নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
ভারতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কিংবা ভারত যে প্রতিবেশী হিসেবে ভালো নয় সেটা বলার জন্য অনেক কারণ আছে। ভারত যে আমাদের সাথে প্রতিবেশী সুলভ সঠিক আচরণ করছে না এটা যে কেউ সামান্য কমনসেন্স দিয়ে বিশ্লেষণ করলেই বের করতে পারবে। তবে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই যে ভারতকে এড়িয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সুষ্ঠুভাবে করার অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি। মোগল আমল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দিল্লি এই বাংলায় সব সময় তার ক্ষমতার ব্যবহার ও অপব্যবহার করেছে।
যাক এগুলি ভিন্ন ও বিস্তারিত আলোচনা। যে বিষয়টি বলতে চাচ্ছিলাম, আমাদের দেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে বিএনপি। জন্মলগ্ন থেকেই তারা ভারত বিরোধী রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে রাজনীতি করতে চায়। এতে তারা বেশ কয়েকবার সফল হয়েছে। মানুষের ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় তারা আসতে পেরেছে। কিন্তু মানুষের দিন দিন তথ্য পাওয়ার অ্যাক্সেস যত বাড়ছে তত ভারত বিরোধী রাজনৈতিক কৌশল ভিন্নমাত্রা পাচ্ছে। বিএনপি ভারত বিরোধী অবস্থান নিতে গিয়ে সেই পুরনো কৌশলে হাঁটছে, এসব কৌশল এখন কাজে দেখবে না।
কয়েকদিন আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বিএনপির অফিস থেকে বের হয়ে নিজের গায়ের কাশ্মীরি শালটি পুড়িয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জন করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে। তিনি নিজে ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে বলে কথা দিয়েছে। দেখুন এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে কোন পণ্য, সেবা বা প্রযুক্তি বর্জন করে খুব বেশি কার্যকর কোনো রাজনৈতিক কৌশলে সফল হওয়া যায় না। কোনো না কোনো ওয়েতে আপনাকে সেই পণ্য, সেবা বা প্রযুক্তি গ্রহণ করতেই হবে। সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের থেকে ভালো ও কম দামে সেসব পণ্য, সেবা বা প্রযুক্তি উৎপাদন করা। এই ভিন্ন এখন পর্যন্ত আর কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
বাংলাদেশের বর্তমান যে অবস্থা তাতে অদূর ভবিষ্যতেও ভারতের পণ্য বর্জন করা সম্ভবপর হবে না। রিজভী সাহেবরা কিংবা বিএনপি ভারত বিরোধিতার যে কার্ড এপ্লাই করতে চাচ্ছে রাজনীতিতে, এটা এখন আর খুব বেশি কাজে দেবে না। তার প্রমাণ হচ্ছে রিজভী সাহেব ভারতীয় পণ্যের বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘন্টা পরে আবার বলতে বাধ্য হয়েছে এটা উনার ব্যক্তিগত আহবান দলীয় অবস্থান নয়। এক নেতা একদিকে ভারত বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে অন্য নেতা ভারতের সুদৃষ্টি কামনা করছে। দলের মধ্যে যে চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে সেটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব থাকবেই, এটাকে স্বীকার করেই বিএনপি তার রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। বিএনপির প্রয়াত মন্ত্রী সাইফুর রহমান একবার ভারত সফর শেষে এসে প্রেস ব্রিফিং করে বলেছিল বিএনপি'র ভারতের প্রতি যে বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি সেটা পরিবর্তন করা উচিত। তার এই কথা স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় ভারতের প্রতি দলীয় অবস্থান সবসময় নেতিবাচক। বিএনপি রাজনৈতিকভাবে ভারতকে এড়িয়ে গিয়ে এদেশের রাজনীতিতে খুব বেশি ভালো করতে পারবে না। বিএনপি ভারতকে যে ভয় লাগিয়েছিল সেটাকে কাটাতে হলে অবশ্যই ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দিতে হবে। ভারত বর্জন করে ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।
