![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
আমার পরিচিত কয়েকজনকে দেখলাম অফলাইনে অনলাইনে একটা বিষয় নিয়ে আক্ষেপ করতে। এরা আক্ষেপ করে বলছে শেখ হাসিনার সরকার ছাত্রলীগের ছেলেপেলেদের উপর অবিচার করছে। ছাত্রলীগের ছেলেপেলেরা নাকি ভালো চাকুরী পাচ্ছে না, বেকার বসে আছে। যারা চাকুরিতে আছে তাদের ভালো জায়গায় প্রমোশন হচ্ছে না, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ পাচ্ছেনা। সব নাকি দলের অনুপ্রবেশকারীরা দখল করে নিচ্ছে! প্রশাসনের বড় বড় জায়গায় সরকার বিরোধীরা বসে আছে!
এদের এসব কথা শুনলে আমার প্রচন্ড হাসি পায়। চাকুরী পাওয়ার জন্য, ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য কিংবা প্রমোশন পাওয়ার জন্য ছাত্রলীগ কি কোন যোগ্যতার মাপকাঠি! এরা বলছে ছাত্রলীগের ছেলেপেলে চাকুরী পাচ্ছেনা, তারা হতাশাগ্রস্ত। অন্যদিকে বাকিরা বলছে ছাত্রলীগের ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকলে চাকুরী পাওয়া যাচ্ছেনা, প্রমোশন হচ্ছেনা কি একটা অবস্থা!
রাজনৈতিক পরিচয়কে চাকুরী পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা এই দেশে অনেক আগ থেকেই চলে এসেছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রমোশনের জন্যও নাকি রাজনৈতিক পরিচয় খোঁজা হয়? সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকলে সরকারি চাকরি বাকরি খুব একটা হয়না। তাহলে ছাত্রলীগের ছেলেপেলেরা এমন কান্নাকাটি করছে কেনো?
আসলে কান্নাকাটি করার কারণ হচ্ছে শেখ হাসিনা নিজের লোকজনের জন্যেও পর্যাপ্ত পরিমাণ চাকুরী সৃষ্টি করতে পারেনি। দেশে চাকুরী সৃষ্টি করতে হলে উৎপাদন বাড়াতে হয়। নতুন নতুন দেশীয় প্রোডাক্ট বাজারে আনতে হয়। চায়না গার্বেজ এনে দেশ ভর্তি করে ফেললে দেশে চাকুরী সৃষ্টি হবে না, সর্বোচ্চ ময়লার ভাগাড় পরিষ্কার করার জন্য লোক লাগবে। সিটি কর্পোরেশনের লোকজনের উপর চাপ বাড়বে।
যাইহোক দেশের চাকুরীর বাজার ভালো না এটা সহজেই অনুমান করা যায়। যেখানে শেখ হাসিনার নিজের লোকজন চাকুরীর জন্য কান্নাকাটি করে, সেখানে অন্যদের যে কি অবস্থা সেটা বুঝাই যায়। শেখ হাসিনার এখন অতিসত্বর উচিত নিজের দলের এসব ছেলেপেলেদের জন্য চাকুরীর ব্যবস্থা করা। এরা যদি চাকুরী পায় তাহলেও বিশাল একটি অংশের বেকারত্ব সমস্যা দূর হবে। এরা চাকুরী না পেলে এবং যখন দেখবে এদের বড় ভাই, চাচা কিংবা দাদুরা কোন চাকুরী বাকুরী না করে, ব্যবসা-বাণিজ্য না করে শুধু দল করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে, তখন এরাও তাদের পথ অনুসরণ করার চেষ্টা করবে।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় শেখ হাসিনা যদি তাদের বলে পড়ালেখা করো, দক্ষতা অর্জন করো, নিজের লক্ষ্য স্থির করো। মিছিল, মিটিং, মারামারি এগুলির এখন আর দরকার নেই। ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করার পর যদি সম্ভব হয় আমাকে সাহায্য করিও, দলে যোগ দিও।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কিন্তু ইদানিং ছাত্রলীগের ছেলেপেলেরা নাকি চাকরি-বাকরি খুব একটা পাচ্ছেনা!
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৭
অন্ধঘোড়া বলেছেন: শেখ হাসিনা তার ছেলেপেলেদের পড়ালেখা করে দক্ষতা অর্জনের কথা কখনোই বলবে না, পাছে না তাদের বিদ্রোহ করে বসার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় এই ভয়ে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:৩৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ হাসিনা সঠিক রাজনীতি করলে ছাত্রলীগের প্রয়োজন হবার কথা নয়।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৯
সোনাগাজী বলেছেন:
আমাদের এলাকায় তৃণমুল আও্য়ামী লীগের লোকদেরও চাকুরী নেই; তবে, ঢাকা ও চট্রগ্রাম শহরের ছাত্রলীগের ছেলেদের অবৈধ আয় অনেক।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:৩৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ হাসিনা নিজের লোকদেরও চাকুরী দিতে পারছেন না!
