নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
এ করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ব্লগে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কম কথা হয়নি। করোনার কারণে আমাদের স্বাস্থ্য সেবার যে এত দুরবস্থা সেটা বোঝা আরো সহজ হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য খাত যে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং মাথামোটা লোকজন এর দায়িত্ব নিয়ে বসে আছে সেটা আগেও বুঝা গিয়েছে। গত দুইদিন থেকে একটা ভিডিও অনেকবার চোখে পড়েছে। যেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধা ঢাকার একটি নামকরা হাসপাতালে তিন দিনের জন্য ভর্তি হয়েছেন। উনার শারীরিক কিছু সমস্যা ছিল, যার কারণে ওনাকে অক্সিজেন নিতে হলো। উনার ভাষ্যমতে উনি তিনদিনে দশ মিনিট করে ত্রিশ মিনিট অক্সিজেন নিয়েছেন যার বিল এসেছে ছিয়াশি হাজার টাকারও বেশি এবং এই তিন দিনে উনি যে রুমে ছিলেন তার ভাড়া এসেছে লক্ষাধিক টাকার বেশি! এছাড়াও আরো কিছু জিনিসের বিল ধরা হয়েছে যেগুলোর সেবা উনি নেননি।
বর্তমান দেশে যে দুর্যোগকালীন সময়ে অতিবাহিত হচ্ছে এই সময় সরকার সাধারণ জনগণের জন্য স্বাভাবিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া সহজলভ্য করার জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়াও করোনা রোগীদেরকে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারেনি। আমাদের সরকারি আমলারা যদি জমিদার হয়, তাহলে স্বাস্থ্যখাতের আমলারা হচ্ছে মোগল সম্রাট! এরা স্বাস্থ্যখাতের মাফিয়াদেরকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেনি। নিজেদের কোন অসুখ হলে এরা দেশের বাহিরে নিজেদের ছেলেমেয়েদের কাছে চলে যায়। সেখানে থেকে চিকিৎসা করায় আর হাসপাতালের বেডে শুয়ে তাদের ডাক্তার, নার্সদের থ্যাংক ইয়্যূ বলে তাকে ভালো সেবা দেওয়ার জন্য। তারপর দেশে ফিরে এসে নিজের আত্মীয় স্বজনদের কাছে সেই হাসপাতাল আর তাদের চিকিৎসা সেবার গুনগান গাইতে থাকে কয়েক মাস।
আমাদের সংবিধানে নাগরিকদের জন্য যে পাঁচটি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সেখানে চিকিৎসা সেবাকে পাঁচ নম্বরে রাখা হয়েছে। আমার মতে এটাকে দশের পরে রাখলে মোটামুটি যুক্তিযুক্ত হতো। চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষাকে মাফিয়াদের হাতে ছেড়ে দিয়ে সরকার সাধারণ মানুষের জন্য এ দুটিকে দুষ্প্রাপ্য করে ফেলেছে। দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতাল গুলোর দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে এগুলোর বেশিরভাগই সঠিকভাবে প্রস্তুত নয়। স্বাস্থ্য খাতে যে বাজেট হয় সে অর্থ যে ঠিকভাবে ব্যয় হয়না তার ছাপ স্পষ্ট দেখা যায় হাসপাতাল গুলোর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে!
ভাগ্য ভালো আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখনো ঝাড়ফুঁক, পানিপড়া, তাবিজ-কবজে বিশ্বাস করে, তা না হলে হাসপাতাল গুলোর উপর আরো অনেক বেশি চাপ পড়তো।
বিশ কোটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা কঠিন কাজ, তবে অসম্ভব নয়। যদি বলেন অর্থের সমস্যা তাহলে সেটা সঠিক হবে না। দেশের অনেক সরকারি হাসপাতাল আছে যেখানে এমন এমন অত্যাধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে যা চালানোর মত দক্ষ লোকজন ওই হাসপাতালে নেই। এমনও হাসপাতাল আছে যেখানে দরকার নেই এমন যন্ত্রপাতি বারবার আমদানি করে নিয়ে আসা হয়। আমাদের স্বাস্থ্য খাতে অপব্যয়, অপচয় এবং দায়িত্ব অবহেলা বন্ধ করতে পারলে বিশ কোটি মানুষকে মোটামুটি ভালো চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব। খুবই সম্ভব।
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: যৌক্তিক সমালোচনা করতে হবে। তবে কোনো সমালোচনাই সরকার/প্রশাসন সহ্য করতে পারছে না।
২| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার এক আত্মীয়র করোনা হয়েছে। সে কোনো হাসপাতালে ভরতি হতে পারছে না। হাসপাতালে নাকি সিট নেই।
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হাসপাতালে কিছু সিট অবশ্যই আছে। কোন রেফারেন্স নিয়ে যেতে পারেন, সিট ব্যবস্থা হতে পারে। তবে করোনায় বাসায় বসে ট্রিটমেন্ট নেওয়াই ভালো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আজও একজন সাংবাদিক ডিজিটাল আইনে গ্রেফতার হয়েছে । কোন সমালোচনা করা যাবে না । মরে যাবো দরকার হলে