নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
বেগম জিয়ার সাজা হওয়ার পর তারেক রহমানকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন করা হয় এবং তার নেতৃত্বে সবাইকে কাজ করার জন্য বেগম জিয়া অনুরোধ করেন। একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আরেকজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে দলের দ্বায়িত্ব দিয়েছেন! বিএনপির জন্য এটি খুবই অস্বস্তিকর সিদ্বান্ত ছিলো। এই সিদ্বান্তের কারনে বহির্বিশ্বে তাদের অবস্থান নেতিবাচক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আওমীলীগ তাদের এই ভুল সিদ্ধান্তের পুরোপুরি ফায়দা নিয়েছে। বহির্বিশ্বে তারেক জিয়াকে আরো বেশি নেতিবাচক হিসাবে উপস্থাপন করেছে তারা।
কিছু দেশ ও সংগঠন বিএনপিকে সমর্থন করলেও প্রকাশ্য কিছু জোর দিয়ে বলতে পারছে না, কেননা সব দেশ, সংগঠন আনুষ্ঠানিক ভাবে দুর্নীতির বিপক্ষে থাকে। বিএনপির পক্ষে গিয়ে সরাসরি কিছু বলতে গেলে তাদের কাছে অস্বস্তিকর লাগবে।
তারেক জিয়া দুটি মামলায় আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত এবং তার বিরুদ্ধে আরো অনেকগুলো অভিযোগ আছে। তার তৃণমূল সমর্থকেরা যতই ভাবুক এসব মিথ্যা মামলা, মিথ্যা অভিযোগ, ভুল রায় কিন্তু তাদের মত করে সবাই ভাবে না। তারেক জিয়া ও বিএনপির পক্ষে যদি কোন দেশ, সংগঠন বিবৃতি দিতে চায় তবে তারা কিছুটা হলেও এনালাইসিস করে দেখবে আদালতের রায় ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কতটুকু সত্য। তারা খোঁজ নিলে দেখতে পাবে মামলা,রায়, এবং অভিযোগগুলি ফেলে দেওয়ার মত নয়। এগুলো জানার পর কোন দেশ, সংগঠন বিএনপি, তারেক জিয়ার পক্ষ নিয়ে কোন বিবৃতি দেওয়াও তাদের জন্য যথেষ্ঠ বিব্রতকর।
তারেক জিয়া দশ বছর আগে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য সহপরিবারে লন্ডনে যায় এরপর আর ফিরে আসেনি। বিএনপি সবসময়েই বলে এসেছিলো তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় লন্ডনে আছেন। তবে এই বছরের প্রথম দিকে আমরা জানতে পারি তারেক জিয়া লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছে। হয়ত কর্মীদের মাঝে মনবল ধরে রাখার জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের কথা চেপে গিয়েছে। রাজনৈতিক আশ্রয় ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়েও তারেক জিয়া দলের চেয়ারপারসন এবং দল পরিচালনা করে যাচ্ছে। এগুলি কোন দেশ বা গণতন্ত্রের জন্য ভালো কোন উধারারণ নয়। কোন দেশ এবং সংগঠন এমন দল ও নেতার পক্ষ নিয়ে জোর গলায় কিছু বলার মত বোকামি করার কথা নয়। আমার ধারণা বিএনপি'র আন্তর্জাতিক লবিং গুলি এই কারণেই মুখ থুবড়ে পড়ে।
বিএনপি চাইলেও তারেক জিয়া ও বেগম জিয়ার নেতৃত্ব থেকে সরে আসা তাদের জন্য সহজ হবেনা। কারন বিএপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের পর আর কোন পদেকে দল পরিচালনা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। কেননা এই দুজন ছাড়া আর কেউ দলের নীতিনির্ধারনী ফোরামের সভা ডাকতে পারে না। আর এই সভা না হলে কোন সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায় না।
তবে আপাতত মনে হচ্ছে বিএনপির অধিকাংশ নেতাই দলের নেতৃত্বের পরিবর্তন চায়, তারা দলটিকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছে। এবং এছাড়া ভিন্ন কোন উত্তম বিকল্প দলটির হাতে নেই। তবে সেটা কিভাবে হবে, কবে হবে সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। দলের নেতাদের ঘনঘন লন্ডন সফর এই কারণেই বলে মনে হচ্ছে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: তারেক জিয়া কখনো বিরোধী রাজনীতি করেনি, রাজপথে নামেনি, মিছিল-মিটিং করেনি। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপিকে টেনে নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: রাজনৈতিক বিষয় আমার জ্ঞান-ধারণা খুবই সীমাবদ্ধ।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাজনীতি দিয়ে দেশ,সমাজ, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রিত হয়। বুঝার চেষ্টা করুন।
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: তারেক জিয়া একটা লিলিপুট। ও রাজনীতির কিছু বুঝে???
পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক্, সুস্থ রাজনীতি মুক্তি পাক।
জয় বাংলা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপি'র গঠনতন্ত্র এমনভাবে করা আছে এর থেকে বের হতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হবে তবে বের হতে পারলে দলটির জন্য মঙ্গল হবে।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৬
সনেট কবি বলেছেন: পড়লাম
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০
মহসিন ৩১ বলেছেন: দেশের রাজনীতিতে জাম্প করে কোন বাক্তিগত ইমেজ তৈরি করার দিন বোধ হয় ফুরিয়ে গেছে। বিভিন্নমুখী পরিস্থিতি সামাল দেয়া তারেক জিয়ার সাধ্যের অতীত-আর ভিন্ন খাতে তৈরি ইমেজিং প্রবাহ -- এটাও বিএনপির অনমনীয় রাজনীতির সঙ্গে যায় না। আপাতত প্রভাবশালী ধনকুবেরদের দলীয় সমর্থনই ভরসা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: যারা তারেক জিয়া আর বেগম জিয়াকে ব্যবহার করে ধনকুবের হয়েছে তারা পার্টির জন্য তেমন খরচ করছে না। বিএনপিকে আন্তর্জাতিক লবিং করে এগুতে হবে তবে তারেক জিয়া নেতৃত্বে থাকায় সেটা কঠিন হচ্ছে।
৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপির কোমর ভেঙ্গে গেছে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় দলকে পরিচালনা করা আর বিরোধী দলে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ভিন্ন ব্যাপার। তারেক জিয়া দলকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারবেনা।
৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: পড়লাম
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কিছু বুঝলেন কি?
৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৮
আলআমিন১২৩ বলেছেন: বিএনপি র একজন বড় শুভাকাংখী বটে। অর্থোপেডিক সার্জনরাও মন্তব্য করেছেন। ছবিটাও পছন্দ করেছেন শুভাকংখীর মতই। ভালো-ভালোইতো।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৪৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ছবিটা অনেক কথা বলে।
৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দিন কাল খারাপ দেখে পোস্টে কেউ কিছু কয় নাই। ২০১৩ সালের আগে এই পোস্ট দিলে আপনার ব্লগের আইডি তো পরে, ফেসবুক, টুইটার সব এরা খেয়ে দিতো। পারলে পার্সোনাল লাইফও।
আপনি তাদের ঈশ্বররে নিয়ে কথা কইছেন। এইটা কিছু হইলো? পেডো দাসত্ব থাকলে তো কথাই আছিলো না। পোস্ট না মুছা পর্যন্ত চলতো কাহিনী
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৪৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: পোষ্টে বিএনপি'র জন্য ভালো কিছু আছে, খুঁজে বের করতে হবে তাদের।
১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১২
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বিএনপির গঠনতন্ত্র আর আমাদের গ্রামের কুদ্দুসের ক্লাবের গঠনতন্ত্র প্রায় সমান। অযোগ্যদের নেতৃত্ব যোগ্যরা নিতে চায় না।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপি'র গঠনতন্ত্রে অনেক ভালো ভালো কথা আছে।
১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১
এইচ ডি মুহাম্মাদ কবির হোসেন বলেছেন: খালেদা জিয়া মুক্তি চাই
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শর্তসাপেক্ষে না নির্শতে?
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮
সৈকত জোহা বলেছেন: বিএনপি একটা ক্লাব। এদের কোন স্বকীয়তা নেই। ভারত জুজুর ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করে। গত দশ বছরে তারা অনেক ইস্যু পেয়েছিল কিন্তু কোন কাজ করতে পারে নি। দলের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকলে সে দল থাকা না থাকা সমান।