নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমান হিসেবে ইসলাম নিয়ে গর্ব করার জায়গা দিনদিন ছোট হয়ে আসছে!

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫২


ফেসবুকে একটা ভিডিও গত দুইদিন থেকে খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তব্য দেওয়ার সময় দর্শক সারির মাঝখান থেকে কেউ একজন আল্লাহু আকবার বলে চিৎকার করে ওঠে। এতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভীত হয়ে মঞ্চ থেকে দৌড়ে নেমে যেতে চায় পরে অবশ্য তার বডিগার্ডরা থাকে ঘিরে ধরে আশ্বস্ত করে এবং আল্লাহু আকবার কে বলেছে তাকে খুঁজতে থাকে। ভিডিওটির কমেন্টে আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার কমেন্টে সয়লাব হয়ে গেছে।

এই আল্লাহু আকবার বলার কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভীত হয়েছে এটা মুসলমানদের খুব আনন্দ দিচ্ছে। তারা বলছে আল্লাহু আকবার শুনে শয়তান ভয় পেয়েছে, সবার সামনে অপমানিত হয়েছে। আল্লাহু আকবারের ফজিলত দেখে তারা নিজেরা বিস্মিত হচ্ছে এবং আল্লাহকে ধন্যবাদ দিচ্ছে। এখন আপনি বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আল্লাহু আকবার শুনে কি পরকালের ভয়ে, না আল্লার শাস্তির ভয়ে ভীত হয়ে স্টেজ থেকে নেমে যেতে চেয়েছে? নাকি সে তার গর্দানে হাত দিয়ে দেখতে চেয়েছে সেটা ঠিক জায়গামত আছে কিনা? নিশ্চয়ই তার মাথায় দ্বিতীয়টি কাজ করেছে এবং তার জন্য সে দৌড়ে পালাতে চেয়েছে। এখন এই আল্লাহু আকবার বলার কারনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভীত হওয়া আপনাকে আনন্দ দেওয়ার কথা নয় বরং লজ্জা পাওয়ার কথা। আল্লাহু আকবার হলো সৃষ্টিকর্তার মহত্ব প্রকাশ করার একটি শব্দ। এখন এই শব্দ শুনে তো কারো ভয় পাবার কথা না বরং ভয় পেলে বুঝতে হবে তার কাছে সৃষ্টিকর্তার মহত্ব প্রকাশের শব্দটি ভীতিকর শব্দ।

আসলে আমাদের মুসলমানদের একটা অংশ ইসলামটাকে একটি ভীতিকর অবস্থা নিয়ে এসেছে। এখন ইসলামের নাম ও উপাসকের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভীতিকর পরিস্থিতি ভেসে উঠে। তবে এমনটি তো হওয়ার কথা ছিল না। ইসলাম শান্তির ধর্ম হিসেবে এটার নাম শুনলে কেন অন্য আরেকজন লোক ভয় পাবে? কেন তার সামনে ভীতিকর পরিস্থিতি ভেসে উঠবে? মুসলিম হিসেবে এটা আমাদের জন্য অবশ্যই একটা লজ্জার বিষয় এতে আনন্দ বা গর্ববোধ হওয়ার মত কিছু দেখছি না।

মুসলমানরা একটা সময় পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ শাসন করেছে। সময়টি তখন ছিল দৈহিক শক্তি প্রদর্শনের যুগ, তখন ঢাল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করে অন্যদেরকে পরাস্ত করা হতো, তাদেরকে শাসন করা হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নিয়েছে। অত্যাধিক মাত্রায় ধর্মকে সমাজ ও রাষ্ট্রের উপর প্রয়োগ করার কারনে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় সেই ধর্ম বাধা সৃষ্টি করে। আর যার ফলশ্রুতিতে মুসলমানদেরকে বাকি বিশ্ব থেকে পিছিয়ে পড়তে হয়। এই পিছিয়ে পড়েও এখনো মুসলমানরা বুঝতে পারছে না যে, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ছাড়া বর্তমান আধুনিক বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করা সম্ভব না।

আল্লাহু আকবার বলে কারো মনে কাঁপন ধরিয়ে দিতে পারা যাবে, কাউকে ভীত করে দিতে পারবে কিন্তু তার সাথে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারবে না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমকক্ষ হয়ে উঠতে হলে অবশ্যই ধর্মকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রেখে নিজেকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান চর্চায় নিয়োজিত করতে হবে।
আজকের ডোনাল্ড ট্রাম্প আল্লাহু আকবর শুনে যেভাবে ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছে সেটা মুসলমান ও তার ধর্ম সম্পর্কে পুরো পশ্চিমা বিশ্বের ধারনার একটি সিম্বল। আর এইটা কোনভাবেই মুসলমানদের জন্য ভালো কিছুর সিম্বল নয়। এর থেকে মুসলমানদের বের হয়ে আসা উচিৎ।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই।
হিন্দু মুসলমান নিয়েও গর্ব করার কিছু নেই। সবাই মানুষ। মানুষ নিয়ে গর্ব করুন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাজীব ভাই আপনি সঠিক বলেছেন। তবে আপনার ধর্মীয় পরিচয় যেকোনো জায়গায় নিঃসংকোচে বলার মত পরিস্থিতি রাখা উচিত।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Good

