নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
আপনি যদি কোন মুসলিমকে প্রশ্ন করেন যে, মুসলমানরা জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে আছে কেন? বেশিরভাগ সময় তার সোজাসাপ্টা উত্তর হবে সব ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র। তারা ইচ্ছে করে মুসলমানদেরকে জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে! এবং প্রতিনিয়ত ইসলামের ক্ষতি সাধন করতে তারা সচেষ্ট থাকে। আসলে কোন জাতি চায়না অন্য কোন জাতি জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদেরকে ছাড়িয়ে যাক। ইহুদি নাসারাও হয়তো সেটা চাচ্ছেনা। তবে এরজন্য তাদের অন্যের ধর্মের ক্ষতি করার কি দরকার? বরং তারা এটা চাইতে পারে তারা ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকুক। ধর্মীয় গোঁড়ামি, অন্ধত্ব ও ভুল লজিকের কারণে মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা থেকে দূরে থাকছে, তাই আমার তো মনে হয় ইহুদী-নাছারারা মুসলমানরা যাতে বেশি বেশি ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকুক সেটাই চাইবে।
ইজরায়েলের কোন শিক্ষার্থী যখন মানুষের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারের কোড লিখছে তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী মাছের গায়ে আল্লাহর নাম দেখে সুবহানাল্লাহ লিখছে। আমেরিকার কোন মেয়ে যখন একটি গ্যালাক্সি থেকে আরেকটি গ্যালাক্সির দূরত্ব মাপছে তখন বাংলাদেশের একটি মেয়ে পিতা দিয়ে হিজাবের মাপ মাপছে।
বৃটেনের কোন যুবক যখন বিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্রের অসামঞ্জস্যতা বের করার চেষ্টা করছে এদিকে তখন কোন এক যুবক ইউটিউবে মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ খুঁজছে!
এখন আপনি বলুন মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য ইহুদিদের মুসলমানদের ধর্মের ক্ষতি করা দরকার নাকি ধর্মপালনে আরো বেশি উৎসাহিত করা দরকার?
ধর্ম এবং বিজ্ঞানকে একই সমান্তরাল রেখায় আনার চেষ্টা করা বোকামি। আমি সবসময় মনে করি ধর্ম সব সময় নিজের ব্যক্তিগত বিষয়, ধর্ম পালনে যদি মনে প্রশান্তি আসে তাহলে সেটি নিজে নিজেই পালন করা উচিত। সমাজ-রাষ্ট্র যদি হই হই করে ধর্মের পিছনে ছুটতে থাকে তাহলে জ্ঞান বিজ্ঞানে অবশ্যই পিছিয়ে পড়তে হবে। আর যুগের পর যুগ অপরের হাতে মার খেয়ে যেতে হবে।
এখন যদি ইহুদী-নাসারাদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ লাগে আর আল্লাহ যদি যুদ্ধে ফেরেশতা না পাঠায় তাহলে কার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? ঢাল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ হলে অবশ্য মুসলমানদের জয়ের সম্ভাবনা থাকবে। যদিও ঢাল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করার সময় অনেক আগেই ফেলে আসা হয়েছে। তারপরও এখনো মুসলমানরা ঢাল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করে বিশ্ব নের্তৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন দেখে। এখন এই ঢাল-তলোয়ারের যুদ্ধে যদি আপনি লজিক দেখান তাহলে আপনাকে আর যুদ্ধে জয়ী হতে হবে না, সারাজীবন লজিকের উপরেই থাকতে হবে।
আসলে সময়ের সাথে, যুগের সাথে আপনাকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সাথে পরিচিত হতে হবে, সেগুলি নিয়ে গবেষণা করতে হবে। এখন সেগুলি গবেষণা করতে গিয়ে যদি ধর্মের সাথে সংঘর্ষ হয় এবং আপনি সেখান থেকে ফতোয়া দিয়ে বিমুখ হয়ে পড়েন তাহলে আপনি আর এগুতে পারবেন না। ধর্মকে নিজের ব্যক্তিগত পর্যায়ে রেখে বিজ্ঞান চর্চা করে যেতে হবে, তাহলেই আপনি ইহুদী-নাসারাদের সাথে প্রতিযোগিতায় শামিল হতে পারবেন অন্যথায় স্বপ্ন দেখেই পরিতৃপ্তি লাভ করতে হবে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্মের কারনে মানুষ বিজ্ঞান চর্চায় ভয় পায়।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৬
হাবিব ইমরান বলেছেন:
