নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর ৪৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১০


রেনেসাঁস যুগের শিল্পসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী মাইকেলেঞ্জেলো। তার শিল্পকর্মগুলো ইতালি তথা পশ্চিমা শিল্পের উন্নয়নে অসাধারণ প্রভাব বিস্তার করে। এমনকি তার মৃত্যুর ৪৫০ বছর পরেও তাকে এবং তার শিল্পকর্ম নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। তিনি ছিলেন একাধারে একজন ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি। তবে ভাস্কর এবং চিত্রকর হিসেবেই বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। আর তাই মাইকেলেঞ্জেলোকেই সর্বকালের সেরা ভাস্কর হিসেবে বিবেচনা কর হয়। মাইকেলেঞ্জেলো ছিলেন একাধারে ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি ও কবি। কাজের বৈচিত্র্য ও বিস্তৃতির কারণে তাকে রেনেসাঁস মানব বলে আখ্যায়িত করা হয়। জীবদ্দশায় ও পরবর্তীকালে তাকে ইতিহাসের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের একজন হিসেবে ধরা হয়। তার সবচেয়ে পরিচিত কাজ হল পিয়েতা ও ডেভিড। তিনি ত্রিশ বছর বয়সের আগেই বিখ্যাত ভাস্কর্য দুটি নির্মাণ করেন। এই দুটি কাজের আড়ালে তার চিত্রকর্ম প্রায় ঢাকাই পড়ে গেছে। কিন্তু পশ্চিমা শিল্প ইতিহাসের তার দুটি চিত্রকর্ম খুবই প্রভাবশালী। ফ্রেসকো রীতিতে তিনি রোমের সিস্টিন চ্যাপেলের সিলিংয়ে আঁকেন বিভিন্ন ধরনের ছবি ও দেয়ালে আঁকেন ‘দ্য লাস্ট জাজমেন্ট’ নামের বিখ্যাত চিত্রকর্ম। স্থপতিবিদ হিসেবে তার উল্লেখযোগ্য কীর্তি রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- ম্যানেরিস্ট রীতিতে নকশা করা লুরেনথিয়ান লাইব্রেরি। ম্যানেরিস্ট ধারার অগ্রপথিক বলা হয় তাকে। তার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে রয়েছে- ম্যাডোনা এ্যান্ড চাইল্ড, বিভিন্ন ধরনের পুরুষ প্রতিকৃতি, ফিগার কম্পোজিশান এবং মৃত্যু বিষয়ক চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্য। ৭৪ বছর বয়সে মাইকেলেঞ্জেলো ভ্যাটিক্যান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার নকশায় ভূমিকা রাখেন। তার মৃত্যুর পর কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে চার্চটির কাজ সম্পন্ন হয়। পশ্চিমা শিল্পীদের মধ্যে তিনিই প্রথম যার জীবদ্দশায় জীবনী প্রকাশ পেয়েছিল। তার জীবদ্দশায় প্রকাশিত দুই জীবনী গ্রন্থই লিখেন জার্জিও ভাসারি। ষোড়শ শতকের শিল্পীদের মধ্যে তারই বিভিন্ন কাজ, খসড়া চিত্র ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সংরক্ষিত হয়েছে। জীবদ্দশায় তাকে ’দ্য ডিভাইন ওয়ান’ নামে ডাকা হত। আজ ইতালীয় ভাস্কর মাইকেলেঞ্জেলোর ৪৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৫৬৪ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শিল্পগুরু মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মাইকেলেঞ্জেলো ১৪৭৫ সালের ৬ মার্চ ইতালির ক্যাপ্রিসির আরেজ্জোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম মাইকেলেঞ্জেলো দি লোদোভিকো বুওনারোত্তি সিমোনি। তার বাবার নাম লুদভিকো দ্য লিওনার্দো বুওনারোত্তি সিমোনি ও মা ফ্রাঞ্চেসকা দ্য নেরি দেল মিনিয়াতো দ্য সিয়েনা। জন্মের কয়েক মাস পরে তার পরিবার ফ্লোরেন্সে চলে আসে, সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন। পরবর্তী সময়ে মায়ের ক্রমাগত অসুস্থতার সময়ে এবং মৃত্যু পরবর্তীকালে (১৪৮১) সেত্তিগনানো শহরে এক পাথর খোদাইকারীর পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। এই শহরে তার বাবার মালিকানাধীন একটি মার্বেল খনি ও একটি ছোট খামার ছিল। মাইকেলেঞ্জেলো পরবর্তী জীবনের বিভিন্ন অংশ কাটান ফ্লোরেন্স, বলোগনা ও রোমে। কিশোর বয়সে মাইকেলেঞ্জেলো ফ্লোরেন্সে মানবতাবাদী ফ্রান্সেসকো ডা আরবিনোর কাছে ব্যাকরণ পড়তে যান। কিন্তু শৈশব থেকেই ছিল ছবি আঁকার ঝোঁক। ফলে বিদ্যালয়ের চেয়ে তার বেশি ভাল লাগত চার্চের ছবি নকল করা ও শিল্পীদের কাছাকাছি থাকা। তখন ফ্লোরেন্স ছিল ইতালির চিত্রশিল্পীদের প্রাণকেন্দ্র। সে সময় নগর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা করত। চিত্রশিল্পের রেনেসাঁসও ঘটে ফ্লোরেন্সেই। ফলে নামীদামী সব শিল্পীদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল এ শহরে। তাদের সেরা কাজগুলোও ছিল ফ্লোরেন্সে। আর মাইকেলেঞ্জেলো মনের সুখে তাদের কাজ নকল করতেন। ১৪৮৮ সালে তের বছর বয়সে মাইকেলেঞ্জেলো বিখ্যাত শিল্পী ডমেনিকো গিল্যান্ডায়োর কাছে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর পরের বছর থেকে তিনি নিয়মিত মাসোহারা পেতেন গুরুর কাছ থেকে। যা সে সময়ের জন্য ছিল ব্যতিক্রমী ঘটনা। একইসঙ্গে তিনি মানবতাবাদী নব্য প্লেটোনিক ধারায় পড়াশুনা করেন। পাশ্চাত্য রেনেসাঁসের অন্যতম পুরোহিত মাইকেল অ্যাঞ্জেলো ভাস্কর্য, চিত্রকলা ও স্থাপত্য শিল্পকলার এই ত্রয়ী ক্ষেত্রে অবিসংবাদিভাবে কৃতী হলেও বাঙালি পাঠকের কাছে তাঁর কবিসত্তার পরিচয় তেমন ছিল না। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক তাঁর মাইকেল অ্যাঞ্জেলো: তাঁর কবিতা পাথরে ও শূন্যপটে স্বর্গের দীপন গ্রন্থের মাধ্যমে কবির ৪৯টি কবিতার অনুবাদ করে এ অপরিচয় ঘোচালেন। চিত্রকলা ও ভাস্কর্যে মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর মানবতাবাদী দর্শনস্নাত যে শিল্পিসত্তাকে আমরা পাই, কবিতায় তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও বেশি কিছু। কবির অন্তরতম অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ এতে ঘটেছে, কেননা কবিতা আত্মগত শিল্প। তাঁর কবিতা তাঁর কালেই নয় শুধু, বর্তমানেও সূক্ষ্মদর্শী সব সমালোচকের কাছে দারুণভাবে নন্দিত। সৈয়দ হক অনূদিত কবিতাগুলোতেও কবির চিন্তা ও অনুভূতির এমন ঐশ্বর্যের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়, যা দর্শনের গভীরতর জিজ্ঞাসাকে উসকে দেওয়ার পাশাপাশি মানবহৃদয়ের নবীনতম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করে। মাইকেল অ্যাঞ্জেলো জেনেছিলেন, স্বর্গীয় সৌন্দর্য শিল্পে ধরা দেয় বলে সে অমর, আর সব নশ্বর; সত্যিকার শিল্পসৃজনগুণে তিনিও অমরদের একজন।

