![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"আহ! এত্তো রাগ হয়েছে বুঝি? কি করবো,এমন হুট করে আসতে হলো! পেশাগত কাজের কি আর সময় জ্ঞান থাকে? তাছাড়া তোমার অফিস? গতবার তো ছুটি নিতে পারোনি...কি ভীষণ মন খারাপ করে বাসের টিকিট ফেরত দিতে হয়েছিল, মনে আছে? খুব রাগ হয়েছিল তখন......তোমার পাশে বসে পাহাড়ের চূড়ায় সূর্যাস্ত দেখা হলোনা। তুমি সব অপরাধের বোঝা মাথায় নিয়ে সারাক্ষণ আমার পাশে পাশে ঘুরলে। কি অদ্ভুত রকম মায়াময় লাগছিল তোমার মুখটি....আমি সব ভুলে গেলাম।
সারাটাদিন খুব কাজের ভিতর থাকতে হচ্ছে। এখান হতে ওখানে শুধু ছুটোছুটি। খাওয়া দাওয়া সব চুলোয় যাচ্ছে। মনে করিয়ে দেয়ার মতোও তো কেউ নেই। আমি জানি শুধু সেই চিন্তায়, নেটওয়ার্কের অপেক্ষায় কিছুক্ষণ পরপর আমার নম্বরগুলি ডায়াল করেই যাচ্ছো। তোমার অসহায় মুখটা ভেবে তখন যে কি ভীষণ কষ্ট হয় আমার! ইচ্ছে করে আলতো করে তোমার গাল ছুঁয়ে দেই....শক্ত করে জড়িয়ে ধরি আমার বুকে।
রাত তিনটা বাজে। পাহাড়ের বেশ উঁচুতে উঠে ক্যামেরার ফোকাস ঠিক করছি...অন্ধকার আকাশের জ্বলজ্বলে তাঁরার ছবি তুলতে গিয়ে মনে হলো, আমার তাঁরাটা কতো দুরে একাকী ঘুমিয়ে আছে! খুব ইচ্ছে হলো ঘুমন্ত মুখটা একটি বার দেখি...ফোনটা রিং হয়েই কেটে গেলো। আমার মায়াবতীর মুগ্ধ কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম না। আকাশ ভরা তাঁরার ভিড়ে নিজেকে খুব একা মনে হলো, বিশাল আকাশের নিচে নিজেকে মনে হলো একদম শূন্য। তুমি নেই, তো সব অন্ধকার....."
ইতি
"ছেলেটি"
উড়ো চিঠি - তিন
ঊড়ো চিঠি - এক পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ঊড়ো চিঠি - এক
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৪৫
নুদরাত নিসা বলেছেন: ধন্যবাদ...
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:০৫
নীল বর্তনী বলেছেন:
দারুণ হয়েছে .।.।
ইতি,
কেউ না।