নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআনে বর্ণিত আদর্শ নারীর কতিপয় বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী যা সকলনারীদের জন্য অনুকরণীয়

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭


পৃথিবীর শুরু থেকে নারীরা পুরুষের সহযোগী হিসেবে পাশে ছিলো, আজোও আছে। নারী ছাড়া পুরুষের জীবন অসম্পূর্ণ থাকে, কিছুটা অসম্ভবও বটে। নারী কখনো মা, কখনো ভগ্নি, কখনো প্রিয়তমা স্ত্রী, কখনো কন্যা হয়ে আমাদের জীবনকে সুষমামন্ডিত করে তোলে। পবিত্র কুরআনে আছে, “পুরুষ যেমন কাজ করবে তেমন ফল পাবে এবং নারী যেমন কাজ করবে ঠিক তেমনি ফল পাবে” (সূরা নিসা:৩২)। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত।’ আরো বলা হয়েছে যে তাঁকে ছাড়া যদি কাউকে তিনি সিজদা করার জন্য মনোনীত করতেন তাহলে স্ত্রীকে তার স্বামীকে, সন্তানকে তার মাকে, সিজদা করার হুকুম দিতেন। এখানে স্বামী এবং মা উভয়কেই সম্মানিত করা হয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে হয়ঃ‘
জ্ঞানের লক্ষ্মী, গানের লক্ষ্মী, শস্য লক্ষ্মী নারী,
/সুষমা-লক্ষ্মী নারীই ফিরিছে রূপে রূপে সঞ্চারি।
জগতের যত বড় বড় জয়, বড় বড় অভিযান,
মাতা ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।’

ইসলাম নারীকে অত্যন্ত উচ্চ মর্যাদা দান করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক জায়গায় নারীদের আলোচনা এসেছে। আল্লাহ নারীবাচক বিভিন্ন শব্দ ও গুণাবলির দ্বারা তাদের উল্লেখ করেছেন। যেমন—কন্যা, স্ত্রী, বোন, মা, নারী, যুবতি, মুমিনা, মুসলিমা ইত্যাদি। এতে যেমন নারীদের সামগ্রিক আলোচনা এসেছে, তেমনি কয়েকজন মহীয়সী নারীর প্রশংসামূলক বর্ণনাও এসেছে। এসকল মহীয়সী নারীদের কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে যা মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়। নিম্নে কোরআনে বর্ণিত আদর্শ নারীর কতিপয় বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো।

১। চারিত্রিক পবিত্রতাঃ
অশ্লীলতা, অনৈতিকতা ও অমার্জিত আচার-আচরণ থেকে বেঁচে থাকা। নারী চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষায় আল্লাহ তাদের সংযত চলাফেরা, দৃষ্টি অবনত রাখা ও লজ্জাস্থান হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন নারীকে বলুন, তারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩১)
আল্লাহ শুধু নারীদের সাধ্বী হওয়ার নির্দেশ দেননি; বরং সাধ্বী নারীর সপ্রশংস উল্লেখও করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘ইমরানের কন্যা মারইয়াম—যে তার লজ্জাস্থান হেফাজত করেছে।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ১২)

২। লজ্জা ও শালীনতাঃ
লজ্জা ও শালীনতা মানুষের ব্যক্তিত্বের মূল ভিত্তি। নারীর ক্ষেত্রে তা বেশি মূল্য বহন করে। শালীনতা মুমিন নারীর মর্যাদা ও সৌন্দর্যের ভিত্তি, যা তার পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রকাশ পায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ একজন নারীর শালীন আচরণের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘তখন নারীদ্বয়ের একজন লজ্জাজড়িত পায়ে তার কাছে এলো।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ২৫)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘... তারা যেন তাদের গোপন আবরণ প্রকাশের জন্য সজোরে পা না ফেলে। হে মুমিনরা! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করো। যেন তোমরা সফল হও।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩১)
সুতরাং নারী এমনভাবে চলাফেরা করবে না, যা তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় এবং যা মানুষকে পাপে উদ্বুদ্ব করে।

