নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষিতা মারা গেলে...............আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাজপথে মৌন মিছিলে দ্বায়িত্ব শেষ করি

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫০


বহুদিন আগে একটি ঘটনা পাঠকের জানা থাকতেও পারে।
চিনের বেজিং শহরের কোনো এক এলাকায়,, এক তরুণী ধর্ষিতা হলেন। খবরটি চা্উড় হয়ে চেয়ারম্যান মাও-সে-তুঙ এর কানে পৌঁছে গেলো। তিনি নিজে গিয়ে পীড়িতার সঙ্গে দেখা করলেন।। তিনি মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলেন,,"যখন তোমার সঙ্গে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছিল,, তুমি কি সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিলে ? মেয়েটি বললো - "হ্যাঁ।" চেয়ারম্যান মাও ,, মেয়েটিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে,, ঘটনাস্থল থেকে হাফ-কিলোমিটার পর্যন্ত, সেনাবাহিনী দিয়ে একটা সার্কেল তৈরী করে নিলেন। এবার মেয়েটিকে বললেন -" দূর্ঘটনার সময় তুমি,, নিজেকে রক্ষা করার জন্য,, যেমন ভাবে চেঁচিয়ে ছিলে, ঠিক সেই ভাবে চিৎকার দাও।" মেয়েটি তাই করলেন। এরপর চেয়ারম্যান মাও,, সার্কেলের মধ্যে থাকা সকল সেনাদের নিজের কাছে তলব করলেন। সেনাদের জিজ্ঞেস করলেন,"মেয়েটির চিৎকার
শুনতে পেয়েছেন ?"সেনারা জবাব দিলো - "হ্যাঁ।" এবার চেয়ারম্যান মাও নির্দেশ দিলেন, অধা-কিলোমিটার পর্যন্ত যতো পুরুষ বসবাস করে, সকলকে বন্দি করা হোক। তিন ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে না পারলে, সকল পুরুষকে হত্যা করা হবে। ঘোষণার
মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে, ধর্ষককে চিহ্নিত করা সম্ভব হলো। কয়েকজন ঘটনাটির কথা জানতেন, বেগতিক দেখে নিজের প্রাণ বাঁচাতে তারা
অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করলো। অপরাধী এবং সাক্ষীদের চেয়ারম্যান মাও এর কাছে হাজির করা হলো।

চেয়ারম্যান মাও এর নির্দেশে প্রথমে সাক্ষীদের শ্যুট করে দেওয়া হলো। কারণ তারা দেখেছেন অথচ প্রতিবাদ করেননি। এরপর, অপরাধীর মাথায় প্রকাশ্যে গুলি করেতাকে তৎক্ষণাৎ হত্যা করা হলো। এর পরে চিনের ধর্ষকরা যে শিক্ষা নিলো তাতে করে কেউ ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করার কথা স্বপ্নেও ভাবতো না।

