নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭


ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ছিলেন সৌদি আরবের বাদশাহ। বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ যদিও রাজতন্ত্রের শাসক ছিলেন, কিন্তু মুসলিম বিশ্বের ঐক্যপ্রচেষ্টা, উন্নতি ও ইসরায়েল-বিরোধিতায় অবদানের জন্য তিনি যেমন মুসলিম বিশ্বের কাছে প্রশংসিত ও শ্রদ্ধার পাত্র তেমনি সেকেলে সৌদি রেওয়াজ ও নানামাত্রিক কুসংস্কার দূর করে উন্নত দেশ গড়ার প্রচেষ্টার কারণে সৌদি সমাজেও বরিত হয়ে আছেন।সৌদিদের মধ্যে তার শাসন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই দায়িত্বপালন করেছেন। বাদশাহ হিসেবে তিনি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং আধুনিকীকরণ ও সংস্কারে সফল হন। তার বৈদেশিক নীতির মূল দিক ছিল প্যান ইসলামিজম, কমিউনিজম বিরোধিতা, ফিলিস্তিনি দাবির সমর্থন। তিনি দেশের আমলাতন্ত্রকে সফলভাবে সংহত করেন। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৪ বছরের কিশোর-বয়েসে বাবার রাজনৈতিক প্রতিনিধি হয়ে ইউরোপ সফর করেছিলেন তিনি। এবং সৌদি রাজপরিবারের কোনো সদস্যের এটাই ছিল প্রথম ইউরোপ সফর। ইউরোপের রাজ-রাজড়া ও কূটনীতিকদের সঙ্গে অকুণ্ঠভাবে আলাপ সেরেছেন সৌদি রাজতন্ত্রের পক্ষ থেকে। বয়েসের অপরিপক্কতা তাঁকে এতটুকু কুণ্ঠিত করতে পারেনি। এই সাহস ও দক্ষতা ধীরে ধীরে তাঁকে বিকশিত করে একটা সময় সৌদি আরবের সিংহাসনে সমাসীন করে। বাদশাহ ফয়সাল তার সরকারে অ-ওয়াহাবি এবং মক্কা ও জেদ্দার সুন্নি হিজাজিদেরকেও স্থান দেন। তিনি হজের মওসুমে প্রখ্যাত শিয়া গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মুহসিন আল হাকিমকে পবিত্র কাবাঘর-সংলগ্ন মসজিদুল হারামে সম্মিলিত ইবাদত-অনুষ্ঠানের ও জামায়াতে নামাজ পড়তে দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। ফলে সৌদি আরবের ক্ষমতাসীন সংখ্যালঘু ওয়াহাবি সম্প্রদায় বাদশাহ ফয়সালকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। সিআইএ'র ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ সালের এ দিনে তাঁর সৎ ভাইয়ের ছেলে ফয়সাল বিন মুসাইদের ছোড়া গুলিতে তিনি নিহত হন। মুসায়িদ মার্কিন প্রভুদের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আজ বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। পরিবর্তনকামী লড়াকু সৌদি-শাসক ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১৯০৬ সালের ১৪ এপ্রিল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সৌদি আরবের প্রথম বাদশাহ আবদুল আজিজ আলে সৌদ। তিনি তার বাবার তৃতীয় সন্তান। তার মা তারফা বিনতে আবদুল্লাহ বিন আবদুল লতিফ আল শাইখ। ফয়সালের মা ছিলেন আল আশ শাইখ পরিবারের সদস্য যা মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাবের বংশধর। ফয়সালের নানা আবদুল্লাহ বিন আবদুল লতিফ ছিলেন আবদুল আজিজের অন্যতম ধর্মীয় শিক্ষক ও উপদেষ্টা। ১৯১২ সালে ফয়সালের মা মারা যান। এরপর তিনি তার নানার কাছে প্রতিপালিত হন। নানার কাছে তিনি কুরআন ও ইসলামের মৌলিক বিষয়াদি শিক্ষা করেন। এই শিক্ষা তাকে আজীবন প্রভাবিত করেছে।
বাদশাহ আবদুল আজিজ ছেলের দক্ষতা ও প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে হেজাজের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেন। ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের বয়েস তখন মাত্র ২০। তারপর ২৪ বছর বয়েসে বাবা তাঁকে ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। বাবার মৃত্যুর পর সৌদি আরবের বাদশাহি পান বড়ভাই সৌদ বিন আবদুল আজিজ। এদিকে ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ তাঁর কর্মতৎপরতা এবং ধর্মের প্রতি ঝোঁকের কারণে ইতিমধ্যে সৌদি ওলামায়ে কেরাম ও সুশীল শ্রেণীর প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। বাদশাহ সৌদ ক্ষমতাগ্রহণের পর তাঁরা বাদশাহকে চাপ প্রয়োগ করেন ফয়সালকে যেন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়। সৌদ বিন আবদুল আজিজ চাপের মুখে তাঁকে প্রধানমন্ত্রিত্ব দিতে বাধ্য হন। কিন্তু দু’ভাইয়ের মধ্যে তখন থেকেই একটা দ্বন্দ্ব ও দূরত্বের সৃষ্টি হয়। ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর মুসলিম বিশ্বের ঐক্য প্রচেষ্টা এবং ফিলিস্তিনে ইহুদিদের অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নেও শুরু করেন পরিবর্তনকামী নানা উদ্যোগ।

