নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুজিববর্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৩


স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আজ। প্রতিবছর ১৭ মার্চকে জাতীয়ভাবে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শিশু দিবস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় পালিত হয়ে থাকে। শিশু দিবসটি প্রথমবার তুরস্কে পালিত হয়েছিল ১৯২০ সালের ২৩ এপ্রিল তারিখে। ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন করা হয়, এবং ১ জুন আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উদযাপন করা হয়।। ১লা জুন বুলগেরিয়ায় শিশু দিবস পালন করা হয়। সনাতন ধারায় শিশুরা তাদের পরিবারের কাছ থেকে জন্মদিনের ন্যায় বিশেষভাবে মনোযোগ লাভ করে।সকল গাড়ী চালক দিনব্যাপী রাস্তায় বাতি জ্বালিয়ে শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়ে অতিরিক্ত নির্দেশনা দিয়ে থাকে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর বর্ষব্যাপী উদযাপনের জাতীয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবার কথা। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ কয়েকজন বিশ্বনেতা উপস্থিত থাকার কথা ছিল। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি ও কর্মজীবন নিয়ে হলোগ্রাফিক উপস্থাপনা ও থিম সং পরিবেশনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজি, শত শিশুর কণ্ঠে গানসহ বর্ণাঢ্য আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে দেড় লাখ মানুষের সমাগম হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন আয়োজকেরা। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে মুজিব বর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস ও সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বড় পরিসরে জনসমাগম করা হবে না।’ জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় অনুষ্ঠানসূচিতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে যে বিশ্ব পরিস্থিতি, সে বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় জনসমাগম পরিহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের কর্মসূচি থাকছে। এ ছাড়া স্মারক ডাকটিকিট ও মুদ্রা প্রকাশ করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তা–ও সীমিত পরিসরে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান প্রচার ও প্রকাশ করবে। গত ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের একশ’ দিনের কাউন্ট ডাউন শুরু হয় যা আজ শেষ হলো। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে। ফলে বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে যেসব অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে 'মুজিববর্ষ’ উদযাপন করবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো। ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আজ ১৭ মার্চ দেশে সাধারণ ছুটি থাকবে। ২০২০ সালের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ১৭ মার্চসহ ১৪ দিন দেশে সাধারণ ছুটি থাকবে।

১৯৯৬ সালের পূর্বে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালিত হতো। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন শুরু করে। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় এসে এ দিবসের সরকারি ছুটি ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’ বাতিল করে। পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে দিনটিকে আবার জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।এদিন সরকারি ছুটি থাকে। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা, পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহা নায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি "শেখ মুজিব" এবং "শেখ সাহেব" হিসাবে বেশি পরিচিত এবং তার উপাধি 'বঙ্গবন্ধু'। আজ বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মদিন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। জাতীয় শিশু দিবস এব্ং আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার (যিনি আদালতের হিসাব সংরক্ষণ করেন) ছিলেন এবং মা'র নাম সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী; তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন যখন তার বয়স সাত বছর। নয় বছর বয়সে তথা ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন। ১৯৩৪ থেকে চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেন নি। কারণ তার চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি করাতে হয়েছিল এবং এ থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠতে বেশ সময় লেগেছিল। গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৩৮ সনে আঠারো বছর বয়সে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বেগম ফজিলাতুন্নেসার বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। আর পুত্রদের নাম শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল।

