নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসঃ বিপর্যস্ত মানবতা, হারিয়ে যাচ্ছে সামাজিক সৌজন্যতাবোধ

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭


মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়েই মা্নুষ বাস করে। কথাটা যে কত অসাড় তা প্রমান করে দিয়েছে করোন ভাইরাস। বিপদে পড়লে মানুষের আসল রূপ দেখা যায়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে দারা পরিবার সবাই দূরে চলে যায়। এই কথার সত্যতা প্রমাণ করতেই আজ অভিশাপরূপে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব। গত ১২ এপ্রিল যুগান্তরের খবরঃ "ঢাকা থেকে সাইকেলে বরগুনায় করোনা রোগী, ঘরে উঠতে দেয়নি স্ত্রী! " খবরে প্রকাশ ৭ এপ্রিল সাভারের স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে বাইসাইকেল নিয়ে বরগুনার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। অসুস্থ শরীরে টানা তিন দিন বাইসাইকেল চালিয়ে ১০ এপ্রিল বরগুনা সদর উপজেলায় নিজ বাড়িতে পৌঁছান ওই যুবক। কিন্তু যুবকের স্ত্রী তাকে ঘরে উঠতে দেয়নি। গত ১৪ এপ্রিল। নতুন বছরের প্রথম দিন। প্রথম আলো’র আর একটা শিরোনাম “করোনা সন্দেহে মাকে সখীপুরের বনে। বাংলা ট্রিবিউনের খবরঃ ফেনীর সোনাগাজিতে ঘরে একা রেখে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে স্বজনরা সরে পড়ারলে গেলেন সন্তানেরা।“ ঘরে আটকে রাখার পর মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। সাহাব উদ্দিন গত ৩১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়ে যান। এরপর পরিবারের সদস্যদের অমানবিক আচরণের শিকার হয়ে রাতে তিনি মারা যান।’ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বদি বলেন, ‘সাহাব উদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়ার পর তার স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়িতে তার কক্ষের বাইরে ছিটকিনি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় চলে যান। বিকালে শ্বাসকষ্ট ও কাশি বেড়ে যায়। এ সময় তিনি চিৎকার করে খাবার ও পানি চাইলেও কেউ দেয়নি। ছোট ছেলে এগিয়ে যেতে চাইলে তাকেও বোনেরা বাধা দেয়। এভাবে চিৎকার করতে করতে ওইদিন রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের লোকজন জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখে তিনি মারা গেছেন। এ সময় ছোট ছেলে চিৎকার দিয়ে কান্না শুরু করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তার এমন মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এ কোথায় বসবাস করছি আমরা? এটা কি মানুষের পৃথিবী? মানুষ আজ দ্ব্যর্থহীনভাবে নিজেদের শরীর থেকে সেই সামাজিক জীবের তকমা ঝেড়ে ফেলছে, ধনী-গরীব নির্বিশেষে তীব্রভাবে আঁকড়ে ধরেছে বহুল প্রচলিত প্রবাদ ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’-কে, নিজেদের অজান্তেই প্রকাশিত হচ্ছে আমাদের ভেতরে সুপ্ত অবস্থায় লুকিয়ে থাকা কদর্যতম রূপ। আজ আমরা মানুষই হয়ে উঠেছি মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু, সবচেয়ে বেশি অসামাজিক। দিনশেষে কেউ যে কারো আপন নয়, বরং মহাশূন্যের মতো একা; এই এক করোনাভাইরাস এসে তা আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব ভাল করেই জানি যে কাল কিংবা পরশু, অন্যান্য মহামারীর মতো ধরিত্রী মাতার বুক থেকে এই করোনাভাইরাসও বিদায় নেবে। শুধু সঙ্গে করে নিয়ে যাবে আমার আপনার মতো অজস্র মানুষের প্রাণ। আর চিরকালের জন্য মানুষের মনোজগতে সিলগালা করে রেখে দিয়ে যাবে এক সঙ্গাতীত আতঙ্কের ছাপ। অন্তত এই প্রজন্মের জন্য এটা এক বিশাল ধাক্কা। কারণ জন্মের পর থেকে এমন অবরুদ্ধ বাংলাদেশ আর ভীত-সন্ত্রস্ত পৃথিবী, চুড়ান্ত পর্যায়ের অমানবিকতা আর মানুষের দু’চোখ ভর্তি অবিশ্বাসের সুর আমরা কোনদিন দেখিনি।