১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৬২ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ তাঁরই প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হাজার বছর ধরে চলে আসা দাসপ্রথার বিলুপ্তিও তাঁর মাধ্যমেই সংঘটিত হয়। ১৯৬২ সালে রাজকীয় ফরমান জারি করে সৌদি আরবে এ প্রথা নিষিদ্ধ করেন। এ সময় জনপ্রতি ২ হাজার মার্কিন ডলারের সরকারি ব্যয়ে প্রায় ১৬৮২ জন দাস মুক্তি লাভ করে। ১৯৬৩ সালে ফয়সল সৌদি আরবে টেলিভিশন স্টেশন স্থাপন করেন। এ সময় সৌদি ওলামায়ে কেরাম প্রচণ্ডভাবে এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেন। কিন্তু বাদশাহ ফয়সল নিজ সিদ্ধান্তে অটল থেকে আলেমদেরকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, ইসলামের মাপকাঠি মেনে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে এবং ইসলামের কল্যাণেই তা ব্যবহার করা হবে। তারপরও একটা ক্ষোভ থেকে যায় ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নিজের কাজ, কৌশল ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ফয়সল এ ক্ষোভ দূর করে নেন। ১৯৬৪ সালে বাদশাহ সৌদ বিন আবদুল আজিজ চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলে ফয়সল কেন্দ্রীয় ক্ষমতা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। ন্যাশনাল গার্ডকেও নিয়ে আসেন নিজের আনুগত্যে। কিছুদিন পর বাদশাহ সৌদ দেশে ফিরলে ন্যাশনাল গার্ডের সাহায্যে তাঁকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। এদিকে ফয়সলের দক্ষতা ও কর্মগুণের কারণে রাজপরিবার ও ওলামায়ে কেরামও তাঁকে সমর্থন জানান। বড়ভাই সৌদ বাদশাহি ছাড়তে তখন বাধ্য হন। ফয়সল বিন আবদুল আজিজ হয়ে যান নতুন বাদশাহ। ১৯৬৪ সালের ২ নভেম্বর তাঁকে বাদশাহ হিসেবে ঘোষণা করা হয় আর ক্ষমতাচ্যুত বাদশাহ সৌদকে গ্রিসে পাঠানো হয় নির্বাসনে।

ক্ষমতাগ্রহণের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বাদশাহ ফয়সল বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের ভাই এবং সেবক। আমাকে সেভাবেই আপনারা দেখবেন। আমি ঘোষণা করছি, মহিমা (ম্যাজিস্ট্রি) শুধু আল্লাহর, আর মুকুট হলো আসমান ও জমিনের মুকুট।’ নতুন বাদশাহি পাবার পর সৌদির অর্থনৈতিক সংস্কারে তিনি মনোনিবেশ করেন। ওহাবি আলেমদের অসমর্থন সত্ত্বেও অওহাবিদেরকেও তিনি কাছে টানেন এবং সুযোগ-সুবিধা দেন। সৌদি রাজপুতদের বিদেশে পড়াশোনার পরিবর্তে দেশেই উচ্চশিক্ষাগ্রহণের ফরমান জারি করেন এবং দেশীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক কারিকুলামে গড়ে তোলেন। ফলে দেশীয় শিক্ষার প্রতি উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোও আগ্রহী হয়ে ওঠে। তাঁর শাসনামলে খুব দ্রুতই তেল উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং বিশ্বতেলবাজারে প্রধান রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে সৌদি আরবের নাম উঠে আসে। ১৯৬৯ সালে ইহুদিবাদী ইসরায়েল মসজিদুল আকসায় হামলা করলে এর পরিপ্রক্ষিতে এক মাস পর চলতি বছরের সেপ্টেমরে মরক্কোর রাবাতে তিনি মুসলিম দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আহ্বান করেন। ২৫টি মুসলিম রাষ্ট্র এতে অংশগ্রহণ করে। এবং এ সম্মেলনেই গঠিত হয় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের নির্লজ্জ সমর্থন বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক বাজারে সৌদি আরবের তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেন বাদশাহ ফয়সল। ফলে অচল হয়ে পড়েছিল পশ্চিমাদের অর্থনীতি। এতে তেলের দাম বহুগুণে বেড়ে যায়। দামবৃদ্ধি থেকে প্রাপ্ত মুনাফা তিনি সেই যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মিশর, সিরিয়া ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে সহায়তায় ব্যয় করেন।