★★★★

আমাদের দেশে ধর্ষিতা বেঁচে থাকলে তাঁকে বাকি জীবন কোর্ট-কাছারি-তে কাটিয়ে দিতে হয় সুবিচার পাওয়ার জন্য। আর ধর্ষককে মালা পরিয়ে,, অভ্যর্থনা জানানো হয়। ধর্ষিতা সমাজে নিগৃহীত হতে থাকেন। আর ধর্ষিতা মারা গেলে............. আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাজপথে মৌন মিছিলে দ্বায়িত্ব শেষ করি। হায় সেলুকাস! কি বিচিত্র এই বঙ্গ দেশ।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: এই দেশে বিচার ব্যবস্থা বলে এখন আর কিছু নেই!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক না করতে পারলে সুষ্ঠ বিচার আশা করা যায়না।
বিচার বিভাগ স্বাধীন, সততা থাকলে সেখানে হস্তক্ষেপ সম্ভব না। ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করার আদেশ জারি করে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক
সরকার। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রয়োজন। এ কথা সবাই
বললেও এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগের সেই স্বাধীনতা পুরোপুরি আসেনি বলেই মনে করা হয়।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: মাও সেতুং কে আমার খুব বুদ্ধিমান লোক বলে মনে হয় না।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার কিন্তু তাকে অবিবেচক মনে হয়না। মাও সে তুং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাতা, গেরিলা সংগঠক, চীনা বিপ্লবী, মার্কসবাদী তাত্ত্বিক ও এক অবিসংবাদিত রাজনৈতিক নেতা। ইতিহাসের চাকা বারবার বদলে দিয়েছেন চৈনিক এই মানুষটি। মাও সেতুংয়ের সবচেয়ে বড় অবদান তিনি চীনে শিল্প ও কৃষিতে বিপ্লব সাধন করেন এবং সমাজতান্ত্রিক গণচীনের ভিত্তি সুদৃঢ় করার জন্য প্রথম সাংস্কৃতিক বিপ্লব সংঘটিত করেন। তিনি শ্রমিকের বদলে কৃষককে চিহ্নিত করেছেন বিপ্লবের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে, গড়ে তুলেছেন সশস্ত্র রেড আর্মি, প্রচলন করেছেন আরণ্যক গেরিলা যুদ্ধের। বিশ্বময় তরুণরা আজও হাঁটছে তার দেখানো পথে।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমরা গলা কাটার কথা বললে তেনারা বলেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা, আমরা সৌদি আরবের উদাহরণ দিলে তেনারা বলেন উহাতে মানবাধিকার নেই...

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিবাহবহির্ভূত যেকোনো যৌন সঙ্গমই ইসলামে অপরাধ। তাই ধর্ষণও এক প্রকারের ব্যভিচার।
ইসলামি আইন শাস্ত্রে ধর্ষকের শাস্তি ব্যভিচারকারীর শাস্তির অনুরূপ। তবে অনেক ইসলামি স্কলার ধর্ষণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন। ব্যভিচার সুস্পষ্ট হারাম এবং শিরক ও হত্যার পর বৃহত্তম অপরাধ। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।’ –সূরা আল ইসরা: ৩২
ধর্ষণের ক্ষেত্রে এক পক্ষ থেকে ব্যভিচার সংঘটিত হয়। আর অন্য পক্ষ হয় মজলুম বা নির্যাতিত। তাই মজলুমের কোনো শাস্তি নেই। শুধু জালিম বা ধর্ষণকারীর শাস্তি হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় সংঘটিত হয়—এক. ব্যভিচার, দুই. বল প্রয়োগ, তিন. সম্ভ্রম লুণ্ঠন। ব্যভিচারের জন্য কোরআনে বর্ণিত ব্যভিচারের শাস্তি পাবে। ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। ব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে ১০০ বেত্রাঘাত করা হবে। ইসলাম ধর্মের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ থাকলে এখানে মানবাধিকার ক্ষুন্ন হবার প্রশ্ন আসেনা।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

হাবিব বলেছেন: বিচার হবে কি?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধর্ষণকারীর শাস্তি প্রয়োগ করবে ইসলামী রাষ্ট্রের সরকার ও প্রশাসন। অন্যদিকে কোনো কারণে এই শাস্তি আরোপিত না হলে দুনিয়ায়ই কোনো না কোনোভাবে এর শাস্তি এসে যেতে পারে। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘ব্যভিচারের মন্দ পরিণাম ছয়টি। তিনটি দুনিয়ায় আর তিনটি আখিরাতে। দুনিয়ার তিনটি হলো—১. চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া, ২. দরিদ্রতা, ৩. অকালমৃত্যু। আর আখিরাতের তিনটি হলো—১. আল্লাহর অসন্তুষ্টি, ২. হিসাব-নিকাশের কঠোরতা ও ৩. জাহান্নামের কঠিন শাস্তি। (ইসলামের দৃষ্টিতে অপরাধ, ই.ফা. পৃষ্ঠা-১০৯)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.