৩। স্বামীর আনুগত্য ও আত্মত্যাগঃ
ইসলামী পারিবারিক ব্যবস্থায় স্বামী পরিবারপ্রধান। পরিবারের ভালো-মন্দ প্রধানত তার ওপর বর্তায়। তাই ইসলাম পারিবারিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্ত্রীকে ইসলামী শরিয়ত অনুমোদিত বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করতে এবং সুখে-দুঃখে তার পাশে থেকে সাহস জোগাতে বলেছে। কোরআনে আল্লাহ আইয়ুব (আ.)-এর স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন—যিনি চরম অসুস্থতা ও দরিদ্রতার মধ্যেও স্বামীর পাশে ছিলেন এবং অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, আমার বান্দা আইয়ুবকে, যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, শয়তান আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্টে ফেলেছে। আমি তাকে বললাম, তুমি তোমার পা দিয়ে ভূমিতে আঘাত করো। এই তো গোসলের সুশীতল পানি ও পানীয়। আমি তাকে দান করেছিলাম তাঁর পরিজনবর্গ ও তাদের মতো আরো, আমার অনুগ্রহস্বরূপ এবং বোধসম্পন্ন মানুষের জন্য উপদেশস্বরূপ।’ (সুরা : সাদ, আয়াত : ৪১-৪৩)

৪। দ্বিন পালনে পুরুষের সহযোগীঃ
দ্বিন পালন এবং সমাজে দ্বিন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় পুরুষের সহযোগী নারী। প্রত্যেক নারী ও পুরুষ নিজ নিজ জায়গা থেকে পরস্পরকে দ্বিনের ব্যাপারে সহযোগিতা করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিন পুরুষ ও নারী পরস্পরের বন্ধু। তারা সত্কাজে আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে। আল্লাহ তাদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭১)

৫। পুরুষের মানসিক আশ্রয়ঃ
বাহ্যত পুরুষ নারীর অভিভাবক হলেও আল্লাহ নারীকে পুরুষের মানসিক আশ্রয় বানিয়েছেন এবং দাম্পত্য জীবন সুখময় করতে তাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহানুভূতি দান করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর নিদর্শন হলো—তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের ভেতর থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও। তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে বহু নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ২১) আয়াতে ব্যবহৃত ‘যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও’ বাক্য থেকে পুরুষের জন্য নারীর মানসিক আশ্রয় হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

৬। ঈর্ষাঃ
আত্মমর্যাদা বোধ মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। নারী-পুরুষ সবার ভেতর তা থাকে। তবে নারীর ভেতর তা আরো প্রবল হয়। যদিও তা অনেক সময় ঈর্ষা ও আত্মচিন্তারূপে প্রকাশ পায় এবং নারীকে ভুল পথে পরিচালিত করে। মহানবী (সা.)-এর কয়েকজন স্ত্রী এই প্রবণতার শিকার হলে আল্লাহ তাঁদের সতর্ক করে বলেন, ‘স্মরণ করো—নবী তাঁর স্ত্রীদের একজনকে গোপন একটি কথা বলেছিলেন। অতঃপর যে যখন তা অন্যকে বলে দিল এবং আল্লাহ তা নবীকে জানিয়ে দিলেন, তখন নবী এই ব্যাপারে কিছু ব্যক্ত করলেন এবং কিছু অব্যক্ত রাখলেন। যখন নবী তা সেই স্ত্রীকে জানালেন, তখন সে বলল, আপনাকে এটা কে অবহিত করল। নবী বললেন, আমাকে অবহিত করেছেন তিনি, যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৩)

৭। মার্জিত ভাষাঃ
আল্লাহ কোরআনে নারীদের মার্জিত ভাষা ব্যবহার করতে বলেছেন। যা অস্পষ্টতা, জড়তা ও পাপের ইঙ্গিতবহ হবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ন্যায়সংগতভাবে কথা বলো।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩২)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এই আয়াতে ব্যবহৃত ‘কাওলাম-মারুফা’-এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘নারীরা অনুচ্চ ভাষায় এমনভাবে কথা বলবে, যা শরিয়ত নিষেধ করেনি এবং মানুষের কাছেও তা শুনতে খারাপ মনে হয় না।’ (তাফসিরে কুরতুবি)
আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘নারীরা সুন্দর, মার্জিত ও কল্যাণবহ কথা বলবে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)

