![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
পারভিনের মেয়েটি মারা গিয়েছে, তার ভাগ্য ভালো সে মারা গেছে তা না হলে সে বড় হয়ে তার জন্মস্থান লিখতে বা বলতে গিয়ে শিউরে উঠতো, ঘৃণা ভেসে উঠতো তার চোখেমুখে! পারভিন তার এই বাচ্ছা পেটে নিয়ে তিনটে হাসপাতাল ঘুরে শেষমেশ আজিমপুর মাতৃসদনের সামনের রাস্তায় বাচ্ছাটিকে কয়েক মিনিটের জন্য পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে! ১৫০০ টাকা ঘুষ না দিতে পারায় তার এই পরিণতি দেখতে হয়েছে! আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন? উনার ব্যর্থতা কি মেনে নিবেন? পদত্যাগ না করুক আজিমপুরের সেই মাতৃসদনের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ ইশরাত জাহানকে কি একটু বকে দিবেন? নাকি একটা বিবৃতি দিবেন, মাথাপিছু ১৬০৪ ডলার আয় করে সে টাকা গুলি কি করেছে, তার উচিত ছিলো সেখান থেকে ২০০ ডলার আলাদা করে রাখা ঐ জরুরী অবস্থায় ঘুষ দেওয়ার জন্য!
মানুষের মৌলিক ৫টি অধিকারের একটি চিকিৎসা সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করছে মাতৃসদনে নাকি নামমাত্র মূল্যে প্রসূতি মায়েরা সেবা পাচ্ছে! আমি গুগুলে মাতৃসদন লিখে সার্চ দিলাম তারমধ্য ১০ টি লিংক পেলাম এর মধ্যে ৮লিংকই এই সদনের দুর্নীতি আর অমানবিক চিকিৎসা সেবার খবর! এগুলি কিসের লক্ষন? ৪৬ বছর পরেও এসে পারভিনেরা রাস্তায় সন্তান প্রস্রাব করে! এর থেকে লজ্জা আর কি হতে পারে!
সূধাসদনে যিনি থাকেন তিনিও তো একজন মা, তিনি যে কলাগাছকে এই মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন তার কাছে কি এর ব্যাখ্যা চাইবেন? নাকি সূধাসদন পর্যন্ত এই খবর যাবেই না!
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:২৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সাধারন মানুষ ডাক্তারদের সন্মাণ করে, দেবতা ভাবে কতক সেটা কাজে লাগায়! যেমন করে কাপড় ব্যবসায়ীরা কাস্টমারের কোনো কাপড় পছন্দ হয়ে গেলে দামদস্তুরে শক্ত হয়ে যায়!
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:২৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ডাক্তাররাও ভুল করতে পারেন। এখানে আবার ডাক্তারদের কিছু করতে গেলে সবাই মিলে আন্দোলন শুরু করে। এগুলো একদিনে বন্ধ করা যাবে না। যে বা যারা অন্যায় করবে তাদের শাস্তি অবশ্যই দেয়া উচিত। দেশে মেধাবীদের অভাব নেই। কেউ আন্দোলন করলে তার লাইসেন্স বাতিল করা উচিত...
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এখানে ডাক্তারদের থেকে উক্ত মাতৃসদনের পরিচালকের অবহেলা বেশি যদিও ঐ পরিচালক পেশায় একজন ডাক্তার! আমার লেখায় কি ডাক্তাদের কথা বেশি ফোকাস হয়েছে? আমি কিন্তু সরকারের অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতিকে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি!
