নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিক্টোরিয়ান যুগের সেরা ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের ২০৮তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৩


ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক চার্লস জন হাফ্যাম ডিকেন্স। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, সম্পাদক, সচিত্র প্রতিবেদক এবং সমালোচক ছিলেন। তবে চার্লস ডিকেন্সকে ইতিহাস মনে রাখবে তার অসাধারণ লেখনীর জন্য। ‘অলিভার টুইস্ট’, ‘অ্যা ক্রিস্টমাস ক্যারল’, ‘নিকোলাস নিকলবি’, ‘ডেভিড কপারফিল্ড’, ‘অ্যা টেল অফ টু সিটিস’ এবং ‘গ্রেট এক্সপেকটেশন’- এর মতো কালজয়ী উপন্যাসের রচয়িতা ডিকেন্সকে ঊনবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ডিকেন্স জীবদ্দশাতেই তাঁর পূর্বসূরি লেখকদের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার উপন্যাসের মাধ্যমে তৎকালীন সমাজে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ এবং সামাজিক অসঙ্গতির চিত্র ফুটে উঠেছে। তবে সাধারণ বন্ধুত্ব কিংবা প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বাসরুদ্ধ উপন্যাস উপহার দেয়ার জন্যও তিনি ছিলেন সকলের প্রিয় সাহিত্যিক। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন তিনি। এমনকি একবিংশ শতাব্দীর লাইব্রেরিগুলোতেও ডিকেন্সপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মৃত্যুর পরও তাঁর জনপ্রিয়তা অক্ষুন্ন থাকে। তাঁর প্রধান কারণ হচ্ছে, ডিকেন্স ইংরেজি সাহিত্যে প্রবাদপ্রতিম বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও চরিত্র সৃষ্টি করেছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি অভিনয়ের মঞ্চেও নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু অভিনয়ে বেশিদিন টিকে থাকতে পারেননি ডিকেন্স। অগত্যা তিনি অভিনয় ছেড়ে লেখালেখিতে মনোযোগ দেন। ভাগ্যিস তিনি অভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন! আপনারা জেনে অবাক হবেন, একবার ব্রিটিশ দশ পাউণ্ড নোটে চার্লস ডিকেন্সের ছবি ব্যবহৃত হয়েছিলো। চার্লসের প্রথম উপন্যাসের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে স্মারক নোট হিসেবে তা বাজারে ছাড়া হয়েছিলো। ভিক্টোরিয়ান যুগের সেরা ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের আজ ২০৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৮১২ সালের আজকের দিনে তিনি ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

বিখ্যাত সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্স ১৮১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম চার্লস জন হাফ্যাম ডিকেন্স। ডিকেন্সের বাবা জন ডিকেন্স এবং মা এলিজাবেথ বারো এর আট সন্তানের সংসারে চার্লস দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন। ডিকেন্সরা পারিবারিক দিক থেকে অসচ্ছল ছিলেন। জন ডিকেন্স কঠোর পরিশ্রম করতেন পরিবারের ভাগ্য বদলানোর জন্য, কিন্তু কোনোভাবেই তাদের অবস্থার উন্নতি হলো না। জনের নিকট পোর্টসমাউথ শহরকেই অভিশপ্ত লাগতে থাকে। তাই ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সপরিবারে কেন্টের চাথাম শহরে গমন করলেন। নতুন শহরে নতুনভাবে সবকিছু শুরু করলেন তারা। শহরের রাস্তায় মুক্তভাবে চলাফেরা করতেন তিনি। মাঝে মাঝে রোচেস্টারের প্রাচীন প্রাসাদে ঘুরতে যেতেন ভাইবোনদের সাথে। মনে হচ্ছিলো এবার বুঝি ভাগ্য ফিরলো ডিকেন্সদের। কিন্তু চাথামেও স্থায়ী হতে পারলেন না তারা। ফলে ১৮২২ সালে লণ্ডনে স্থানান্তরিত হন তারা। চার্লস ডিকেন্সের শৈশবটুকু লণ্ডনেই কাটে। কিন্তু নতুন শহরে আরো বড় ঝামেলায় ফেঁসে গেলেন জন ডিকেন্স। ফলে শৈশবের আনন্দে ইস্তফা দিয়ে জীবনযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন কিশোর চার্লস। অর্থাভাবে নিরুপায় হয়ে তিনি প্রতিবেশীদের নিকট থেকে বেশ কিছু টাকা ঋণ করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমার পরেও তিনি অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন। পাওনাদাররা রেগে গেলো। এভাবে আর কয়দিন? এবার তারা জনের নামে মামলা ঠুকে দিলো। মামলায় জন এবং তার পুরো পরিবারকে আসামী করা হলো। কয়দিন বাদে ডিকেন্সের বাড়ির সামনে পুলিশ এসে হাজির হলো। বেচারা ডিকেন্স অসহায় আত্মসমর্পণ করেন। ১৮২৪ সালে জন ডিকেন্স এবং তার পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মা-বাবা বিহীন চার্লস জীবিকার তাগিদে চাকরি খুঁজতে থাকেন। শেষপর্যন্ত টেমস নদীর ধারে এক জুতার কালির কারখানায় কাজ জুটে যায়। সপ্তাহে ছয় শিলিং করে পেতেন তিনি। এই অর্থ দিয়ে কোনোমতে দু’বেলা খেয়ে দিন গুজরান করতে থাকেন তিনি। তার স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন খুব ভোরে কাজে বেরিয়ে পড়তেন চার্লস। ফিরতেন বেশ বেলা করে। শৈশবের এই সংগ্রাম চার্লসের মনস্তাত্ত্বিক জগতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। চার্লস ডিকেন্স প্রতি সপ্তাহে একবার কারাগারে মা-বাবাকে দেখতে যেতেন। সমাজে অবহেলিত চার্লস খুব দ্রুত সমাজের কঠিন বাস্তবতা এবং অসঙ্গতির সাথে পরিচিত হন। পরবর্তীতে তিনি এই অসঙ্গতিকে তার উপন্যাসে স্থান দেন। রূপকথার গল্পের মতো চার্লসের দুঃসময়ের সমাপ্তি ঘটে। একদিন জন ডিকেন্স জানতে পারেন, তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে গ্রামের বাড়ি থেকে বেশ কিছু অর্থ লাভ করেছেন। সেই অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে মুক্তি লাভ করেন তিনি। চার্লসেরও কালির কারখানার কাজ ছেড়ে নতুন করে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ আসে। কিন্তু জন ডিকেন্স খুব দ্রুত সেই অর্থ খরচ করে ফেলেন। ফলে পুনরায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু চার্লস আরেকবার তার বাবাকে হারাতে চান না। ১৫ বছর বয়সে ডিকেন্স শিক্ষাজীবনে ইতি টানেন। নতুন করে অফিসের পিয়ন হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এখানে কর্মরত অবস্থায় ডিকেন্সের সাহিত্যিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটে।