৮। মোহনীয় বাকভঙ্গিঃ
নারীর রূপ, ভঙ্গি ও কথার মোহময়তা সর্বজনবিদিত। রূপের মতো কথার মায়াজালেও সে আটকাতে পারে পুরুষকে। দুর্বল চরিত্রের পুরুষ সহজেই মোহগ্রস্ত হয় তার কথায়। পবিত্র কোরআনে নারীর কথার জাদুময়তার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে তোমরা পরপুরুষের সঙ্গে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩২)
কোরআনের ব্যাখ্যাকারগণ এই আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, কথার এই কোমলতা ও মোহনীয় ভঙ্গি নারীর বিশেষ গুণ। যা তার স্বামী ও আপনজনের জন্য যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি দুর্বল ঈমানের পুরুষ—যার প্রলুব্ধ হওয়ার ভয় আছে তার সামনে তা প্রকাশ করা নিন্দনীয়। (তাফসিরে ইবনে কাসির ও তাফসিরে তাবারি)

৯। জাত্যভিমানঃ
বহু নারী নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ ভাবতে পছন্দ করে। এমনকি নিজের ও নিজ পরিবারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়। কোরআনে এমন অহঙ্কারের ব্যাপারে নারীকে সতর্ক করা হয়েছে। মহানবী (সা.) জয়নব বিনতে জাহাস (রা.)-কে জায়েদ বিন হারিসা (রা.)-এর সঙ্গে বিয়ে দিতে চাইলে তিনি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। কেননা তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশের আর জায়েদ (রা.) আগে দাস ছিলেন। এই জাত্যভিমানের ব্যাপারে ইরশাদ হয়, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোনো মুমিন পুরুষ বা কোনো মুমিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অমান্য করলে সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৬)

১০। জিহ্বার ব্যাধিঃ
ইমাম গাজ্জালি (রহ.) মানুষের জবান বা কথার ১৪টি ব্যাধি উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে অর্থহীন কথা, পরচর্চা, পরনিন্দা, রুক্ষতা, অশ্লীলতা, ঝগড়া-বিবাদ, অভিশাপ, ঠাট্টা-বিদ্রুপ, উপহাস, গোপনীয়তা প্রকাশ, মিথ্যা কথা ও মিথ্যা আশ্বাস ইত্যাদি। (ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন, পৃষ্ঠা ১০৪)। এর কোনো কোনোটি নারীর ভেতর বেশি পাওয়া যায়, আবার কোনো কোনোটি পুরুষের ভেতর। তাই আল্লাহ পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে নারীকেও এসব ব্যাধির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো নারী যেন অপর নারীকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হয়েছে সে উপহাসকারিণীর চেয়ে উত্তম হতে পারে।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১১)

কৈফিতঃ আমার আজকের এই লেখাটিও ধর্মীয় বিষয়ক। এ পোষ্টে কোরআনের আলোকে আদর্শ নারীদের কতিপয় গুণাবলী প্রকাশ করা হলো। এ লেখায় কারো কোন ওজর আপত্তি বা দ্বিমহ থাকলে তার জন্য আমাকে ব্যক্তি আক্রমন করবেন না। পবিত্র কোরআনে এসব গুণাবলী নিজের মধ্যে ধারণ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমি তাই স্মরণ করিয়ে দিলাম। কারণ জীবনে এসব গুণাবলী বাস্তবায়ন সম্ভব হলে, জীবন সুন্দর ও সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামের সময় আরবে ছিলো সামন্তবাদী রাজতন্ত্রের শুরু; তখন দাস প্রথা ছিলো; দাসীদের নিয়ে আল্লাহ কি বলেছেন?