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাতৃসদন থেকে হাসপাতাল, রেড-ক্রিসেন্ট ইত্যাদিটে পার্টির ক্যাডারেরা স্হান করে নিয়েছে; এগুলো অমানুষ
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: পার্টির ক্যাডার না হলে, পার্টিতে নাম লিখিয়ে নেওয়ার লোকও আছে।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: অামি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভুল চিকিৎসাকারীদের শাস্তি প্রদানের জন্য আন্দোলন করছি।বার কাউন্সিল গতকালও একজন আইনজীবির সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে।কিন্ত চিকিৎসকদের শাস্তি দেয়ার জন্য গঠিত সংস্থা বিএমডিসি সরকারী প্রতিষ্ঠান হলেও সর্বতোভাবে চেষ্টা করে অপরাধী চিৎিসকদের যেকোন উপায়ে রক্ষা করতে।এজন্য অভিযোগকারীকে অপরাধী বানানোর মতো ঘৃণ্য চক্রান্ত করতেও বিরত হয়না।অামার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা পড়লেই সবাই বুঝবেন।
******দাতের চিকিৎসা করতে গিয়েছিলাম মালিবাগ ডেন্টাল ক্লিনিক নামের এক দন্ত চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক নামের নরপিশাচ ডা: আবদুল মালেক ভুইয়ার মালিবাগ ডেন্টাল ক্লিনিকে।রুট ক্যানেল করে ফিলিং না করে ইন্টার্নী চিকিৎসকদের দাত তোলার প্রশিক্ষণ দেয় আমাকে ব্যবহার করে।একের পর এক এ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগ আর ইচ্ছামতো দাত টানাটানির ফলে প্রচন্ড ব্যাথা আর রক্তপাতে মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যাই।আধাঘন্টা টানাটানি করেও দাত তুলতে ব্যর্থ হয় মালেক আর তার ছাত্ররা।তাদের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে কোনক্রমে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসি।
পরবর্তীতে অন্য একজন চিকিৎসক রুট ক্যানেল করেই দাতটির চিকিৎসা করেন।এথেকেই প্রমাণিত হয় যে,দাতটা তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ ভুল এবং অপ্রয়োজনীয়।
ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছি বুঝতে পেরে নরপিশাচ মালেকের শাস্তির জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ করি বিজয়নগরে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে।সেখান থেকে তাকে তাকে অভিযোগের ব্যাপারে তার বক্তব্য জানতে চেয়ে তিনটা চিঠি পাঠানো হয়।কিন্ত শাস্তির ভয়ে ভীত মালেক ভুইয়া উত্তর প্রদানে বিরত থাকে।দীর্ঘ ১১ মাস পর প্রেরিত উত্তরে কিছু মিথ্যাচারসহ সে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্পষ্টভাবে স্বীকার করে।কিন্ত অপদার্থ সংস্থা বিএমডিসি এবং ততোধিক অপদার্থ ও অপরাধী বিএমডিসি রেজিষ্ট্রার ড: জাহেদুল হক বসুনিয়া অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও মালেকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এরমধ্যে কেটে যায় ৫ টা বছর।বিএমডিসি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষম বুঝতে পেরে মালেকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করি রমনা থানায়।পুলিশ মালেককে থানায় ডেকে নিয়ে আসে।প্রচন্ড ভয়ে ও আতংকিত হয়ে অপরাধী মালেক ভুইয়া টর্ট আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার অঙ্গীকার করে থানা থেকে পালায়।তার আত্মীয় বেঙ্গল টাওয়ারে বসবাসকারী পেশাদার প্রতারক জনৈক ইমদাদুল হক চৌধুরীকে দিয়ে ক্ষতিপূরণ নিয়ে নিয়ে মালেককে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য আমাকে বারবার ফোন করতে থাকে।কিন্ত গোপনে ফোনের কথাবার্তা রেকর্ড করে এবং বিকৃতভাবে সম্পাদনা (Editing) করে অডিও সিডি আকারে বিএমডিসি-তে প্রেরণ করে।এর উদ্দেশ্য ছিল আমাকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে মালেকের বিরুদ্ধে উথাপিত অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা ও আমাকে আদালতে মামলা করা থেকে বিরত রাখা।
মালেক ভুইয়া নিজেই ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আমাকে ফোন করে পরে অস্বীকার এবং আমাকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের চেষ্টার ফলে আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি।মামলার তদন্তে পুলিশ মালেকের চেম্বারে যায়।
