নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং চট্টগ্রাম ভিত্তিক ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আহমেদ ইস্পাহানির ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০


মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং চট্টগ্রাম ভিত্তিক ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও অভিজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো ইস্পাহানি। ১৮২০ সালে বোম্বাইয়ে প্রতিষ্ঠা হয় এই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এর মালিক মির্জা মোহাম্মদ ইস্পাহানী কলকাতা অফিস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন সারা দেশে ব্যবসায় কছে ইস্পাহানি। তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রথম চা রপ্তানিকারক ছিলেন। এছাড়াও তিনি ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজ-এর প্রতিষ্ঠাতা,পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) এর প্রথম চেয়ারম্যান এবং ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান। ২০০ বছর আগের কথা, ১৮২০ সালে হাজি মোহাম্মদ হাশেম পারস্যের ইস্পাহান থেকে ভারতের মুম্বাইয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করেন এমন একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, যা এখন ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে অভিজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম। সেখান থেকেই দিনকে দিন সমৃদ্ধির পরিধি বাড়তে থাকে। অসাধারণ দক্ষতায় ব্যবসার ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়তে থাকে উপমহাদেশের এপাশ-ওপাশ, বর্তমান বাংলাদেশেও। প্রজন্মান্তরে ইস্পাহানির পণ্যের মান বেড়েছে, ব্যবসার সমৃদ্ধি বেড়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও অভিজাত এই ব্যবসায়ী গ্রুপটি এখনো সবচেয়ে গতিময়। মির্জা আহম্মদ ইস্পাহানি ছিলেন, মির্জা মোহাস্মেদ ইস্পাহানির জৌষ্ঠ পুত্র। আজ তার ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৬ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আহমেদ ইস্পাহানির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি ১৮৯৮ সালে (তারিখ অজ্ঞাত) বার্মর রেঙ্গুনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মির্জা মোহাম্মদ ইস্পাহানি। মির্জা আহমেদ ইস্পাহানিভারতের মাদ্রাজের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন এবং ২০ বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাশের পর তিনি তার বাবার ভারতের কলকাতার ব্যবসায় যোগ দেন। হাজি মোহাম্মদ হাশেমের মৃত্যুর পর ইস্পাহানি পরিবারে ব্যবসার দায়িত্ব নেন হাশেমের পৌত্র মির্জা মেহেদি ইস্পাহানি। ১৮৮৮ সালে তিনি ঢাকায় প্রতিষ্ঠানটির একটি কার্যালয় চালু করেন। ১৯০০ সালে মির্জা মেহেদি ইস্পাহানির পুত্র মির্জা মোহাম্মদ ইস্পাহানি ব্যবসার পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত হন। ব্যবসায়ে যোগ দেওয়ার অল্প সময় পরে ইস্পাহানিকে জুনিয়র পার্টনার করা হয়। ১৯২৫ সালের মে মাসে তার বাবা মারা গেলে তিনি অন্য দুই সহযোগী, তার ভাই, মির্জা আবোল হাসান ইস্পাহানি এবং মির্জা মাহমুদ ইস্পাহানি সহ দৃঢ় অংশীদার হয়েছিলেন। তিনি তার ছোট ভাই মির্জা আবুল হাসান ইস্পাহানিকে নিয়ে১৯৩৪ সালে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে ‘এম.এম. ইস্পাহানি লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৭ সালে এই সংস্থার সদর দপ্তর কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়। যা এখনো সেখানেই আছে। তাছাড়া ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এই কোম্পানি কলকাতায় বিদেশি কোম্পানি হিসেবে বিদ্যমান ছিল। মির্জা আহমেদ ইস্পাহানির নেতৃত্বে কোম্পানির ব্যবসা দ্রুত সম্প্রসারিত হতে থাকে। তিনি ব্যবসায় নতুন নতুন ধারণা ও পণ্য যোগ করেন। ১৯৪৭ সালের মধ্যে এম.এম. ইস্পাহানি লিমিটেড চট, পাটের বস্তা, চা প্রভৃতি সামগ্রীর শীর্ষ রপ্তানিকারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তিনি একাধারে জুট বোর্ড ও শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন, যার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পাট, টেক্সটাইল, চিনি, কাগজ, ম্যাচ প্রভৃতি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা ও শিল্পায়নের এক নতুন দিগন্ত সূচিত হয়। ইস্টার্ন ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক ও প্রধান শেয়ার হোল্ডার হিসেবে এর প্রধান কার্যালয় তিনি স্থানান্তর করেন কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে। শুধু তা-ই নয়, ১৯৪৭-এর পর মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড নামে কাজ শুরু করা যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি শাখা-প্রশাখায় ব্যাপক হয়ে ওঠে, তার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি

(বাম থেকে: মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি (১৮৪১-১৯১৩), মির্জা মোহাম্মেদ ইস্পাহানি (১৮৭১-১৯২৫), মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি (১৮৯৮-১৯৮৬), মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি (১৯২৩- ), মির্জা আলী ইস্পাহানি (বর্তমান চেয়ারম্যান)
তার পুত্র মির্জা মেহেদি ইস্পাহানি (পূর্বেও এই পরিবারে একজন মেহেদি ছিলেন) ১৯৪৯ সালে কোম্পানির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। মাঝখানের বিরতির পর মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি ১৯৬৯ সালে পুনরায় পারিবারিক ব্যবসায় ফিরে আসেন এবং ১৯৮৬ সালে ঢাকায় তার মৃত্যু অবধি ব্যবসায় সক্রিয় ছিলেন। চা ব্যবসার সঙ্গে ইস্পাহানি পরিবার দীর্ঘ এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে জড়িয়ে আছে। এম.এম. ইস্পাহানি লিমিটেডের রয়েছে চারটি চা-বাগান। এগুলো হলো গাজীপুর, মির্জাপুর, জেরিন ও নেপচুন। এসব বাগান অতি উন্নতমানের চা উৎপাদনের জন্য সবিশেষ খ্যাত। এছাড়া সবক’টি বাগানে রয়েছে চা উৎপাদনের আধুনিক যন্ত্রপাতি। এম.এম. ইস্পাহানি লি. চা ব্যবসায়ে এককভাবে এদেশে সবচেয়ে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। সারা দেশে এই প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে নিজস্ব বিতরণ-ব্যবস্থা। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ডিপোর সংখ্যা ৫শ’র অধিক। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ইস্পাহানির চা ডিপার্টমেন্ট বাছাইকৃত সেরা মানের চা নির্বাচন করে প্যাকেটজাত করে। যা তার মানের জন্য বিশেষভাবে বিদিত এবং সর্বোচ্চ ভোক্তা পরিতুষ্টি অর্জন করে। পর পর দ্বিতীয় বছরের মতো ইস্পাহানি মির্জাপুর চা বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ও কান্তার মিলওয়ার্ড ব্রাউনের জরিপে হট বেভারেজ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এছাড়াও সব দেশীয় ব্র্যান্ডের মাঝে দ্বিতীয় এবং সব ব্র্যান্ডের মধ্যে চতুর্থ শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ড হিসেবেও সম্মাননা পেয়েছে। চা ব্যবসার জন্য বেশি পরিচিত হলেও ইস্পাহানি গ্রুপ আরও নানান ব্যবসায় সফলতা অর্জন করেছে। চায়ের পাশাপাশি অন্যান্য ট্রেডিং ব্যবসাগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে, কটন এবং টেক্সটাইল ব্যবসা। পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস ইস্পাহানি গ্রুপের একটি ইউনিট, যা দেশের স্পিনিং মিলগুলোর অন্যতম অগ্রদূত। ১৯৫৪ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করার পর থেকেই দেশের রপ্তানিমুখী নিট মিলগুলোর জন্য পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস অন্যতম আশা ভরসার স্থল হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ইয়ার্ন চাহিদার ক্ষেত্রে পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস ওয়ান স্টপ সলিউশন দিয়ে আসছে। ইস্পাহানি গ্রুপের অন্যতম অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি ফুডস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৯ সালে। সর্বাধুনিক মেশিনারিজ, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নিবেদিতপ্রাণ একদল বিশেষজ্ঞ কর্র্তৃক কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ফলে ইস্পাহানি ফুডস লিমিটেড আজ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফুড কোম্পানি। ২০০৭ সাল থেকে ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড কৃষকদের মানসম্মত বীজ প্রদানের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি অর্জনে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড বীজের পাশাপাশি নিয়ে আসে বায়োটেক (জৈব প্রযুক্তি), যার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করেই কীটপতঙ্গ ও পোকা থেকে ফসলকে রক্ষা করা সম্ভব