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কেউ কারও দাস নয়, সবাই আল্লাহর দাস

ইসলাম দাসপ্রথাকে জন্মও দেয়নি, উৎসাহিতও করেনি। বরং এটাকে চিরতরে উৎপাটনের ব্যবস্থা করেছে।
ইসলামে একজন দাসের ধর্মীয় মর্যাদা একজন স্বাধীন মুসলিমের চেয়ে কোন অংশে কম নয় বরং বেশি।
কেননা, যদি কোন দাস তার মালিকের প্রতি সৎ এবং বিশ্বস্ত থাকে এবং তার প্রভুর (আল্লাহর) ইবাদতও
যথাযথভাবে করে তবে সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে। [দ্রষ্টব্য: সহিহ বুখারি, ইংরেজি অনুবাদ ভলি ৩, বুক ৪৬, নম্বর ৭২২]

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোথায় গেলেন, ওহীর অপেক্ষায় তুর পাহাড়ে চলেন যান নাই তো?

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর মুত্যুর পরে
সব ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেছে। সুতরাং অজ্ঞানতা বশতঃ
পরিহাসের ছলে এমন কোন কথা বলা ঠিক নয়।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নারীরা পিতার সম্পত্তির অধিকার কেমন পায়?
ভাইয়ের চেয়ে অর্ধেক পায় জানেন?

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সাজ্জাদ ভাই ইসলামের আগমনের আগে নারীর সম্পত্তির অধিকার ছিল না।
উত্তরাধিকারে নারীর অধিকারের কথা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছে পবিত্র কোরআন।
যদি কোনো নারীর কোনো ভাই না থাকে তাহলে তিনি (একা হলে) পিতার ত্যাজ্য
সমুদয় সম্পত্তির অর্ধেক পাবেন। আর যদি তারা দুই বোন বা ততধিক হন এবং কোনো
ভাই না থাকে তাহলে তারা তাদের পিতা/মাতার সমুদয় সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ পাবেন।
যদি এক বোন এবং এক ভাই হয় তাহলে একজন ভাইয়ের অংশের অর্ধেক পাবেন একজন
বোন। অর্থাৎ যদি কেউ এমতাবস্থায় মারা যায় যে তার এক পুত্র ও এক কন্যা (আর কোনো
উত্তরাধিকারী নেই)। তাহলে সমুদয় সম্পত্তি তিন ভাগে ভাগ করে দুই ভাগ পাবে পুত্র আর
এক ভাগ পাবে কন্যা। এক পুত্র ও দুই কন্যা থাকলে সমুদয় সম্পত্তি চার ভাগে ভাগ করে
দুই ভাগ পাবেন পুত্র। আর বাকি দুই ভাগ পাবেন দুই কন্যা (প্রত্যেক কন্যা এক ভাগ করে)।
পবিত্র কোরআনুল কারিমে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের
সম্পর্কে আদেশ করেন: একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর সমান। আর যদি শুধু নারীই
হয় দু-এর অধিক, তাহলে তাদের জন্যে ওই ত্যাজ্য মালের তিন ভাগের দুই ভাগ।
আর যদি (কন্যা) একজনই হয় তাহলে সে জন্য অর্ধেক।’ (সুরা নিসা: ১১)।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নতুন বলেছেন: নারীদের নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য অতিধার্মিকেরা নতুন নতুন ফতোয়া বানিয়েছে যে এটা করা যাবে না সেটা করা যাবেনা।

এখন ২০২০ সালে এসে এই নারী দের ঘরে বন্ধী করে রাখার বুদ্ধি বেশিদিন চলবেনা।

আসলে ইতিমধ্যই চলছেনা। সামনের বিশ্বে এটা আরো অচল হয়ে যাবে।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

তার মানে কি কোরআনের আয়াত মিথ্যা হয়ে যাবে !! নাউজুবিল্লাহ
পৃথিবী ধ্বংশ হবার আগ পর্যন্ত কোরআনের আইন বলবৎ থাকবে
তা কেউ মানুক বা না মানুক।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্ম সবথেকে বেশি অপমান করেছে নারীকে।নারীর স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করেছে।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমার বিশ্বাস ইসলাম সবে চেয়ে সম্মানীত করেছে নারীকে।
নারী পরম শ্রদ্ধেয় মা, আদরের বোন, প্রেমময় স্ত্রী কিংবা পরম
স্নেহভাজন কন্যা হিসেবে পুরুষের চিত্তজগৎকে আলোকিত করে।


