নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গৌরব ও ঐতিহ্যের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬


৪ জানুয়ারি (শনিবার),বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ । মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ ছাত্র সংগঠন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধিকার আন্দোলনের দীপ্ত চেতনা নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা দেন ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠন বাঙালির মুক্তির আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে থাকে। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের চাপিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রভাষা 'উর্দু'র বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেই সেদিন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রলীগের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে সংগঠনটির নাম ছিল 'পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ'। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামে কার্যক্রম শুরু করে। ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনে নামেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরপর থেকে '৫২-র ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত এবং '৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, '৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন, এগার দফা আন্দোলন, '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, '৭১-র মুক্তিযুদ্ধ ও '৯০-র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী এ সংগঠনের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয় ও গৌরবোজ্জ্বল। এসব আন্দোলন-সংগ্রামে সংগঠনের অগণিত নেতাকর্মী শহীদও হয়েছেন। সময়ের পরিক্রমায় সংগঠনটি আজ প্রতিষ্ঠার ৭১ পার করে ৭২ বছরে পা রেখেছে।

রাজনীতির নানা সমীকরণে বিভক্তির ধারায় ছাত্রলীগের কয়েকটি অংশ এখন সক্রিয়। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মূল ধারার সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। অন্য দিকে ১৯৭২ সালে জাসদের সহযোগী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) ছাড়াও ছাত্রলীগ (অদলীয়) নামের আরও একটি অংশ সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। গত ৭০ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে বাঙালির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতা অর্জন, গণতন্ত্র ও প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের। শুরু থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। চরম আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে বিজয় নিশানা উড়িয়েছে স্বনামধন্য ছাত্রলীগ। স্বাধীন বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সংগ্রামী ভূমিকা বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। তবে সময়ের পরিক্রমায় ছাত্রলীগ একাধিক ধারায় বিভক্ত হয়। নিজেদের মধ্যে দলাদলি, অন্তর্কোন্দল, হামলা-মারামারিসহ নানা কারণে ছাত্রলীগের সমালোচনাও আছে।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল হিসেবে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’র আত্মপ্রকাশ ঘটে, যা পরে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে এ দেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়। এ প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতৃত্বে দেয়। ভাষার অধিকারে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠা পায়। ৫৪’র সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রমে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, ৬৬’র ৬ দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া, ৬ দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাক শাসককে পদত্যাগে বাধ্য এবং বন্দীদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা, ৭০’র নির্বাচনে ছাত্রলীগের অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ ছিল ঈর্ষনীয়।

স্বাধীনতার পরেও সংগ্রাম-আন্দেলনে ছাত্রলীগ তার স্বমহিমায় ভূমিকা রাখতে থাকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের ছাত্রলীগবিরোধী অবস্থানে এর সাংগঠনিক কাঠামো অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে আরেক সামরিক শাসক হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগ সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। ছাত্রলীগের গড়ে তোলা দুর্বার আন্দেলনের কারণে স্বৈরাচার এরশাদের পতন তরাণ্বিত হয়। দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ছাত্রলীগ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে ১/১১-এর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধেও। ওই সময় সামরিক চাদরে ঢাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। রাজনীতিবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ছাত্রলীগ গোটা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট সরকারের বিজয়েও ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নানা নেতিবাচক কর্মকাে জড়িয়ে পড়ে। খুন-খারাবি, হল দখল, সাংগঠনিক কোন্দল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষক লাঞ্ছনা, যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাে জড়িয়ে পড়ায় তীব্র সমালোচনায় পড়তে হয় ছাত্রলীগকে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধীজোটের হরতাল চলাকালে বিশ্বজিৎ নামের এক দর্জি দোকানিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে নিন্দা আর ধিক্কার পায় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের এহীন কর্মকান্ড দেখে সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের সমালোচনা করেছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজেও ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, বুয়েটে যারা ছাত্রলীগের পরিচয়ে আবরারকে হত্যা করে, এ ধরনের কর্মী আমাদের প্রয়োজন নেই। রাজশাহীতে পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে যারা ছাত্রলীগের পরিচয়ে অপমান করল এ ধরনের নেতা আমাদের প্রয়োজন নেই। ছাত্রলীগকে ভর্তি বাণিজ্য, হলে সিট বাণিজ্য, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে চলাফেরা, ক্ষমতার দাপট না দেখানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নামের একটা ধারা ছাত্রলীগের নামের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। ছাত্রলীগকে আবার সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে, এটা আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ।

বাংলা, বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি যে ছাত্র লীগের জন্ম সেই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটি ‘শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি’ স্লোগান নিয়ে আজ উদযাপন করছে ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকছে সাবেক নেতাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। ছাত্রলীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ তিনদিন ব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৭টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা হবে।

