![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"এখনও কি মান ভাঙেনি আমার অভিমানীর? সেদিনের পর থেকে আর ফোন করার সুযোগ পাইনি। এতো বড় একটা প্রজেক্ট এতো অল্প সময়ে করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। থিম ঠিক করা থাকলেও কেন জানি ছবিগুলো মন ছুঁতে পারছেনা। বেস্ট শট টা এখনো পাইনি। কেমন যেনো অস্থির বোধ হচ্ছে। কখনও তো হয়নি এমন! তুমি নেই তাই কি?
আমাদের থাকার জায়গাটানা দারুণ! পাহাড়ের ঠিক উপরে ছোট্ট একটা বাড়ি। চারখানা ঘর, একদম ছবির মতো। ভোরে চোখ খুলেই তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে....তোমার গালে লেগে থাকা ভোরের আলো ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে হয় তোমাকে পাশে বসিয়ে সূর্যোদয় দেখি। মুগ্ধ চোখের তোমাকে যে কি ভীষন সুন্দর লাগে! সূর্যোদয়ের পাশে তোমার মুগ্ধতা! আহা!! হাজার বার প্রেমে পরতে পারি আমি....
মুগ্ধ হওয়ার গল্প কিন্তু আমারও আছে। মনে পরে, অর্নবির হলুদের দিন? আমার এইসব ইভেন্ট একদম পছন্দ নয় তা তুমি জানো, তবু এই পাগলী বান্ধবীর নিমন্ত্রণ অগ্রাহ্য করার সাহস আমার ছিলোনা। চারপাশে সুন্দরী রমনীদের সাজসজ্জার ঝলমলে আলো। হঠাৎ দরজা ঠেলে তুমি এলে। সবুজ শাড়িতে কি অদ্ভুত সুন্দর লাগছিল তোমায়। যেন প্রকৃতি শাড়ি হয়ে তোমার সাথে মিশে আছে। তুমি ঢুকেই কার সাথে যেনো হাসতে হাসতে বলছিলে, " সাজতে একদম সময় পাইনি..."। আর কিছু শুনতে চাইনি...শুধুই দেখছিলাম। খোলা চুল, চোখে গাঢ় কাজল, হাত ভর্তি লাল কাঁচের চুড়ি,আর তোমার সেই জ্বলজ্বলে নাকফুল.... ব্যস এইটুকুই। মানুষের ছবি তোলায় বরাবর অনীহা আমার। তবু মনে হয়েছিল, এই মুহূর্তে যদি ক্যামেরাটা থাকত! আমার মুগ্ধতার গল্পটিকে সারাজীবন বন্দী করে রাখতাম...
মাঝরাতে খুব ঠান্ডা পরে এদিকে। তোমার দেয়া সেই ক্রিম কালারের পাতলা শালটাই সম্বল। তাই গায়ে জড়িয়ে বের হয়ে এলাম। কি অন্ধকার চারপাশে! তবু যেন ঠিক দেখতে পেলাম, সেই সবুজ শাড়িটি পরে বসে আছো। তোমার খোলা চুল বাতাসে উড়ছে...আমি নিঃশব্দে তোমার পাশে গিয়ে বসলাম। একটুও অবাক না হয়ে পাশ ফিরে মুচকি হাসলে, আলতো করে হাত রাখলে আমার হাতে। আহ! কি শীতল তোমার হাত! কি সুন্দর এই অন্ধকার!"
ইতি
"ছেলেটি"
পরবর্তী পোস্ট:
উড়ো চিঠি - পাচ
পূর্ববর্তী পোস্ট:
উড়ো চিঠি - তিন
©somewhere in net ltd.