নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্তর দশকের ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের একমাত্র আবেদনময়ী তারকা অভিনেত্রী অলিভিয়ার জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০২


উত্তমের বিপরীতে কাজ করা একমাত্র বাংলাদেশি নায়িকা অলিভিয়া গোমেজ। তিনিই প্রথম চলচ্চিত্রে হাটুর উপর স্কার্ট পরিধান করে চমক সৃষ্টি করেন। তাছাড়া তার অসাধারন আঙ্গিক গঠন, শারীরিক সৌন্দর্য এবং বাচন ভঙ্গি তৎকালীন সময়ে সমস্ত পুরুষের মনে আবেদন সৃষ্ট করেছিলেন। ১৯৭২ সালে চিত্রনির্মাতা এস এম শফি তার ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’ ছবিতে প্রথম কাজ করার সুযোগ করে দেন অলিভিয়াকে। যদিও এর আগে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ এবং বেবি ইসলামের ‘সংগীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। লেট দেয়ার বি লাইট-এ নায়িকা হিসেবে প্রথমে অলিভিয়াকেই পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, কোনো এক অজানা কারণে অলিভিয়াকে বাদ দিয়ে ববিতাকে নেয়া হয়। যদিও, অলিভিয়া কালক্রমে ববিতার পথেই হেঁটেছেন। ববিতার পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন কলকাতার চলচ্চিত্রে। ১৯৭৬ সালের সিনেমা ‘বহ্নিশিখা’। নীহাররঞ্জন গুপ্তের গল্প অবলম্বনে নির্মিত সেই সিনেমায় উত্তম কুমারের সাথে আরো ছিলেন সুপ্রিয়া দেবী ও রঞ্জিত মল্লিক। সিনেমায় উত্তমের নায়িকা ছিলেন অলিভিয়া, বাংলাদেশের মেয়ে। সেবারই প্রথম ও শেষ বারের মত কোনো বাংলাদেশি নায়িকার বিপরীতে কাজ করেন মহানায়ক উত্তম কুমার। নায়ক ওয়াসিমের সাথে তাঁর পর্দার জুটি বেশ জমে গিয়েছিল। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া জুটির ‘দ্য রেইন’ ছবিটি দেশে বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগায়। ‘আয়রে মেঘ আয়রে’ গানটি অলিভিয়াকে খ্যাতির শীর্ষে তুলে দেয়। ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছিলেন প্রয়াত নায়ক জাফর ইকবালের ভাই আনোয়ার পারভেজ। ছবিটিতে আরো অভিনয় করেছিলেন রোজি সামাদ ও মেহফুজ। এই সময়েই লাক্স-এর মডেল হওয়ার মত প্রেস্টিজিয়াস কাজও করেন অলিভিয়া। আজ চিত্রনায়িকা অলিভিয়ার ৬৭তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৩ সালের আজকের দিনে তিনি পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। সত্তর দশকের তারকা অভিনেত্রী অলিভিয়ার জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে গ্ল্যামার নির্ভর নায়িকা অলিভিয়া। তার পুরো নাম অলিভিয়া গোমেজ। অলিভিয়ার পূর্বপুরুষের আদি নিবাস ভারতের গোয়াতে। খ্রিস্টান ধর্ম অনুসারী ছিলেন অলিভিয়ার বাবা-মা। তার পিতা দেশ বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। থাকতেন মগবাজারের ইসলামী কলোনিতে। বাবা চাকরি করতেন দ্য ডেইলি অবজারভার পত্রিকায়। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ছেলেবেলায় লেখাপড়া করেন। মাত্র তেরো-চৌদ্দ বছর বয়স থেকে মডেলিং এবং একই সাথে ১৪ বছর বয়সে হোটেল পূর্বানী তে রিসিপশনিস্ট হিসেবে চাকরি শুরু করেন। এসময় চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান তাকে লেট দেয়ার বি লাইট চলচ্চিত্রে কাস্ট করেন। কিন্তু অজানা কারনে অলিভিয়াকে বাদ দিয়ে জহির রায়হান ববিতাকে কাস্ট করেন। অত:পর ১৯৭২ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা এস এম শফি নির্মিত ছন্দ হারিয়ে গেল চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি নায়িকা রুপে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি মাসুদ রানা নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই প্রচন্ডভাবে আলোচিত হন। তবে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি তার অভিনীত চলচ্চিত্র দ্য রেইন যেটি নির্মান করেন এস এম শফি এবং রিলিজ পায় ১৯৭৬ সালে। এই মুভিতে ব্যবহৃত রুনা লায়লার কন্ঠের একটি গান আয় মেঘ আয়রে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তবে অলিভিয়া শক্তিশালী অভিনয়ের পরিচয় দেন রাজ্জাকের বিপরীতে ‘যাদুর বাঁশী’ ছবিতে। ক্যারিয়ার এবং অভিনয়ের ব্যাপারে অলিভিয়া ছিলেন খামখেয়ালী, তাই তিনি বেশি দূর যেতে পারেননি। অনেকদিন বিরতির পর আশির দশকের শেষের দিকে তিনি আবার ফিরে আসতে চেয়েছিলেন চলচ্চিত্র জগতে কিন্তু তার স্বামী এস এম শফির অকাল মৃত্যুতে তা সম্ভব হয়নি। ক্যারিয়ারে মোট ৫৩ টি সিনেমা করেন অলিভিয়া। এর মধ্যে ছন্দ হারিয়ে গেল, পাগলা রাজা, বাহাদুর, শাহজাদী, গুলবাহার, বেদ্বীন, শ্রীমতি ৪২০, চন্দ্রলেখা, টক্কর, হিম্মতওয়ালী, ডার্লিং, রাস্তার রাজা, বন্ধু, লাল মেমসাহেব, তকদিরের খেলা, সতীনাথ কন্যা, ভাইবোন, নাগ নাগিনী, জংলি রাণী, জামানা, জীবন সঙ্গীত, শপথ নিলাম, টাকার খেলা, দূর থেকে বলছি, সেয়ানা, তীর ভাঙা ঢেউ, শাপমুক্তি, একালের নায়ক, কুয়াশা, আগুনের আলো, কালা খুন, আগুন পানি ইত্যাদি অন্যতম। মুক্তি না পাওয়া দু’টি সিনেমা হল ‘মেলট্রেন’ ও ‘প্রেম তুই সর্বনাশী’। তার সর্বশেষ ছবি ছিল 'দুশমনি' যা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৫ সালে। ব্যক্তিগত জীবনে চলচ্চিত্রকার এস এম শফিকে ১৯৭২ সালে বিয়ে করেন অলিভিয়া। তখনই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। অলিভিয়ার স্বামী এস এম শফি তার গ্ল্যামার এবং যৌন আবেদনকে ব্যবহার করতে কার্পণ্য করেননি। ৭০ দশকে তিনি বেশ আলোচিত ও বিতর্কিত ছিলেন। রোম্যান্টিক, সামাজিক, ফ্যান্টাসি সব ধরণের সিনেমায় তাঁকে দেখা যেত। ওই আমলে তিনি বেশ সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। এর ফলে নামের সাথে আবেদনময়ী কিংবা গ্ল্যামারাস শব্দগুলো যোগ হত প্রায়ই। ১৯৭৬ সালে ‘সেয়ানা’ চলচ্চিত্রে খোলা পিঠে ‘সেয়ানা অলিভিয়া’ লিখে হাজির হন তিনি। সৃষ্টি হয় নতুন বিতর্ক। যদিও, বিতর্কের সাথে বেশ সখ্যতা ছিল অলিভিয়ার। চরিত্রের প্রয়োজনে যেকোনো পোশাকে হাজির হতে কখনোই তিনি আপত্তি জানাননি। অসংখ্য সিনেমা আছে, যেখানে সেন্সর বোর্ডের কাচি চলেছে অলিভিয়া অভিনিত অনেক দৃশ্যে। এমন একটি সিনেমা হল ‘রাস্তার রাজা’। মাহমুদ কলির সাথে অলিভিয়ার অসংখ্য দৃশ্য সেন্সর বোর্ড কেটে ফেলতে ‘বাধ্য হয়েছে’।