২০১০ থেকে সুগন্ধি চাল দিয়ে ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড এগ্রো প্রোসেসিং সেক্টরে প্রবেশ করে এবং পরবর্তী সময়ে বাগানের তাজা আম, চালসহ বিভিন্ন কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করা শুরু করে। এছাড়া ইস্পাহানির চা ব্যবসা আরও একটু সম্প্রসারিত। ফিনলে এবং ন্যাশনাল টি-কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে ইস্পাহানির। এক্ষেত্রে ফিনলের মতো জগৎখ্যাত চা কোম্পানি তাদের চা-বাগান হস্তান্তর করতে চায় এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে, যারা চা ব্যবসাটা বোঝেন, চা-গাছের ভাষা পড়তে পারেন। সেই বিবেচনায় তারা ইস্পাহানিকেই মনে করেছে যোগ্য। তাছাড়া ভবিষ্যতে আরও চা-বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। ইস্পাহানি মির্জাপুর অবিসংবাদিতভাবে সেরা চা ব্র্যান্ড। জেরিন, ব্লেন্ডার’স চয়েজ ব্ল্যাক-টি-সহ ইস্পাহানির অন্যান্য চা ব্র্যান্ডগুলো দেশজুড়ে সমাদৃত। কালো চায়ের পাশাপাশি সম্প্রতি ইস্পাহানি নিয়ে এসেছে ব্লেন্ডার’স চয়েস গ্রিন টি। এত বছর ধরে একটি যৌথ পরিবার একসঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একক পরিবারের এই যুগে এ এক বড় উদাহরণ। পারিবারিক ঐতিহ্য এবং পরস্পরের প্রতি আস্থাই এই যৌথ থাকার মূলে কাজ করে। পারিবারিক বন্ধন ব্যবসায় এনেছে গতি। এক জায়গায় বসে নেই, বসে নেই পুরনো একই ব্যবসা নিয়ে। নতুন নতুন ক্ষেত্র, আধুনিক প্রযুক্তি এবং আকর্ষণীয় সব পরিকল্পনা নিয়ে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন দাপটের সঙ্গেই। প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইস্পাহানির এই দীর্ঘ পথচলা এবং ক্রমপ্রসারের পেছনে রয়েছে ইস্পাহানি পরিবারের অনুসরণীয় এক অনন্য পারিবারিক ঐতিহ্য। ইস্পাহানি পরিবারের নিজস্ব একতার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, পরস্পরের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধার চর্চা, কোম্পানির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা এই প্রতিষ্ঠানকে করে তুলেছে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। কারও ব্যর্থতায় দোষারোপ নয় বরং তাকে সবদিক থেকে ভালো করার ক্ষেত্রে সহায়তা করার চর্চা এই প্রতিষ্ঠানকে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য দিয়েছে। বাংলাদেশের বনেদি এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনায়।

