![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
আপনাকে একটি নতুন জামা পড়তে হলে সর্বপ্রথম কি করতে হবে? সর্বপ্রথম আপনাকে গায়ের পুরোনো জামাটা খুলতে হবে। আমরা আমাদের পুরনো ধ্যান-ধারণা বেশিরভাগ সময় আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই। সেটা সঠিক না হলেও সেটা ছাড়তে চাই না। আমি অবশ্য এখন যে বিষয়গুলি বলবো সেগুলি নতুন নয়, সাড়ে চৌদ্দশো বছর আগের পুরোনো কথা। তবে কথাগুলো আপনার কাছে নতুনের মত লাগবে।
আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই অথবা জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চাই। জান্নাতে যেতে হলে আল্লাহ সর্বপ্রথম যে দুটি শর্ত আরোপ করেছেন সে দুটি হল বিশ্বাস ও সৎকর্ম। একইভাবে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হলে বিশ্বাস ও সৎ কর্ম দিয়েই বাঁচতে হবে। কিন্তু আপনি দেখবেন কোরআনে জান্নাতে যেতে কিংবা জাহান্নাম থেকে নিশ্চিত ভাবে বাঁচতে হলে আল্লাহ যেসব সৎকর্মের ক্লিয়ার বর্ণনা করেছেন তার সাথে আমাদের জান্নাতে যাওয়া বা জাহান্নাম থেকে বাঁচার প্রক্রিয়ার সাথে তেমন একটা মিল নেই।
সূরা হুমাজাহ নিশ্চয়ই পড়েছেন, নামজেই পড়েন বা ইমামকে নামাজে পড়তে শুনেন। কি আছে ৯ আয়াতের সুরাটিতে? ৫নং আয়াত থেকে বলি,
ওয়ামাআদরা-কা মাল হুতামাহ। (আপনি কি জানেন, হুতামাহ কি?) আল্লাহই আবার নবীকে বলে দিচ্ছেন হুতামাহ কি!
না-রুল্লা-হিল মূকাদাহ (এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি)
আল্লাতী তাত্তালি‘উ আলাল আফইদাহ।(যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে)
ইন্নাহা-‘আলাইহিম মু’সাদাহ (এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে)
ফী ‘আমাদিম মুমাদ্দাদাহ (লম্বা লম্বা খুঁটিতে)
এখন আল্লাহ এই কঠোর হুঁশিয়ারি গুলি কাদের উদ্দেশ্যে দিয়েছেন সেটা এই সূরার প্রথম আয়াত পড়লেই বুঝা যায়। শুধু প্রথম আয়াত না, সুরাটির নাম হুমাজাহ যার অর্থ হল পরনিন্দাকারী, ঠাট্টা-বিদ্রুপকারী, যে অন্যকে কথার মাধ্যমে কষ্ট দেয়, গীবত চর্চা করে, এদেরকেই বলা হয় হুমাজাহ্!
ওয়াইলুলিলকুল্লি হুমাজাতিল লুমাঝাহ। (প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর জন্য রয়েছে কঠিনতম শাস্তি)
দেখুন এখানে আল্লাহ প্রত্যেকের কথা বলেছেন, ধনী গরিব, আওয়ামীলীগ বিএনপি, ওসি ডিসি, ব্যবসায়ী চাকরিজীবী, আস্তিক নাস্তিক কাউকে আলাদা করে বলেননি। যেইই এই ধরনের কাজে লিপ্ত হবে তার জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। অথচ এই অন্যায়টি, পাপটি আমরা চা, কফি খাওয়ার মত মনেকরে প্রতিনিয়তই করতে থাকি! এটাকে ধর্মের বিধি নিষেধ হিসেবেই মনে করিনা। আমাদের পরিচিত পাপ, মদ-জুয়া, শূকরের মাংস এমনকি জেনা ব্যভিচারের জন্যেও এইরকম কঠিন হুঁশিয়ারি নেই!