অপ্রিয় হলেও সত্য, বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের প্রধান শাখাগুলোর জন্ম হয়েছে মুসলিমদের হাত ধরেই। বিধি বাম, এখন অন্যরা মুসলিমদের জ্ঞান বিতরণ করে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার জন্য। তবে মুসলিমদের বিজ্ঞান থেকে পিছিয়ে পড়ার জন্য আমি দায়ী করবো বকধার্মিকতাকে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম মানুষকে পিছনে টেনে রাখে, ধর্মের কিছু বিধিনিষেধের কারণে মুসলমানরা এখন বিজ্ঞানমনস্ক হতে পারছে না।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
একাল-সেকাল বলেছেন:
আপনার বিশ্লেষণ বর্তমান বাস্তবতা।
তবে ইসলাম ধর্ম বিজ্ঞানকে এড়িয়ে যায় না। পবিত্র কোরআন মজিদ হচ্ছে বিজ্ঞানের আঁতুড়ঘর।
বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আমি তোমাদের মাঝে এমন সুস্পষ্ট দুটি বিষয় (বিধান) রেখে গেলাম, যা দৃঢ়ভাবে ধারণ করলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না: আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর নবী (স.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের আরেকটা নির্লজ্জ বাস্তবতা হচ্ছে, এদেশে FOXLIFE চলে PEACE TV নিষিদ্ধ। মাদক আর সেক্স দিয়ে যুবকদের বসিয়ে না রেখে সরকারের উচিৎ বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্র তৈরি করা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কোরআনে যেভাবে বলা হচ্ছে তার চেয়ে সহজ ভাবে বলা আছে অন্যান্য বইয়ে, মুসলিমরা সেসব বই খুব একটা পড়তে চায় না।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্মের কারনে মানুষ বিজ্ঞান চর্চায় ভয় পায়।
একদম খাঁটি কথা বলেছেন। দামী কথা বলেছেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ মানুষ চাইলেও ধর্মের করে না অনেক কিছু নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না, গবেষণা করতে পারেনা।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
রমিত বলেছেন: আপনার কি আল হাইয়াম (আল হাজেন) এবং তার 'মেথড অব ইনভেস্টিগেশন' সম্পর্কে কিছু পড়া ও জানা আছে?
আপনি আল হাইয়াম-এর 'কিতাব আল মানাজির' (A Book on Optics) সম্পর্কে কিছু জানেন কি?
আপনার নিজের পড়ালেখা কোন সাবজেক্টে?
ইবনে রুশদ-এর র্যাশনালিজম সম্পর্কে কিছু কি পড়েছেন?
সময় হলে
ইবনে সিনা, ওমার খৈয়াম, তকি আল দীন, ইবনে খলদুন, ইবনে রুশদ, প্রমূখ কালজয়ী বিজ্ঞানীদের লেখাগুলো একটু মনযোগ দিয়ে পড়বেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি কি জানে ইবনে সিনা, ওমর খৈয়ামকে মুরতাদ ঘোষণা করা হয়েছিল। ইবনে সিনা মানব অঙ্গ পতঙ্গ স্থাপন নিয়ে গবেষণা করতে চাওয়া তাকে নিজের শহর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এটা জানেন কি গত ২০ বছর আগেও রক্তদানকে হারাম মনে করা হতো এখনো অনেক আলেম এটাকে মাকরূহ বলে থাকেন। চক্ষুদান, কিডনি দান এখনো হারাম জানেন কি?
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
হাবিব ইমরান বলেছেন, "অপ্রিয় হলেও সত্য, বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের প্রধান শাখাগুলোর জন্ম হয়েছে মুসলিমদের হাত ধরেই। "
-আপনার লেখায় আমি আফগানী আধুনিক বিজ্ঞান দেখে আসছি সব সময়।
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৩
হাবিব ইমরান বলেছেন:
@চাঁদগাজী সাহেব আপনি বলেছেন,
-আপনার লেখায় আমি আফগানী আধুনিক বিজ্ঞান দেখে আসছি সব সময়।
ব্যাপারটা দারুণ। আপনি সবসময় আফগানকে আমার সাথে গুলিয়ে ফেলেন।
কিন্তু ব্যাপারটা কোনভাবেই মিলছে না। আমি আফগানদের পছন্দ করিনা, সেটা বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ আর জামাতের ক্ষেত্রেও তাই। দুই পক্ষই বর্বর।
কিন্তু মুসলিমরা যে জ্ঞান বিজ্ঞানে অবদান রেখেছেন তাতে কি আপনার কোন সন্দেহ আছে?
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
রমিত বলেছেন: আমি আলোচনা করছি কোন টপিক নিয়ে। আর আপনি টেনে আনলেন কোন আলোচনার টপিক!!!!
আমার প্রশ্নগুলির উত্তর তো পেলাম না!!!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি যাদের মুসলিম বলে দাবি করছেন তারা আসলে প্রথাগত ধর্মের বাহিরে গিয়ে জ্ঞান চর্চা করেছে। আমার পোস্টের সাথে তাদের জ্ঞান চর্চার ধরন ঠিক আছে। ধর্মকে একপাশে রেখে বিজ্ঞান চর্চা করতে হবে। আমি আপনাকে সেটাই বলেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের সরকারে জ্ঞানী মানুষ না থাকায়, আমাদের পড়ালেখায় বিজ্ঞান নেই।