১৮৩২ সালে চার্লস ডিকেন্স পিয়নের কাজ ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করা শুরু করেন। লণ্ডনের বিভিন্ন পত্রিকায় ছবি স্কেচ করা শুরু করেন তিনি। ফাঁকে ফাঁকে দু’চার পাতা লিখতেও থাকেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, চার্লস স্কেচের নিচে ছদ্মনামে স্বাক্ষর করতে থাকেন। তার সকল স্কেচের নিচে ‘বোজ’ বা ‘Boz’ নামে স্বাক্ষর করা থাকতো। ১৮৩৬ সালে চার্লস ডিকেন্স তার স্কেচগুলো একত্র করে বই আকারে প্রকাশ করেন ‘দ্য স্কেচেস বাই বোজ‘ নামে। বই বিক্রির মাধ্যমে চার্লস ডিকেন্স বেশ কিছু অর্থ লাভ করেন। তার আর্থিক অবস্থার সামান্য উন্নতি ঘটে। চার্লস এবার সিদ্ধান্ত নিলেন বিয়ে করবেন। ক্যাথেরিন হোগার্ট নামক এক নারীর প্রেমে পড়েন তিনি। তারা দ্রুত বিয়ে করে ফেলেন। বিয়ের পর যেন নতুন চার্লসের জন্ম হয়। তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেন। তিনি এবার পত্রিকায় ধারাবাহিক উপন্যাস লেখার কাজে হাত দিলেন। লণ্ডনের একটি পত্রিকায় ছাপা হলো চার্লস ডিকেন্স রচিত ধারাবাহিক উপন্যাস ‘The Posthumous Papers of the Pickwick Club’। গল্পের নাম দেখেই যেন পাঠকরা আগ্রহী হয়ে ওঠে। প্রথম পর্ব পড়ার পর পাঠকরা অভিভূত হয়ে যায়। দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর খুব দ্রুত সবগুলো কপি বিক্রি হয়ে গেলো। শেষে অবস্থা এমন দাঁড়ালো যে, সবাই চার্লস ডিকেন্সের গল্প পড়তে চায়। ডিকেন্সের মূলনীতি ছিল- “পাঠকদের হাসাও, পাঠকদের কাঁদাও এবং তাদের অপেক্ষা করাও।” ডিকেন্সের লেখার ধরন সাহিত্যে এক নতুন মাত্রার সৃষ্টি করলো। ১৮৩৭ সালে The Posthumous Papers of the Pickwick Club সর্বাধিক পঠিত ধারাবাহিক উপন্যাস হিসেবে নির্বাচিত হয়। চারদিক থেকে খ্যাতি অর্জন করতে থাকেন তিনি। ধারাবাহিকের সাফল্যে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখা শুরু করেন চার্লস ডিকেন্স। একটি পত্রিকার সম্পাদকের চাকরিও লাভ করেন। ‘Bentley’s Miscellany’ নামক পত্রিকায় সম্পাদক থাকাকালীন চার্লস ডিকেন্স নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস রচনা শুরু করেন। এক অনাহারী অনাথ বালককে নিয়ে রচিত সেই ধারাবাহিকের নাম দেন ‘অলিভার টুইস্ট’। ভিক্টোরিয়ান যুগে ইংরেজি উপন্যাসের ইতিহাসে এর পূর্বে কখনো কোনো বালককে নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়নি। ১৮৩৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে অলিভার টুইস্টের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়। কিশোর অলিভারের মাঝে চার্লসের শৈশবের দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠে। প্রায় দু’বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত এই উপন্যাসের খ্যাতি ইংল্যাণ্ডের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের পাঠক সমাজেও জনপ্রিয়তা লাভ করে ‘অলিভার টুইস্ট’। ১৮৩৮ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয় উপন্যাসটি।