এঘটনাটা আবারো আতংকিত করে তোলে ভয়ংকর অপরাধী মালেক ভুইয়াকে।দীর্ঘ ৬ বছর পর সে আমাকেই অপরাধী দাবী করে সে বিএমডিসি-তে চিঠি দেয়।তার পোষা কুকুর বিএমডিসি রেজিষ্ট্রারও কাল বিলম্ব না করে মালেকের কাছে টাকা দাবীর ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চেয়ে আমার কাছে চিঠি পাঠায়।চিঠিতে লেখে,মালেকের অভিযোগের উত্তর দিতে ব্যর্থ হলে মালেকের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগের ব্যাপারে আর কোন পদক্ষেপ নেয়া হবেনা।
অথচ এই বিএমডিসি ৫ বছরেও মালেকের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেননি।বরং কাল ক্ষেপণের মাধ্যমে মালেককে রক্ষা ও আমাকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।এজন্যই আমাকে থানা ও আদালতের আশ্রয় নিতে হয়েছে।অথচ দীর্ঘ ৫ বছর পর চিঠি পাঠিয়ে আমাকেই অপরাধী বানানোর চেষ্টা করেছে।এথেকে ষ্পষ্টভাবে পরিণত হয় যে রেজিষ্ট্রার বসুনিয়া মালেকের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করে নির্লজ্জের মতো তার পক্ষে তাবেদারী করেছে।এভাবে চিকিৎসকদের শাস্তি দেয়ার জন্য গঠিত সরকারী প্রতিষ্ঠান বিএমডিসি-কে রেজিষ্ট্রার জাহেদুল হক বসুনিয়া ও অপরাধী মালেক ভুইয়া মিলে তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছে।
আমি ৭ দিনের মধ্যে মালেককে থানায় ডেকে আনা,তার আত্মীয়দের দিয়ে আমাকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ফোন ও পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের চেষ্টার পুরো ঘটনা জানিয়ে বিএমডিসি-তে উত্তর প্রদান করি।কিন্ত অপদার্থ প্রতিষ্ঠান বিএমডিসি আজ পর্যন্ত অপরাধী মালেকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি,যে শুধু ভুল চিকিৎসার না,একইসাথে ব্ল্যাকমেইলিংয়েরও প্রমাণিত আসামী।
*****
যারা বলেন,ভুল চিকিৎসার অভিযোগে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে কেন মারধর করা হচ্ছে, এ ঘটনাটা থেকে তারা তাদের প্রশ্নর উত্তর পাবেন।যেখানে মানুষ কোন বিচার পায়না,তখনই তারা আইন নিজ হাতে তুলে নেয়।ভুল চিকিৎসার অভিযোগে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে কারো শাস্তি হয়েছে,এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না।
এদেশের সব চিকিৎসক ভুল চিকিৎসা করেন না।করে অল্প কিছু নরপশু।
অপরাধ করলে এদেশে পুলিশ,সেনা সদস্য,আইনজীবি,সাংবাদিক-সবারই শাস্তি হয়।একমাত্র ব্যতিক্রম চিকিৎসকরা।তারা টাকার লোভে ইচ্ছাকৃতভাবে অপ্রয়োজনীয় অপারেশন করে ইন্জেকশন দিয়ে মানুষহত্যা করলে,জ্যান্ত মানুষের কিডনী বা চোখ তুলে ফেললে,কাউকে স্থায়ী রোগী বানিয়ে নিয়মিত টাকা আয়ের জন্য অথবা ইন্টার্নীদের দাত তোলার প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করে মৃত্যুর সন্মুখিন করলেও তাদের কোন শাস্তি হয়না।কারণ রেজিষ্ট্রার জাহেদুল হক বসুনিয়া ও অপরাধী মালেক ভুইয়া মিলে বিএমডিসি-কে তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছে।
চিকিৎসকদের শাস্তি দেয়ার জন্য গঠিত সরকারী প্রতিষ্ঠান বিএমডিসি রেজিষ্ট্রারের একমাত্র কাজই হচ্ছে অভিযোগকারীদেরই অপরাধী বানানোর মাধ্যমে ভুল চিকিৎসাকারীদের রক্ষা করা।রেজিষ্ট্রার জাহেদুল হক বসুনিয়া নিজেই অভিযোগকারীদেইরই একসময় অপরাধী বানায়,যেমন বানিয়েছে আমাকে।বিগত ১৫ বছর ধরে সে এই পদে থেকে অপকর্ম করে যাচ্ছে।এব্যপারে জাতীয় দৈনিককেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সুতরাং ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের আত্মীয়রা কেন চিকিৎসকদের মারধর করে,তা কারো না বোঝার কথা না।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সত্যিই অবাক করার মত! তবে আপনি কিছুটা হলেও মালেককে আতংকিত করতে পেরেছেন! কিন্তু হাজার ভুল চিকিৎসা পাওয়া নিরিহ মানুষ চোখের পানি ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না! চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার মত শিক্ষিত নয় সাধারন মানুষ!
