নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যার কাছে পরাভূত সত্য (একটি শিক্ষণীয় গল্প-২)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২


সত্য আর মিথ্যা দুই সহদর। দুজনের সাথে দু জনার বেশ ভা্ব। তারা এক সাথে খেলাধুলা করতো ঘাটে মাঠে বনবাদােড়ে ঘুরে বেড়ায়। ঊনিশ শতকের মাঝ পর্যন্ত তাদের এ ভাব বজায় ছিলো। হঠাৎ বদলে যেতে শুরু করলো মিথ্যা। তার কার্যলাম কথাবার্তায় আসলো আমূল পরিবর্ত ন। সত্য তার সাথে চলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেললো। আগের মতো আর সত্যকে সময় দেয়না মিথ্যা। সে থাকে তার মিথ্যার সাথীদের নিয়ে। দূরত্ব বাড়তে থাকে সত্য আর মিথ্যা দুই ভাইয়ের। একদা কোথায় যেন হারিয়ে গেল মিথ্যা সত্যের কাছ থেকে। একা একা মন মরা হয়ে খাকে সত্য। কোন কাজেই যেন তার মন বসেনা। অনেক দিন পরে উনিশ শতকের শেষ ভাগে এক সকালে হঠাৎ করে হাজির হয় মিথ্যা। দেখা হয় সত্য আর মিথ্যা দু ভাইয়ের। মিথ্যার জৌলুশ বেড়েছে অনেক। চালচলনে কেতাদূরস্ত ভাব। সঙ্গী সাথীও জুটিয়েছে অনেক। মিথ্যার পাশে সত্য যেন কেমন নিঃস্প্রাণ। মিথ্যা অনেক গল্প বলে সত্যকে যদিও সত্য তা বিশ্বাস করতে পারেনা। ভাইয়ের মানমরা ভাব দূর করার জন্য মিথ্যা সত্যকে বললো, দেখো আজকের দিনটা কত চমৎকার! সত্য আকাশের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে দেখল, সত্যিই খুব সুন্দর একটা দিন। তারা একসাথে অনেক সময় কাটালো।,
তারপর হঠাৎ দুই ভাই একটা কুয়ার সামনে আসলো। মিথ্যা সত্যকে বললো,
পানিটা খুব ভালো লাগছে চলো গোসল করতে নামি!
বলাবাহুল্য, সত্য বিশ্বাস করেনি মিথ্যার কথা। নিজে পরখ করে দেখল মিথ্যা ঠিকই বলেছে, পানিটা স্ফটিকের মতো আর দারুণ শীতল। অতঃপর তারা কাপড় খুলে কুয়ার পানিতে নেমে পড়ল। হঠাৎ মিথ্যা কুয়ার ভিতর থেকে বের হয়ে সত্যের কাপড় পরে দৌঁড়ে পালাল। কুয়ার পাড়ে পড়ে রাইলো মিথ্যার পোষাক। খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর মিথ্যাকে ফিরতে না দেখে সত্য উঠে এলো কুয়ো থেকে। না, মিথ্যা তো কোথাও নেই, সত্যের পোশাকও নেই। তবে পড়ে আছে মিথ্যাে পোষাক যা সত্য কখনোই পড়তে পারেনা। রাগে অন্ধ হয়ে সত্য বের হলো মিথ্যাকে খুঁজতে কিন্তু নগ্ন সত্যকে দেখে ছি ছি করল সভ্য মানুষ। এমনকি তেড়েও এলো অনেকে। কারণ এই দুনিয়ায় কেউই সত্যের নগ্নতা দেখতে চায় না! সত্য অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও তাদের বোঝাতে না পেরে রাগে-দুঃখে অপমানে ফের কুয়োয় নেমে গেল। তারপর থেকে সত্যকে আর কখনো কেউ দেখেনি। যাকে দেখেছে