নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
আপনাকে যদি এই মুহূর্তে প্রশ্ন করা হয় আওয়ামী লীগ ছাড়া আরো দুই একটি দলের নাম বলুন যারা দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে। আপনার ব্রেইন যদি লজিক্যাল চিন্তা ভাবনা করতে সক্ষম হয়, তাহলে আপনি এমন কোন দলের নাম খুঁজে পাবেন না। অবশ্য মির্জা ফখরুল কিংবা রিজভী সাহেবকে জিজ্ঞেস করলে বিএনপি-জামাত জোটের কথা বলতে পারেন। কিন্তু সাধারণ চিন্তাশক্তি সম্পন্ন মানুষ অন্য কোন দল খুঁজে পাবে না।
তাহলে এখন বলতে পারেন আওয়ামীলীগ কি দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করছে? এটার উত্তরও হচ্ছে না, করছে না। আসলে বিএনপি-আওয়ামীলীগ যাই বলুন, যারাই ক্ষমতায় থাকুক সবাই ক্ষমতায় আসে ধনীকে ধনী বানানোর মিশন নিয়ে। তবে অতীতের যেকোনো সরকারের চেয়ে, শেখ হাসিনা সরকার সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে দেশের জন্য কাজ করার। শেখ হাসিনার হাতে অর্থ আছে, সর্বোচ্চ ক্ষমতা আছে শুধু অর্থনীতির নিয়ম মেনে কাজ করলে দেশে সুষম উন্নয়ন হবে।
এছাড়াও শেখ হাসিনা, বেগম জিয়া থেকে অধিক বুদ্ধিসম্পন্ন ও কৌশলী রাজনীতিবিদ। সমস্যা হচ্ছে ওনার বুদ্ধিমত্তা স্বাধীনতাবিরোধী ও বিএনপি জামাতে আটকে থাকে। উনি যে এগুলোকে নিজের কব্জায় নিয়ে এসেছেন এটা উনি ভুলে যান। এগুলি এখন বারবার বলে উনি উনার সঠিক কাজ থেকে দূরে সরে থাকেন। উনি দেশে অনেক বড় বড় অবকাঠামোগত কাজ করেছেন, অনেক কাজ চলমান আছে। কিন্তু এইসব কাজ করতে গিয়ে উনি অর্থনীতির সঠিক নিয়ম মানেননি। এই কাজগুলো করতে যে বিশাল পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে, সেগুলি মুষ্টিমেয় কিছু লোকের কাছে চলে যাচ্ছে।
অর্থনীতির ভাষায় যেটাকে বলে অর্থের অসম বন্টন।
দেশে সুপার ধনী বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে এটি। দেশের অর্থনীতির ভিত শক্ত করতে হলে দেশের মাঝারি মানের শিল্পগুলো শক্ত অবস্থানে থাকতে হয়। কিন্তু অর্থের এমন অসম বণ্টনের জন্য, দেশের মাঝারি মানের শিল্পগুলো সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে। আপাতত দৃষ্টিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখলে মনে হবে বেশ ভালোভাবেই দেশ এগোচ্ছে কিন্তু দেশের মাঝারি মানের শিল্পগুলির এই করুণ অবস্থার কারণে যেকোন একটি অর্থনৈতিক বিপর্যয় শুরু হলেই দেশের অর্থনীতি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে।
শেখ হাসিনা যদি দেশের মাঝারি মানের শিল্প গুলির জন্য অচিরেই কোন মেগা পরিকল্পনা না নেয়, তাহলে আগামী অল্প সময়ের ভিতরে দেশের বিশাল একটি ব্যবসায়ী শ্রেণি অর্থনৈতিক বিপর্যয় পড়বে। আর একবার এমন বিপর্যয়ে পড়ে গেলে সেখান থেকে সঠিকভাবে উত্তরণের সুযোগ থাকবে না। তখন যত পরিকল্পনায় হাতে নেওয়া হোক না কেন সেগুলো খুব একটা কাজ করবে না। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে শেখ হাসিনা তার বেসরকারি শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে নিয়ে এই ব্যাপারটা কিভাবে পরিকল্পনা করে সমাধান করার চেষ্টা করে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সালমান এফ রহমান আরো অন্যান্য মনোপলি ব্যবসায়ী সাথে রেখে, সুষম উন্নয়নের পরিকল্পনা করা সম্ভব হওয়ার কথা না।
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: সবচেয়ে বড় অপরাধী এদেশের জনগণ।
আসুন জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা প্রতিটা নামায, আরাধনা, উপাসনার পরে নিয়মিত এভাবেই দেশের জন্য অন্তর থেকে দোয়া করতে থাকি ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দোয়া টোয়া করে দেশের জিডিপি বাড়বে না। দেশের জিডিপি বাড়াতে হলে দেশের মাঝারি শিল্প বাড়াতে হবে। যেগুলো আছে সেগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আপনার হেড লাইন বেশ পছন্দ হয়েছে। কথাটা ঠিক, আসলে পরিকল্পনা একা একা করা যায় না। উনার আশেপাশের লোকগুলো সুবিধাবাদী বা ব্যবসায়ী। উনি দেশ নিয়ে চিন্তা করে, বাকিরা লাভ নিয়ে।