ইসলাম কন্যা সন্তানকে অভিহিত করেছে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে। নবীজি (সা.) বলেন,
‘যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান লালন-পালন করেছে, পুত্র সন্তানকে কন্যাদের ওপর প্রাধান্য
দেয়নি, তাদেরকে উত্তম আদশ শিক্ষা দিয়েছে, তাদেরকে বিয়ে দিয়েছে, তাদের সঙ্গে ভালো
আচরণ করেছে, সে জান্নাত লাভ করবে। (আবু দাউদ: ৫১৪৯)।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: নারীকে অন্ধকারে রাখতেই আপনার পছন্দ।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

যার যেমন জ্ঞান,
তার তেমন ধারণা,
তার তেমন বিশ্বাস

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কোরানে আদর্শ পুরুষের ব্যাপারে কিছু বলা নাই?
সেগুলাও আলোচনা কইরেন।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সময়ে সেগুলোও আলোচিত হবে আমার আগামী
কোন এক পর্বে। ধন্যবাদস আপনাকে লিটন ভাই।

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: তার মানে কি কোরআনের আয়াত মিথ্যা হয়ে যাবে !! নাউজুবিল্লাহ
পৃথিবী ধ্বংশ হবার আগ পর্যন্ত কোরআনের আইন বলবৎ থাকবে
তা কেউ মানুক বা না মানুক।


মোল্লা্রা অতি উতসাহে কোরানের সর্বনাস করছে।

কোরানে কি কোথাও বলা আছে যে গানবাজনা হারাম?

নারীদের স্বালীন পোষাক পড়তে বলা হয়েছে কিন্তু এখন অতিউসাহিরা তালেবানী স্টাইলে বোরকা পড়িয়ে নারীদের বস্থা বানায়।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অপ্রসাঙ্গিক আলোচনা বিতর্কের জন্ম দেয়।
এ পোস্টে গান বাজনা সম্পর্কে কোন আলোচনা
করা হয়নি। আমার ধারণা অতি প্রগতিবাদীরা
কোরআনকে তাদের নিজেদের স্বার্থে ব্যখ্যা করে
ভুল ধারণা দিচ্ছে।
". ... তারা যেন যা সাধারনত প্রকাশ্যমান তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে..."
(সূরা আন নূরঃ৩১)
এই আয়াতটির ভুল ব্যাখ্যা করে অনেকে মুখ খোলা রাখার ব্যাপারে যুক্তি দেখান,কারন এখানে বলা
হয়েছে যা সাধারনত প্রকাশমান! সুতরাং তারা চেহারা কে প্রকাশ্য বস্তু ধরে নিয়েছে!
অথচ যা দৃশ্যত প্রকাশমান বলতে নারীর দৈর্ঘ ও খর্বতা,কৃশতা ও স্থুলতা,বাতাসের দোলে বোরকার
নিচের পোশাক বা দেহের কোন অংশ দেখা যাওয়া কে বুঝানো হয়েছে..
অর্থাৎ নারীর সৌন্দর্যের কোন কিছু অনিচ্ছায় প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি পর্দার হুকুম থেকে বিয়োজ্য..
সেজন্যই উক্ত আয়াতে আল্লাহ 'নারী নিজে যা প্রকাশ করে' কথাটি বলেননি,
বলেছেন, যে সৌন্দর্য নারীর স্বেচ্ছা সম্পাদন ব্যতীত এমনিতেই প্রকাশিত হয়ে যায়!
সুতরাং হাত,মুখ,পা এগুলোও পর্দার অন্তর্ভুক্ত..
বলাবাহুল্য যে বর্তমান যুগে ফিতনার বিস্তার সর্বত্র।
মানুষের মধ্যে দীনদারী ও আল্লাহভীতি হ্রাস পেয়েছে। লজ্জা ও লজ্জাবনত মানুষের
সংখ্যা কমে গেছে। ফিতনার প্রতি আহ্বানকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাজসজ্জার
নানা উপায় ও উপকরণ আবিষ্কৃত হওয়ায় ফিতনার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সব মুসলিম বোনকে যথাযথভাবে পর্দা করার
তাওফীক দান করুন। আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.