নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ করোনা ভা্ইরাসঃ অবশ্যই আল্লাহর রহমত গজব অপেক্ষা অগ্রগামী

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৪


বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। বর্তমানে কয়েক মাস যাবত সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। প্রায় দুইশত রাষ্ট্র এতে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত বিশ্বে ১৮,৫৩,৬০৯ মানুষ ভাইরাসকবলিত এবং মৃতের সংখ্যাও ১,১৪,২৭০ জন। অপরদিকে বাংলদেশে ৮০৩ জন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৯ জন। কথা উঠছে করোনা ভাইরাস গজব না রহমত? অনেকে বলছেন, চিনের উহান শহরে যে-করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে সেটা নাকি উইগুরে ঘটমান অত্যাচারের জবাবে আল্লাহর গজব। গজবের বিষয়ে আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যখন সৃষ্টিজগত তৈরী সম্পন্ন করলেন, তখন একটি কিতাবে লিখে রাখলেন, যা তাঁরই কাছে তাঁর আরশের উপর রয়েছে, অবশ্যই আমার রহমত আমার গজব অপেক্ষা অগ্রগামী।’’ [বুখারি ৩১৯৪,৭৪০৪, ৭৪২২, ৭৪৫৩, ৭৫৫৩, ৭৫৫৪, মুসলিম ২৭৫১, তিরমিযি ৩৫৪৩, ইবন মাজাহ ১৮৯, ৪২৯৫, আহমদ ৭২৫৭, ৭৪৪৮, ৭৪৭৬, ২৭৩৪৩, ৮৪৮৫, ৮৭৩৫, ৯৩১৪] সুতরাং মহামারি যত না গজব, মানুষের বিশ্বাস ও আচরণের ফলে তা এর চেয়ে বেশি রহমত হিসেবেই প্রতিপন্ন হয়ে থাকে। প্লেগ সম্বন্ধে আমাদের মা আয়িশার এক কৌতূহলের জবাবে প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলেছিলেন, «আল্লাহ যাকে ইচ্ছে তাকে এই শাস্তি দেন৷ তবে এটাকে তিনি বিশ্বাসীদের জন্য রহমতও করেছেন৷ কেউ যদি নিজের শহরে প্লেগে আক্রান্ত হয়, সেখানেই থাকে, সবুর করে, আশা করে আল্লাহ তাকে পুরস্কার দেবেন, যদি বোঝেন, আল্লাহ যা ইচ্ছে করবেন, তা ছাড়া আর কিছু হবে না, সে তা হলে শহিদের সমান পুরস্কার পাবে৷» [বুখারি] আমরা জানি, দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও ঈমানদাররা ঈমানের আলোকেই ইতিবাচক চিন্তা করে। মন্দের ভেতরেও তারা ভালো কিছু খুঁজে পায়। আমরা করোনাভাইরাস থেকে গোটা মানব জাতির জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। পাশাপাশি এর মাধ্যমে পাওয়া কিছু ভালো দিক নিয়েও আলোচনা করতে চাই। তকদিরে যা আছে, তাতো হবেই, তবে, ঈমানদারের জন্য আল্লাহর কোনো ফায়সালাই ক্ষতিকর হতে পারে না। এটি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এখানে ভীতি কাম্য নয়। কাম্য সতর্কতা ও ঈমান।সুতরাং মহামারীকে গজব না ভেবে আল্লহর রহমত ভাবুন। আল্লাহ সকল মুসকিল আসানের মালিক। এই বিপদের সময়টিতে মানুষের মনোভাব বিশ্লেষণ করে সঠিক দায়িত্ব পালন করার বিকল্প নেই। মানুষকে একথাটি বোঝাতে হবে, মহামারি যত না গজব, মানুষের বিশ্বাস ও আচরণের ফলে তা এর চেয়ে বেশি রহমত হিসেবেই প্রতিপন্ন হয়ে থাকে।

বিপদ-আপদ, রোগ-মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদির দুটি রূপ রয়েছে। হযরত ইমাম গাযযালী বলেন, ‘যে বিপদ মানুষকে আল্লাহমুখী করে, সেটি তার জন্য রহমত। আর যে বিপদে মানুষ আল্লাহ থেকে দূরে সরে যায় কিংবা আল্লাহ থেকে উদাস ও বেভুল অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে, এটি তার জন্য গজব।’ দুনিয়ার সবচেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম সাহাবায়ে কেরামের জীবনেও এমন বিপদ, রোগ-মহামারি এসেছে। হযরত ওমর (রা.)-এর যুগে ৬৩৯ খ্রিষ্টাব্দে সিরিয়ার মহামারিতে গভর্নর আবু ওবায়দা ইবনুল জাররাহ শাহাদতবরণ করেন। সাহাবী মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-ও প্লেগ মহামারিতে শহীদ হন। অনেক সাহাবী ও পরবর্তীতে বহু ওলী-আউলিয়া এসবে শাহাদতবরণ করেছেন। তাহলে বিপদকে এককথায় গজব বলা উচিত হবে না। এখানে একই সমস্যা ঈমান ও জীবনবোধের আলোকে দুটি রূপ নিয়ে ধরা দেয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে মহামারিতে মৃত্যুবরণকারীরা শহীদ।’ এ বিপদমুহূর্তে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত গোটা দুনিয়া বেশ অসহায় হয়ে পড়েছে। সবার মুখেই শোনা যাচ্ছে, প্রার্থনার কথা। আল্লাহর নাম নেওয়ার কথা। সৃষ্টিকর্তার সাহায্য কামনার কথা। মানুষ আল্লাহমুখী হচ্ছে। এটি বিপদের একটি বড় ইতিবাচক অর্জন। নাস্তিকতার বিষবাষ্প কিছুটা হলেও স্থিমিত হয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বে নাস্তিকতা ছিল একটি ফ্যাশন। ধর্মহীনতা ছিল এক ধরনের স্মার্টনেস। ভাইরাসের বিপদ নামার পর দুনিয়াজুড়ে লোকজন ধর্মমুখী হচ্ছে। নাস্তিকতার তুফান দুর্বল হয়ে আসছে। পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন যা প্রায় বিরল হয়ে গিয়েছিল, ইদানীং তা বিপদের কারণে অনেকটা আগের জায়গায় ফিরে এসেছে। পড়া বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েরা যেমন ঘরে, ঠিক তেমনি বাইরে অল্প সময় দিয়ে মা-বাবাও দ্রুত ঘরে ফেরায় তাদের পরস্পরে দেখা-সাক্ষাৎ, কথাবার্তা, একসাথে খাওয়া-দাওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ মা-বাবা, ভাইবোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর খবর নিতে পারতো না। এখন জরুরি অবস্থায় সবাই একে-অপরকে যেভাবে পারে যোগাযোগের মধ্যে রাখছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের জীবনাচার শেয়ার করতো, এখন তারা বাস্তব জগতে বসবাস করছে।নবী করিম (সা.) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মহামারির সময় ধৈর্য্য সহকারে, সওয়াবের আশায় নিজেকে ঘরে রুদ্ধ রাখে, এ ধারণা নিয়ে যে, আল্লাহ তার ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন এর বাইরে কোনো কিছুই ঘটবে না। সে ব্যক্তিও শহীদের সাওয়াব পাবে।’ মহামারিতে তার মৃত্যু হোক বা নাই হোক। ফতহুল বারী, শরহে বুখারী ১৯৪/১০।

