নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উদসীন সরকার, নির্বিকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী,আগ্রাসন দেশীয় বস্ত্রশিল্প । গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চলছে নির্বিকার ।

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৮

বাংলাদেশে বার্ষিক অর্থনীতির আকার প্রায় চৌদ্দ লাখ কোটি টাকার। শুধুমাত্র পবিত্র রমযান মাসেই সার্বিক অর্থনীতিতে যোগ হয় সোয়া এক লাখ কোটি টাকা। আর ঈদ উপলক্ষে অর্থনীতির সবচাইতে বড় চালিকা শক্তি হলো পোশাকের বাজার।
কিন্তু আত্মঘাতী ও সর্বনাশা বিষয় হচ্ছে- ঈদ উপলক্ষে আমাদের দেশের পোশাকের বাজারটি প্রায় পুরোটাই ভারতীয়দের দখলে। বৈধ-অবৈধ বিভিন্ন পথে ভারতীয় পোশাক আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করছে।
গরুতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশের ঈদের বাজারে সেমাই-মসলা থেকে শুরু করে জামা-কাপড়সহ সব পণ্যেই ভারতের প্রাধান্য। মফস্বল শহর, বিভাগীয় শহর, রাজধানী শহর, সকল জায়গায় মার্কেটগুলোতে ভারতীয় নিম্নমানের পোশাকের ছড়াছড়ি। ভারতীয় নাটক-সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রের শিল্পীদের নামে এসব পোশাক বিক্রি হয়।
ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার প্লাস ও স্টার জলসা-এর সিরিয়ালের নামে ও হিন্দি সিনেমার নামে বাজারে এসেছে অনেক পোশাক।
জানা গেছে, তিসমার খান, ওহ মাই গড, আশিকি-২, বডিগার্ড, রা ওয়ান- এসবই বর্তমান ভারতীয় হিট সিনেমার নাম। আর এসব হিট ছবির নামে পোশাকের নাম। ভারতের মুম্বাইয়ের হিন্দি হিট ছবির নামের পোশাকে ছড়াছড়ি ঢাকার ঈদ বাজারে। ভারতীয় হিট ছবি ও সিরিয়ালের নামের মোহে বিকিকিনি হচ্ছে!
সরকারের উদসীনতার কারণে বস্ত্রখাতে ভারত এদেশের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। দেশীয় বস্ত্রশিল্পকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চলছে। ভারতীয় বস্ত্র আসা বন্ধের জন্য সরকারের কাছে বছরের পর বছর ধরে ধর্ণা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
বৈধ-অবৈধ পথে আসা এসব পোশাক দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিকার। আকাশ সাংস্কৃতির নামে ভারতীয় টিভির সিরিয়াল, কার্টুন ও হিন্দি সিনেমার দিকে শিশু-তরুণ-তরুণীদের ঝুঁকে পড়ায় যেমন দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি-কৃষ্টি উপেক্ষিত হচ্ছে, তেমনি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করায় দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার এবং সেটা বেড়েই চলেছে।
আর ঈদ বাজারকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ‘বিক্রির পর দাম পরিশোধ’ করার শর্তে পণ্য দেয়ায় দেশের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ঝুঁকছে সেদিকেই বেশি। বিক্রেতারা নিয়ে এসেছে স্টার জলসা’য় প্রচারিত ‘কিরণমালা’ সিরিয়ালের নামকরণে ঈদের ‘কিরণমালা জামা’। বংলাদেশের মেয়েদের ভারতীয় সিরিয়াল দেখার দুর্বলতা বুঝতে পেরে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বলিউডের তারকা আর ভারতীয় সিরিয়ালের নায়িকাদের নামে পোশাকের নামকরণ করে। প্রতিটি পোশাকে লাগানো হয়েছে ভারতীয় নায়িকাদের ট্যাগ। যেমন- আনারকলি, আশিকি, মাসাককলি, সানি, কোয়েল, চিকনি চামেলি, বিপাশা, জারা, অর্চনা, আমিত, ডিসকো চলি, জীবিকা, রিভা, বীরা, ছানছান, ঝিলমিল, পাঙ্খুরী, আশিকি টু, বুগিউগি, টাপুর-টুপুর- এমন নানা নামের বাহারি পোশাক ঈদের ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ- দেশী পোশাক শিল্পকে ধ্বংস করতেই ভারত থেকে পবিত্র ঈদ মৌসুমে পোশাক আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ভারতীয় নায়িকা-গায়িকাদের অনুকরণে পোশাক আমদানির সুযোগ দিয়ে সরকারই এদেশে অবাধ ভারতীয় সংস্কৃতির লালন ও প্রসার করছে। যা সংবিধানের ২৩নং অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট খেলাপ। সংবিধানের ২৩নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।’

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

মানুষ জাতীর কথা ভাবতে অভ্যস্ত নন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা আমাদের জন্য বড় হতাশাজনক :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.