বিএনপি'র প্রতি ভারতের বর্তমান যে অবস্থান এটা চিরন্তন কোন অবস্থান নয়। তারা যদি সঠিক রাজনীতি করে এবং ভারতকে বুঝাতে সক্ষম হয় তাদের জন্য বিএনপি ঝুঁকিপূর্ণ দল নয় তাহলে হয়তো বিএনপি তাদের রাজনীতিতে গতিসঞ্চার করতে পারবে। তবে গত ৪২ বছরেও বিএনপি যে ভারতকে সঠিকভাবে ডিল করতে পারেনি তাদের রাজনীতির প্যাটার্ন দেখলেই সেটা অনুমান করা যায়। আশা করি তাদের নেতৃত্ব ভারতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলিয়ে রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করবে।
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা অবশ্য ভালো বলেছেন। তারা নিজেদেরকেই ডিল করতে হিমশিম খাচ্ছে।
তারপরেও নিজেদের ভিতর সমস্যা থাকলেও আমরা সব সময় চেষ্টা করি বাইরে সেটা প্রকাশ না করতে। বিএনপির সবকিছুই এলোমেলোভাবে বের হয়ে আসছে।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিএনপি যদি বড় কোন ভুল করে থাকে তাহলে সেটা হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করণ।
এই ভুলের খেসারত তারা আগামী ১০ বছরেও দিতে পারবে না ।
এবার যদি তারা নির্বাচনে যেত আমার নিজের ধারণা, তারা কম করে হলেও একশোর উপরে সিট পেত ।
এখন আগামী নির্বাচনে যদি তারা অংশগ্রহণ করেও তারপরেও তারা ভালো করতে পারবে না।
কেননা তাদের কোমর ভেঙ্গে গেছে ।
আগামীতে আরো ভেঙ্গে যাবে।
সবচেয়ে বড় কথা বিএনপি'র অনেক জনপ্রিয় নেতাই যাদের বয়স হয়ে গেছে তাদের বেশিরভাগই আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মারা যেতে পারেন।
এমনকি তাদের সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও মারা যেতে পারেন ।
তাদের বিপ্লবী নেতা যিনি বিদেশে থাকেন তার বয়স হয়ে যাবে অনেক।
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: নির্বাচন বর্জন করা সব সময় রাজনৈতিক দলের জন্য বড় ভুল। এবার বিএনপির জন্য ভালো সুযোগ ছিল। কেননা ইউরোপ ইউনিয়ন ও আমেরিকা একেবারে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার প্রস্তুতি নিয়েছে। বিএনপি অংশগ্রহণ না করাতে তাদেরও আগ্রহে ভাঁটা পড়েছে।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিএনপি মান্ধাত্বা আমলের রাজনীতি করে, বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের চিন্তাধারা আর কাজের বুয়া, চায়ের দোকানদারদের চিন্তাধারার মধ্যে কোন তফাৎ নেই। দৈবক্রমে এরা কিছুকাল ক্ষমতায় থেকেছে, কিন্তু এদের ভবিষ্যত অন্ধকার।
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হবে, শেখ হাসিনা ভারতকে বাংলাদেশ লিখে দিবে, মসজিদে মসজিদে উলুধ্বনি হবে। এ ধরনের প্রোপাগান্ডা এখন যে কাজ করবে না বিএনপির মাথায় সেটা আসছে না।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪৪
কামাল১৮ বলেছেন: বিএনপির রাজনীতির মূল মন্ত্র হলো আওয়ামী বিরোধী আর ভারত বিরোধী।এটা বাদ দিলে আর থাকে কি।
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আওয়ামী বিরোধী সেটা হতেই পারে। কারণ আওয়ামী লীগ তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ। কিন্তু ভারত বিরোধী যে অবস্থান সেটাকে তারা ঠিকভাবে উপস্থাপনও করতে পারেনা আবার গোপনে ডিল ও করতে পারে না।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:১৩
রানার ব্লগ বলেছেন: বিএনপি এর সৃষ্টি আইএস আই দ্বারা। এদের অবস্থান কট্টর ভারত বিরধী। বিএনপি ভয়ানক ভাবে মৌলবাদী একটি দল। ইহাই সমস্যা।
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপির ক্ষমতা যাওয়াকে ভারতীয়রা একটা থ্রেট হিসেবে দেখে। এই জায়গা থেকে বিএনপিকে বের হতে হবে। তারা মুখে বের হওয়ার কথা বললেও আসলে অন্তর থেকে তারা বের হতে পারছে না।