গুনাহ বেশি হলে সবকিছু থেকে বরকত উঠে যায়। ফ্যাসাদ শুরু হয়ে যায়। বিপদ ও বালা-মুসিবত একের পর এক আসতেই থাকে। যুগে যুগে মানুষকে আল্লাহু তাআলা বিভিন্ন আজাব-গজব দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন, সতর্ক করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফল-ফলারির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা নিজেদের বিপদ-মুসিবতের সময় বলে “নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী”, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হেদায়াতপ্রাপ্ত।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)।সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের প্রতি কিছু দেশ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা যে বৈরিতা ও বিদ্বেষ উস্কে দিয়েছিল তা মানবিক কারণে বিপদের সময় মানুষ ভুলে গেছে। পরস্পরের শত্রুরা মহাদুর্যোগের সময় একসাথে শান্তিতে বসবাস করতে শিখে। আমেরিকায় একটি জুমার জামাতের পেছনে নারী মুসল্লিদের সাথে অমুসলিম নারী ও শিশুদের এমনিতেই রুকু-সিজদা করতে দেখা গেছে। ইউরোপের রাজপথে মানুষ আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিচ্ছে। স্পেনে সন্ধ্যায় মাগরিবের সময় মহল্লায় মহল্লায় বিপদমুক্তির জন্য আজানের ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে। করোনার গোটা সময়টি ধরে রাশিয়ার প্রধান মসজিদে ২৪ ঘণ্টা একটানা কোরআন খতম চলছে। চীনে জুমার নামাজে অমুসলিমরাও বিপুল সংখ্যায় এসে যোগ দিয়ে মুনাজাতে শরিক হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার কোনো কোনো রাষ্ট্রে লাউড স্পিকারে আজানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ভারতে ৩০ কোটি মানুষ সুনামির মতোই করোনার হুমকির মুখে। সেখানেও হয়তো কৃত্রিম উপায়ে প্রজ্জ্বলিত সাম্প্রদায়িকতার আগুন নিভে যাবে। ইতালীর প্রধানমন্ত্রী কন্টি নিজেদের এই মহামারীতে অসহায় হয়ে আকাশে (সৃষ্টিকর্তার) কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। বিপদ মানুষকে মানবিক হতে শেখায়। আল্লাহর কাছে টানে। প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। যদি আসলেই এমন হয়, তাহলে বিপদ গজব নয়, তা রহমতই ভাবতে হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ করোনা ভাইরাস বর্তমান সময়ের অন্যতম প্রধান সমস্যা। ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি বা খরা, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, মহামারি, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, বরকত-শূন্যতা প্রভৃতি মানুষেরই কর্মের ফল। ধর্মীয় ও নৈতিক অবক্ষয়ে পৃথিবী ভারাক্রান্ত। ঝড়, ভারী বর্ষণ, সাইক্লোন, খরা, শৈত্যপ্রবাহ এরই পরিণাম। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদ-আপদ নিপতিত হয়, তা তোমাদেরই কর্মফল। তিনি অনেক গুনাহ মাফ করে দেন।’ (সুরা আশ্-শূরা: ৩০)। ‘আর যখন তোমাদের ওপর মুসিবত এল, যার দ্বিগুণ তোমরা ঘটিয়েছ, তখন তোমরা বললে, এটা কোত্থেকে এল! (হে নবী) আপনি বলে দিন, এ তো তোমাদের পাপ থেকেই; নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়েই সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আল ইমরান: ১৬৫; মারেফুল কোরআন: ৬৭৫৩)। এই মহামারীর সময় সবাইকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার জন্যই হয়তো আল্লাহ এই বিপদটি আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যাদের হাতে দেশের সব টাকা জমা হয়েছে, তারা জনগণের সেবা করার এই সুযোগটি হেলায় হারাবেন না। জানা নেই, মৃত্যু কখন কাকে স্পর্শ করে। হালাল টাকা-পয়সা কুক্ষিগত করে না রেখে বিপন্ন মানুষের জন্য ব্যয় করতে হবে। নিজে একা খেলে হবে না। চারপাশের মানুষকে প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য করতে হবে। গুনাহ একজন মানুষকে আল্লাহ তা'আলার আনুগত্যের দিকে অগ্রসর হওয়া ও তাঁর গোলামীর দিকে অগ্রগামী হওয়া থেকে বাধা দেয়। এ ছাড়া যার গুনাহের বোঝা ... বরং এসব থেকে তাওবার জন্য অবশ্যই অনুতপ্ত হতে হবে, সব ধরনের পাপ থেকে মুক্ত হতে হবে এবং অতীত কর্মকান্ডের জন্য লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।মানবতার পরীক্ষার দেয়ার এটাই সুযোগ। সামনে রমজান। প্রস্তুতি নিতে হবে, আল্লাহর রহমত, নাজাত এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের। যদি করোনাভাইরাস বাংলাদেশে তার ভয়াল রূপ নিয়ে আল্লাহ না করুন, প্রকাশিত হয়, তাহলে লাখো মানুষের জীবনহানী, কোটি মানুষের ভয়াবহ কষ্টের আশঙ্কা আছে। এই ক্ষেত্রে দোয়া, কান্নাকাটি, নামাজ-বন্দেগি, তওবা এবং অধিক নেক আমলের বিকল্প নেই। তওবা ও ইস্তিগফার আজাব ও গজব প্রতিরোধের শ্রেষ্ঠ উপায়। বিপদের সময় অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা সুন্নত। যতক্ষণ বান্দা তওবা ও ইস্তিগফার করতে থাকে, ততক্ষণ আল্লাহর আজাব আসে না; তাই আমাদের তওবা ও ইস্তিগফার বেশি বেশি করতে হবে। নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্ট ও আমাদের কর্মসমূহের খারাবী থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দেন। আমিন

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৭

বিজন রয় বলেছেন: +++++

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ বিজন দাদা

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু,





সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্টিকে ধ্বংস করেন না। তাকে নবরূপে পরিশুদ্ধ করার সুযোগ তৈরী করে দেন মাত্র।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই,
গুনাহ করা মানুষের স্বভাব। মাফ করা আল্লাহর বৈশিষ্ট্য। মানুষ গুনাহ করবে,
অপরাধ করবে- এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দার ভুল-ত্রুটি
মাফ করবেন- এটা তাঁর কাছে প্রিয়। তবে শর্ত হচ্ছে, গুনাহ যখনই হয়ে গেল
তখনই তওবা করতে হবে। কোরআন পাকে এসেছেঃ
‘তোমাদের কেউ যদি অজ্ঞতাবশত কোনো খারাপ কাজ করে বসে,
'তারপর তওবা করে ও নিজেকে সংশোধন করে নেয়, তাহলে তিনি
তাকে মাফ করে দেন এবং নরম নীতি অবলম্বন করেন। এটি তাঁর
দয়া ও অনুগ্রহেরই প্রকাশ। আর এভাবে আমি আমার নিদর্শনগুলো
বিশদভাবে বর্ণনা করে থাকি যাতে অপরাধীদের পথ একেবারে সুস্পষ্ট
হয়ে ওঠে’। সূরা আন’আম, আয়াত ৫৪-৫৫।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: সবার আগে ধন্যবাদ জানাই ইতিবাচক একটি লেখার জন্য ।