সৌদি রাজবংশের সবচেয়ে কম নিন্দিত এবং কিছুটা উদার ও বিচক্ষণ রাজা হিসেবে পরিচিত বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ তাঁর এই কাজের জন্য পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসরায়েলের চক্ষুশূলে পরিণত হন। এর পর আর বছর দুয়েকও তাঁর বাঁচার সুযোগ হয়নি, ১৯৭৫ সালের ২৫ মার্চ কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার নীতি অবলম্বন করে তাঁকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারী তাঁরই ভাতিজা এবং তাঁর নামেই নাম ফয়সল বিন মুসাইদ। কিছুদিন আগে ফয়সাল ইবনে মুসায়িদ আমেরিকা থেকে ফিরেছিল। ফিরেছিল হত্যার যাবতীয় কৌশল ও পরিকল্পনা রপ্ত করে। এবং সেটা সম্পূর্ণ আমেরিকার মদদেই। ফয়সাল ইবনে মুসায়িদ খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে ১১ বছর ধরে ক্ষমতায়-থাকা তার চাচা বাদশাহ ফয়সালকে। মুসায়িদ মার্কিন প্রভুদের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৯। সেদিন রাজপ্রাসাদে সৌদি নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন বাদশাহ ফয়সল। এমন সময় ফয়সল বিন মুসাইদ আকস্মিকভাবে পরপর দুটো গুলি করে তাঁকে। প্রথমটি তাঁর চিবুকে লাগে আর দ্বিতীয়টি কান বিদীর্ণ করে বেরিয়ে যায়। একজন রক্ষী তলোয়ার বের করে তৎক্ষণাৎ হামলাকারীকে ধরাশায়ী করে। আর বাদশাহকে নিয়ে যাওয়া হয় হসপিটালে। কিন্তু অল্পসময়ের ভেতরই তাঁর প্রাণবায়ু বেরিয়ে যায়। ইন্তেকাল করেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও মুসলিম বিশ্বের ঐক্যপ্রত্যাশী একজন আরব শাসক। পরবর্তী আরববিশ্ব অমন শাসক আজ অবধি আর পায়নি। ফয়সাল নিহত হওয়ার পর সৌদি আরবের সব ক্ষেত্রে আবারও ওয়াহাবিদের কর্তৃত্ব জোরদার হয়। সাম্প্রদায়িকতা, গোত্রবাদ, আঞ্চলিকতা ও লিঙ্গ-ভিত্তিক নানা বৈষম্যই প্রাধান্য পেতে থাকে যা আজও বজায় রয়েছে। আজ বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। পরিবর্তনকামী লড়াকু সৌদি-শাসক ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরব হিসেবে কিছু ভালো কাজ করেছেন; তবে, বেদুইনদের জন্য তেমন কিছু করেননি, এবং রাজ পরিবার আরবদের সম্পদ লুকানোর শুরু করে,

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ গাজীসাব, তবে
সৌদি বাদশাদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে
বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ
ছিলেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও
মুসলিম বিশ্বের ঐক্যপ্রত্যাশী একজন
আরব শাসক। পরবর্তী আরববিশ্ব
অমন শাসক আজ অবধি আর আসেনি।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বাদশাহ ,দরবেশ,নর্তকী,টাউট,বাটপার,বিখ্যাত,কুখ্যাত সবার সম্পর্কেই লিখছেন।উদ্দেশ্য ঠিক বুযতে পারছি না।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইতিহাস সাগরের মতো
তার বুকে ঠাই পায় মরা,পচা
আবর্জনা, জঞ্জাল। আবার তার
বুকেই ঠাই পায় সোনা, রুপা
হীরা জহরত। ডুবুরীরা পচা,
জঞ্জাল ঠেলে তুলে আনে হীরা
জহরত। এটাই ইতিহাস!
সুতরাং বুঝতে হলে
জানতে হবে।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভ কামনা

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই
ভালো থাকবেন।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ৌদির কোনো বাদশাই ভালো না।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার কি ধারণা শুধু
আমেরিকার রাজারাই ভালো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.