কিংবা দেখছে সে সত্যের পোশাক পরা মিথ্যা। সত্য প্রতিদিন মার খাচ্ছে, দগ্ধ হচ্ছে, নগ্ন হচ্ছে। চোখের জলে থমকে দাঁড়াচ্ছে, পথ হারাচ্ছে। হারতে হারতে সত্য আজ নির্বাসিত হয়েছে। মিথ্যার ভয়ে সত্য এমনভাবে লুকিয়েছে যে সত্যকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সত্য যখন মিথ্যার কাছে পরাজয় বরন করে তখন সত্য বোবা কান্নায় নিমজ্জিত থাকে। এই বোবা কান্নার ফলাফল এক সময় ভয়াবহ রুপে ধারন করে। মানুষ তখন মিথ্যার আশ্রয় গ্রহন করে আর তখন ধংস অনিবার্য। আগেও সত্যকে নিয়ে সন্দেহ অবিশ্বাস ছিল, এখনো আছে। বদলেছে শুধু সময়, স্থান, কাল পাত্র। সত্য এখন বড় অসহায় অবস্তায় আছে। সত্য এখন খুব সস্তা দরে হাট বাজারে বিক্রি হয়। মিথ্যের কাছে মানুষ বিক্রি হচ্ছে। টাকা দিয়ে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানানো এখন আর কল্পনা নয় বরং এটাই বাস্তবতা। ধরুন একটা অফিসে সবাই অসৎ। একজন মাত্র মানুষ রয়েছেন যিনি সৎ থাকতে চান। অসৎ লোকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান। তিনি কি পারবেন। সত্যের মুখোশ পরা সব অসৎরা একজোট হয়ে নিজেদের প্রমাণ করবেন সত্যবাদী। আর সত্যবাদী লোকটা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে হয়ে যাবেন মিথ্যাবাদী। অনেক সময় সংখ্যা দিয়ে আমরা সত্যকে মিথ্যে বানিয়ে দেই। কিন্তু সেটা আসলেই কতটা সত্য তা কখনো খতিয়ে দেখার মতো বিবেচনা শক্তি নিজেদের মধ্যে গড়ে নিতে পারি না। হুমায়ুন আজাদ একটা নিখাদ সত্য কথা বলেছেন, ‘এখানে অসৎরা জনপ্রিয়, সৎ মানুষেরা আক্রান্ত"। এর সাথে তিনি আরও বলেছেন, সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বারবার বললে মিথ্যার মতো শোনায়। মিথ্যা বারবার বলতে হয়; মিথ্যা বারবার বললে সত্য বলে মনে হয়। এভাবে টাকার কাছে সত্য হারছে। প্রতিদিন হারছে। কারণ মানুষগুলোই যে মিথ্যের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের হার না মানা মন নেই। আপনার আমার আশপাশের মুখোশ পরা চেনা মুখগুলোর মধ্যে এমন অনেক মানুষ ঘাপটি মেরে বসে আছে। চারিদিকে তাদের জয় জয়কার হচ্ছে। কিন্তু পুরোটাই একটা ধোঁকা। অনেকে বলে থাকেন সব কিছুই নাকি এখন মিথ্যের শক্তিতে পূর্ণ হয়ে উঠছে। তবে সত্য কে কেউ কোন দিন চাপা দিয়ে রাখতে পারে নাই এবং তোন সময় পারবে না। সততার শক্তি যদি ভিতর থেকেই প্রাণশক্তি নিয়ে উঠে দাঁড়াতে পারে তবে মিথ্যেরা কখনো টিকে থাকতে পারবে না। আর তা যদি মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত হতে পারে তবে মিথ্যেরা পরাভূত হবেই।