আমি আসলে গজব শব্দটি পছন্দ করিনা । আল্লাহ্‌ কখনোই তাঁর বান্দাদেরকে তাঁর রহমত থেকে বঞ্চিত করেন না । তিনি ভালোবাসেন আমাদের । বিপদ আপদের মাধ্যমে তিনি তাঁর বান্দাকে সুযোগ করে দিন তাঁর নিকটবর্তী হবার কারন আমরা বেশী সুখে থাকলে আল্লাহকে ভুলে যাই বিপথে চলে যাই তখন ভয় পাইনা আল্লাহকে আমরা ।

কিন্তু আমাদেরকে তো অনুধাবন করতে হবে । আল্লাহ্‌র রহমত পাওয়ার ইচ্ছে থাকতে হবে এবং পাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। ভুল গুলো অনুধাবন না করে আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা ও সাহায্য না চেয়ে সঠিক পথে না থেকে আল্লাহ্‌ গজব দিসে গজব দিসে বলে চিল্লাচিল্লি করে তো লাভ নেই । আল্লাহ্‌ কে ডাকার মত ডাকলে তিনি অবশ্যই সাড়া দেন ।

দোয়া করি তিনি মাফ করে দেন এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন আমাদের। আল্লাহ্‌ ভরসা ।

ভালো থাকবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ কথার ফুলঝুড়ি
বনি ইসরাইলের প্রতি নির্দেশ ছিল যে, তোমরা যখন পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করবে তখন তোমরা বিনয় ও নম্রতার সহিত ক্ষমা প্রার্থনা করবে। অনন্তর তারা ক্ষমা না চেয়ে তার কথা বিপরীত করে। যার ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি আজাব ও গজব নাজিল করেন। আল্লাহ বলেন-
অতপর জালেমরা কথা পাল্টে দিয়েছে, যা কিছু তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছিল তা থেকে। তারপর আমি আসমান থেকে যালেমদের উপর আজাব অবতীর্ণ করেছি, আমার নির্দেশ লংঘন করার কারণে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৫৯)

বনি ইসরাইল যখন মান্না-সালওয়ার পরিবর্তে খাবার চাইলো, তখন আল্লাহ তাদেরকে পবিত্র নগরীতে প্রবেশের নির্দেশ দেন এবং হিত্তাহ বা ক্ষমা চাইতে। কিন্তু তারা হিত্তার পরিবর্তে হিনতাহ বললো অর্থাৎ গম চাইলো। যা ছিল আল্লাহর নির্দেশের সরাসরি বরখেলাফ। তাই আল্লাহ তাআলা অত্যাচারীদের উপর একটি আসমানি বিপদ অবতীর্ণ করলো। কেননা তারা আদেশ অমান্য করেছিল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ বিপদ ছিল প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব। এ মহামারীর কারণে মাত্র এক ঘণ্টা সময়ে বনি ইসরাইল জাতির ৭০ হাজার লোক মৃত্যু মুখে পতিত হয়। সুতরাং আল্লাহ হুকুমের অবাধ্য হলে আল্লাহ তাআলা অবাধ্য জাতির উপর আজাব ও গজব প্রেরণ করেন।
তবে তাঁর গজব থেকে রহমত অগ্রগামী। তওবা করে তার গজব থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তওবার পর যে গুনাহ মাফ করা হবে এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর যারা মন্দ কাজ করে, তারপর তাওবা করে নেয় এবং ইমান আনে, তবে নিশ্চয়ই তোমার পরওয়ারদিগার তওবার পর অবশ্য ক্ষমাকারী, করুণাময়’সূরা আ’রাফ, আয়াত ১৫৩।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক মানুষ টিকা ও ঔষধের জন্য কাজ করছেন, বাকীরা সেগুলোর জন্য অপেক্ষা করছেন।

মহামারীর টিকা ও প্রতিষেধক যাঁরা বের করে আসছেন যুগে যুগে, তাঁরা জ্ঞানী মানুষ; যাঁরা মাইক্রোবাইলোজী, ফিলিওলোজী, প্যথোলোজী, মেডিসিন, বাইওকেমেষ্ট্রী ও এনাটোমি পড়েছেন, রিসার্চ করেছেন, তাঁরা গত ৩০০ বছর থেকে মানুষকে রক্ষা করে চলেছেন; তাঁরা এবারও সফল হবেন; বাংলাদেশ ও ৩য় বিশ্ব ঔষধ ও টিকা পাবে যথা সময়ে।

আপনি যা লিখেছেন, বেশীরভাগই ভুল কথা; কারণ, আপনি সঠিক বিদ্যাগুলো (মাইক্রোবাইলোজী, ফিলিওলোজী, প্যথোলোজী, মেডিসিন, বাইওকেমেষ্ট্রী ও এনাটোমি ) অর্জন করেননি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব আপনার মত আমার থেকে ভিন্ন। আপনি যা বিশ্বাস করেন তা আমার বিশ্বাস
নাও হতে পারে। তেমনি আমার মতে আপনাকে আসতে হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নাই।
আমি মুসলমান হিসেবে একেশ্বরবাদ ও তার প্রেরিত মহাপুরুষ হযরত মোহাম্মদ (স}) কে
বিশ্বাস করি। আল্লহর নিকট থেকে প্রেরিত পবিত্র কোরআনের প্রতিটি অক্ষর বিশ্বাস করি।
তাই তার গজব থেকে নাজাত ও রহমত প্রার্থনা করি। আল্লাহ মানষকে বিপদ দেন এবং
তা থেকে পরিত্রাণের উপায় ও বাতলে দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে। সুতরাং তার কোন কোন
নেয়ামতকে অস্বীকার করবে ।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: মঙ্গল দীপ জ্বেলে
অন্ধকারে দু’চোখ আলোয় ভরো প্রভু
তবু যারা বিশ্বাস করে না তুমি আছো
তাদের মার্জনা করো প্রভু।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ খানসাব, আল্লাহর রহমত কামনা করার জন্য।
মহান পরওয়ারদিগার প্রিয় বান্দাকে মাফ করবেন, তবে এর অর্থ এই নয় যে,
বান্দা বারবার গুনাহ করতেই থাকবে। গুনাহের ওপর অটল থাকবে। বরং
ইচ্ছাকৃতভাবে গুনাহ করলে সেই অপরাধ মাফ করা হয় না। এ বিষয়ে
কোরআন মজিদের ইরশাদ হচ্ছে
, ‘এ কথা জেনে রাখ, আল্লাহর
কাছে তওবা কবুল হওয়ার অধিকার একমাত্র তারাই লাভ করে, যারা
অজ্ঞতার কারণে কোনো খারাপ কাজ করে বসে এবং তারপর দ্রুত
তওবা করে। এ ধরনের লোকদের প্রতি আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহের দৃষ্টি
নিবদ্ধ করেন এবং আল্লাহ সব বিষয়ে খবর রাখেন,
তিনি জ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ’।
সূরা নিসা, আয়াত ১৭।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রকৃতিতে গজব, রহমত বলতে কিছু নেই; প্রকৃতিতে আছে বিবিধ ক্রিয়া ও তার পরিবেশ; প্রকৃতির কিছু ক্রিয়া মানব সমাজের জন্য দুর্যোগ হতে পারে, জীবন বিনাশের কারণ হতে পারে; মানুষ লব্ধ জ্ঞানকে ব্যবহার করে, প্রকৃতিতে টিকে আছে, এবং ক্রমাগতভাবে ভালো করছে, ক্রমাগতভাবে জীবনের মানোন্নয়ন করে চলেছেন। মানুষ কোন "পাপ" করে না, মানুষ সামাজিক অপরাধ করে থাকে; সমাজ অপরাধীকে শাস্তি দেয়।

