নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
জামায়াত ইসলাম এমন একটি দল যার সাংগঠনিক ভিত্তি অনেক শক্ত, তবে বর্তমানে দলটি ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছে। জামায়াত ইসলাম দুর্বল হয়ে পড়া জাতির জন্য ভালো খবর। আজ দেখলাম জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক পদত্যাগ করেছে,পদত্যাগ করার আগে পদত্যাগের দুটি কারন বলেছে, এক জামায়াত ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের সময় অপকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চাওয়া আর দলকে আধুনিক রাজনীতির সাথে তাল মিলিয়ে পুনঃগঠন না করা।
উনার উপলব্দি সঠিক তবে জামায়াতের কোন কর্মী কিংবা ছোটখাটো কোন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতার সাথে কথা বললে আপনি বুঝতে পারবেন এই দলটিকে তাদের আদর্শ থেকে সরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব। আমার কাছে মনে হয় এদের আমীরও যদি এই বলে ঘোষণা দেয়, আমরা আমাদের দলের অতীতের কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান করছি তারপরেও এদের নেতাকর্মী এটা মেনে নিবে না। সাম্প্রদায়িকতা এদের ব্রেইনে না ডিএনএ চলে গেছে বংশপরম্পরায়! গোলাম আযম একবার তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিল "জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না।" তার কথাটি বলতে গেলে প্রায় শতভাগ সত্যি এবং প্রমাণিত।
৭১ সালে বাংগালীদের বিজয়ের পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে জামায়াতের নেতারা পাকিস্তানে চলে যায় এবং সেখানে বসবাস করতে থাকে। মেজর জিয়া যদি এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে না নিতেন তাহলে জামাত নিয়ে এত মাথা ব্যাথার সৃষ্টি হতো না, বাংলাদেশের রাজনীতি আর একটু কম কুলষিত হত। জেনারেল জিয়া হয়ে এরশাদ, বেগম জিয়া এবং এরপর স্বয়ং শেখ হাসিনাও জামায়াতকে দেশের ক্ষমতায় যেতে মই হিসেবে ব্যবহার করেছে।
আসলে জামায়াত ইসলামকে সব দল গুলি ব্যবহার করেছে এদের অর্থের জন্য। মুক্তিযুদ্ধের পর এরা দেশের ভাঙ্গাচুরা মসজিদ, মাদ্রাসার ছবি নিয়ে গিয়ে আরব দেশ গুলোতে ভিক্ষা করে অনেক টাকার মালিক হয়ে যায়। পরবর্তীতে দেশে রাজনীতির সুযোগ পেয়ে টাকার কুমির হয়।
শেখ হাসিনার কাছে জামায়াত ইসলামীর প্রয়োজনীয়তা মোটামুটি শেষ হয়ে গেছে, এদের ইনকামের উপর কর্তৃত্ব করতে সক্ষম হয়েছে যার কারনে এদের দুর্বল থেকে দুর্বলতর করতে সহজ হচ্ছে।
জামায়াতকে দুর্বল করে বিএনপিকে রিফর্ম করা আরো সহজ হচ্ছে, এই ব্যপারে দেশের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস গুলো সফল হলে দেশের রাজনীতিতে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: জামাতিরা সারভাইবাল দ্যা ফিটেস্টের ভালো উদারণ, তবে এবার এদের মূল জায়গায় হাত পড়েছে, এদের অর্থের উৎসের উপর।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২০
ইনাম আহমদ বলেছেন: শুধু জামায়াত-শিবির না, সবরকম ধর্মীয় সংড়ঠনের ওপরে সরকারের নজরদারী বসানো দরকার। এদের আয়ের উৎস, ব্যয়ের পথ, সদস্যদের তথ্য সব সরকারী দপ্তরের কাছে থাকলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের চেহারা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
সাথে সাথে ধর্মীয় উগ্রপন্থী ও চরমপন্থীদের দমন করাও সম্ভব হবে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস গুলো এই ব্যপারে ভালোই সফল এখন পর্যন্ত।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাগলাদেশে, এই নামে রাজনীতি করার অধিকার কারো নেই।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: জামায়াত ইসলাম হিন্দ থেকে জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশ পর্যন্ত তারা রাজনীতি করে আসছে, এবার মনে হয় অন্য নাম নিতে হবে বহুদিন পর।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ২নং মন্তব্যকারীর সাথে একমত।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ উনি সঠিক বলেছেন।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: কাগজে-কলমে দুর্বল হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বাস্তবে কখনো দুর্বল হবে না। দেখবেন তারা ঠিকই আবার জেগে উঠবে এবং তা কিছু সময়ের ব্যবধানে। একটু অনুসন্ধান করে দেখুন দেশের সিংগ ভাগ অর্থনীতি ওদের হাতে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিং সব শাখায়ই উনাদের শক্ত অবস্থান। বাংলাদেশ থেকে দুইটি দলকে কেউ বিকল করতে পারবেনা একটি আওয়ামী লীগ আর একটি জামায়াত দুটি দলই মাঠ থেকে উঠে এসেছে তাই। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট ছিলো।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: তাদের ব্যাংকিং খাত সরকার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। মিডেল ইস্ট থেকে তাদের অর্থ প্রবাহ মোটামুটি বন্ধ।
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জামাত শিবির কখনো তাদের আদর্শ (ধর্মের নামে অপকর্ম) থেকে সরে আসবে না এবং তারা কখনো বিলুপ্তও হবে না।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: জামায়াতকে বিলুপ্তি করা কঠিন কাজ তবে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব। বছর বিশেক নিষ্ক্রিয় রাখতে পারলে বিলুপ্তি হয়ে যাবে।
৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৯
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: লেখক বলেছেন: জামাতিরা সারভাইবাল দ্যা ফিটেস্টের ভালো উদারণ, তবে এবার এদের মূল জায়গায় হাত পড়েছে, এদের অর্থের উৎসের উপর।
কি করে?