মা-বাবাকে ভালো বাসুনঃ একটি শিক্ষনীয় গল্প-১

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি হয়তো বাংলাদেশের বাইরে যাননি; ইউরোপের বেশীরভাগ মানুষ, জাপান, আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়ার মানুষেরা গড়ে সত্য বলেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনি দিনে কয়টা সত্য কথা বলেন?
সত্য মিথ্যার গড় পরতায় কোনটা এগিয়ে?
মিথ্যার উপর কি সত্য প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন?

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি সত্য বলি সব সময়।

মিথতা কথা বেশী বলেন এশিয়া ও আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোতে

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

চাঁদগাজী বলেছেন: আমি সত্য বলি সব সময়।
একথা কতটুকু সত্য !!

মিথতা কথা বেশী বলেন এশিয়া ও আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোতে
আপনি কোন দেশের মানুষ !! নিজের ঘাড়ে দোষ নেবার মানসিকতা আছে ?

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৩

মা.হাসান বলেছেন: কলি যুগে ডিকশনারির বাইরে সত্য নাই। আমেরিকানদে সত্যবাদিতার ভালো উদাহরন হলো ওনাদের পেসিডেন ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

দারুন বলেছেন মা.হাসান ভাই
ডোনাল্ড ট্রাম্পের জুড়ি নাই!!

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ইউরোপের মানুষেরা মিথ্যা বলে না সহজে। মিথ্যা সেখানে বিরল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইউরোপের অনেকে দেশে এখন নাস্তিকরাই সংখ্যাগুরু।
সেখানে ধর্ম, মহাপুরুষ ও ধর্মগ্রন্থের জায়গাও নেই, দরকারও নেই–
স্রেফ আনন্দ করে গেলেই জীবন সার্থক৷ পশ্চিমা দেশগুলোর আইনও
একে সমর্থন করে– ‘একটাই জীবন তোমার, নিজ কর্মের দায়িত্ব নিয়ে
অন্যের অধিকার খর্ব না করে বা অন্যকে কষ্ট না দিয়ে জীবন উপভোগ করে যাও’৷
এর মধ্যে নারী-পুরুষের অবাধ সংসর্গও অন্তর্ভুক্ত৷।
নাস্তিকেরা যখন সৃষ্টিকর্তাকেই মানেন তখন তাদের
সত্য আর মিথ্যার ফারাক কতটুকু ?

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সত্য মিথ্যা সবদেশেই আছে। ধর্মদ্বারা মিথ্যা কমানো সম্ভব হয় না।
উন্নত দেশে মিথ্যা বলে কম। কারন মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধরা পড়লে সমস্য হয়ে যায়, ক্রেডিড স্কোর কমে যায়,
ফলস্রুতিতে কারইনশুরেন্স প্রিমিয়াম বেড়ে যায়, বড় কিছু কেনাকাটায় বেশী মুল্য দিতে হয়, চাকুরি পেতে, ঘরভাড়া পেতেও সমস্য হয়।
এমনিতেও মিথ্যা বলে পার পাওয়া যায় না। কারনটা ডিজিটাল। জিপিএস রেকর্ড, পদে পদে সিসিটিভি .. আরো অনেক ..

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অভাবে স্বভাব নষ্ট!!
আমেরিকা ইউরোপের মানুষ
প্রাচুর্যের মাঝে লালিত। তাই
কুকুরের দুঃখেও ব্যথিত হবার
বিলাসিতা দেখাতে পারে। তাদের
মিথ্যা না বললেও চলে। আমাদের
দেশে মিথ্যা বলা একটা রোগ। এ
রোগ সারাতে ধর্মীয় অনুসাশন দরকার।

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প। তবে গল্প থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

যারা শিক্ষা গ্রহণ করেনা
তাদের মঙ্গল হয়না।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: উন্নত বিশ্বে মিথ্যা বলার সুযোগ কম।মিথ্যাই প্রায় নির্বাসিত।মিথ্যা বললে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মিথ্যা সকল অপরাধের জননী
তাই মিথ্যা পরিহার করাই শ্রেয়।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামটা ঠিক করে নেবেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আচ্ছা !!

৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকা ইউরোপের মানুষ প্রাচুর্যের মাঝে লালিত। - সম্পুর্ন ভুল কথা।

পর্যাপ্ত শিক্ষা ও পর্যাপ্ত দক্ষতা না থাকলে এখানে ভাল চাকরি পাওয়া যায় না। ঘন্টায় বেতন।
অসুস্থ বা ছুটিতে গেলে বেতন নেই।
আমি ও আমার পরিবারের ৩ টা দামী গাড়ী, চার পদের ক্রেডিট কার্ড, অফুরন্ত খরচের স্বাধীনতা। মনে হবে কোটিপতিদের মত বিশাল বিলাসি জীবন।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কাজ হারালে আমি জিরো।
মাসে মাসে গাড়ীর কিস্তি দিতে না পারলে গলায় পাড়া দিয়ে নিয়ে যাবে সব গাড়ী, কার্ড। গাড়ি হারালে অন্য কাজও করা যাবে না
কাজ খোজাও যাবে না, কাজ বাদে ঘর ভাড়া দেয়া কষ্টকর হয়ে যাবে, ৩ মাস ভাড়া না দিলে ফুটপাতে নেমে যেতে হবে। নইলে দেশে চলে যেতে হবে। এদেশে বহু মানুষ ফুটপাতে ঘুমায়।