আপনি যেসব গজব, রহমতের কথা বলছেন, সেগুলো নিরক্ষরদের রচিত রূপকথা।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব আপনাকে বুঝতে হবে প্রকৃতির একজন স্রষ্টা আছেন যিনি
যত্নকরে পরিপাটিভা্বে প্রকৃতি সৃষ্টি করেছেন। প্রকৃতি আপনা আপনি
সৃষ্টি হলে তার ধ্বংশ বা বিনাশ হবার প্রশ্ন আসতো না। আপনি বলবেনঃ
১। মানুষ ‘বা প্রকৃতি শূূন্য থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। এটা যুক্তিতে টিকেনা।
কারণ, NOTHING CAN NOT CREATE ANYTHING!
মূলত নাস্তিকেরা এই দাবিই করে থাকে।
২। মানুষ নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছে। এটাও যুক্তিহীন।
কারণ, কেউ নিজেকে সৃষ্টি করতে হলে, আগে নিজেকে অস্তিত্বে
আনতে হবে। তাই এটা যুক্তি বিহীন। শুধুমাত্র অন্যকেউ অলরেডি অ
স্তিত্বে আসলে সে দ্বিতীয়জনকে সৃষ্টির যৌক্তিকতায় আসবে।
সুতরাং প্রকৃতি বা মানুষকে এমন কেউ সৃষ্টি করেছে যিনি
নিজে সৃষ্ট নন। আবার বলি, যিনি নিজে কখনো অন্য
কারও দ্বারা সৃষ্টি হননি।
আশা করি বুঝেছেন!!

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: একজন মুসলিম হিসাবে আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং তার সব কাজই বিশ্বাস করি

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহতে পূর্ণ ঈমান রাখতে
পারলে কখনোই হতাশ বা নিরাশ হতে হয়না।
আল্লাহ সকলকে তার উপর ঈমানে অটুট রাখুন।
-আমিন

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৯

সুপারডুপার বলেছেন: অতি অল্প দিনেই হুজুরের সুর পাল্টিয়েছে। যতদিন কাফেরদের দেশে ছিল ততদিন আল্লাহর গজব ছিল। এখন মুসলমানদের দ্যাশে, তাই আল্লাহর রহমত গজব অপেক্ষা অগ্রগামী। কলা বিভাগের ছাত্র, বিজ্ঞানের কারিশমা বোঝেন না। ওকে ভালো কথা। কিন্তু সময়ে অসময়ে রং পাল্টান ক্যান !

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুপারডুপার কথায় হলেই চলেনা। কাজেও দেখাতে হয়। এতক্ষন উপরের আলোচনা থেকেও যদি
আপনার বোধদয় না হয় তা হলে বুঝবো আল্লাহ আপনার চোখ ও কর্নকে সীলমোহর করে দিয়েছেন
যাতে আপনি সত্য বুঝতে ও শুনতে না পারেন।
আমি আগেও বলেছি মহামারী. প্রাকৃতিক দূর্যোগ বান্দাদের অবাধ্যতার ফলস্বরূপ আল্লাহর গজব।যা
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে বহুবার। তবে তার গজবের থেকে তার রহমত বেশী বান্দাদের উপর।
এখানে রং পাল্টতে দেখলেন কোথায় ?
বালখিল্যের মতো মন্তব্য করে নিজেকে অপরিপক্ক প্রমাণ করবেন না!!

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৮

নতুন বলেছেন: প্রাকৃতিক দুর্যোগ করোনা ভাইরাস বর্তমান সময়ের অন্যতম প্রধান সমস্যা। ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি বা খরা, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, মহামারি, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, বরকত-শূন্যতা প্রভৃতি মানুষেরই কর্মের ফল। ধর্মীয় ও নৈতিক অবক্ষয়ে পৃথিবী ভারাক্রান্ত। ঝড়, ভারী বর্ষণ, সাইক্লোন, খরা, শৈত্যপ্রবাহ এরই পরিণাম।

পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদ-আপদ নিপতিত হয়, তা তোমাদেরই কর্মফল। তিনি অনেক গুনাহ মাফ করে দেন।’ (সুরা আশ্-শূরা: ৩০)।


জ্ঞানের অভাব বলেই আমাদের দেশের মোল্যারা প্রাকৃতিক দুযো`গের সাথে গজবকে মেলাইতেছে।

উপরের আয়াতে বলা হয়েছে কম`ফল, এটা বিজ্ঞানের ব্যক্ষার সাথে সমথক। মানুষের কাজের ফলে বিশ্বে জলবায়ুর পরিবত`ন হয়। মানুষ গাছ কাটছে, কারখানা বেশি কাব`ন নিগত করছে, তেল ব্যবহার করছে ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে ফলে সাইক্লন ঝড়, ভারী বর্ষণ, সাইক্লোন, খরা, শৈত্যপ্রবাহ বাড়ছে কারন এই সব কিছুই মানুষের কাজের ফলে পরিবত`ন হচ্ছে।

কিন্তু মোল্যারা বলতেছে মানুষ নাজায়েজ কাজ করছে ইসলাম পালন করছেনা তাই গজব দিচ্ছে সৃস্টিকতা।

আজ এন্টারকটিক হুজুর বারান্দায় খারাইয়া বলছে যে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবেনা। উনার স্টুপিডিটির ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া দরাকর।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন ভাই. বিচার মানি তবে তালগাছ আমার এই নীতি
ইসলামে অচল। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুসারে আল্লাহর
নির্দেশিত পথ অনুসরণ না করায় কয়েকটি জাতি রাতারাতি ধুলায় মিশে গেছে
তার মধ্যে নুহ (আ.)-এর জাতি অন্যতম।
নুহ (আ.)-এর জাতি মূর্তিপূজা করত। আল্লাহ তায়ালা নুহ (আ.)-কে সুদীর্ঘ জীবন দান করেছিলেন। তিনি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করতে বলেছেন। কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী অক্লান্তভাবে দাওয়াত দেওয়ার পরও তারা ইমান আনেনি। তিনি তার জাতিকে সত্যের পথে আনতে দীর্ঘ ৯৫০ বছর নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু তারা নুহ (আ.)-এর দাওয়াত তাচ্ছিল্যভরে প্রত্যাখ্যান করে। তারা তাকে বলেছিল, ‘হে নুহ! যদি তুমি বিরত না হও, তবে পাথর মেরে তোমার মস্তক চূর্ণবিচূর্ণ করে দেওয়া হবে।’
বহু চেষ্টায় অল্পসংখ্যক মানুষ তার পথে এসেছিল। তার সময়ের সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা তার কথায় কর্ণপাত করেনি। নুহ (আ.) তাদের আল্লাহর শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেন। তবু তাদের চৈতন্যোদয় হয়নি। অবশেষে আল্লাহর আজাব আসে। এক ভয়ংকর প্লাবন ও জলোচ্ছ্বাস তার জাতির অবাধ্য লোকদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এমন প্লাবন সেই জাতিকে গ্রাস করেছিল, যেই প্লাবন হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে ইতিহাস হয়ে আছে। তখন নুহ (আ.)-এর নৌকায় যারা আশ্রয় নিয়েছিল তারাই রক্ষা পেয়েছিল।