৬| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: রিজভী সাহেবের এই ঘটনার কথা আমি কোন ভাবে মিস করেছি।
ভারত প্রতিবেশী হিসেবে "টিপিক্যাল ভারতীয়" সন্দেহ নেই। কিন্তু বিএনপির এই জাতীয় কাজগুলো (আথবা শুধু রিজভী সাহেবের কর্মটি) দল হিসেবে তাদের বালখিল্যতার প্রকাশ ছাড়া অন্য কোন অর্থ বহন করেনা। আমার মতে এই দলটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে, সম্পূর্ণভাবে একে পরিত্যাগের এবং উপেক্ষা করার সময় হয়েছে।
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: রিজভী সাহেবের এই কান্ডটি কখনোই রাজনৈতিক পরিপক্কতার উদাহরণ নয়। বিশেষ করে তারা যখন বিরোধী দলে এবং ভারতের সুস্পষ্ট প্রভাব হয়েছে আমাদের রাজনীতিতে সেই বিবেচনায়।
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮
আরিফ রুবেল বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য হল আমরা চাইলেও প্রতিবেশি হিসেবে ভারতকে বদলাতে পারব না, যদি না ভারত থেকে স্বাধীনতা নিয়ে নতুন রাষ্ট্র জন্ম নেয়। ভৌগোলিকভাবে আমাদের অবস্থান ভারতের পেটের ভেতরে হওয়ায় আমরা চাইলেও অনেক কিছুতে ভারতকে অস্বীকার করতে পারি না। আবার আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজের স্বার্থ আদায়ে ভারতের মত একটা বৃহত রাষ্ট্র মিত্র হিসেবে থাকাও শেষ বিচারে আমাদের জন্য লাভজনক। তাই ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে আমার কোন আপত্তি নাই।
সমস্যাটা বাধে যখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নামে ভারতের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়া হয়। জন্মলগ্ন থেকেই ভারত নানাভাবে আমাদের ঠকিয়ে এসেছে প্রকাশ্য দিবালোকে। ওরা আমাদের সীমান্তে মারছে, পানিতে মারছে, উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও ওদের দেশ থেকে আমাদের উচ্চমূল্য ও ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয়েছে। এরকম আরো ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে যেখানে ভারত এককভাবে লাভবান হয়েছে। ফলে ভারত তার নিজের স্বার্থেই বাংলাদেশে এমন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায় যে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা যারা কিনা বিএনপির আর্ক এনিমি তারা ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করে 'স্বামী-স্ত্রী'র সম্পর্কের মত যেখানে বাংলাদেশ হবে 'স্ত্রী'; যারা গর্বের সাথে বলবে 'ভারতকে আমি যা দিয়েছি তারা আজীবন মনে রাখবে' ! ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্রও বিনিময়ে নানান ফরম্যাটে এই ক্ষমতাসীনদের প্রটেকশন দিয়ে থাকে।
এই অবস্থায় বিএনপির সামনে আসলে কোন পথই খোলা নেই। বিএনপি যে ভারতের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেনি তা তো না। কিন্তু লাভ হয়নি। এখন বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কোন কৌশলে সে আগাবে সেটা তাকেই ঠিক করতে হবে। আমি বা আপনি তো আর গিয়ে বিএনপিতে যোগ দেব না, আর যোগ দিলেও আমাদের পরামর্শ বিএনপি নেবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। কাজেই তাদের ডিল তাদের করতে দেয়াটাই মনে হয় ভালো হবে।
যাই হোক, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আপনার কাছে দুইটা প্রশ্ন,
১) স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও বাংলাদেশে কেন একজন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নেই ?
২) অনেক দেশে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল থাকলেও বাংলাদেশে কেন এমন কোন নিরাপত্তা কাউন্সিল বা পরিষদ নেই ?