এছাড়া পুরো দেশজুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে। চা, পাট, কারিগরি ও প্রযুক্তি বিভাগ, ম্যাচ, টেক্সটাইল, ভূ-সম্পত্তি সংক্রান্ত বাণিজ্যে, শিপিং বিভাগে কর্মরত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। ইস্পাহানি পরিবার দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প ও উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। ইস্পাহানি পরিবারে স্কুল-কলেজসহ টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য, শিপিং, পাটকল, চা-বাগান, খাদ্যসামগ্রী, চক্ষু হাসপাতাল, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ইত্যাদি শিল্প, বাণিজ্যিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে এক বিশাল লোকবল কর্মরত রয়েছে। ২০০ বছরের ব্যবসায়িক সাফল্যের পেছনে নেপথ্য কারণ পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে আপোসহীন মানসিকতা। করপোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি (সিএসআর)-এর ক্ষেত্রেও ইস্পাহানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শুরু থেকেই তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে স্কুল এবং কলেজ স্থাপন করেছে, পাশাপাশি করেছে সুপরিচিত ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালও। ১৯৬০ সাল থেকে শুরু করে আজ অবধি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল থেকে লাখো বাংলাদেশি সবচেয়ে কম খরচে তাদের চোখের উন্নতমানের চিকিৎসা পেয়ে আসছেন নিরন্তর। এর বাইরে ইস্পাহানির রয়েছে, ঢাকা, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ও চট্টগ্রামে ইস্পাহানি পরিচালিত। আজ মির্জা আহমেদ ইস্পাহানির ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৬ সালের ১২ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আহমেদ ইস্পাহানির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৪

সোহানী বলেছেন: এমন পরিবার এখন মনে হয় দেশে বিরল। তাঁরা আগে দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কিছু করতো। আর এখনকার ধনীরা কিভাবে ভোগ করবে তার চিন্তায় মগ্ন।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সোহানী আপু
মহৎ উদ্দেশ্য থাকলে বড় কিছু করা যায়।
লোকের কল্যাণ যারা কামনা করে তাদেরকেই
মানুষ মনে রাখে। বন খেকো রেল খেকোদের
ঠিকানা হয় আস্তকুড়ে। শুভেচ্ছা আপনার জন্য।

২| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইস্পাহানরি চায়ের এড দেখার মাঝেই জানা ছিল ইস্পহানি সর্ম্পকে।
বিস্তারিত জানানোয় ধন্যবাদ।

শুভ কাজের প্রতিফল শুভই হয়।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভৃগু দাদা কেমন আছেন?
হঠাৎ হঠাৎ পাই আপনাকে।
আসলে জানার ইচ্ছা থাকলে
জানাযায় অনেক কিছু, আমরা
অলস জাতি তাই জানতে চাইনা
জানিওনা।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ব্যবসায়ী জগতে উনাদের অবদান অনস্বীকার্য
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আহমেদ ইস্পাহানির মৃত্যুবার্ষিকীতে
..............................................................................................................................
আমার গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল ,
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা
মির্জা আহমেদ ইস্পাহানির মৃত্যুবার্ষিকীতে
শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো পোষ্ট

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান ভাই
লেখাটি ভালো লাগার জন্য।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে চেষ্টা করবেন।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

যে মাটির ঠেলা গোলাপ বাগানে থাকে
একসময় তার থেকেও গোলাপ ফুলের
সৌরভ পাওয়া যায়। আর যে মাটির ঢেলা
থাকে নর্দমার পাশে একসময় তাতেও নর্দমার
গন্ধ লেগে যায়।

আমিতো আপনার মতো সুন্দর করে লিখতে পারিনা
সেই অপরাধ নিজ গুনে মার্জনা করুন খানসাব

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একজন খাঁটি ও সফল শিল্পপতি মির্জা আহমেদ ইস্পাহানির ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।


ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আদীকাল থেকেই আরবরা পার্শিরা কাবুলিরা আগাখানিরা নিজেদের দেশে ক্ষেত্র না পেয়ে অবিভক্ত বাংলা ভারতে পুজি এনে ব্যাবসা ক্ষেত্র তৈরি করে। আস্তানা গাড়ে। আর দেশে ফিরে যায় নি।
অলিম্পিক বিস্কুটের আজিজমোঃভাই, ভিডিও কানেক্সনের মালিক (নামটা ভুলেগেছি), এমনকি সালমান রহমানও পার্শি বংশ। প্রানের মালিকও

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.