সুতরাং পৃথিবীতে আল্লাহর অবাধ্য হয়ে কেউ টিকতে পারেনি। যেমন কারুন, সাদ্দাত.নমরুদ। একটি ল্যাংড়া মশার কাছে পর্যুদস্ত হয় খোদা দাবী করা নমরুদ। তাই আল্লাহর আজাব গজব থেকে রক্ষা পেতে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। নিশ্চয় দিনি ক্ষামাশীল ও দয়ালৃু। তার গজব থেকে রহমত অবশ্যই অগ্রগামী।

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "গাজীসাব আপনার মত আমার থেকে ভিন্ন। আপনি যা বিশ্বাস করেন তা আমার বিশ্বাস
নাও হতে পারে। তেমনি আমার মতে আপনাকে আসতে হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নাই। "

-আপনার ও মার মত ও ভাবনা আলাদা, কারণ আপনি যা পড়েছেন, এগুলো আজকের বিশ্বের জন্য যথেষ্ট নয়; আপনি মাইক্রোবাইলোজী, ফিলিওলোজী, প্যথোলোজী, মেডিসিন, বাইওকেমেষ্ট্রী ও এনাটোমি ইত্যাদি ভালো জ্ঞান রাখেন?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

গাজীসাব আপনার মন্তব্যগুলো একরোখা।
গোয়ার্তুমির চূড়ান্ত প্রকাশ।
আইনস্টানই বলেছেন, বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অচল,
আবার ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান অচল! এতবড় বিজ্ঞানী
ধর্মকে বিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন আর আপনি
ধর্মকে তুচ্ছভরে প্রত্যাখ্যান করছেন।
কুরআনের মধ্যে দুনিয়ার এমন কোন প্রশ্ন নাই যার উত্তর বলা নাই!

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "গাজীসাব আপনাকে বুঝতে হবে প্রকৃতির একজন স্রষ্টা আছেন যিনি
যত্নকরে পরিপাটিভা্বে প্রকৃতি সৃষ্টি করেছেন। প্রকৃতি আপনা আপনি
সৃষ্টি হলে তার ধ্বংশ বা বিনাশ হবার প্রশ্ন আসতো না। আপনি বলবেনঃ
১। মানুষ ‘বা প্রকৃতি শূূন্য থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। এটা যুক্তিতে টিকেনা। "

-স্রষ্টা আছেন, উনি আপনার সাথে কথা বলে থাকেন, সবার সাথে কথা বলেছেন; যদি স্রষ্টা আপনার সাথে কথা না বলে থাকেন, কারো সাথে বলেননি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে যে,
মুসা নবী আল্লাহর সাথে কথা বলতেন।
হযরত মোহাম্মদ (সঃ) মেরাজের সময়প
আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন। তারা ছিলেন
মহামানব তাদের সাথে কথা বলেছেন বলে
আল্লাহ তার সকল বান্দাদের সাথে কথা বলার
সৌভাগ্য লাভ করবে তা কি করে ভাবেন?

দুনিয়াতে একজন মন্ত্রীও প্রোটকল ভেঙ্গে
সবার সাথে কথা বলেন না, আর দিন দুনিয়ার
বাদশা সবার সাথে কথা বলবেন ?

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "গাজীসাব আপনার মত আমার থেকে ভিন্ন। আপনি যা বিশ্বাস করেন তা আমার বিশ্বাস
নাও হতে পারে। তেমনি আমার মতে আপনাকে আসতে হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নাই। "

-আপনার ও *আমার মত ও ভাবনা আলাদা, কারণ আপনি যা পড়েছেন, এগুলো আজকের বিশ্বের জন্য যথেষ্ট নয়; আপনি মাইক্রোবাইলোজী, ফিলিওলোজী, প্যথোলোজী, মেডিসিন, বাইওকেমেষ্ট্রী ও এনাটোমি ইত্যাদিতে ভালো জ্ঞান রাখেন?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এই মন্তব্যটি দ্বিতীয়বার প্রকাশের হেতু খুঁজে পেলাম না!!
এটির উত্তর প্রথমবারে দিয়েছি। আশা করি অনুধাবন
করেছেন।

১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৫

নতুন বলেছেন: যেমন কারুন, সাদ্দাত.নমরুদ। একটি ল্যাংড়া মশার কাছে পর্যুদস্ত হয় খোদা দাবী করা নমরুদ। তাই আল্লাহর আজাব গজব থেকে রক্ষা পেতে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

এই যে ল্যাংড়া মশার কথা উল্লেখ করলেন এটাতেও অন্ধবিশ্বাসী আইডিয়ার কাহিনি।

যদি কারুর নুন্যতম জ্ঞান থাকে কিভাবে নাক,মুখ,ফুসফুস কাজ করে তবে কখনোই বিশ্বাস করতেন না যে নাকদিয়ে মশা তাও আবার ল্যাংড়া মাথায় চলে গিয়েছিলো।

সেই মসা নমরুধের ব্রেন খেয়ে, বাচ্চা ফুটিয়ে ছিলো। এবং জুটা পেটা করাতে খুলি ফেটে অনেক মশা বের হয়েছিলো।

নাক এবং মুখের গহবর কখনোই মাথায় মস্তিস্কে যেতে পারেনা।


মশার জীবন চক্র। ১০-১২ দিন লাগে....

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: নতুন বাবু সবই যদি গল্প কাহিনী আর অন্ধবিশ্বাসী আইডিয়া মনে হয় তা হলে
আপনার আর সালমান রুসদী কিংবা তসলীমার মাঝে অমিল কোথায়?