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপি যে ভারতের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেনি তা তো না। কিন্তু লাভ হয়নি
লাভ হয়নি কারণ তারা একদিক দিয়ে চেষ্টা করে সম্পর্ক উন্নয়নের আরেক দিক দিয়ে ভারতের প্রতি বিষাদাগার করে। এগুলি তাদের ভুল কৌশল। ২০ বছর ধরে তারা চেষ্টা করছে কিন্তু ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারছে না। এটা নিয়ে অবশ্যই কথা আসবেই।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে প্রধানমন্ত্রী এছাড়া উনি আরো চারটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।
জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল নাই। তবে জাতীয় নিরাপত্তা সেল নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। এই জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ নিয়ে অনেকবারই কথা হয়েছে। ২০১৯ সালে একটি খসড়াও করা হয়েছে। পরে সেটি আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। আসলে ডিজিএফআই, এনএসআই এবং আরো গোয়েন্দা সংস্থা গুলো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য প্রতিনিয়ত প্রদান করে। তিন বাহিনীর প্রধানরাও নিয়মিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য পাঠান সেই সব ডাটাগুলিকে এনালাইসিস করে ফাইল আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরণ করার জন্য একটি টিম কাজ করে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশে এ ধরনের কাউন্সিল আপাতত দরকার নেই। এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে জাতীয় নিরাপত্তাকে ইস্যু বানিয়ে।
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মিথ্যুক হিসেবে চিহ্নিত ইউটিউব গুজববাজদের ফালতু গুজব বিশ্বাস করে কিভাবে একটি বড় রাজনৈতিক দল?
যে ফেসবুক-ইউটুব গুজবকারিরা গত ২ বছর জাবত ১০ তারিখ ১৮ তারিখ ৭ তারিখ ইত্যাদি সরকার পতন গুজব ছড়াচ্ছিল, তারাই কথিত ভারত বয়কটের মার্কেটিং করছে।
খোদ বিএনপিই সেই কুলাঙ্গার ফেবু ইউটিউবারদের 'সরকার পতন' গুজবে বিশ্বাস করেছিল।
বিশ্বাস না করে উপায়ও ছিল না। কিছু সংখক নামি দামি বুদ্ধিজিবীো এদের সাথে তাল মিলিয়েছিল। এমনকি এক ব্রিগেডিয়ার বুদ্ধিজীবিও গায়েবী উৎস থেকে সরকার পতনের বিভিন্ন উদ্ভট আশা দেখিয়ে মার্কেটিং করে গেছে। আর বিএনপির সর্বনাশ করেছে।
শেষদিকে এমন অবস্থা হয়েছিল যে এক ভুয়া বাইডেন উপদেষ্টাকে পর্যন্ত বিশ্বাস করে নির্বাচন বর্জনের মত গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে ছিল। ইংলিশ বলা শুরু করেদিয়েছিল রিজভি। এখন আবার ভারত বয়কটের গান শুরু করেছে। দেউলিয়া রিজভিও আগের প্রতারনা ভুলে বর্জন নৃত্য অব্যাহত রেখেছে।
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে নেতৃত্বের মধ্যে যদি দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো গুণাবলী না থাকে তাহলে তার অধীনস্থ সকলেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে। কখন কি সিদ্ধান্ত নেবে ঠিক করতে পারে না।
আপনি যথার্থই বলেছেন, ইউটিউব এবং ফেসবুকে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বিএনপিকে না পারতে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়! এদের কথাবার্তা শুনে বিএনপির লোকজন মনে করেছিল ভিতরে ভিতরে কোন না কোন কিছু একটা হয়েছে যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে। এছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বিভিন্ন সময় তাদের স্টেটমেন্ট, পরামর্শ, ভবিষ্যৎবাণী করে বিএনপিকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে।
৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার তানভীর জুমারকে জিজ্ঞেস করে দেখেন বিএনপির একদম সঠিক লাইনেই আছে...