৭০-এর একেবারে শেষে এবং ৮০’র দশকের শুরুতে যথাক্রমে রোজিনা ও অঞ্জু ঘোষের আগমণ অলিভিয়ার সাম্রাজ্যে ধস নামায়। এফ কবির চৌধুরীর রাজমহল (১৯৭৯) দিয়ে রোজিনা এবং সওদাগর (১৯৮২) দিয়ে অঞ্জু খুব অল্প সময়ে ফোক-ফ্যান্টাসি ছবির বাজারটা দখল করে নেন। একটা সময় চিত্র জগতে অলিভিয়ার অবস্থান নিভু নিভু করে জ্বলে থাকা তারার মতন হয়েছে। ইদানিং আর অলিভিয়ার কথা শোনা যায় না। এই প্রজন্মের অনেকেই তাঁকে চেনে না। দীর্ঘদিন ধরে তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে আছেন। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় তার সর্বশেষ অভিনীত চলচ্চিত্র ‘দুশমনি’। ১৯৯৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান শফি। এরপর চলচ্চিত্র জগৎ ছেড়ে দেন অলিভিয়া। আর কখনোই পর্দা তো দূরের কথা, গণমাধ্যমেরও তিনি মুখোমুখি হয়েছেন বলে শোনা যায়নি। নিভৃতে কাটছে তাঁর জীবন। এরপর বিয়ে করেন নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার মুনলাইট টেক্সটাইল মিলসের কর্ণধার হাসানকে। শোনা যায়, এখন অলিভিয়া বসবাস করছেন বনানীর ডিওএসএইচ-এর বাড়িতে। কোনো কিছুরই অভাব নেই। অলিভিয়ার ছোট ভাই থাকেন আবুধাবিতে। বড় ভাই অভি ও আরেক ভাই ফুটবলার জর্জি থাকেন ঢাকাতেই। অলিভিয়ার চার বোনের মধ্যে বড় বোন থাকতেন কলকাতায়। ২০১১ সালে তিনি মারা যান। মেঝো বোন অডিট ছিলেন বিমানবালা। বর্তমানে আমেরিকায় থাকেন। ছোটবোন অলকা থাকেন ঢাকাতেই। সোনালী দিনের চিত্রনায়িকা অলিভিয়ার আজ ৬৭তম জন্মবার্ষিকী। হারানো দিনের নায়িকা অলিভিয়ার জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৯

হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: Good to know.

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট । অনেক কিছু জানা হলো গ্লামারগার্ল অলিভিয়া সম্পর্কে । ওয়াসিম আর তাঁর অভিনিত একটি গান আমার খুব প্রিয় ।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ফুলেল শুভেচ্ছা জানাই ।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ছন্দ হারিয়ে যাওয়ার মতোই অলিভিয়াও হারিয়ে গেলেন জনসম্মুখ থেকে ?

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: অলিভিয়ার সাথে হিন্দি ছবির নায়িকা হেলেনের অনেক দিক দিয়েই মিল আছে।
দুজনই বিদেশী-এ্যাংলো বংশোদ্ভুত এবং দুজনই ছবিতে স্বল্পদৃশ্যে অভিনয় করতে বিশেষ আগ্রহী।
তার নায়িকা হওয়ার মত সব যোগ্যতা ছিলো কিন্ত ‘৭০-এর দশকেই পরিচালকেরা তাকে মুনমুন-ময়ূরীর মতো চরম অশ্লীল ও পারিবারসহ দেখার অযোগ্য পোশাক ও নাচে উপস্হাপন করে।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট টি ভাল লাগলো।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আবেদনময়ী মানে কি মুরুব্বী???
আসলেই আমি জানি না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পাঠশালায় ভর্তি হোন নতুন করে কারন আপনার জানার বাকী আছে অনেক কিছু।
সে যাই হোক।
আবেদনময়ী শব্দটির অর্থ একেক জনের কাছে একেক রকম।
আমার কাছে এটি শুধু শারীরিক নয়। আপনি যা, তাতে যদি আপনি
স্বাভাবিক হন, তাহলে আপনি আবেদনময়ী।
আত্মবিশ্বাসী মানে আবেদনময়ী।’
এশিয়ার সবচেয়ে আবেদনময়ী নারীর পদবি পেয়েছেন বলিউড-হলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।
এর আগে এই অবস্থানে রাজত্ব করছিলেন বলিউডের আরেক জনপ্রিয় মুখ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
আবেদনময়ীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ’বেওয়াচ’ খল অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা।
এ ছাড়াও তালিকায় আছেন আরও কয়েকজন ভারতীয় অভিনেত্রী। দৃষ্টি ধামি আছেন
চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে আছেন আলিয়া ভাট। সানায়া ইরানি আছেন ষষ্ঠ স্থানে।
ক্যাটরিনা পেয়েছেন সপ্তম স্থান। আট নম্বরে আছেন সোনম কাপুর। দশে আছেন
গওহর খান। নবম স্থানটি পেয়েছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান।
ব্রিটেনের ইস্টার্ন আই সংবাদপত্র প্রতি বছর প্রকাশ করে এই তালিকা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.