নমরুদ ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে পৃথিবীর বাদশাহ ছিল।
সে ছিল পৃথিবীর চারজন বড় বড় শাসকের অন্যতম। নমরুদ
প্রায় ৪০০ বছর রাজত্ব করেছে। পবিত্র কোরআনে তার সম্পর্কে
বর্ণনা করা হয়েছে। পৃথিবীতে সে-ই সর্বপ্রথম রাজমুকুট পরিধান
করেছে এবং নিজেকে খোদা দাবি করেছে।
আপনি কি কোরআন বিশ্বাস করেন ? যদি করেন তা হলে আপনার
সাথে তর্ক করা বৃথা। কারণ আল্লাহ সুরা ফুরকানের
৬৩ নাম্বার আয়াতে বলেন ‎‏ ‏"রহমান-এর বান্দা তারাই,
যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের
সাথে যখন মুর্খরা কথা বলতে থাকে ,তখন তারা বলে, সালাম।"
আর যদি না মানেন তা হলে সব্ই আপনার কাছে'
গল্প বা রুপকথাই মনে হবে।
অথচ কোরআন কোন রূপ কথার গ্রন্থ নয়।

নমরুদ আল্লাহর বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করার ঘোষণা দিল। হজরত ইবরাহিম (আ.) দূরে আকাশের দিকে আঙুল দিয়ে দেখালেন। দূরে কালো রঙের একটা মেঘ দেখা যাচ্ছিল, যখন সেটা কাছে চলে এলো, লাখ লাখ মশার গুনগুন শব্দে ময়দান মুখরিত হলো। কিন্তু নমরুদ অবজ্ঞার সুরে বলল, এ তো মশা! তুচ্ছ প্রাণী, তা-ও আবার নিরস্ত্র। এ সময়ের মধ্যে প্রত্যেক সৈন্যের মাথার ওপর মশা অবস্থান নিল। অতঃপর তাদের বুঝে ওঠার আগেই মশাগুলো তাদের নাক দিয়ে মস্তিষ্কে প্রবেশ করল। তারপর দংশন করা শুরু করল। সৈন্যদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলো। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে তীরন্দাজরা ঊর্ধ্বে তীর নিক্ষেপ আর পদাতিক সেনারা নিজেদের চারপাশে অন্ধের মতো তরবারি চালাল, যার ফলে একে অপরকে নিজেদের অজান্তেই আহত বা নিহত করে ফেলল।

মশার সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে নমরুদ পালিয়ে প্রাসাদে চলে এলো। এ সময় একটি দুর্বল লেংড়া মশা তাকে তাড়া করল এবং কিছুক্ষণ মাথার চারপাশে ঘুরে নাসিকাপথে মস্তিষ্কে ঢুকে পড়ল। এরপর মগজে দংশন করা শুরু করল। নমরুদ যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে উন্মাদের মতো প্রাসাদে প্রবেশ করল এবং যন্ত্রণায় দিশাহারা হয়ে পাদুকা খুলে নিজের মাথায় আঘাত করতে শুরু করল। অবশেষে মাথায় মৃদু আঘাত করার জন্য একজন সার্বক্ষণিক কর্মচারী নিযুক্ত করল নমরুদ।


সুদীর্ঘ ৪০ বছর তাকে এই দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছিল। অবশেষে মাথার আঘাতের ব্যথায় নমরুদের মৃত্যু হয়। (তাফসিরে ইবনে কাসির, পৃষ্ঠা. ৬৮৬)

১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৬

সুপারডুপার বলেছেন:




লেখক বলেছেন:
সুপারডুপার কথায় হলেই চলেনা। কাজেও দেখাতে হয়। এতক্ষন উপরের আলোচনা থেকেও যদি
আপনার বোধদয় না হয় তা হলে বুঝবো আল্লাহ আপনার চোখ ও কর্নকে সীলমোহর করে দিয়েছেন
যাতে আপনি সত্য বুঝতে ও শুনতে না পারেন।

- ভালো আল্লাহ আপনার চোখ ও কর্ণের সীল খুলে দিয়েছেন। আর এই জন্য আপনি বেশি দেইখ্যা শুইন্যা আলুর ব্যারামে ভুগছেন।


লেখক বলেছেন: আমি আগেও বলেছি মহামারী. প্রাকৃতিক দূর্যোগ বান্দাদের অবাধ্যতার ফলস্বরূপ আল্লাহর গজব।যা
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে বহুবার। তবে তার গজবের থেকে তার রহমত বেশী বান্দাদের উপর।
এখানে রং পাল্টতে দেখলেন কোথায় ?
বালখিল্যের মতো মন্তব্য করে নিজেকে অপরিপক্ক প্রমাণ করবেন না!!

- আগে বলেছিলেন গজব, আর এখন একই জিনিসকে বলছেন রহমত। আপনি অতি প্যাকনা হওয়ার পরেও, রং পাল্টানোর এই সোজা কথা তেনা প্যাচাইয়া নিজেকে গোবর গণেশ হিসেবে প্রমাণ করবেন না দয়া করে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুপার ডুপার লেখার শিরোনামটা বোধ হয় আপনার বোধগম্য হয়নি। আগে শিরোনাামনা ৭ বার পড়ুন। এটা আপনার হোমওয়ার্ক আজ রাতের জন্য।
আমি আবারো বলছি মহামারী, প্রাকৃতিক দূযেৃাগ লেখক বলেছেন: আমি আগেও বলেছি মহামারী. প্রাকৃতিক দূর্যোগ বান্দাদের অবাধ্যতার ফলস্বরূপ আল্লাহর গজব। যা বান্দাদের অবাধ্যতার কারনে, আল্লহর থেকে নেমে আসা গজব। আর এই গজব থেকে নিস্কৃতি পেতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তা হলে তিনি গজব থেকে আমাদের পরিত্রাণ করবেন। কারণ গজব থেকে তার রহমত অগ্রগামী বা বেশী।

১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "গাজীসাব আপনার মন্তব্যগুলো একরোখা। গোয়ার্তুমির চূড়ান্ত প্রকাশ। আইনস্টানই বলেছেন, বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অচল, আবার ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান অচল! এতবড় বিজ্ঞানী ধর্মকে বিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন আর আপনি ধর্মকে তুচ্ছভরে প্রত্যাখ্যান করছেন। কুরআনের মধ্যে দুনিয়ার এমন কোন প্রশ্ন নাই যার উত্তর বলা নাই! "

-আমি ধর্ম নিয়ে কিছু বলিনি; যেই জ্ঞান করোনার ঔষধ তৈরির জন্য দরকার উহা ধর্মে নেই, উহা আছে মাইক্রোবাইলোজী, ফিলিওলোজী, প্যথোলোজী, মেডিসিন, বাইওকেমেষ্ট্রী ও এনাটোমিতে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি সাধারণ মানুষ। ডাক্তারও নই, বিজ্ঞানীও নই। ফলে করোনা নিয়ে
বিজ্ঞানভিত্তিক বা চিকিৎসাজ্ঞানভিত্তিক কোনো জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করার
ক্ষেত্রে অক্ষম। প্রকৃতির ওপর অত্যাচার-অনাচার করোনার মূল কারণ-
এটি বলছেন প্রকৃতি-সচেতন কেউ কেউ। প্রকৃতির প্রতিশোধ কিংবা
প্রকৃতির বিচার বড় নির্মম হয়। কেউ একে বলেন আল্লাহর গজব।
তবে আল্লাহর ‘গজব’ হলেও করোনাও একটি রোগ;
অতএব, বাঁচতে হলে সতর্ক হতে হবে।
বিপদে অধৈর্য হতে নেই। আমরা অধৈর্য হব না। আমরা ভীত হব না,
আমরা সাহসী হব। আমরা রবীন্দ্রনাথের সুরে বলবঃ
বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
আমরা যেন দুঃখ জয় করতে পারি।
আল্লাহর বানী মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআনের মধ্যে
দুনিয়ার এমন কোন প্রশ্ন নাই যার উত্তর বলা নাই! "
এমন কোন সমস্যা নাই যার সমাধান না্ই।
বিশ্বাস রাখতে হবে।

১৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৩৪

নতুন বলেছেন: নমরুদ ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে পৃথিবীর বাদশাহ ছিল।
সে ছিল পৃথিবীর চারজন বড় বড় শাসকের অন্যতম। নমরুদ
প্রায় ৪০০ বছর রাজত্ব করেছে। পবিত্র কোরআনে তার সম্পর্কে
বর্ণনা করা হয়েছে। পৃথিবীতে সে-ই সর্বপ্রথম রাজমুকুট পরিধান
করেছে এবং নিজেকে খোদা দাবি করেছে।
আপনি কি কোরআন বিশ্বাস করেন ?