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:০৪
হিম বাহ বলেছেন: এটা খুবই দুখজনক ঘটনা । এ ঘটনায় ডাক্তারের দোষ থাকলে শাস্তি হয়ে যেত। রোগী ভর্তির দায়িত এডমিনের। সেখানে দুর্নিতি চলে, পরিচালকের দায় আছে । সিনডিকেট আছে। এই রোগী তো ডাক্তার পর্যন্ত যেতেই পারেনি। ডাক্তার তো হাসপাতালের গেটে থাকবেনা। হাসপাতালগুলি আজ কর্মচারীদের দখলে।
ইন্টারন ডাক্তার হিসেবে নিজ কলেজের হাসপাতালে কাজ শুরুর আগে বি এম ডি সি র অনুমতি পএ আনতে ঢাকায় ১০০ টাকা করে দিতে হয়েছিল ৯৭ নবীন ডাক্তারের, ১৫ বছর আগে , আমরা নিয়মিত পাশ করা ছিলাম ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: স্বাস্থ্য খাতে রন্ধ্র রন্ধ্রে দুর্নীতি! টাকা বানানোর খাত কারন এই যায়গায় ধনী,গরিব,শিক্ষিত,অশিক্ষিত সবাই অসহায়! বিএমডিসি সম্পর্কে জানলাম অনল চৌধুরীর মন্তব্য থেকে আপনিও জানালেন তবে অবাক হয়নি। বিএমডিসির নির্বাচন নিয়ে যে লংকাকাণ্ড হয়েছে তাতে এমনটিই হবার কথা!
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:০৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যে দেশের নাগরিক এক জননী তার অনাগত সন্তানের জন্ম দান করার জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রের দ্বারে দ্বারে অসহায়ের মতো ঘুরে ঘুরে মরে, সেই দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অকার্যকর রাজধানীর চেহারা সুন্দর করার বা সেই দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বানানোর প্রকল্প নেয়ার কি সার্থকতা আছে তা গভীরভাবে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে |
জনগণের এবং দেশের বেসিক সমস্যাগুলো দূর করার পর বৃহৎ প্রকল্পগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন | যেমন, সকল জনগণের জন্য সর্বস্তরে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি, পুষ্টি, শিক্ষা,ইত্যাদি সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করার দিকে সরকারের কমিটমেন্ট দরকার সর্বাগ্রে | এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ করার জন্য প্রকল্প সমূহকে অগ্রাধিকার প্রদান করার পর অন্যান্য রাজনৈতিক চমক দেখানো প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত | যেমন, বন্যা এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নদীনালা,খাল বিল ড্রেজিঙ করা, ঢাকা সহ শহরগুলোতে গভীর ড্রেইনেজ সিস্টেম নির্মাণ করা, যেকোন সড়ক নির্মাণে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রচুর কালভার্টের ব্যবস্থা রাখা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে পরিবেশের উপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ছে কিনা তার প্রাক মূল্যায়ন করা, ইত্যাদি প্রকল্প সমূহকে অগ্রাধিকার প্রদান |
বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং আমলা নেতৃত্বের সবচাইতে বড়ো দূর্বলতা হচ্ছে কোন বিষয়টি প্রায়োরিটি দিতে হবে তা নির্ধারণে অক্ষমতা বা দূরদর্শিতার অভাব | তাই সরকার রাজনৈতিক ফায়দার দিকে অধিক নজর দিয়ে হুজুগে চমক দেখানো অতি বৃহৎ (কিন্তু কম অগ্রাধিকারযোগ্য) প্রকল্প নিয়ে ফেলে আর তার চামচারা এই সকল প্রকল্পের সমর্থনে প্রচার মাধ্যমে হুক্কা হুয়া বলে শোর তুলে লম্ফো জম্ফ শুরু করে |
