![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
গতকাল যে ছেলেটি বিমান অপহরণ করার চেষ্টা করেছে সে কমান্ডো অপারেশনে মারা পড়েছে। আপাতত দৃষ্টিতে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে খুব দ্রুতগতিতে সমস্যার সমাধান করা এবং অপহরণকারীকে হত্যা করার জন্য বাহবা পেতে পারে। কিন্তু তারপরেও কিছু কথা থেকে যায়!
১৯৭৭ সালে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অপহরণ হয়, জাপানের একদল সন্ত্রাসী বিমানটি ছিনতাই করে বাংলাদেশের বিমান বন্দরে অবতরণ করায়। সেই সময় বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহের বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী প্রচেষ্টায় বিমানটির শতাধিক যাত্রী বেঁচে যায় এবং অপহরণকারীদের জীবিত আটক করা হয়। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মিডিয়া বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলোর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
আজকে প্রায় ৪২ বছর পরে এসে আমার ৪২ বছর আগের চেয়ে দুর্বল, নিজ দেশের কোন একজন সন্ত্রাসীকে জীবিত ধরতে পারলাম না! কিংবা বলতে গেলে ধরার ইচ্ছেই ছিলো না। যখন দেখা গিয়েছে বিমান থেকে সব যাত্রীদের, ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে, বিমানে সে সন্ত্রাসী ছাড়া আর কেউ নেই তখন তাকে জীবিত ধরার চেষ্টাটাই ছিল সঠিক অবস্থান। যেকোন ভাবে কালক্ষেপন করে তার সাথে মিচুয়ালে আসার চেষ্টা করা উচিত ছিলো। তার সাথে কথা বলে জানার চেষ্টা করার দরকার ছিলো তার মটিভ কি, সে কিভাবে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেছে, তার সাথে আরো কেউ যুক্ত আছে কিনা!
সব ঘটনা বিশ্লেষণ করলে বুঝা যেতো ছেলেটি যে এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অপরিপক্ক। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী চাইলে ছেলেটিকে জীবিত আটক করা কোন কঠিন কাজ ছিলো বলে মনে হয় না, ইনফ্যাক্ট তাকে জীবিত ধরার কোন প্রচেষ্টাই আমরা দেখিনি। তাকে জীবিত না ধরার কারণে এখন অনেক প্রকারের ঘটনা জন্ম হচ্ছে। সে বেঁচে থাকলে অনেক প্রশ্নের উত্তর সহজে পাওয়া যেতো।
ছেলেটি যে পিস্তল নিয়ে প্লেনে ঢুকে গিয়েছিল সেটিকে মন্ত্রী সাহেব খেলনা পিস্তলও হতে পারে বলেছে, আবার কমান্ডো অপারেশনে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে বলেও বলা হচ্ছে! এখন আবার বলছে তদন্ত করে জানাতে হবে পিস্তল আসল কিনা! একটা পিস্তল আসল কিনা এটা জানতেও আমাদের তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে! আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আর্মস জ্ঞান এত কম!
হলি আর্টিজেন হামলার সময় আমাদের সোয়াট টিমের সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল, সিএনএন তো বলেই দিয়েছে এই রকম হোস্টেজ সিচুয়েশন মোকাবেলা করার মত দক্ষতা নেই সোয়াট টিমের।
এখন গত রবিবারের এই ঘটনায় আরো পরিষ্কার হলো আসলেই আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এসব সংকটময় অবস্থা মোকাবেলা করার মত সঠিক অবস্থানে নেই।
সর্বশেষ চাওয়া মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী পাঁচ দিনের ভিতর সঠিক রহস্য উন্মোচনের তদন্ত রিপোর্ট যেন সঠিকভাবে বের হয়।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সাপ বেরিয়ে আসা উচিত।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৬
অনিরুদ্ধ কিরন বলেছেন: সাধু সাধু
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন:
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি চাই শান্তি।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমরা সবাই শান্তি চাই, দোষীদের শাস্তি চাই।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
আল ইফরান বলেছেন: এইগুলা যে সব নাটক তা সাধারন জনগণ অনেক আগেই বুঝতে পেরেছে।
এটেনশন ডাইভার্টের খুব সস্তা পরিকল্পনা।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: পুরো ঘটনা নাটক নয়, ঘটনা ঘটার পর বেশ কিছু ব্যাপার ঘোলাটে লাগছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৭
মিখু হোসাইন তিতু বলেছেন: নীতিবাচক কথা বাদ দিয়ে ইতিবাচক বলুন।
নাহয় সাপ বেরিয়ে আসবে...