কোরানে নমরুদ শব্দটা কি আছে? মনে হয় নেই।

আর মানুষের নাকের ভেতর দিয়ে মশা ব্রেনে ঢুকতে পারে কিনা এটা যদি নিজের চোখে দেখেও না বিশ্বাস করে বইতে লেখা সেটা বিশ্বাস করতে হয় তবে আর কি করা?

এটাকেই ধমান্ধতা বলে, অন্ধবিশ্বাস এটাকে না বললে আর কাকে বলাযাবে?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ৎমুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও অত্যাচারী শাসক নমরুদের
সঙ্গে আলোচিত কথাও ওঠে এসেছে পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার ২৫৮নং আয়াতেঃ
"তুমি কি সেই ব্যক্তির ঘটনা সম্পর্কে চিন্তা করোনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার প্রতিপালক সম্বন্ধে তর্ক করেছিলো, যেহেতু মহান আল্লাহ্‌ তাকে রাজত্ব দান করেছিলেন। ইব্রাহীম তাকে যখন বললো, আমার প্রতিপালক তিনিই, যিনি জীবিত করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বললো, আমিও জীবিত করি এবং মৃত্যু ঘটাই। ইব্রাহীম বললো, মহান আল্লাহ্‌ সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন, তুমি তাকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত করো। তখন সেই কাফিরটি হতভম্ব হয়ে গেলো। বস্তুত মহান আল্লাহ্‌ যালিমদের সুপথ দেখান না।"

কুরআনুল কারীমের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো পূর্ববর্তী নবী-রাসূল ও তাদের জাতির ঘটনা বর্ণনা করা। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার তাওহীদ ও ক্ষমতা, কুরআনের মুজিযাহ, ঐতিহাসিক সত্যতা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সান্ত্বনা ও মুসলিমদের জন্য শিক্ষণীয় দিক বর্ণনা করা। এখানে ইবরাহীম (আঃ) ও নমরূদের মাঝে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে।

শুধু পবিত্র কোরআনে নয়
বাইবেলের বুকস অব জেনেসিস ও বুকস অব ক্রোনিকেলস অনুসারে নমরুদ ছিলেন কুশের পুত্র,
হামের পৌত্র এবং নূহের প্রপৌত্র। নমরুদ নামটি এসেছে নমর ও উদ, বা, নমরা ও উদু শব্দ দু’টি
থেকে যার অর্থ- জাজ্জ্বল্যমান আলো। অবশ্য কারো কারো মতে এ নামের অর্থ বিদ্রোহী, খোদার
বিরুদ্ধে দ্রোহীতার কারণে তাকে এ নামে সম্বোধণ করা হত। পশ্চিম ইরাকের বাসরার নিকটবর্তী
বাবেল শহরে কালেডীয় জাতি বসবাস করত। তাদের একচ্ছত্র সম্রাট ছিল নমরূদ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের যাবতীয় বিধি-বিধানের পাশাপাশি আগের সব নবি-রাসুলদের সঙ্গে সমকালীন বাদশাহদের কথা-বার্তাসহ যাবতীয় ঘটনা জানার তাওফিক দান করুন। ঈমানি চেতনা বৃদ্ধিতে ঐ সব ঘটনা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণের তাওফিক দান করুন। আমিন।


১৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৫৪

বিডি ট্রাভেলার গাইড বলেছেন: আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করুন। আমিন

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমিন। আপনার আমার সবার প্রার্থনা্ আল্লাহ আমাদের করোনার
করাল ছোবল থেকে বিশ্বের সকল মানবজাতিকে রক্ষা ও হেফাজত
করুন। আমিন

১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৮

উদুম্ভূত বলেছেন: বিডি ট্রাভেলার গাইড বলেছেন: আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করুন। আমিন

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ উদুম্ভূত, বিডি ট্রাভেলার গাইড এর
সাথে ঐকমত্য প্রকাশের জন্য।

১৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা আল্লাহর রহমতেরই প্রত্যাশী নিশ্চয়ই তিনি রাহমানুর রাহিম।

+++

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহর রহমহ তার গজব থেকে অগ্রগামী।
সুতরাং নিরাশ হবার কোন কারণ নাই যদি
তাঁর প্রতি আমাদের দৃঢ় ঈমান ও আকিদা
থাকে। ধন্যবাদ ভৃগু দাদা। নববর্ষের শুভেচ্ছা
জানবেন।

২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: অন্য দেশের মুসলিমদেের মহামারীকে আল্লাহর গজব বা রহমত এসব কোনটাই বলতে শুনি নাই। এই সব কুসংস্কারের বিস্তৃৃতি কেবল আমাদের দেশেই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঢাবিয়ান ভাই ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য প্রদানের জন্য।
মতের ভিন্নতা থাকলেও পবিত্র কোরআনে আযাব, গজব
এবং তার থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা
করার জন্য বলা হয়েছে। বিশ্বাস করা না করা যারযার
বলা হয়েছে, সবাই কি তা মানে? আল্লাহ আমাদে সহি
বুঝ বুঝতে সহয়তা করুন। আমিন

২১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

সুপারডুপার বলেছেন:


লেখক বলেছেন: সুপার ডুপার লেখার শিরোনামটা বোধ হয় আপনার বোধগম্য হয়নি। আগে শিরোনাামনা ৭ বার পড়ুন। এটা আপনার হোমওয়ার্ক আজ রাতের জন্য। আমি আবারো বলছি মহামারী, প্রাকৃতিক দূযেৃাগ লেখক বলেছেন: আমি আগেও বলেছি মহামারী. প্রাকৃতিক দূর্যোগ বান্দাদের অবাধ্যতার ফলস্বরূপ আল্লাহর গজব। যা বান্দাদের অবাধ্যতার কারনে, আল্লহর থেকে নেমে আসা গজব। আর এই গজব থেকে নিস্কৃতি পেতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তা হলে তিনি গজব থেকে আমাদের পরিত্রাণ করবেন। কারণ গজব থেকে তার রহমত অগ্রগামী বা বেশী।

- হোমওয়ার্কে বুঝলাম : আপনি ভ্রান্ত বিশ্বাসে বন্দী। আপনার দ্বারা মানুষ পথভ্রষ্ট হতে পারে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যাক অন্তত হোমওয়ার্ক ধাতস্ত করতে পেরেছেন। সেজন্য শুকরিয়া।
তা না হলে আরো অনেক কথার অবতারণা করতে হতো!
আমি যা বুঝি তা আপনার কাছে ভ্রান্ত হতেই পারে।
কিন্তু আমার কাছে সহি। তা্ই আমি আপদ বিপদে
একমাত্র আল্লাহর সাহয্য কামনা্ করি। কারন
তিনিই সব বালা মুছিবত দূর করার মালিক।
আলহামদুলিল্লাহ। সকল প্রশংসা তার জন্য।

