয়ে দাড়ায়। এদের একটি স্বর্ণালী অতীত থাকে, অতীতের
রাতগুলোর অনেক ইতিহাস থাকে। একসময় এদেরকে মোবাইলের অপরপ্রান্তে একজন স্বপ্ন দেখাতো। আর এরা স্বপ্ন দেখতো
গভীর রাতে, না ঘুমিয়ে। এদের স্বপ্নটা জেগে জেগেই দেখতে হয়। কোন একদিন মেয়েটা স্বপ্ন দেখাত ছেলেটাকে।
-এই জান শোন আমাদের কিন্তু প্রথম বেবি টা মেয়ে হবে বুচ্ছো।
ছেলে আমার একদম পছন্দ না। আর যদি টু ইন ওয়ান বেবি
হয় তাহলে তো আরো ভালো। আর জানো
আমার না অনেক ইচ্ছা যে আমার টু ইন ওয়ান
বেবি হবে তাও আবার মেয়ে।
-কিন্তু যদি ছেলে হয়? (ছেলেটা)
-ছেলে হলে আমি আদরই করব না। তোমার কাছে থাকবে।
সব সময় তুমি দেখাশুনা করবা।
-এটা কোন কথা হল?? আচ্ছা ঠিক আছে
আমাদের ছেলের দরকার নেই। আমাদের
মেয়েই হবে। এবার ঠিক আছেতো?
-হমমম ঠিক আছে..। আর আমাদের
দুটো মেয়ে হলে কি নাম রাখবো জানো
'ঐশর্য্য আর প্রাচুর্য্য'।
-হমমম জানি তো সোনা।
-আর শোন আমরা কিন্তু শহরে থাকবো না।
শহর আমার একদম ভালো লাগে না। গ্রামে
আমাদের ছোট্ট একটা বাড়ি হবে। বাড়ির
সামনে ছোট্ট বাগান থাকবে, প্রথম ফুলটা
তোমার জন্য।
-না। তোমার জন্য।
-আচ্ছা আমার জন্য। ভরা পূর্নিমায় তুমি
আমার খোপায় গেথে দেবে ফুলটা। আর
আমি তোমার কাধে মাথা রেখে সারারাত
বাগানে বসে চাঁদ দেখবো।
এমন অনাগত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে দেখতে রাত গভীর হয়, কখনও সকাল হয়ে যায়। তারপর, একসময়
শুরু হতে থাকে অবহেলা। সম্পর্কটা ভাঙতে একজনই যথেষ্ঠ হয়ে দাড়ায়। প্রিয়জন চলে যায়,
কিন্তু রাতজাগা অভ্যাসটা থেকেই যায়। এদের রাত যখন গভীর থেকে গভীরতর হয়, মস্তিষ্কে তখন আবেগ ভর করে।
এরা ইনবক্সের এসএমএস গুলো নীরবে পড়তে শুরু করে। পরক্ষণেই প্রিয়জনের ফেসবুক আইডিটাতে ঘাটাঘাটি শুরু হয়।
দমকা বাতাসে স্মৃতির জানালাটা খুলে যায়। বিগত দিনে ঘুড়তে যাওয়া বৃষ্টিস্নাত বিকেলটার কথা মনে পড়ে, লজ্জ্বায় লাল
হওয়া প্রিয়জনের মুখটা রাতের আধারেই ভেসে উঠে।
""তার বিশ্বস্ত মানুষটার অন্য কোন বিশ্বস্ত মানুষ আছে, কথাটা বিশ্বাস করতে তার আর কিছু বাকি থাকে না।""
ভাবতেই পারে না, ও যাকে ভাবছে সে অন্য কাউকে নিয়ে ভাবছে। ও যার একটু টেক কেয়ার আশা
করতো সে এখন অন্য কারো কেয়ার করতে ব্যস্ত। যে চোখ দিয়ে আগে স্বপ্ন দেখতো,
হঠাৎ সেই চোখ দুটো থেকে দুই ফোটা পানি বালিশে গড়িয়ে পড়ে বুঝতেই পারে না।
সকাল হয়, বালিশের পানি শুকিয়ে যায়। শুধু সেই স্বপ্নের পদচিহ্ন গুলো থেকে এক গভীর
ক্ষত অনুভব করে। যে ক্ষত হৃদয়ের অনেক গভীর থেকে গভীরতরে। সেই মানুষটা ছারা
আর কেউই জানতেই পারেনা কোনদিন। আবার রাত আসে। যে রাত গুলো একেকটা
তীরের ফলা হয়ে হৃদয়টা ক্ষত করে দেয়বারবার। যে পদচিহ্নের ক্ষত সারিয়ে উঠতে
উঠতেই তার জীবনের গন্ডি পেরিয়ে যায়।
#ছবিঃ গুগল
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২০
এন.আর মাহমুদ বলেছেন: সে জন্যে আন্তুরিক ভাবে দুঃখিত। তবে সত্যি টা না বললেই নয়, আপনার মন খারাপ করাটাই আমার লক্ষ ছিল। তাই শুনে ভাল লাগলো। মন্তব্য করার জন্য অসংখ ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩
চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: রাতের বয়সে স্মৃতিরা বাড়ে।
ভাল।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৫
এন.আর মাহমুদ বলেছেন: একটু হলেও যদি ভাল লেগে থাকে, সেটাই আমার পরম ভাল লাগা।
কষ্ট করে পুরোটা পড়ে মন্তব্য করার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫১
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর লেখা।
+++
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৭
এন.আর মাহমুদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রানিত হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৫৭
অন্তহীন আকাশ বলেছেন: দিলেন তো মন টা খারাপ করে