১৯৪৭-এ ভারত বিভাগ পরবর্পূতী পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতির প্রাথমিক পর্যায়ে শেখ মুজিব ছিলেন ছাত্রনেতা। ক্রমে তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বের উচ্চপদে আসীন হয়েছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের বড় গুণ ছিল তুখোড় বক্তৃতা প্রদানের ক্ষমতা। সমাজতন্ত্রের পক্ষসমর্থনকারী একজন অধিবক্তা হিসেবে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তনের জনগোষ্ঠীর প্রতি সকল ধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। কালের পরিক্রমায় কখনো তিনি ভাষার জন্য, কখনো স্বাধিকারের জন্য আন্দোলন চালাতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠে স্বাধীনতার আন্দোলন। জনগণের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি একসময় ছয় দফা স্বায়ত্ত্বশাসন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন যাকে পশ্চিম পাকিস্তানে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিকল্পনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। ছয় দফা দাবীর মধ্যে প্রধান ছিল বর্ধিত প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসন যার কারণে তিনি আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের অন্যতম বিরোধী পক্ষে পরিণত হন। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের সাথে যোগসাজশ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বিচার শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তিনি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করে। পাকিস্তানের নতুন সরকার গঠন বিষয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টোর সাথে শেখ মুজিবে আলোচনা বিফলে যাওয়ার পর ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মার্চ ২৫ মধ্যরাত্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকা শহরে গণহত্যা পরিচালনা করে। একই রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরবর্তীকালে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। রহিমুদ্দিন খান সামরিক আদালতে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে তবে তা কার্যকরা হয় নি। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়। ১০ এপ্রিল ১৯৭২ শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসাবে। জনসাধারণের কাছে তিনি "শেখ মুজিব" এবং "শেখ সাহেব" হিসাবে বেশি পরিচিত এবং তার উপাধি 'বঙ্গবন্ধু'। সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে ভিত্তি করে সংবিধান প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী রাষ্ট্র চালনার চেষ্টা সত্ত্বেও তীব্র দারিদ্র্য, বেকারত্ব, সর্বব্যাপী অরাজকতা এবং সেই সাথে ব্যাপক দুর্নীতি মোকাবেলায় তিনি কঠিন সময় অতিবাহিত করেন।

ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দমনের লক্ষ্যে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি সকল দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নিজেকে আজীবনের জন্য রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এর সাত মাস পরে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে একদল বিপদগামী সামরিক কর্মকর্তার হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁর কন্যাদ্বয় বিদেশে অবস্থান করার কারণে বেঁচে গেলেও বঙ্গবন্ধুর তিনজন পুত্রই ঐ রাতে বিপদগামী সামরিক কর্তকর্তাদের হাতে নিহত হন। তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

বাঙালির মুক্তির অবিনাশী নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী আজ। বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন চিরকাল বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে- পথ দেখাবে। বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসায় বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণের কালজয়ী এ মহাপুরুষকে চিরকাল স্মরণ করবে। মুজিববর্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে জাতির জনককে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা ও ফুলের শুভেচ্ছায়।মুজিববর্ষ হোক সকলের।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জন্মশত বার্ষিকীর অন্তহীন শুভেচ্ছা

স্বাধীনতার চেতনায় জাগ্রত হোক সকল নাগরিক - স্বাধীকার আর অধিকারের শপথে বলিয়ান হয়ে।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ভৃগু দাদা
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
শুভকামনা আপনার জন্য।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আবু হেনা ভাই আপনাকে ধন্যবাদ
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিবেদনের জন্য।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শ্রদ্ধাসহকারে ভালোবাসা নিবেদন ।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ আলি ভাই

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: বঙ্গবন্ধু আকশের মতো বিশাল।
তার তুলনা হয় না।
এখন সময় এসেছে তার দল থেকে দুষ্ট লোকদের বের করতে হবে। দূর্নীতিবাজ আর চাটুকারদের দল থেকে বের করা।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চাটুকারের দল আগেও ছিলো, এখনো আছে,
ভবিষ্যতেও থাকবে। কারণ চাটুকারীতা পছন্দ
বলেই এরা দিনে দিনে বেড়েই চলছে।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বয়স কত?

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমি যখন দিগম্বর হয়ে ঘুরি
তখন আপনি হাফ প্যান্টের রশি
বাধার চেষ্টা করে ব্যার্থ হতেন!!
এবার হিসাব কষে দেখুন্ আমার
বয়স কতো !!

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আনোয়ার ভাই
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৫৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিনে

....................................................................................
আমার আন্তরিক ভালবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.