২২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট টা হিট হয়েছে।

সৃষ্টির সবচেয়ে নান্দনিক ও অপূর্ব সৃষ্টি মানুষ। তার হাত পা নাক কান গলা ঊরু কথা ধ্যান জ্ঞান প্রার্থনা সকল কিছু অনন্য। কিভাবে তুমি অশ্রদ্ধা কর মানুষকে?
একারণে হয়ত মহামতি লালন ঠাকুর বলেছিলেন- 'মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি'।

২৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০

আখেনাটেন বলেছেন: প্লেগ সম্বন্ধে আমাদের মা আয়িশার এক কৌতূহলের জবাবে প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলেছিলেন, «আল্লাহ যাকে ইচ্ছে তাকে এই শাস্তি দেন৷ তবে এটাকে তিনি বিশ্বাসীদের জন্য রহমতও করেছেন৷ কেউ যদি নিজের শহরে প্লেগে আক্রান্ত হয়, সেখানেই থাকে, সবুর করে, আশা করে আল্লাহ তাকে পুরস্কার দেবেন, যদি বোঝেন, আল্লাহ যা ইচ্ছে করবেন, তা ছাড়া আর কিছু হবে না, সে তা হলে শহিদের সমান পুরস্কার পাবে৷» [বুখারি] ---- এই হাদিসের সত্যমিথ্যা কি নিরূপণ করা হয়েছে? এই এক হাদীস কত মানুষের জীবন বরবাদ করে দিয়েছে বা দিচ্ছে বা দিবে।

এই এক হাদীস দিল্লীর নিজামদ্দিন মার্কাসের তাবলীগে মওলানা সাদ প্রয়োগ করাই ভারতে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে করোনাক্রান্ত মোট রোগীর এক-তৃতীয়াংশ তাবলীগের সাথে সম্পর্ক ছিল। অনেকে মারা গেছে। অনেক লোক অসুস্থ হয়ে ইয়া নফসি, ইয়া নফসি করছে। আর উগ্রবাদি হিন্দুরা তাগলীগের সেই ভুলকে পুজি করে সব মুসলিমদের বিপক্ষেই ঘৃণার বিষবাষ্পের ব্যাপক চাষাবাদ শুরু করেছে।

ঐ এক হাদীস পড়ে বাংলাদেশের কাঠমোল্লারা সরকারসহ কারো কথাই আর শুনছিল না। এখন মসজিদ লকডাউন করে কিছুটা শান্তি। ধর্ম মানুষকে ন্যায় পরায়ণ হতে শেখায়। সহিঞ্চু হতে শেখায়। কিন্তু কাঠমোল্লা ও এদের সাগরেদদের দেখলে মনে হয় ওগুলো সব মিথ্যে কথা। ধর্মকেই খেলো মনে হতে পারে।

বাড়াবাড়ি কখনই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। জ্ঞান যখন উগ্র একমুখি চিন্তায় পর্যবসিত হয়, তখন সেখান থেকে ক্ষতি ছাড়া মানবজাতির জন্য কোনো প্রকার সুফল বয়ে আনতে পারে না।

আমাদের সকলের এই সকল গোঁড়ামী ত্যাগ করা উচিত।

২৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৯

কানিজ রিনা বলেছেন: প্রথমেই লেখককে আন্তরিক অভিনন্দন,সেইসাথে
চাঁদগাজীকে বলছি সব মানুষের মস্তিস্ক সমান
ভাবে সৃষ্টি না। যেমন প্রত্যেক মানুষের চেহারা
রুপ সৌন্দর্য সমান না ইহাই প্রকৃতি। প্রকৃতির
মালিক সৃষ্টি কর্তাকে বিশ্বাস করলে যার যা ধর্ম
তার কাছে পছন্দ।
এখন ফিলিওলজি বায়োলজি প্যাথলজি
মাইক্রবায়োলজি যাই বলুন এইসব
আবিস্কারকের মেধাশক্তি বা মস্তিস্ক
প্রকৃতির সৃষ্টি, প্রকৃতির যত দুর্যোগ
মকাবেলায় মানুষ অনেক অনেক দুর
এগিয়েছে।
পৃথিবীর প্রথম থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ
ছিল থাকবে। যেমন ঝড় ঝঞ্জা জলোচ্ছাস
অতি খরা অনাবৃষ্টি অতি বৃষ্টির মোকাবেলায়
কিন্তু এখনও তেমন ভাবে মানুষ আগাতে
পারে নাই একথা সত্য মানেন তো চাঁদগাজী?
এখন অনুভব করুন প্রাকৃতিক দুর্যোগ
মানুষের থেকে অনেক অনেক ক্ষমতাশীল।
এক করোনা রোগের ভাইরাস তার প্রমান।
হয়ত মানুষ এরও সমাধান খুজে পাবে।
অতীতে যেমন কলেরা প্লেগ চীকেনপক্সের
ঔষধ ছিলনা, আস্তে আস্তে মানুষ তারও
সমাধান খুজে পেয়েছে প্রকৃতির দেওয়া
মস্তিস্কের প্রভাব খাটিয়ে।
আপনি কোরআনকে বিশ্বাস করেননা বলেই
প্রতিটা ইসলামিক পোষ্টে এসে গাদ্দারি মার্কা
মন্তব্য করে যান।
আপনাকে বলেছিলাম ওয়াশিংটন ডিসিতে
জেফারসন নামে সবচেয়ে বড় লাইব্রেরী
আছে। সেখানে জুডোরিলিজিয়ন কন্ট্রিবিউশনে
এক জায়গায় সাইবোর্ডে লেখা আছে ইসলাম
ফর ফিজিক্স। সেখানে গিয়ে একবার দেখুন
কতটা সত্য কোরআন।
শোনেন মিথ্যা প্রচার করা খুব সহজ,
সত্য প্রতিষ্টা করা খুব কঠিন, কারন
সত্য প্রতিষ্টা আল্লাহ্,র সাথে সম্পৃক্ত
রবার্ট ব্রিফল্ট তার বইতে লিখেছেন
মুসলিম বিজ্ঞানীর উৎথান নাহলে
ইউরোপে রেঁনেসা বিপ্লব ঘটত না।
তাই আমি আপনাকে অনুরোধ করছি
আপনি তো আমেরিকায় থাকেন?
ওয়াশিংটন ডিসি লাইব্রেরিতে গিয়ে
দেখুন ও সেখানে কেন বলা আছে
ইসলাম ফর ফিজিক্স একটু পড়াশুনা
করুন। বিজ্ঞানী নিউটন ইশ্বরে বিশ্বাসী
ছিলেন নিশ্চয় তার নাস্তিক বন্ধুর কি
দিয়ে পরাস্ত করেছিলেন তাও আপনার
জানা। আপনি তো বিজ্ঞানী ডাঃ শমসের
আলিকে চিনেন? তার কোরআন ভিত্তিক
বিজ্ঞানের বইগুল জোগার করুন।
অতপর বিজ্ঞানী ডাঃ চৌধুরী মোহাম্মাদের
নামও জানেন? অন্তত তার কোরআনের
উপর বক্তব্য গুল শুনেন।
এরকম অসংখ্য বিজ্ঞানী আছে যারা
সৃষ্টি কর্তাকে বিশ্বাস করেন। ধন্যবাদ।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.