![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বারবার দাবি করেছে যে, তাদের উপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের ট্রাইব্যুনালের সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি করা হয়েছে। জামায়াতের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব পদক্ষেপ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আওয়ামী লীগ সরকার তাদেরকে চাপে রাখতেই এসব করেছে। এমনকি আওয়ামী লীগ জামায়াত-শিবিরের শক্তিকে একটি হুমকি হিসেবে দেখেছে তাদের পুরো শাসনামলে, সেখান থেকেই তাদের উপর রাজনৈতিক দমন চালানো হয়েছে।
কিন্তু এখানেই একটি আশ্চর্যের বিষয় লক্ষণীয়, বর্তমানে আওয়ামী লীগ যখন আর রাষ্ট্রক্ষমতায় নেই এবং বিএনপি, এনসিপি প্রভৃতি দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিশোধমূলক অভিযোগ এবং রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টিতে সরব, তখন জামায়াতে ইসলামী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তাদের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তেমন বড় ধরণের মামলা বা রাজনৈতিক প্রতিশোধের ইঙ্গিতও দেখা যাচ্ছে না।
প্রশ্ন জাগে, এটি কি জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক উদারতা ও পরিপক্বতার প্রতিফলন? নাকি এটি কৌশলগতভাবে একটি নীরব রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ?
অবশ্য এমন হতে পারে, জামায়াত তাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বুঝে নিয়েছে যে প্রকাশ্য প্রতিশোধ বা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক মাঠে লাভ তেমন হয় না, বরং তা নিজেদের দল ও নেতাদের জন্য আরও জটিলতা সৃষ্টি করে। তারা হয়তো মনে করে, অতীতের অন্যায়ের প্রতিশোধ রাজনৈতিক কৌশলে নয়, বরং জনসম্পৃক্ত রাজনীতির মাধ্যমে নেওয়া উচিত। তাই তারা মামলা-মোকদ্দমার পথে না গিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক ভিত্তি পুনর্গঠন এবং রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, এটি জামাতের নিছক একটি রাজনৈতিক কৌশল। জামায়াতে ইসলামী এখন এমন একটি ভূমিকা নিতে চায়, যাতে তারা একটি 'শান্তিপ্রিয়' রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারে, যাতে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য জোট বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে তাদেরকে বিতর্কিত হিসেবে না দেখা হয়। একে রাজনৈতিক পরিপক্বতা বললেও বলা যায়।
যাই হোক, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিরোধিতায় বিএনপি ও এনসিপি যতটা সরব, জামায়াত ততটা নয়। বরং তারা কিছুটা বিচক্ষণ এবং পরিমিত আচরণ করছে। তারা নীরব থেকে হয়তো দেখছে সব, এবং কখন কিভাবে তাদের সক্রিয় হওয়ার উপযুক্ত মুহূর্ত আসবে সেই অপেক্ষায় আছে।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৩২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে আওয়ামী লীগ তাদের উপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার করেছে। সে হিসাবে এর বিচার চাওয়া তো তাদের নৈতিক কর্তব্য! যার ফলে আমরাও জানতে পারবো আরো বিস্তরভাবে যে তাদের উপর ঠিক কতটা অত্যাচার করেছে আওয়ামী লীগ।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবার উপর হামলা হয়েছে গোপাল গনজে সমাবেশ করার সময় শুধু জামাত বাদে।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৩৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটার কারণ কি হতে পারে?
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামাত মানেই মুনাফিক। শেষ বছর গুলোতে তারা লিগের সাথে পারিবারিক রিলেশনে যেত। আসলে লিগের ৭১ সালের কারেকটার আর নেই ।যার কাছে টাকা দেখেছে তার কাছে বেচা গেছে। জামাত এর মামলা ৪০০০ আর বিএনপির মামলা ১৬০০০ বাতিল করবে সরকার । বুঝেন এলা
জামাত কে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি। আমার মামি , চাচি জামাতের রুকন। । টিসিবির কতো কারড তারা লিগের পোলাপান থেকে নিয়েছে কমে চাল, ডাল ,সয়াবিন তেল কিনবে বলে । যদি জিগাইতাম কি বিষয় আপনারা কেন গরিবের হক মেরে খান ? বলতো আমরাও গরিব । মামি সরকারি টিচার আর চাচি সরকারি চাকুরের ওয়াইফ। তাদের উপদেশ কেবল মুখে মুখে ।
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৩২
নিমো বলেছেন: জা-শিতো লুঙ্গি লীগ হয়েছিল, এখন মামলা দিলে নিজেরাও ফেঁসে যাওয়ার ভয় আছে। এখন যেমন মব সন্ত্রাসীদের ছিপি হয়েছে, সময় হলেই ছিটকে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গুজব বাজ সাদেক কায়েম কে ফলো করেন ।বুঝে যাবেন।