নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
ঈশ্বরদের বিচার চাওয়া যায় না, বিচার তো দূরের কথা সামান্য অভিযোগও করা যায়না। তাদের বিচার চাইলে, অভিযোগ করলে তারা রাগ করে, রাগে ক্ষোভে তারা সবকিছু ধ্বংস করে দিতে চায়। এই কালে না পারলে পরকালে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়! এই ঈশ্বরদের সাথে প্যারারাল ঈশ্বরও আছে এই সমাজে। তারাও ঈশ্বরের মত, তাদেরও বিচার চাওয়া যায়না, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও করা যায়না। এসব করলে তার প্রচন্ড রাগ করে। রাগে ক্ষোভে তারাও আইনের সকল সিস্টেম উলটপালট করে দিতে চায়। উপরের ঈশ্বরদের মন্দ দিক যেমন তাদের পূজারীরা আমাদের জানতে দিতে চায়না তেমনি এই ঈশ্বরদের নামও পর্যন্ত নিতে চায়না তাদের পাচাটা পূজারীরা!
ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা
আমাদের এই বসুন্ধরা!
হ্যাঁ, যত ধন আর সম্পদ আছে সব বসুন্ধরার মত ঈশ্বরদের পেটে ভরে আছে। তাদের পেট এখনো ভরে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে এরা দেশের অর্থনীতিকে যেভাবে ম্যানুপুলেট করেছে, তাতে সাধারণ মানুষদের মৌলিক অধিকার গুলো প্রাপ্তি দুরূহ হওয়াসহ জীবনযাত্রার মান নিচে নেমে যাচ্ছে। এদের জালে আটকে যাচ্ছে সরকারের প্রশাসনসহ রাজনৈতিক দলগুলো। এরা যে খালি অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তা না, বিপুল পরিমানে অনৈতিক ভাবে অর্থের মালিক হওয়ার জন্য এরা আরো অনেক ধরনের অন্যায়, অপরাধ করে থাকে। এইসব অন্যায় অপরাধকে জাস্টিফাই করার জন্য, ঢেকে দেওয়ার জন্য আবার একদল থাকে যারা নিজেরদের প্রফেশনকে, বিবেককে কলুষিত করতে দ্বিধা করে না। গত কয়েকদিন থেকে এই চিত্রটি বেশ ভালোভাবেই দেখা গেলো।
আমাদের মৌলিক অধিকার গুলোর মধ্যে যে পাঁচটি অধিকার আছে গত ৫০ বছরেও এই অধিকার গুলি ঠিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। পাঁচটি মৌলিক অধিকার গুলোর বাহিরে এখন আরেকটি অধিকার দরকার, সেটা হচ্ছে নিরাপত্তার অধিকার। অবশ্য পাঁচটি মৌলিক অধিকার ভালো ভাবে পূরণ করা গেলে নিরাপত্তা ব্যাপারটি এমনিতেই চলে আসতো। আমাদের যেহেতু অন্য মৌলিক অধিকার গুলি ঠিকভাবে পূরণ হচ্ছে না তাই অন্তত প্রশাসনের নাগরিকদের শক্ত হাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত। আমাদের রাষ্ট্রপতি মৌলিক অধিকার গুলির সাথে এই জিনিসটি যুক্ত করে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে পারে।
মানুষ তার জানমালের নিরাপত্তা ও সঠিক বিচার পাওয়ার অধিকার সরকারের কাছে রাখে। সমাজের প্যারালাল ঈশ্বরদের জন্য সরকার বেশিরভাগ সময় নাগরিকদের এই অধিকার ক্ষুন্ন করে। মানুষ দিন দিন হতাশ হচ্ছে সরকার প্রশাসনের কার্যকলাপে। সরকারের ভিতর আরেক প্যারারাল সরকার বোধহয় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে! এই প্যারালাল ঈশ্বর, প্যারালাল সরকার দ্রুততার সাথে জাতিকে সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এদেরকে থামানোর জন্য কোন ঈশ্বরের দ্বারস্থ হওয়া যায়?
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সমাজ এবং সরকারগুলির সৃষ্টির ইতিহাস এমনই কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের সরকারগুলোকে দেখলে এই ইতিহাস ভুল মনে হয়। রাজনীতিকে পেশা হিসাবে নিক সমস্যা নেই তবে সে পেশা অন্যের ক্ষতির কারণ হচ্ছে সেটাই সমস্যা।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: ঈশ্বর একটি শব্দ মাত্র।এর ভালো করার ক্ষমতা নেই,খারাপ করারও ক্ষমতা নেই।খারাপ ভালো করে ধর্ম যা মানুষের সৃষ্টি।
সংবিধানে নিরাপত্তার অধিকার দেয়া আছে কিন্তু পালন করা হয় না।সবথেকে বড় ঈশ্বর ঐক্যবদ্ধ জনগন।আজ জনগনের মধ্যে ঐক্য নাই তাই যার যা খুশি তাই করছেে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:২৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আজ জনগনের মধ্যে ঐক্য নাই তাই যার যা খুশি তাই করছেে" - ২ নং মন্তব্যে উল্লেখিত এই ছোট্ট কথাটিই বাংলার মাটিতে এত্তসব অনাচার সম্ভব হবার একটি বড় কারণ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষের মৌলিক অধিকার গুলো মোটামুটি নিশ্চিত হলেও মানুষ বিশৃঙ্খল হতো না। জীবন জীবিকার অনিশ্চয়তা মানুষকে অপরাধী করে তোলে। বিচারহীনতা মানুষকে বেপরোয়া করে তোলে।
৪| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ২ নং মন্তব্যকারীর সাথে একমত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৯
রানার ব্লগ বলেছেন: সরকারের সৃষ্টি এই জন্য যাতে সে তার জনগনের জান মালের নিরাপত্তা দিতে পারে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজকাল সরকার সৃষ্টি হয় তাদের জন্য যাদের পেশা উল্ল্যেখ থাকে রাজনীতি।