![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ৪৮ ঘণ্টায় ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে আবারও এক বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। ১৯ জুন পর্যন্ত যে কূটনৈতিক আলো দেখাচ্ছিল, তা ২০ ও ২১ জুন এসে অন্ধকারে ডুবে যাচচে।
প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ইরানের বহু শীর্ষ সামরিক সিদ্ধান্তগ্রহণকারী নিহত হন এবং বিমানঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারায়। ইসরায়েল কার্যত পুরো ইরানের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। কিন্তু ইরানের সহনশীলতা এবং জবাবি প্রস্তুতি সবাইকে চমকে দেয়। একের পর এক ব্যালিস্টিক মিসাইল, ড্রোন ও নতুন প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবহার করে তারা প্রমাণ করেছে এই যুদ্ধ তারা বহু আগে থেকেই দীর্ঘমেয়াদি রূপ দেওয়ার পরিকল্পনায় ছিল।
ইসরায়েল তাদের ইতিহাসে এই প্রথম এত ভয়াবহ ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। মূল ভূখণ্ডে সাধারণ মানুষ ভীত ও আতঙ্কিত। বহু মানুষ সাগরপথে দেশ ছাড়ছেন। শত শত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে গিয়ে ‘আয়রন ডোম’ ও ‘ডেভিড’স স্লিং’-এর মতো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন চাপের মুখে। প্রতিটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে যে ব্যয় হচ্ছে, তা ইরানি হামলার ব্যয়ের ৫–৭ গুণ বেশি। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক দিক থেকেও ইসরায়েলের পক্ষে দীর্ঘমেয়াদে এই প্রতিরক্ষা কৌশল টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তবুও, এখনো পর্যন্ত সাধারণ ইসরায়েলিরা বিশ্বাস করে এই হামলা ছিল প্রয়োজনীয়। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে বড় ভাইয়ের সহায়তার জন্য।
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না। তবে সামরিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, এই সময়েই বাংকার ব্লাস্টার বহনকারী B2 বোমারু বিমান গুয়াম বা দিয়েগো গার্সিয়ায় পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ, মার্কিন সামরিক প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ, এখন শুধু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। ইতোমধ্যে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পকে শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য এই সংঘর্ষে এখনো কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছে। জেনেভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ রাখাকে একটি শর্ত হিসেবে উত্থাপন করা হয়েছে। যদিও কিছু অগ্রগতি হয়েছিল, তবে সেই মুহূর্তেই ইসরায়েলের বিমান হামলা আবারও পুরো পরিস্থিতিকে উল্টে দেয়। জার্মানির চ্যান্সেলর প্রকাশ্যে বলেন ইসরায়েল পশ্চিমা স্বার্থে কাজ করছে।
চীন এই সংকটে এখনো পর্যন্ত কৌশলগত নীরবতা বজায় রেখেছে। সরকারি বিবৃতিতে তেমন কিছু না এলেও, কূটনীতির পেছনের পর্দায় চীনের তৎপরতা একেবারে গায়েব নয়। গুজব রয়েছে, চীনের কয়েকটি সামরিক বিমান ইরানে অবতরণ করেছে তবে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
রাশিয়া একাধিকবার বার্তা পাঠিয়েছে যা ইঙ্গিত দেয় তারা এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। তবে তারা ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িত থাকায়, বাস্তব সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তারা নিজেদের স্বার্থ হিসেব করেই অগ্রসর হবে।
সব মিলিয়ে ১৯ জুনে শুরু হওয়া আশার আলো ২১ জুনে এসে প্রায় নিভে গেছে। যুদ্ধ এড়ানো যাবে কিনা, তা নিয়ে এখনো কোনো নিশ্চিত বার্তা নেই। পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে হয়ে উঠছে, এবং যেকোনো সময় আবারও বড় মাত্রার সামরিক সংঘাত শুরু হতে পারে।
২| ২২ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:১৩
আমি নই বলেছেন: আমেরিকা এ্যটাক করেছে, পাকিস্তান সম্ভবত বিক্রি হয়ে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে আর একটা দির্ঘ মেয়াদী যুদ্ধের শুরু হল মনে হচ্ছে। ইরানের প্রক্সিগুলোকে এ্যাকটিভ করলে যুদ্ধ ছরিয়ে পরা ঠেকানো অসম্ভব।
৩| ২২ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৩৬
ফারমার২ বলেছেন:
পাকিস্তান ট্রাম্প থেকে ডলার পাবে না।
পাকিস্তান থেকে ইরানে মুজাহিদ যেতে পারে; সেটা ঠেকানোর জন্য ২/১ পয়সা পেটে পারে।
৪| ২২ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৭
ফারমার২ বলেছেন:
ইরানের এটোমিক সশা বলেছে, এটোমিক প্রোগ্রাম চলতে থাকবে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় বুঝা যাবে ইরান কি করবে!
৫| ২২ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইরানের সমস্ত পারমানবিক স্থাপনা সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
ভুল গোষ্ঠীর কাছে পারমানবিক অস্ত্র থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক, আশা করা যাচ্ছে এখন থেকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরে আসবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০২৫ ভোর ৫:৪৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইরান কারবালার আদর্শে উজ্জীবিত। একেবারে শেষ হয়ে গেলেও তারা নতি শিকার করবে না। তবে কেয়ামত বিলম্বিত হওয়ার জন্য ইরানের জয়ের দরকার আছে।