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম তিনটি ভাস্কর্য । তিনটিই সৃষ্টি করেছেন মাইকেল এ্যাঞ্জেলো। এ তিনটি হলো ‘ডেভিড’, ‘মোজেস’ এবং ‘পিয়েতা’। এরমধ্যে ডেভিডের মূর্তির খ্যাতি অবশ্যই বেশি। কিন্তু শিল্পবোদ্ধাদের কাছে পিয়েতার গুরুত্বও কম না। আসলে এই মূর্তি তিনটি দেখলে মনে হবে, বিধাতা স্বর্গলোক থেকে যেন মাইকেল এ্যাঞ্জেলোকে এই ধরাধামে পাঠিয়েছিলেন, অন্য ভাস্কর শিল্পীদের এই শিল্পকর্ম কেমন করে তৈরি করতে হবে সে বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার জন্য। শিল্পী-জর্জিয়ো ভাসারি অন্য শিল্পীদের সম্পর্কে বৃহদাকারের একখানা বই লিখে গেছেন। ওই বইয়ে মাইকেল এ্যাঞ্জেলো সম্পর্কে এমন কথাই লিখে গেছেন। তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে মার্বেলের ওপর খোদাই করে ‘ম্যাডোনা অব দ্য স্টেপস’ ভাস্কর্য তৈরি করেন। ইতালীয় যুগের ভাস্কর্যশিল্পের এক অনবদ্য নিদর্শন ভ্যাটিকান শহরের ব্যাসিলিকা গির্জায় যে ‘পিয়েতা’ ভাস্কর্য রয়েছে, সেটিও তৈরি করেন মাইকেলেঞ্জেলো। তার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে আছেঃ ‘দ্য লাস্ট জাজমেন্ট’, ‘ম্যাডোনা অ্যান্ড চাইল্ড’, ‘তোন্ডো’, ‘ডেভিড’, বিভিন্ন ধরনের পুরুষ প্রতিকৃতি ও ফিগার কম্পোজিশন।

