![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ছি ছি!! প্রথম পরিচয়ে কারো কখনও এরকম অসভ্য ইচ্ছে হয় বুঝি! নির্লজ্জ নাতো কি! যদিও ইচ্ছেটা পুর্ণ হতে তোমার সময় লেগেছিল প্রায় আট মাস। ভালোবাসি বলার পর প্রথম যেদিন আমরা দেখা করেছিলাম, সেই কাঁচের দেয়াল ঘেরা কফি হাউসটায়। মনে আছে? খুব বৃষ্টি ছিল সেদিন...আধ ভেজা আমি এসে দেখি তুমি বসে আছো। কি অদ্ভুত মিষ্টি করে হেসে দিলে আমায় দেখে...একটুও জড়তা নেই। অথচ আমার কি ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছিল! মনে হচ্ছিল একদম নতুন কারো সামনে, একদম নতুন আমি। শীতে কাপছিলাম ভীষণ....তাই গরম কফি এগিয়ে দিলে। কফির কাপে চুমুক দিতেই ঠোঁটের কোনে লেগে গেলো সফেদ ফেনা। তুমি আলতো করে সরিয়ে দিলে আংগুল দিয়ে। তোমার প্রথম সপর্শ.... আমি আবারো কেঁপে উঠলাম !
তোমার সবকিছুই খুব অদ্ভুত! সবাই প্রথম হাত সপর্শ করে, তুমি করলে ঠোঁট। সবাই জ্বর দেখতে কপালে হাত দেয়, তুমি দাও গলায়! কতোদিন জানতে চেয়েছি কেন? শুধু মুচকি হেসে এড়িয়ে যাও। তোমার গম্ভীর কন্ঠের হাসির গল্পে সবাই হেসে খুন...কিন্তু তুমি নির্বিকার সিগারেট ফুঁকতে থাকো। আবার কখনও খুব সাধারণ কথায় হো হো করে বিকট শব্দে হেসে উঠো! আমি বার বার সেই শব্দের প্রেমে পরি। অদ্ভুত তোমার প্রেমে অন্যরাও যে বাঁধা পরে যায়, তা আমি দিব্যি টের পাই। আর তাইতো শৈলীকে নিয়ে এতো ভয় ছিল। কেন জানি, ওর প্রতি তোমার নির্লিপ্ততা এড়িয়ে গিয়ে, তোমার প্রতি ওর আগ্রহটাই চোখে পরতো। আর মনে বাজতো " ওহে হারাই হারাই সদা হয় ভয়...."
গতকাল থেকে এখানে খুব বৃষ্টি হচ্ছে। অফিস যাওয়ার পর যে শুরু হলো, আর থামার কোনো নাম নেই। বুঝতেই পারছো ছাতা নেইনি। ভাগ্যিস কলিগ রাবেয়া আপু, গাড়িতে করে অনেকদুর পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছিলো! তবুও বাকি রাস্তায় রিক্সার খোঁজ করতে গিয়ে প্রায় কাক ভেজা হয়ে বাসায় ফিরেছি। বাবাতো আমাকে দেখে পুরাই অস্থির। তুমিতো বাবাকে চেনো, অল্পতেই ঘাবড়ে যান। রাতে হালকা একটু গা গরম দেখে তখনই নির্দেশ দিলেন,"কাল অফিস যাবেনা কিন্তু।" আমাকে নিয়ে যে কেনো এতো চিন্তা বাবার! রাতে মাইগ্রেনের ব্যথাটা আবার উঠলো অনেকদিন পর। তোমার দেয়া আশুতোষের " সোনার হরিণ নেই" বইটির পাতা উলটে আবার রেখে দিলাম। চোখে ঘুম নেমে এলো....
মাঝরাতে দুঃস্বপ্ন এলো। দেখলাম আমি অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছি...তুমি হাত বাড়িয়েও আমাকে ছুঁতে পারছোনা। প্রচন্ড ভয়ে ঘুম ভেঙে গেলো...সারাটা শরীর ভিজে গেলো ঘামে। বুক ধড়ফড় করতে থাকলো। পানির গ্লাসটাতে ঠোঁট ছোঁয়াতেই ফোনটা বেজে উঠলো.... তোমার নামটা জ্বলজ্বল করে উঠলো স্ক্রিনে। আমার সব ভয় নিমিষেই মুছে গেলো। কি করে জানলে তুমি!! কানে নেয়ার শক্তি ছিলোনা, স্পিকারটা অন করলাম। বেজে উঠলো ভরাট সুন্দর তোমার কন্ঠ," হ্যালো.... জলকন্যার ঘুম ভাঙিয়ে দিলাম নাকি?" আমার সব শান্তি আবার ফিরে এলো। অনেকদিন পর আমরা ভোর পর্যন্ত কথা বললাম! আহ! কি ভীষন ভালোলাগা! কি সুন্দর সকাল! শান্তি নেমে এলো আমার দু'চোখে..."
ইতি
"মেয়েটি "
পূর্ববর্তী পোস্ট:
উড়ো চিঠি - ছয়
২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১৯
নুদরাত নিসা বলেছেন: চেষ্টা করছি আর কি :p
সাথে থাকবার জন্যে, ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫০
ঋতো আহমেদ বলেছেন: আবারও ভালো লাগা রইল 'উড়ো চিঠি'তে