গোটা পৃথিবীতে এখন লাশের বন্যা বইছে। টানা ৮ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ জুন) সকালে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সামান্য এক অজানা, অদৃশ্য, অস্পৃশ্য ভাইরাসের কারণে। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে দিশেহারা বিশ্ব। পৃথিবীতে প্রায় ৪ মাস ধরে চলছে করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব। ইতোমধ্যেই বিশ্বের আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৭ লাখ। আর মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিনই শনাক্তের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। চীনকে ছুঁই ছুঁই বাংলাদেশ, আক্রান্তের শীর্ষের তালিকায় ২০তম। সর্বশেষ শুক্রবার (১২জুন) একদিনে বাংলাদেশ আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৭১। ১৯তম স্থানে থাকা কাতারের চেয়ে বাংলাদেশের সংখ্যা ২০৪ জন কম। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ৩ মাস ৪ দিনের মাথায় মৃত্যু ও আক্রান্তে আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩ হাজার ৪৭১ জন শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৫২৩ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়াও বাংলাদেশ এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনকে প্রায় স্পর্শ করে ফেলেছে। আক্রান্তের দিক দিয়ে চীন বিশ্বের ১৮তম দেশ। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৪৩ জন। যা বাংলাদেশের চেয়ে ১০ হাজার ৩৬৮ জন বেশি। আইইডিসিআরের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যায় আবারও সব রেকর্ড ভেঙে গেলো। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুতেও রেকর্ড হয়েছে। একদিনে সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ জন এবং নারী ৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। দেশে এখন করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫ জনে। এ এমন-ই এক দুঃসময়, যখন সবাই সবার দিকে অবিশ্বাস এবং সন্দেহ ভরা দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। আর মৃত্যুভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে সকলকে। গত ২৬ মার্চ থেকে সকল প্রকার পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ, কারণ দুয়ারে দুয়ারে ওঁৎ পেতে আছে করোনাভাইরাসের করাল থাবা। অথচ এতকিছুর মাঝেও সব বাঁধাকে তোয়াক্কা করে শহরগুলিতে আটকা পড়া মানুষেরা নিজ নিজ গ্রামে চলে আসার চেষ্টা করছে। কেউ আসছে মালবাহী ট্রাকে করে, কেউ আসছে তরমুজের ট্রলারে চড়ে। আর এদের মাঝে কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে থাকলে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে আরও অসংখ্য মানুষের মাঝে। অপরদিকে একদল লোক করোনার উপসর্গ গোপন করে যাচ্ছে হাসপাতালে। শনাক্ত হওয়ার পর লকডাউন করা হচ্ছে গোটা একটা ইউনিট কিংবা হাসপাতল। করোনাভাইরাস ধরা পড়লে পাছে তাদেরকে যদি জনবিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়! এই ভয়ে। এখানেই থেমে নেই। আইসোলেশনে থাকা রোগী পালিয়ে আসছে হাসপাতাল থেকে, কেউ কেউ আবার দিচ্ছে আত্মহত্যার হুমকি।

