নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার, গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ৩২ তম দিন। এই দিনে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন তিন রাষ্ট্রপতি যাদের একজন নন্দিত, একজন নিন্দিত আর একজন গায়ে মেখেছেন সৈরাচারের কালিমা। বয়সের দিক থেকে এরা সবা্ই সমবয়সী।এরা হলেন সাবেক নন্দিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, নিন্দিত সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এবং সৈরাচারী রাষ্ট্রপতি হুমো এরশাদ।
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদবাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধান বিচারপতি এবং দু'বার দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রথমে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর হতে ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসাবে এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকা-কালীন ১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। শাহাবুদ্দিন আহমেদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম তালুকদার রিসাত আহমেদ; তিনি একজন সমাজসেবী ও এলাকায় জনহিতৈষী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। শাহাবুদ্দিন আহমেদের স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বেগম। তিনি তিনটি কন্যা ও দুটি পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর জেষ্ঠ্যা কন্যা ড. মিসেস সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। দ্বিতীয়া কন্যা মিসেস সামিনা পারভীন একজন স্থপতি। তাঁর পুত্র শিবলী আহমেদ একজন পরিবেশ প্রকৌশলী। আরেক পুত্র সোহেল আহমেদ কলেজ ছাত্র। সর্বকনিষ্ঠা কন্যা সামিয়া পারভীন চারুকলা কলেজের ছাত্রী। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই তিনি আওয়ামী লীগের দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদে মনোনয়নের পর কোনো প্রতিদন্দ্বিতা ছাড়াই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। যদিও সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খুবই সীমিত, তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার সততা এবং প্রজ্ঞা দ্বারা বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান জয় করেন। ১৪ই নভেম্বর, ২০০১ খ্রীষ্টাব্দে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ হতে অবসর গ্রহণ করেন। আজ তার ৯০তম জন্মবার্ষিকী। নন্দিত সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা্।
অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদঃ ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ২০০২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ-এর রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়ে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ পর্যন্ত ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের কার্যকাল সমাপ্ত হয়। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার নারায়ণগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মৌলভি মুহাম্মদ ইব্রাহিম। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৪৮ সালে মুন্সিগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫০ সালে হরগঙ্গা কলেজ থেকে আই.এসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে বি.এসসি এবং ১৯৫৪ সালে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে এম.এসসি ডিগ্রি লাভ করেন। অতঃপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি আমেরিকা যান এবং উইসকন্সিন ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৫৮ সালে এম.এস এবং ১৯৬২ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। উচ্চশিক্ষা শেষে তিনি ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে সহকারি অধ্যাপক পদে যোগ দেন। তিনি ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু সংসদীয় নির্বাচন নিয়ে অব্যাহত রাজনৈতিক অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে তিনি ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রাষ্ট্রপতির পদ থেকে বিদায় নেন। তার নতজানু নীতির জন্য তিনি ইয়েস উদ্দিন হয়ে হয়ে নিন্দিত হয়ে আছেন। আজ রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিনের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী।
হুসেইন মোহাম্মাদ এরশাদঃ বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান, এককালীন প্রধান সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ । তিনি জাতীয় পার্টি নামক রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বর্তমানে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) উপদলের নেতা। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন হতে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর বিপুল গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। ডিসেম্বর মাসের চার তারিখে জেনারেল এরশাদ যখন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন রাস্তায় মানুষের যে ঢল নেমেছিল সেটি ৬ই ডিসেম্বর বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের কাছে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা হস্তান্তর পর্যন্ত বজায় ছিল।হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি রংপুর জেলায় দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রংপুর জেলায় শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শারীরিক অসুস্থতার দরুন ২০১৯ সালের ২৬ জুন তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ৪ জুলাই তাকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। তিনি ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আজ সৈরাচারী এরশােদের ৯০তম জন্মবার্ষিকী। শুভেচ্ছা জানানো, না জানানো পাঠকের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
নিভৃতা বলেছেন: "তিনি বর্তমানে ১১তম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।"
এরশাদ তো মারা গেছেন।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Good
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
আপনার এই পোষ্টগুলো খুব বৈঠকিভঙ্গীতে অনেকেই পরিচিত করিয়ে দেয়-
হয়ত নাম চেনা কিন্তু তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা ছিল না, কিন্তু আপনি জানিয়ে দিলেন-
তাই নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করি, কিন্তু মন্তব্য করা হয়ে উঠে না!
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২০
রাশিয়া বলেছেন: এরশাদ যদি স্বৈরাচার হয়, আওয়ামী লীগ তাহলে কি? বরঞ্চ স্বৈরাচারের চেয়ে বিশ্ব বেহায়া শব্দটি এরশাদের সাথে ভালো যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: একজন মানুষ দুনিয়াতে নেই। তাই তাকে নিয়ে নেগেটিভ কিছু বলতে চাই না। আসল কথা হলো ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।