ব্যাপারটা ঠিকঠাক মনে হয় তার মত করে আপনি বুঝতে পারছেন না
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনার অবস্থানও দিন দিন একটু নড়বড়া হয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। নিচেই কমেন্ট করেছেন। বিএনপি ঠিক পথে আছে কিনা মনে হয় তিনিও এখন ভাবতে বাধ্য হচ্ছে বিএনপি'র কৌশল এবং অবস্থান দুটোই সঠিক পথে নেই।
১০| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪।
আন্তরিক শুভেচ্ছা
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা।
আমাদের এখন সবচেয়ে জরুরি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা। এই দুইটি বিষয়ে জাতি যদি সঠিক পথে না থাকে তাহলে প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল উপভোগ করা সম্ভব হয় না।
১১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭
তানভির জুমার বলেছেন: আমি চাই ভারত বাংলাদেশ কে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা দিয়ে দখল করে নিক। এমনিতে আমরা এখন ভারতের কলোনী হিসেবেই আছি। বাংলাদেশে আওয়ামীলিগ হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য । আশার কথা হচ্ছে ৯০% জনগণ আওয়ামীলিগ কে বর্জন করেছে। দেশ আবার হিন্দুত্ববাদীদের কাছ থেকে স্বাধীন হলে তখন আবার আমরা মালদ্বীপের মত স্বাধীনতার গান গাইবো।
২৬ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হিন্দিতে কথা বলতে পারেন, অথবা কেউ হিন্দি বললে বুঝেন? টাকা পয়সাকে জলদি রুপিতে কনভার্ট করে নিন।
১২| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বিম্পি কে দিয়ে আসলে কোন কিছুই সঠিক ভাবে হবে না।
২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপির রাজনীতিতে আপাতত সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে নেতৃত্ব সংকট। নেতৃত্বের সংকটের কারণে চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে।
১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২১
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনার বক্তব্য গৎবাঁধা, অদূরদর্শী এবং অপরিনামদর্শীও বটে। ভরত আমাদের কিভাবে ডিল করবে তার উপর নির্ভর করে আমাদেরও ডিল করতে হবে। বিএনপিকে কিছু বলে আপনার বলা উচিত আমুলীগ কিভাবে স্বৈরাচার হচ্ছে, এগুলো বীরত্বের কিছু নাই। সরকারের সমালোচনা করুন। টিকে থেকে দেখান। হুদাই ভারত প্রীতিতে লাভ হবে না।
২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৩২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আওয়ামী লীগের সমালোচনা আপনার থেকে বেশি করেছি এই ব্লগেই। আপনিও লিখুন, আমরাও পড়ে দেখি আপনার লেখা কতটুকু দূরদর্শী।
১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫
শিশির খান ১৪ বলেছেন: বিএনপির প্রতিপক্ষ তো আওয়ামীলীগ না বিএনপির প্রতিপক্ষ ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা (raw ) গত পনেরো বছরে ব্যাংক থেকে লুট হওয়া টাকার পরিমান আন্দাজ করাটা কঠিন তবে ধারণা করা হয় সংখ্যাটা চার লক্ষ কোটি টাকার আসে পাশে হবে এই টাকা পাচার হয়ে সিঙ্গাপুর ,দুবাই ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঢুকছে। বিদেশে পাচার হওয়া টাকার সিংহ ভাগ বন্টন হয়েছে ভারতীয় রাজনীতিবিদ ,আমলা ও গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মাঝে।আমার ধারণা পশ্চিমা দেশ গুলোর অনেকেই সিন্নির ভাগ পেয়েছে। বি এন পি ভারতের পক্ষে না বিপক্ষে তা দিয়ে কিছু আসা যায় না।বিএনপি যদি কালকে থেকে প্রকাশ্যে গেরূয়া শিবিরে যোগদানের ঘোষণা দেয় তাও কাজে দিবে না। যে চক্র তৈরী হয়েছে সেখান থেকে এতো সহজে মুক্তি মিলবে না। তবে নিরাশাবাদী হওয়ার কিছু নাই যেহেতু টাকার পরিমান বড় খুব শীঘ্রই দেখবেন টাকার ভাগা ভাগি নিয়া কামড়া কামড়ি লাগবে তখন না পাওয়ার বেদনায় হয়তো কেউ সব ফাঁস করে দিবে সেই পর্যন্ত বিএনপির অপেক্ষায় থাকতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৮
নিমো বলেছেন: বিএনপিতো নিজেকেই সঠিকভাবে ডিল করতে পারছে না! আর আপনি আসছৈন ভারত নিয়া! অবশ্য ব্লগের বিএনপি দিবা নিদ্রাময় বক্তব্য শুনে এসব বোঝা সম্ভব না।