নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনার কাছে বিনীত অনুরোধ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩২


গত দেড় মাসে ঢাকা শহরের মত একটি ব্যস্ত শহরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বেশ কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের জাতীয় কাউন্সিল করেছে। সম্ভবত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কাউন্সিল এখনো বাকি। তবে সেগুলো খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে।
ঢাকা শহরের কর্মব্যস্ততা ও যানজট সম্পর্কে মোটামুটি সবারই ধারনা আছে। মেট্রোরেলের চলমান কাজের জন্য গুলিস্তান থেকে মিরপুরে যাওয়া আসায় মোটামুটি ঘন্টা তিন-চারেকের ব্যাপার। এরকম ব্যস্ত সড়কের পাশে কিছুদিন পর পর এমন মহাসমাবেশ করার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে চলে যায়।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এখন যে অবস্থানে আছে এই অবস্থান থেকে এরকম মহাসমাবেশ করে এসব অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্তের ঘোষণা না দিলেও চলবে। একান্তই যদি দিতে হয়, তাহলে কোন বড় ধরনের কনফারেন্স হলের ভিতর অথবা ঢাকার বাইরে এমন সমাবেশের আয়োজন করে ঘোষণা দিতে পারে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এসব মহাসমাবেশে যারা অংশগ্রহণ করে এরা কোন না কোনভাবে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে অথবা হওয়ার আশায় আছে। এই ধরনের সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
রাস্তাঘাট বন্ধ করে, যানজট সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। উপরন্ত এগুলো মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সরকার এবং দল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হয়। এছাড়াও জনগণের নির্বিঘ্নে চলাচলের প্রতি সরকারের আন্তরিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

এরপরেও যদি এমন সমাবেশ ঢাকার ভিতরে করতেই হয় তাহলে সবগুলো অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ত্বের ঘোষণা একটি সমাবেশের মাধ্যমে দিয়ে দিতে পারে। এতে সময় এবং অর্থের সাশ্রয় দুটোই হবে। এক সমাবেশের ভিতরে সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বের ঘোষণা আসলে, নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার ওপর নাখোশ হবেন না, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করবেন না। শেখ হাসিনা চাইলে এটা সম্ভব, খুবই সম্ভব। সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ কমাতে শেখ হাসিনা এমন উদ্যোগ নিলে আশাকরি সকলেই খুশি হবে।তাই আগামীতে আওমীলীগের সব অঙ্গসংগঠনের কাউন্সিল একটি সমাবেশের ভিতরে শেষ করে দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার প্রতি বিনীত অনুরোধ রইল।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই ধরনের সমস্যা গুলোর কথা কেউ ভাবে না। ওরা শুধু ওদের নিজেদেরটা বুঝে।

এতই যখন অনুষ্ঠান করার শখ তাহলে এই ধরনের অনুষ্ঠান রাত্র বারোটার পর করুক। একদম ভোর পর্যন্ত। তাতে সাধারন মানুষের কষ্ট হবে না।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এগুলো এখন বেশ সমস্যা সৃষ্টি করছে। হ্যাঁ, মাঝ রাত থেকে ভোর বেলা পর্যন্ত করলে ভালো হবে।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের খেটে খাওয়া মানুষ শান্তি চায়। ওরাই আমাদের শান্তি কেড়ে নেয়। ওদের জন্যই আমাদের কষ্ট বেশী।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ হাসিনা চাইলে এই ব্যাপারটা সহজ সমাধান করে দিতে পারেন।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৩

আখ্যাত বলেছেন:
দুটি সন্তান (অঙ্গসংগঠন) এর বেশি নয়
একটি হলে ভাল হয়

এই আইন পাশ করা দরকার

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভালো স্লোগান। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.