নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পালিত একটি দিবস "সুন্দরবন দিবস"। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়। সুন্দরবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ গোটা দেশের পরিবেশ। সুন্দরবন রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ রয়েছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত বনখেকোদের আগ্রাসনের ফলে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন আজ হুমকির মুখে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে এবার পালিত হচ্ছে ১৯তম সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবন, প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।
'বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন'-শ্লোগানকে সামনে রেখে নানা আয়োজনে বাগেরহাটে সুন্দরবন দিবস পালিত হয়েছে। পাশ্চাত্যের ছোঁয়া লেগে ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসটি’ আমাদের দেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। দিবসটিতে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সুন্দরবনকে ভালবাসার আহ্বান জানিয়ে প্রকৃতি প্রেমিরা নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলাসমূহে স্থানীয় প্রেসক্লাব, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, উন্নয়ন সংগঠন এবং নাগরিক কমিটির ব্যানারে নানা অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে সুন্দরবন দিবসটি পালিত হবে। আজ শুক্রবার সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও বেসরকারি সংগঠন সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন যৌথ ভাবে সুন্দরবন দিবসের আয়োজন করে। বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুল ইসলাম। বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট মো. মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি আহাদ উদ্দীন হায়দার, শেখ আহসানুল করিম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাকি তালুকদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক শেখ আজমল হোসেন, অর্থ সম্পাদক ইয়ামিন আলী প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, সুন্দরবন আমাদের জাতীয় সম্পদ। ঝড় জলোচ্ছ্বাস আসলে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে, সুন্দরবন আমাদের মায়ের মত আগলে রাখে। সুন্দরবন যেকোন সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে দিকে থাকার সক্ষমতা রয়েছে। প্রতিটি ঘূর্নিঝড়ের পর তা প্রমানিত হয়েছে। তবে মানব সৃষ্ট দূর্যোগে সুন্দরবন আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তাই সুন্দরবন সুরক্ষায় সরকারকে আরো কঠোর হবার পাশাপাশি পর্যটক ও বনজীবীসহ সুন্দরবন সন্নিহিত লোকালয়ে মানুষকে আরও ভূমিকা রাখতে হবে। তাই সুন্দরবনকে বাঁচাতে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। এই দিনটিকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে জাতীয় ভাবে পালনের দাবি জানান বক্তারা।
প্রসঙ্গতঃ ২০০১ সালে পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সমন্বিতভাবে ১৮-দফা প্রস্তাবনা ঘোষণা বাস্তবায়নে সরকারিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়। ১৮-দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সুন্দরবন ও বনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, জাতীয় প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষার জন্য অনতিবিলম্বে বাঘ-হরিণসহ সুন্দরবনের সবধরনের প্রাণী হত্যা বন্ধসহ যাবতীয় বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করা, সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং স্থানীয় জনগণের মতামত নেওয়া, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ-নবায়ন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ, তেল-গ্যাস আবিষ্কারের জন্য অনুসন্ধানী উদ্যোগ বন্ধ, আইনানুগ সম্পদ আহরণকারীদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত, বন ও বন্যপ্রাণী আইনকে আরও যুগোপযোগী এবং প্রয়োজনে পৃথক বন আইন, বনের ভেতর ও পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর সংস্কার, বিশেষ করে গোরাই নদীশাসনের ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, সুন্দরবন এলাকায় চিংড়ি পোনা ধরার কারণে মাছসহ জলজ সম্পদের যে ক্ষতি হচ্ছে তা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। তাই আসুন আমরা সম্মিলিত ভাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বনখেকোদের প্রতিরোধ করি।
নূর মোহাম্মদ নূরু
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মুচির লেখায় আপনার এই লিংক
পেয়েছিলাম। ধন্যবাদ জিএস ভাই।
আমাদের সচেতন হতে হব্।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দরবন আমাদের প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আক্রমন থেকে বাঁচিয়ে রাখে ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আনোয়ার ভাই
হাজার কথার এক কথা।
হক কথা।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দরবন আল্লাহই রক্ষা করবেন। এই বন আমাদের অনেক বড় সম্পদ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ তার সৃষ্টিকে রক্ষা করবেন
এটা চির সত্য। তিনি যা করেন তা
মানুষের কল্যাণের জন্য।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দরবন আমাদের বাঁচায় । আর আছি তারে উজাড় করার কাজে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এই জন্যই কথায় বলে
উপকারীকে বাঘে খায়!!
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৩
মুচি বলেছেন: দেশের বনাঞ্চলগুলো বেঁচে থাক। জনসচেতনার খুব বেশি দরকার। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু ,
সুন্দরবনকে ভালোবাসা এখানে এইভাবে---পশুরের জলে শেষ জলকর ...........