![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান সময়ের পিড় দরবেশ এবং তাদের কার্যকলাপ আমি একদমই সহ্য করতে পারিনা।
খাজা বাবা নামে আমাদের দেশে একজন পিড় আছে খুব জনপ্রিয়,
না না আমি ওনার গুনগানতো গাইবোইনা ওনার সমারোচনাও করবোনা, আমি শুধু আমার গ্রামের একজনের অতি পির ভক্তির কিছু নমুনা শেয়ার করবো -
এই জন্য যে ঃ
১. ওনার বাড়ি সিমানা ঘেষে একটা মসজিদ ওনাদেরই বাবা দাদার সম্পত্তির মাঝে ওনাড়াই প্রতিষ্ঠিত করেছে, বাট ওনি এক ওয়াক্ত নামাজ ও এই মসজিদে পরে না, নিজে ঘরে পড়ে, মসজিরে আসে পাশে থাকলেও আজান শোনার সাথে সাথে বাড়িতে ঢুকে যান।
২. কোন এক রমজান মাসে উনি ওনাদের প্রতিষ্ঠিত মসজিদে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন, সবাইকে ইফতার করিয়েছেন নিজেও করেছেন বাট ইফতার শেষে উনি নামাজটা নিজের ঘরে একা একা পড়েছেন।
(এই জন্য এলাকার ছোট ছোট পোলাপাই ওনাকে সুরে সুরে "খাজাবাবায় ইস্তারি (ইফতার) করে নামাজ পড়েনা" বলে খেপায়"
৩. উনি দুনিয়ার যে প্রান্তেই থাকেননা কেন শুক্রবার জুম্মার নামজটা উনি ওনার খাজাবাবার পাক দরবার শরিফেই ফড়বেন।
৪. কিছু দিন আগে ওনার বড় ছেলের বিয়ে হয়েছে, সাধারনত গ্রামের বৌ ভাতে ৩/৪ শত মানুষ দাওয়াত করা হয়, ওনি ৮ শত মানষ দাওয়া করেছেন, এই টা বিষয় না বিষয় ছিলো অন্যে খানে এবঙ একাধিক
ক. ওনি এতগুলো মানুষ রেখে খাজাবাবার পাক দরবাস শরিফে নামাজ পড়তে চলেগিয়েছেন, এবং এসেছেন প্রায় সবাই চলে যাওয়ার পড় (দুরত্বের কারনে)
খ. সবাই খাওয়ার আগে কিছু খাবার পাঠিয়েছেন খাজাবাবার দরবারে, আগে বাবা খাবে পড়ে মেহমানরা
গ. ওনার স্ত্রী মেহমানদের কে বার বারই বলছিলেন আপনারা সবাই নিয়ত করে খাবেন (কি বুঝাতে চেয়েছেন সবাই নিশ্চই বুঝতে পেড়েছেন)
(বিয়ের ওনার মেয়ের জামাই ওনাকে ফোন করে বল্লেন জিজ্ঞাসা করলেন
- আপনি কোথায়?
- আমি খাজাবাবার পাক দরবার শরিফে আছি
- আপনি পাক দরবার শরিফে নাই আপনি নাপাক দরবার শরিফে আছেন
- ছি ছি বাবা এইটা কি বলো?
- নিজের ছেলের বিয়েতে বাড়িতে এত মানুষ রেখে আপনি যে শরিফে পড়ে আছেন সেটা পাক দরবার কিভাবে হয়? )
৫. একদিন সি.এন.জি তে যাওয়ার সময় সি.এন.জি নষ্ট হয়ে যাওয়া ওনার বক্তব্য "বাবার দরবারে যাচ্ছি একটা নষ্ট হয়েছে তাতে কি বাবা আরেকটা অবশ্যই পাঠিয়ে দিবেন"
৬. ঈদে কোরবানি দেয়ার জন্য ওনি সব সময় ২ টা গরু কিনেন, একটা নিজের অন্যটা বাবার জন্য , কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ঈরে দিন ওনি এবং ওনার প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে দুজনই বাবার আস্তানায় চলেযান গরুনিয়ে এবং সারা দিন ওখানেই থাকে, বিপত্তি হয় বাড়ির গরু কাটার জন্য কাউকে রেখে যেতে পারেন না, মহল্লাবাসি সবাই থাকে নিজেদের কাজ নিয়ে, ওনার স্ত্রী মেয়েরা মহল্লবাসিদেরকে প্রায় হাতে পায়ে ধরে কাজ গুলো করিয়ে নেন।
৭. ওনার বেডরুমের দেয়ালে ওনার পিড়বাবার বিশালাকার ছবি টানানো থাকে তাছাড়া ওনার বাড়ির দেয়ালে একটা বিজ্ঞাপনের পোষ্টার লাগানোর জায়গা অবশিষ্ট নাই ওনার পিরবাবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পোষ্টারের জন্য।
এমন আরো অনেক বিষয় আছে। আমি জানিনা ওনার পিড় বাবাই ওনাকে এসব করতে বলে নাকি ওনার অতি ভক্তির প্রতিফলন এই গুলো।
খাজাবাবার ভক্তযারা আছেন রেগে যাবেন্না প্লিজ, আমার ভুল হলে সেটা শুধরে দেবেন আশা রাখি
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
এন ইউ এমিল বলেছেন: আমি ভাল লিখতে পাড়িনা কখনোই,
আপনার লেখাটা অবশ্যই পড়বো
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৮
জুময়া ইবনুল আসোয়াদ বলেছেন: ভা্লই হয়েছে ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩২
এন ইউ এমিল বলেছেন: ভাল মন্দ যাই হউক বিষয়টা সত্য
ওনি এখন নিজের নামের চেয়ে খাজা নামেই বেশি পরিচিত
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: ব্যবসা হিসেবে কিন্তু মন্দ না।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
এন ইউ এমিল বলেছেন: তাইতো মনে অইতাছে
৪| ১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
হাসান বিন নজরুল বলেছেন: আমার কিছু মাজারি বন্ধুকে ভালো জায়গা খুজে রাখতে বলেছি...আমি মরলে যেন এই মহান রয়ালিটি ব্যবসায়ের হাতেখড়ি করতে পারে
এদের বাবা কোথায় যাবে ঠিক নেই আর বাবার দালালি করে এরা কোথায় যেতে পারে!
১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮
এন ইউ এমিল বলেছেন: এদের বাবা কোথায় যাবে ঠিক নেই আর বাবার দালালি করে এরা কোথায় যেতে পারে!
একেবারে সঠিক
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
সাদা মনের কালো মানুষ বলেছেন: আমি লিখেছিলাম এটা নিয়ে! পড়ে দেখবেন!! ভালোই লিখছে আপনি!! ধন্যবাদ!!
Click This Link