নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশী কবি, মুক্তিযোদ্ধা ও সম্পাদক কবি রফিক আজাদের মহাপ্রয়ানে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০০


একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারজয়ী আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি রফিক আজাদ। চিরদিনই প্রতিবাদী এই কবি তার দ্রোহকে শুধু কবিতার লেখনীতে আবদ্ধ না রেখে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জাতির চরম ক্রান্তিকালে, ১৯৭১ এ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনের সৈনিক হিসেবে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন তিনি। কর্মজীবনে রফিক আজাদ বাংলা একাডেমির মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’র সম্পাদক ছিলেন। ‘রোববার’ পত্রিকাতেও রফিক আজাদ নিজের নাম উহ্য রেখে সম্পাদনার কাজ করেছেন। এছাড়া টাঙ্গাইলের মওলানা মুহম্মদ আলী কলেজের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনাও করেন তিনি। সাহিত্যে অবদানের জন্য হুমায়ুন কবির স্মৃতি (লেখক শিবির) পুরস্কারসহ আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেন। ষাটের দশকের জনপ্রিয় কবি রফিক আজাদ আজ (১২ মার্চ-১০১৬. শনিবার) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যান। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি থেকে ওই হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। আইসিইউ’র ডাক্তারের বরাত দিয়ে কবির ভাতিজি নীরু শামসুন্নাহার কবির মৃত্যুর বিষয়টি জানান। বহু কালজয়ী কবিতার স্রষ্টা কবি রফিক আজাদের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।

রফিক আজাদ ১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সলিম উদ্দিন খান ছিলেন একজন প্রকৃত সমাজসেবক এবং মা রাবেয়া খান ছিলেন আদর্শ গৃহিণী। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাবা-মার কঠিন শাসন উপেক্ষা করে ভাষা শহীদদের স্মরণে খালি পায়ে মিছিল করেন তিনি। ভাষার প্রতি এই ভালোবাসা পরবর্তী জীবনে তাকে তৈরি করেছিল একজন কবি হিসেবে, আদর্শ মানুষ হিসেবে। ১৯৫৬ সালে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় একবার বাবার হাতে মার খেয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। সাধুটী মিডল ইংলিশ স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণী পাস করে ভর্তি হলেন কালিহাতি রামগতি শ্রীগোবিন্দ হাই ইংলিশ স্কুলের নবম শ্রেণীতে। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণশাসন হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেন।

কর্মজীবনে কবি রফিক আজাদ বাংলা একাডেমির মাসিক সাহিত্য পত্রিকা উত্তরাধিকার এর সম্পাদক ছিলেন। রোববার পত্রিকাতেও তিনি নিজের নাম ঊহ্য রেখে সম্পাদনার কাজ করেছেন। তিনি টাঙ্গাইলের মওলানা মুহম্মদ আলী কলেজের বাংলার প্রভাষক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনের সৈনিক হিসেবে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও তিনি কাজ করেছেন বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন, উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে। কবি রফিক আজাদের প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে, ‘অসম্ভবের পায়ে’, ‘সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজে’, ‘চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এ কাব্যের জন্য ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক পান তিনি। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি রফিক আজাদ আজ ১২ মার্চ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের পর তিনি প্রায় দুই মাস ধরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী অধ্যাপক দিলারা হাফিজ, দুই ছেলে অভিন্ন আজাদ ও অব্যয় আজাদসহ বহু আত্মীস্বজন ও গুনগ্রাহীদের রেখে গেছেন। 'ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো' সহ রফিক আজাদের বিভিন্ন কবিতার বহু পংক্তি বাংলা কবিতার ভক্তদের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে আছেন থাকবেন অনন্তকাল। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৭

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: কবির মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।
কবির রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৩

মারুফ তারেক বলেছেন: তিনি বেঁচে থাকবেন।

আমরা প্রতীক্ষায় থাকব।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৪

মেজদা বলেছেন: আমি শোকাহত।।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলি।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূরু ভাই, আপনার লেখাটা এখানে শেয়ার করেছি।

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
আপনা্র আন্তরিকতার জন্য। তবে দুঃখের বিষয়
আপনার লিংকটি কাজ করছেনা, সম্ভবত সঠিক ভাবে
লিংকটি দেওয়া হয়নি। আমি নিম্নের বার্তাটি পাচ্ছি যখন
চেষ্টা করছি!

Sorry, this page isn't available
The link you followed may be broken, or the page may have been removed.

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নূরু ভাই, এবার দেখুন।

https://web.facebook.com/groups/1593166977597190/permalink/1715674542013099/

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা
আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.