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বড় প্রজেক্ট নেওয়া হলে সেখানে পকেটও ভরে বেশি! বড় প্রজেক্ট দেখিয়ে বছর শেষে জিডিপির হিসেব বাড়ায়! মানুষ না বাঁচলে জিডিপি দিয়ে কি হবে? আপনার পয়েন্ট গুলির সাথে সহমত।
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: শুধু ডাক্তারদের দোষারোপ করাটা পুরোপুরি অনৈতিক। পুর দেশ জুড়ে যে অরাজককতা চলছে এটা তারই ফলাফল। বড়লোকের ঘরে বাচ্চা এখন কমতে কমতে একটায় ঠাই নিয়েছে। আর ওদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থা নেয়ার ব্যপারে সরকারী কোন উদ্যোগ নাই। এছাড়াও কোন প্রকার বিয়ে ছাড়াই চৌদ্দ পনের বছরের মেয়েরা সন্তান সম্ভবা হয়ে পরছে, পিতার কোন খবর নাই। এই জাতীয় কেস দিনকে দিন বাড়ছে। এক ঢাকা মেডিকেল এবং মাতৃসদনের ওপড় কি চাপ পড়ছে সেটা ভাবতে পারেন?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঢাকা মেডিকেল, মাতৃসদন এর উপর যে চাপ পড়ে তা সামলে নেওয়ার মত অর্থ,লোকবল সবই আছে নেই যেটা সেটা হলো সঠিক ব্যবস্থাপনা!
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চাঁদগাজী কথায় বলতে হয় মাতৃসদন থেকে হাসপাতাল, রেড-ক্রিসেন্ট ইত্যাদিটে পার্টির ক্যাডারেরা স্হান করে নিয়েছে; এগুলো অমানুষ।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: তবে আশংকার কথা হচ্ছে এগুলার লাগামটানা হচ্ছে না!
৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: স্বাস্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। সে আবার বলে দেশ চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই ব্যাটা সরকারি হাসপাতাল থেকে এখন পর্যন্ত দালাল দূর করতে পারেনি।
আর দেশ যদি চিকিৎসা ক্ষেত্রে এত উন্নতি করেই থাকে- তাহলে পারভিনের এই অবস্থা হলো কেন? রাস্ট্রপতি নিয়মিত চেকাপের জন্য বিদেশ যায় কেন?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনাদের বউ ছেলেদের যদি উনার পরিচয় না দিয়ে মাতৃসদনে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় তাহলে উনি আসল চেহারা দেখতেন! হয় পদত্যাগ করতেন না হয় কঠোর ব্যবস্থা নিতেন! সমস্যা এখানেই আমাদের জমিদারেরা দেশে চিকিৎসা নেয় না!
১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২৫
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমার কথাগুলো রাজীব নুর ভাই বলছে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এক হোটেলের মালিক আরেক হোটেলে খেতে এলে সেই হোটেলের মালিক বলে ভাইয়ের হোটেল কি বন্ধ নাকি? সে মালিক বলে আরে না জেনেশুনে কি মরা মোরগের মাংশ খাওয়া যায়? আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপি, প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট সবারই ঐ হোটেল মালিকের অবস্থা!
১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই লজ্জা আমাদের পুরো জাতির!
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: জাতির এখন শুধু এই একটাই সম্বল লজ্জা! এটাই আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশে সবার বিচার হয়,একমাত্র চিকিৎকদের হয়না।