সংকটের সময় মানুষের স্বাভাবিক বোধবুদ্ধি লোপ পায়। কিন্তু ন্যূনতম বিবেকবোধ এবং মানবতাও যে বিলুপ্ত হয়ে যায়, সেটা আমার বোধগম্য ছিল না। করোনাভাইরাসের ভয়ে গোটা বিশ্ব যখন আতঙ্কগ্রস্ত, আমাদের দেশের কোনো কোনো নেতাকর্মী তখন চুরির চাল কোথায় লুকাবে, সেই চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত। যখন তারা দেখল, অবস্থা বেগতিক, বাঁচার কোনো রাস্তা নেই; তখন তারা দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে বস্তা বস্তা চুরি করা চাল ফেলে দিয়েছেন জলের তলদেশে, কেউ কেউ রেখেছেন পাতালে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহে সারাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩ হাজার বস্তা চুরি হওয়া ত্রাণের চাল উদ্ধার করেছে আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনী। এরা ত্রাণের চাল সাধারণের হাতে হাতে পৌঁছে না দিয়ে নিজেরা মজুদ করে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। দ্বিতীয়ত, ত্রাণ না পেয়ে কেউ মুখ খুললে তারও বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন। এই গত শনিবারের ঘটনা। স্থানীয়ভাবে ত্রাণ না পেয়ে সরকারি হটলাইন ৩৩৩-এ ফোন দিয়ে নিজের এবং প্রতিবেশীদের জন্য সহায়তা চেয়েছিলেন নাটোরের এক বৃদ্ধ। কিন্তু তারপর ভাতের বদলে তার কপালে জুটেছে লাঠির বাড়ি। চেয়ারম্যান নিজে ঐ বয়োবৃদ্ধ কৃষককে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে চৌকিদারের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা করেছেন। অথচ এই নেতা কর্মীদেরকে নিজেদের অর্থায়নে কাউকে চাল, তেল বিতরণ করতে বলা হয়নি। বলা হয়নি ডাক্তার, পুলিশ, সাংবাদিকদের মতো জীবন বাজি রাখার মতো কোনো কাজ করতে। শুধু বলা হয়েছিল, আমার আপনার বাবা-মায়ের রক্ত পানি করা ট্যাক্সের টাকায় কেনা চালগুলি যেন মানুষের হাতে পৌঁছে দেয়। কিন্তু তা তো দিলোই না, উপরন্তু তারা নিজেদের আখের গুছিয়েছেন, দরিদ্রের ওপর কষাঘাত করেছেন, কেউ কেউ আবার মত্ত হয়েছেন ধর্ষলীলায়। গতকাল দুপুরে লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রীকেধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানান, বাবা ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি থাকায় নানা বাড়িতে অবস্থান করছিলেন ওই স্কুল ছাত্রী। তবে বাবাকে দেখতে ঢাকায় যাওয়ার আগে নিজ বাড়িতে যান তিনি। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। এই সুযোগে তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ছাত্রীর ফিরতে দেরি হওয়ায় তাকে ডাকতে আসেন নানী। এতে ঘরের ভেতর তার মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দিলে তা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। বাদ যাচ্ছে না ৩ বছরের ছোট্ট কন্যা শিশুও। গত ১ জুন লক্ষীপুরের কমলনগরে ৩ বছরে শিশু ধর্ষণ! লক্ষীপুর জেলা কমল নগর উপজেলার চরমাটিন ইউনিয়নের ৫নং ওর্য়াডস্হ দক্ষিণ চরমাটিন গ্রামে তিন বছরের শিশু ধর্ষনে শিকার হয়েছে। ০১ জুন সকাল ৯ ঘটিকার সময় নৃশংস এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষক সায়েদ উল্যা ঘটনার পর পরই পালিয়ে যায়। বখাটে ধর্ষক সায়েদ উল্যা ধর্ষিতা শিশুটির সম্পর্কে ফুফা হয়। প্রয়োজনে যে আমরা বাস্তবিকার্থেই কল্পনাতীত রকমের বর্বর আর বন্য হতে এতটুকু পরিমাণ কুণ্ঠাবোধ করি না, এই করোনাভাইরাস সংকট তার মোক্ষম উদাহরণ।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: দুঃখজনক!!

সমাজ গলছে!

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ বিজন দাদা
আপনার মূল্যায়ণের জন্য।
সমাজ গলে এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

২| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: যদি ঈশ্বর মানুষের পাপের শাস্তি হিসেবে এই করোনা দিয়ে থাকে- তাহলে আমি কোনোদিন ঈশ্বরমূখী হবো না।

১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


এটা আপনার সম্পূর্ণ নিজের অভিমত।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

নতুন বলেছেন: ভালো মন্দ সব খানেই আছে।

কতজন এমন খারাপ খবর আমরা পাচ্ছি প্রতিদিন।

কিন্তু এই করোনাইয় কতজন মানুষ কাজ করে যাচ্ছে?

কতজন সেচ্ছাসেবী যাকে চেনে না জানেনা তাদের জন্য খাবার, সাহাজ্য দিচ্ছেন

যদিও কারুর লাশ দাফনে বাধা আসছে কিন্তু শেষ পযন্ত কিন্তু মানুষই তার লাশ গোসল দিচ্ছেন, দাফন করছেন।

দিনের শেষে ভালোই জয়ী হচ্ছে তাই মানুব জাতী এগিয়ে যাচ্ছে।

১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ নতুন ভাই
মানুষ আশা নিয়েই বেঁচে থাকে।
শুনহে মানুষ ভাই, সবার উপরে
মানুষ সত্য, তার উপরে নাই।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৩

কৃষিজীবী বলেছেন: করোনানায় এখন পযন্ত যে ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষতির পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে তা অবশ্যই দুঃখজনক। তবে আমার ধারণা ,(ধারণা সঠিক হওয়া জরুরি না) করোনা থেকে আমরা যে শিক্ষা পেয়েছি, তাতে সমস্ত ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।

১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ কৃষিজীবী
দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়
তা হলেতো দাগই ভােলো।
কি বলেন!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.