মাইকেলেঞ্জেলোর বিখ্যাত ৫টি শিল্পকর্মের ৫ম স্থানে আছে ভ্যাটিকান সিটিতে অবস্থিত সেন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকা (St. Peter’s Basilica)। এটি রেনেসাঁ কালের অন্যতম সুবিশাল কীর্তি এবং এখনো পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা (Wikipedia)। আর সুবিশাল এই ব্যাসিলিকার অন্যতম কারিগর মাইকেলেঞ্জেলো বুনারোত্তি। সেন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকাকে পাপাল ব্যাসিলিকাও বলা হয়ে থাকে। ব্যাসিলিকাটির কাজ সম্পূর্ণ হতে লেগেছে ১০০ বছরেরও বেশি (১৫০৬-১৬২৬)।

পিয়েতা (Pietà) হল ইউরোপীয় নবজাগরণ বা রেনেশাঁস যুগের মাইকেলেঞ্জেলোর সৃষ্ট এক অনবদ্য কীর্তি। যা তার বিখ্যাত ৫টি শিল্পকর্মের ৪র্থ স্থানে আছে। কারারা-মার্বেলে তৈরি এই মূর্তিটি আসলে ফরাসি কার্ডিনাল জ্যঁ দ্য বিলেরে’র নির্দেশে গির্জায় তাঁর স্মৃতিরক্ষার্থে একটি আলঙ্কারিক ফলক হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীতে এই ভাস্কর্যটি তার বর্তমান অবস্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। ভাস্কর্যটির মূল বিষয়বস্তু হল, মা মেরির কোলে শায়িত যিশুর মৃতদেহ। পঞ্চদশ শতাব্দীর একেবারে শেষে নির্মিত এই অনুপম ভাস্কর্যটি বর্তমানে রোমে ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকায় সংরক্ষিত আছে।