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ পুর্ণমিলনীর আয়োজন করেছে। পুর্ণমিলনীতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। এই অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীদের। তবে পুনর্মিলনীতে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। শোভন ও রাব্বানী বাদ পড়ার পর ছাত্রলীগের দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলেও শোভন ও রাব্বানীর নামে কোনো আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি। ছাত্রলীগ সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই অপকর্মের দায়ে পদচ্যুত এ দুই নেতাকে অনুষ্ঠানে না রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়
বলেন, দলের উপর থেকে তাদের দাওয়াত না দেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা আছে। এ কারণে এ মুহূর্তে তারা দাওয়াত পাচ্ছেন না।
এছাড়া ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাশে বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হবে। ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। উপমহাদেশের প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭২তম বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি গৌরবময় ঐতিহ্যের সংগঠন "ছাত্রলীগের" সাফল্য কামনা করছি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা ছিল বাংগালী জাতির 'শিক্ষার উপর ভয়ংকর আঘাত'; বৃটিশ কলোনী থেকে স্বাধীন হওয়ার পর, জাতির দরকার ছিলো পড়ালেখা; কিন্তু ছাত্রলীগ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে "পড়ালেখা বিমুখ" ছাত্র সৃষ্টি করে। আজকের পড়ালেখা বিমুখ মাফিয়া ছাত্রলীগ জাতির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গরুঘরে পরিণত করেছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ফিনিক্স পাখির রয়েছে পুনর্জন্ম আর অমরত্বের বৈশিষ্ট্য।
নিজের ধ্বংসস্তূপ থেকে নিজেই নতুন প্রাণ পায় কাল্পনিক এ পাখি।
গ্রীক উপকথার এক চিরঞ্জীব আগুনপাখির নাম ফিনিক্স।
গ্রিক ভাষায় phoenix মানে ‘দি ব্রিলিয়ান্ট ওয়ান’ কিংবা পার্পল বা
লাল এবং নীলের মিশ্রণে সৃষ্ট রং। প্রাচীন মিথ অনুসারে ওই আগুনরঙা
ফিনিক্স পাখিটি নাকি ৫০০ বছর বেঁচে থাকত। তারপর জীবনের একেবারে
শেষ প্রান্তে এসে পাখিটি দারুচিনি, গন্ধরস প্রভৃতি সুগন্ধী উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি
করত একটি নীড়, তারপর সে নীড়ে ধরিয়ে দিত আগুন। নীড়সহ ফিনিক্স
পাখিটি পুড়ে ছাই হয়ে যেত। কিন্তু এখানেই সব শেষ নয়, কারণ ভস্মিভূত
ছাই থেকে আবার জেগে উঠত আরেকটি অগ্নিবর্ণ ফিনিক্স পাখি।

সুতরাং নিরাশ হবার কিছ নাই।
আমার বিশ্বাস আত্ম দহনে পুড়ে খাটি হয়ে ফিনিক্স পাখির ন্যায়
আবারো জেগে উঠবে গৌরব ও ঐতিহ্যের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছাত্রলীগ গত দশো বছরে কি করেছে? তাদের একটা ভালো কাজের কথা বলেন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

রাজীব ভাই
ছাত্রলীগের শত শত ছেলের আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয় এবং অনেকের বিচারের রায় বাস্তবায়ন হয়।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের লক্ষে ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মী রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগের ইতিহাসে যেমনই হাজার হাজার যোগ্য নেতার জন্ম হয়েছে তেমনই কিছু সংখ্যক অযোগ্য নেতার জন্ম হয়েছে। যার কারণে মাঝে-মধ্যে বিতর্কিত হতে হয় বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংঠনটিকে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী নেতৃত্বে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অবিচল। ছাত্রলীগ সব ভুল সংশোধন করে আগামীদিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় কাজ করে গেলে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৬

জগতারন বলেছেন:
এই পোষ্টটি লাইক দিলাম।
ব্লগার চাঁদ্গাজীর অকপট ও অপ্রিয় সুন্দর মন্তব্যটিও লাইক দিলাম। আর
ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু, আর
যে যথাপোযুক্ত প্রতি মন্তব্য টি করিয়াছেন তাহাও লাইক দিলাম।
আমি বিশ্বাস করি ইহাই বাংলা ব্লগের সৌন্দর্য।

পোষ্টটি এইখানে তুলিয়া দেওয়ার জন্য ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু-এর প্রতি সুভেচ্ছা জানাইতেছি।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জাগারন দাদা
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
চমৎকার মন্তব্য করে অনুপ্রানিত
করার জন্য।
ব্লগে আমাদের মন্তব্য হোক শালীন ও সৃষ্টিশীল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.