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৩:০২
কামাল১৮ বলেছেন: একই ব্যবস্থা পৃথিবীর সকল দেশেই প্রযোজ্য।অন্য মতের লোকদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আপনি দেশ চালাবেন কি করে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ক্ষমতা না দিক অন্তত ডালভাত খাওয়ার মত চাকুরী দিক।
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: গত নির্বাচনেই সবাই বুঝে গেছে যে প্রশাসন দখলে রাখতে পারলেই ভোট জেতা যায়, অনাবশ্যক এদের (ছাত্র নাকি অছাত্র) এত সুবিধা দিয়ে রাখার দরকার টা কি?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ হাসিনা নির্বাচনে জিতুক সমস্যা নেই, কিন্তু অন্তত নিজের দলের লোকদের চাকুরীর ব্যবস্থা করুক। এরা চাকুরী না পেয়ে অন্যায় ভাবে টাকা রোজগার করার চিন্তা করে ।
৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: সেটা সম্ভব কেবল মাত্র সম্পদের সুষম বন্টনের মাধ্যমে।সম্পদ সীমিত,একজনের বেশি সম্পদ থাকলে আরেক জনের কম থাকবে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এদেশে সম্পদ সীমিত মানুষ বেশি, তাই সম্পদকে সুসম বন্টন করলেও সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান হবে না। সম্পদ সীমিত হওয়ার কারণে মানুষকেই সম্পদে পরিণত করতে হবে তাহলে সমস্যা সমাধান হবে, অন্যথায় নয়।
৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ১। ছাত্রলীগ অনেক ভালো। তাদের তুলনা হয় না। তাঁরা সোনার ছেলে। সত্যবাদী।
২। ছাত্রলীগ কাউকে কোনদিন দিনেদুপুরে কুপিয়ে মারেনি। তাঁরা ক্ষমতা দেখায় না। মদ খায় না।
৩। তাঁরা চাঁদাবাজী করে না। দালালি বা চাটুকারিতা করে না।
৪। তাঁরা দেশকে অনেক ভালোবাসে। তাঁরা আছে বলেই আমরা বেঁচে আছি।
৫। দেশের সেরা সন্তানেরা ছাত্রলীগ করে। ওরা জল্লাদ, ওরা ভয়ঙ্কর। থুক্কু ওরা নিষ্পাপ।
৬। পোলাপান ছাত্রলীগে যোগ দিলে বাবা মা খুশি হয়, গর্বিত হয়। ৭১ এ ওরাই দেশ স্বাধীন করেছে।
৭। ছাত্রলীগের পোলাপান সৎ ও পরিশ্রমী। শেখ মুজিবকে যখন হত্যা করা হয়, তখন ওরা অনেক কেঁদেছে।
৮। ছাত্রলীগ লেখাপড়ায় খুব ভালো। তাঁরা ভদ্র, নম্র। তাদের তুলনা হয় না। ওদের ব্যবহার অতি মনোরম।
৯। ছাত্রলীগকে দেশের সবাই ভালোবাসে। পুলিশ, র্যাব, মন্ত্রী, এমপি সবাই। ছাত্রলীগ আছে বলেই দেশবাসী রাতে ঘুমাতে পারে।
১০। ছাত্রলীগ সব সময় সচেতন। তাঁরা হেলমেট পড়ে থাকে। হাতে লাঠি বা পিস্তল, থুক্কু হাতে ফুলের তোরা রাখে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: পয়েন্ট গুলো আমার পোস্টকে ডিফাইন করে না, স্যাটায়ার পোস্টে কমেন্ট করলে ঠিক ছিল।
ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার দুর্নাম করছে। শেখ হাসিনা অন্তত এদেরকে কাজবাজ দিতে পারলে ভালো হতো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫১
সোনাগাজী বলেছেন:
ছাত্রলীগে নাম ছিলো বলে শেখ হাসিনার ১ম চাকুরি ছিলো, আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট, পরে বিরোধীদল প্রধান/প্রাইম মিনিষ্টার; আমু, রাজ্জাক, তোফায়েল, রব, সবারই শুরুর চাকুরী এমপি/মিনিষ্টার; ছাত্রলীগের সবার সেই পাওনাটা আছে।