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকাতে যখন কোন মিছিল থেকে যদি "আল্লাহু আকবর" শ্লোগান আসে, আশপাশের মানুষ ভীত হয়ে পড়ে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ব্যাপার এসব।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

জাহিদ হাসান বলেছেন: মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার করার নাম ধর্ম নয়। অধর্ম।
মানুষের মাঝে ভালোবাসা ছড়ানোই ধর্মের কাজ। প্রকৃত ধর্ম।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেটাই হওয়া উচিত।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি সঠিক ছিল। আবার পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চরম বাস্তব

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এর থেকে বের হওয়া উচিত। আমাদের আরো লজিক্যাল চিন্তা করতে হবে।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর আলম হিরণ,



ঠিকই বলেছেন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

দেবদাস বাবু বলেছেন: ঘটনা আসলেই সত্য, তবে সব থেকে বড় কথা সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষকে মানুষই ভাবতে হবে। ধর্ম যেন অন্য জনের মনে ভীতি সঞ্চার না করে সেদিকেও ভাবতে হবে।

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এখানেই সমস্যা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সমস্যা যারা তৈরি করে এরা বুঝতে পারে না এরা যে সমস্যা তৈরি করে।

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি সঠিক ছিল। আবার পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ।

ব্লগিং করতে আমাকে সহযোগিতা করবেন।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি অনেক পুরনো ও অভিজ্ঞ ব্লগার।

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: কি যে বলেন ছি !!! বেহেস্তে গিয়া হুরের কোলে বসে শারাবান তাহুরা পান করবো কেন বেহুদা জ্ঞ্যান বিজ্ঞ্যান নিয়া ভাববো এটা ইহুদি নাসারা কাফের মুসরিকদের কাজ, ও গুলা আমরা করি না, আমরা সাচ্চা মুসলমান, আমরা শীতকাল আসলে গলায় তেল মেখে লং হর্ন লাগিয়ে চিৎকার করবো আর কিছুক্ষন পর বলব " ঠিক কি না " কেউ যদি এর উত্তর না দেয় তারে জন সম্মুখে তিরস্কার করবো। আমরা নারীর যৌনাঙ্গের রসালো বর্ননা দিব, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতংগের মুচমুচে বর্ননা উধাহারন দিবো ইহাই আমাদের কাজ। আর ফাকে ফাকে নাউজুবিল্লাহ বলবো। কে কারে সালাম দেয় নাই ইহা নিয়া গলা খাকরিয়ে খ্যাক খ্যাক করে চিৎকার করে উঠব, বিবি কি কি ভাবে তালাক দেয়া যায় তার বর্ননা দিবো, মহিলারা হলো দোজকের লাকড়ি এটা বলে বেশ তৃপ্তি বোধ করবো। আমাদের কি কাজ ভাই এই সব দুনিয়াবী চিন্তা করার। ওই গুলা ওরা করুক, সব জাহান্নামি।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একজনকে বললাম ইহুদি, নাসারারা এত এগিয়ে কেন জ্ঞান বিজ্ঞানে? উনি উত্তর দিলেন ওরা কষ্ট করে পরিশ্রম করে আবিস্কার করবে আর আমরা এটা ব্যবহার করব। কোরআন নাকি হাদীসে কোন এক জায়গায় বলা আছে ইহুদীরা মুসলমানদের সেবা করার জন্য জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত হবে!

১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪০

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ধর্ম নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না কারণ স্রস্টার সৃষ্ট বান্দাকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন । আমরা সবাই তাঁরই আরাধনা করি যে যার মত
ভিন্ন ভিন্ন ভাবে । এবং তিনিই আমাদের মাথায় ঘিলু দিয়েছেন যা আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে জাওয়ার ক্ষমতা দান করেছেন । এই গিলু দিয়ে আমরা কত কি করছি আলহাম্মদুলিল্লা ।ধর্ম নিয়ে আমরা কোন বিতর্কে যেতে পারি না ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম নিয়ে আমরা বিতর্কে যাই না কিন্তু আমাদের কাজকর্মের জন্য ধর্ম বিতর্কিত হয়ে যায়!

১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০০

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: আমি স্রষ্টার কাছে কি প্রকার সাহায্য আশা করতে পারি, যেখানে ধর্মগুলোই টিকে আছে মানুষের সাহায্য নিয়ে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম টিকে থাকুক, কিন্তু সেগুলো রাষ্ট্র ও সমাজের উপর প্রয়োগ করতে গেলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.