স্বাধীনতার পরবর্তীসময়ে তো তাদের অবস্থা আরো খারাপ ছিল। তখনও তো তারা শুধুই সামাজিক সংগঠন হিসেবে ছিল।
দুর্বল হবার কিছুটা লক্ষন দেখা যাচ্ছে দলে আভ্যন্তরীন সমস্যার মাধ্যমে। একটি রাজনৈতিক দল দুর্বল হবার প্রকাশ এটাই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: তাদের ব্যাংকিং এর উপর সরকার কতৃত্ব নিয়েছে, বিশাল পরিমান অর্থ আসতো ব্যাংকিং সেক্টর থেকে সেটা এখন প্রায় বন্ধ। ৭১ এর পর তাদের অবস্থা করুন ছিল সেখান থেকে তারা উত্তরণ করেছে ৮৬তে, ৯২তে, ৯৬তে তারা সংকটে পড়েছে সেখান থেকেও উত্তরণ করেছে এই জন্যই এদের বলছি সারভাইবাল দ্যা ফিটেস্ট।
৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাই বলেন, নতুন নামে শুরু করলে আগের মতই ভোটের বাজারে প্রভাব বিস্তার কারী সংগঠন হতে পারে জামায়াত...
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: নতুন নামে শুরু করলেও নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন দিবে না, তাই ভোটের বাজারে আগের মত প্রভাব বিস্তার তারা করতে পারবে না।
৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৫
খাঁজা বাবা বলেছেন: সম্ভবত নতুন দল আসছে
পুরনো মদ নতুন বোতলে
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এমনটি হতে পারে, তবে আগের মত কার্যকর হবে না।
১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
বাংলার মেলা বলেছেন: আমার কাছে বরং ব্যরিস্টার রাজ্জাককে খুব সুবিধাবাদী মনে হচ্ছে। সরকারের অত্যাচার নিপীড়নে জামায়াতের কিছু কর্মী ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট আছে বলে আমার মনে হয়না। বড় কোন নেতা নেই, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নেই, ছাত্র সংগঠনের কোন কার্যক্রম নেই, এমনকি রাজনীতিতেও কোন প্রভাব নেই। এই অবস্থায় জামায়াত থেকে পদত্যাগ করার মানে হচ্ছে পরোক্ষভাবে এটাই বলা যে, জামায়াত করে যেহেতু কোন লাভ নেই, তাই জামায়াত করার দরকারও নেই। বিএনপি'র শমসের মবিন চৌধুরী বা ইনাম আহমেদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে এক জামাতি - বড়জোর এটাই বলা যায়।
আর জামায়াত শেষ হয়ে গেছে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। এখন যে অবস্থায় আছে, জামায়াতের পক্ষে এর চেয়ে বেশি দুর্বল আর হওয়া সম্ভব নয়।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: তাদের কর্মীরা যে পরিমান কমিটেড সংগঠনের জন্য তাতে তারা সুযোগ পেলে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তাদের অন্তত ২০-২৫ বছর নিষ্ক্রিয় রাখতে পারলে সফল হওয়া যাবে।
১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩২
প্রামানিক বলেছেন: জামাত নামটি নিষিদ্ধ হলেও লোকগুলো তো নিষিদ্ধ হবে না তখন হয়তো অন্য নামে ফুসে উঠতে পারে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: অন্য নামে আসলেও নির্বাচন করার অধিকার দেওয়া নির্বাচন কমিশন যাচাইবাছাই ছাড়া দিবে না। এরই মাঝে তাদের অনেক নেতা পরলোক গমন করবে।
১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩০
দেবদাস বাবু বলেছেন: এদের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা বেশিরভাগ মূর্খতা ও কুসংস্কার বিশ্বাসী সুতরাং ওদের দমিয়ে সংগঠন দুর্বল করা খুবই মুশকিল আর তাছাড়া জামায়াত ইসলামী এখন গা ঢাকা দিয়ে আছে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এরা উগ্র ও যুক্তিতর্কহীন কথা বলে।
১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
রানার ব্লগ বলেছেন: ওদের ছলের অভাব নাই। রাজ্জাক সাহেবের নামে শুনেছি মানবতা বিরোধী মামলা চালু হওয়ার কথা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: খবরটি এখনো চোখে পড়েনি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭
মা.হাসান বলেছেন: দুরাচারের ছলের অভাব নেই। জামাতিদের প্রায়শ্চিত্তের কথা বিশ্বাস করা যায় না।