ছোট্ট এই সূরাটির বাংলা কিংবা ইংরেজি অনুবাদ পড়লে আপনার বুঝার জন্য কোন মুফাসসির কিংবা মুহাদ্দিসের কাছে যাওয়ার দরকার পড়বে না। আল্লাহই আপনাকে খুব ক্লিয়ারলি বুঝিয়ে দিয়েছেন পরনিন্দা চর্চা করা, গীবত করা, মানুষের মনে কষ্ট দেওয়া, কাউকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা এগুলো জঘন্যতম অপরাধ এবং যার জন্য নিশ্চিত হুতামাহয় নিক্ষিপ্ত হবে! ফেসবুক, ইউটিউব, মেসেঞ্জারে আমরা নির্বিকার ভাবে এই জঘন্যতম অপরাধটি করে যাচ্ছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে বোঝার তৌফিক দান করুক।
হূমাজাহ সূরাটির অনুবাদ নেট থেকে নেওয়া।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম এই দেশে নিজেদের মত করে তৈরি হয়ছে। আসল বিধি নিষেধ এখানে চর্চা হয় খুবই কম।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: কোরানের বহু যায়গায় আল্লাহ বলেছেন।বান্দার সকল গুনাহ আমি মাফ করে দিবো কিন্তু যে আমারসাথে কাউকে শরিক করবে তার গুনাহ আমি মাফ করবো না।যেটা ইসলামধর্মের লোকেরা অহরহ করে।তারা মোহাম্মদকে আল্লাহর সাথে শরিক করে।
সুরা নিসা আয়াত ৪৮
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: অনেকে না বুঝেই করে, আল্লাহ থেকে নবীর গুরুত্ব বেশি নয়। নবীর বিধান দেওয়ার এখতিয়ার নেই কিন্তু অনেকে নবীর নামে বিধান চালিয়ে দেয়।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১
সোনাগাজী বলেছেন:
সুরাগুলো কি আল্লাহ রচনা, নাকি মানুষের রচনা?
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মুসলমান মানেই বিশ্বাস করতে হবে এগুলো আল্লাহর নির্দেশ।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
কামাল১৮ বলেছেন: @ গাজী সাব,সুরাগুলো আব্বাসিয় খিলাফতের সময় রচিত।তার আগের লিখিত কোন সুরা পাওয়া যায় নাই।কোন বস্তু কতোদিন আগের এটা পরীক্ষা করা এখন কোন ব্যাপারই না।হাতের লেখা যে কয়টা কোরান বিভিন্ন লাইব্রেরিতে আছে সবই আব্বাসিয় খিলাফতের সময় লেখা।
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইবলিস শয়তানও আল্লাহকে স্রষ্টা এবং সর্বশক্তিমান হিসাবে বিশ্বাস করে কিন্তু আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে জাহান্নামী। শয়তান আল্লাহর সাথে শিরকও করেনি কখনও। তারপরও সে জাহান্নামী।
মক্কার কাফেররা আল্লাহতে বিশ্বাস করতো, হজ্জ করতো তারপরও আল্লাহর বিধান বিকৃতভাবে পালন করার জন্য এবং শিরক করার জন্য জাহান্নামী। তারা মনে করতো তাদের দেবতা 'লাত' এবং 'মানাত' হোল আল্লাহর কন্যা।
পৃথিবীতে নাস্তিকরা ছাড়া সবাই আল্লাহ/ গডে বিশ্বাস করে। কিন্তু এই বিশ্বাসে ভুল আছে এবং শিরকি আছে। এই কারণে গড/ ঈশ্বরে বিশ্বাস করা সত্ত্বেও তারা চির জাহান্নামী হবে। ইসলাম হোল চূড়ান্ত বিধান বাকি বিধানগুলি বিকৃত হয়ে গেছে তাই সেগুলি মানা যাবে না।
২৯ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:৪৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আল্লাহ বা ঈশ্বরকে মোটামুটি সকল ধর্মপ্রাণ মানুষেই বিশ্বাস করে কিন্তু ধর্ম গ্রন্থ গুলিতে মরালিটি নিয়ে যে নির্দেশ বা আদেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলি মানতে চায় না। জেনে বুঝেও সেগুলিকে অমান্য করে!
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেকে না বুঝেই করে, আল্লাহ থেকে নবীর গুরুত্ব বেশি নয়। নবীর বিধান দেওয়ার এখতিয়ার নেই কিন্তু অনেকে নবীর নামে বিধান চালিয়ে দেয়।
কিন্তু আল্লাহকে পেতে হলে আগে নবীকে পেতে হবে।
২৯ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:৪৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আল্লাহ থেকে নবীকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া আর নবীর দেখানো পথ অনুসরণ করা এক বিষয় নয়।
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: চতুষ্পদ জন্তু জানোয়ার, কুত্তা বিলাইও তাদের মনিবের, অর্থাৎ যাদের উচ্ছিষ্ট খাওয়া খেয়ে বেঁচে থাকে তাদের প্রতি অনুগত বা আনুগত্য প্রকাশ করে। কিন্তু মুসলিম নামের একশ্রেণীর দ্বিপদী জানোয়ার তার স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসী নয়।
২৯ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:৫০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: যারা বিশ্বাস করে না অর্থাৎ অবিশ্বাস করে তাদের কথা আলাদা। আমি বলতে চেয়েছি যারা স্রষ্টাকে বিশ্বাস করে কিন্তু তার গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডগুলোকে হরহামেশাই অমান্য করে তাদের কথা। অথচ এই কমান্ড গুলি মেনে চললে যে কেউ মাটির মানুষ হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বাংলাদেশে ইসলাম ভালো অবস্থানে, সব চলছে সমান্তরালে।