মাইকেলেঞ্জেলোর বিখ্যাত ৫টি শিল্পকর্মের ৩য় স্থানে আছে দ্য ক্রিয়েশন অব অ্যাডাম (The Creation of Adam)। এটি একটি ফ্রেস্কো (সদ্য প্লাস্টার করা ভিজে দেয়াল বা ছাদে জল মেশানো গুঁড়ো রঙ দিয়ে আঁকা ছবি); আঁকা হয়েছে রোমের ভ্যাটিকানের ছোট একটি গির্জায়। গির্জাটির নাম সিস্টিন চ্যাপেল (Sistine Chapel)। আর এই গির্জার সিলিং এই আঁকা হয়েছে ফ্রেস্কোটি।পুরো ছাদ শেষ করতে তাঁর সাড়ে চার বছর সময় লেগেছিল। এই ফ্রেস্কোটিতে খ্রিস্টীয় ঈশ্বরকে অ্যাডাম (প্রথম মানব) সৃষ্টি করেতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে অ্যাডাম তার জীবন লাভ করছে ঈশ্বরের কাছ থেকে, আঙ্গুলের স্পর্শের মাধ্যমে। মেডিকেল ছাত্র না হলেও তিনি মানুষের অ্যানাটমিতে ভিঞ্চির মতোই সিদ্ধহস্ত ছিলেন।

তার শিল্পকর্মের ২য় স্থানে আছে দ্য লাস্ট জাজমেন্ট (The Last Judgment)। এটি একটি ফ্রেস্কো (সদ্য প্লাস্টার করা ভিজে দেয়াল বা ছাদে জল মেশানো গুঁড়ো রঙ দিয়ে আঁকা ছবি)। এটি তার এবং পশ্চিমা বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এক শিল্পকর্ম। এই ফ্রেস্কোটির অবস্থানও ভ্যাটিকান সিটির সিস্টিন চ্যাপেলে কিন্তু সিলিং এর পরিবর্তে বেদিতে বা দেয়ালে (অল্টারে)। এখানে চিত্রিত আছে ওল্ড টেস্টামেন্টের সৃষ্টিতত্ত্ব থেকে যিশু খ্রিস্টের ছোট-বড় ৩০০ টি চরিত্র। আর এই ফ্রেস্কোটি তিনি আঁকেন সিস্টিন চ্যাপেলের প্রায় ৫০০০ স্কোয়ার ফুট জুড়ে। ফ্রেস্কোটিতে ফুটে উঠেছে ঈশ্বরের শেষ হিসাব-নিকাশ। যেখানে দেখানো হয়েছে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জীবন। তিনি অবস্থান করছেন ফ্রেস্কোর মাঝামাঝি। আর তার চারপাশে আছে আরো যিশুর বিশিষ্ট অনুগামীগণ। নিচের দিকে দেখানো হয়েছে মৃতের পুনরূজ্জীবন এবং পাপিদের নরকে প্রেরণের দৃশ্য।

মাইকেলেঞ্জেলোর সবচেয়ে বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় শিল্পকর্মটি হল ডেভিড (David) এর ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি প্রায় ৫.১৭ মিটার (১৭.0 ফুট) লম্বা। এটি আসলে একটি মার্বেলের তৈরি পুরুষ নগ্ন মূর্তি। আর মূর্তিটি প্রতিনিধিত্ব করছে বাইবেলের নায়ক ডেভিডকে। তার তৈরি ডেভিডের এই মূর্তিটি অন্য সবার মত ছিল না। যেখানে বেশিরভাগ শিল্পী এবং ভাস্কর গোলিয়াথ এর সাথে যুদ্ধের পর ডেভিডের জয়ী রূপ তুলে ধরেছেন সেখানে মাইকেলেঞ্জেলো তুলে ধরেছেন যুদ্ধে যাওয়ার আগে ডেভিডের চিন্তিত এবং সতর্ক অবস্থান। মাইকেলেঞ্জেলো ডেভিড এর কাজ শুরু করেন তার বয়স যখন মাত্র ২৬! এবং এই কাজ শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ৩ বছর। তার এই কাজ দেখলে বিশ্বাসই হয় না যে তিনি এটি পাথর কেটে তৈরি করেছেন।

আজ ইতালীয় ভাস্কর মাইকেলেঞ্জেলোর ৪৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৫৬৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শিল্পগুরু মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: কবি সাহিত্যিকেরা এবং সর্ব্বোপরি সৃষ্টিশীল মানূষেরা কোনো দেশের না। এটা সমগ্র পৃথিবীর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.