সব লেখকের মতোই কাগজ-কলমের বাইরে চার্লস ডিকেন্সের ভিন্ন আরেকটি জগত আছে। তার সেই ব্যক্তিগত জগতের সাথে আমরা খুব বেশি একটা পরিচিত নই। সাধারণ মানুষের ন্যায় চার্লসেরও একটি সংসার ছিল। স্ত্রী আর দশ সন্তান নিয়ে জীবনযাপন করতেন তিনি। তবে শেষপর্যন্ত তাদের সংসারে ভাঙন ধরে। ১৮৫৮ সালে পারস্পরিক সম্মতিতে স্ত্রী ক্যাথেরিনকে তালাক প্রদান করেন চার্লস ডিকেন্স। বিচ্ছেদের পর পুনরায় নতুন করে প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। এলেন টারনান নামক এক অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। ১৮৬৫ সালে এক রেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন চার্লস ডিকেন্স। সেবার একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই দুর্ঘটনার পর আর কখনও সুস্থ হতে পারেননি ডিকেন্স। অসুস্থতার দরুন লেখালেখি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ডিকেন্স বেশিদিন লেখালেখি ছেড়ে বিশ্রাম নিতে পারেননি। পাঠকদের ভালোবাসায় তিনি অসুস্থ অবস্থাতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যান। পাঠ করে শোনান তার উপন্যাসগুলো। এমনকি নতুন করে শুরু করেন উপন্যাস লেখা। কিন্তু ‘দ্য মিস্ট্রি অফ এডউইন ড্রুড’ নামক উপন্যাসটি শেষ করতে পারেননি তিনি। ১৮৭০ সালের ৯ জুন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে ৫৮ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন লেখক চার্লস ডিকেন্স।লেখকের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে বিভিন্ন বিখ্যাত সাহিত্যিকদের সাথে সম্মানের সহিত সমাধিত করা হয়। তার শেষকৃত্যে লাখো ভক্তের সমাগম হয়। তার মৃত্যু উপলক্ষ্যে ইংল্যাণ্ডে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়। তিনি পার্থিব জগতে মৃত্যুবরণ করলেও, তার কর্মের মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল। ভিক্টোরিয়ান যুগের সেরা ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের আজ ২০৮তম জন্মবার্ষিকী। ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভাইজান, আজ শুক্রবার, জুম্মা মোবারক।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিকাল সাড়ে তিনটায়
জুম্মামোবারক বললে হবে?
এখনতো আসরের প্রস্তুতি নিতে হবে।
যা হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি সাংবাদিকও ছিলেন? ভালো, আপনার সাথে পেশার মিল আছে? উনি ভেনিস ভ্রমণ করেছিলেন?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

১৮৪২ সালে পাঁচ মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে ভার্জিনিয়ায় থেকে শুরু করে
মিসৌরি পর্যন্ত যান চার্লস ডিকেন্স এবং তার স্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে
তিনি দুটি গ্রন্থ রচনা করেন- ‘American Notes’ এবং ‘Martin Chuzzlewit’।
পরবর্তীতে চার্লস ইতালি ভ্রমণ করেন। দেশে ফিরে তিনি ধারাবাহিক
উপন্যাসের বদলে পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস রচনার কাজ হাতে নেন।
প্রথমেই বের করেন ‘Dealings with the Firm of Dombey and Son’ নামক উপন্যাস।
ইতালীর ভেনিসে যেতেও পারেন। আপনার কি ধা্রণা, গিয়েছিলেন?

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে আব্দুলহাক ভাই

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমিতো আমার সময়ে বলেছিলাম, এখন তো আমার মাগরিবের সময়।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এখনতো এশারও পার গেলো!!

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: চার্লস ডিকেন্স এর লেখা আমি পড়েছি। সুন্দর লিখেন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ রাজীব খান্
চার্লস ডিকেন্স এর
লেখা পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.