আমি আগের কমেন্টেই বলেছি সত্য মিথ্যা সবদেশেই আছে।
উন্নত দেশে মিথ্যা বলে কম। কারন মিথ্যা বললে প্রযুক্তির কারনে ধরা পড়ে যায়। এখানে মিথ্যাকে ভীষণ ঘৃনা করা হয়। ধরা পড়লে চড়া মুল্য দিতে হয়। এখানে আদালতে মিথ্যা নেই। তাই এজলাশে বিচার করা তেমন লাগে না। পাসের রুমে এজাহার পরে শুনানো হয়, প্রমান হাজির করা হয়, দলিল দেখানো হয় সিসিটিভি প্রমানও দেখানো হয়, শাক্ষী উপস্থিত নেই। বলা হয় প্রয়জনে তুমি খরচ দিলে শাক্ষী হাজির করা হবে। তোমার অপরাধের সর্বচ্চ শাস্তি ৫ বছর জেল ১০ হাজার ডলার জরিমানা।
তুমি যদি এখুনি অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নাও তাহলে আদালতের টাইম বাচানোর কারনে সর্বচ্চ শাস্তি দেব না, ১ বছর জেল ১০০০ জরিমানা, বা জেল বাদে শুধু ১৫ হাজার ডলার জরিমানা। আপনে বার্গেনিং করে মোট জরিমানা ১০ হাজারে আনতে পারবেন। মামলা এখানেই শেষ। ৯৯% মামলা এভাবেই এজলাশের বাইরেই নিস্পত্তি হয়।



২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

হাসান কালবৈশাখী ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
চমৎকার মন্তব্য প্রদানের জন্য। তবে আমার দুঃখ
একটা শিক্ষামুলক গল্পে যে ধরনের মন্তব্য এসেছে
অর্থাৎ কে বা কোন দেশ বেশী মিথ্যা বলে বা কোন
দেশে মিথ্যা বলেনা তার ফিরিস্তি অপ্রসাঙ্গিক নয় কি?
একথা অনস্বীকার্যযে বর্তমানে মিথ্যা সত্যের উপর রাজ
করছে যার জান্য আজ আমাদের এমন পরিণতি। বলেন
ঠিক কিনা?

১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্মীয় অনুসাশনে মানবিক মুল্যবোধ বাড়ে না, মানবতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে না। মিথ্যাও কমেই না বরং বাড়ে।

উদাহরন কঠোর ধর্মীয় অনুসাশনে শাসিত সৌদিআরব। শাসক যন্ত্র জনগণকে মিথ্যা বলে ইসরাইলের সাথে চুটিয়ে ব্যবসা।
দুর্বল ইয়ামেনি জনগনকে হত্যা দখলবাজি।
প্রায় প্রতিটা সৌদি নাগরিক হারামি। চুক্তি মাফিক নির্ধারিত বেতন কম দেয়া, বেতন আটকে রাখা, অনৈতিক ভাবে পাসপোর্ট আটকে রাখা, পদে পদে হারামিপনা। মহিলা শ্রমিকদের প্রতি অমানবিকতা পদে পদে, কর্মিদের প্রতি বিন্দুমাত্র রেসপেক্ট নেই।
চুড়ান্ত পর্যায়ের পাশবিকতা এমনকি হত্যা করতেও অনুতাপ হয় না।
হত্যা মামলা, ধর্ষণ মামলা কিছুই করা যায় না। আদালতের বিচারকও হারামির বাচ্চা।
বলে - উক্ত মহিলা কর্মি বাসার ভেতরে কাজ করে, তাই উনি কর্মচারি নন, পরিবারের একজন সদস্য, একা মামলা করতে পারবে না। একমাত্র পরিবারের কর্তার মাধ্যমে কর্তা নিজে মামলাটি দাখিল করলেই শুধু মামলা গ্রহন হবে।
এদের নৈতিকতা কোথায়? ধর্মীয় অনুসাশনের সমাজে ফজিলত কোথায়?

বাংলাদেশের ধার্মিক ও কুকুর বিরোধী মুমিনদেরও একই অবস্থা।
সম্প্রতি নির্জাতনে একচোখ অন্ধ করে রাস্তায় ফেলে রাখা নিহত এক মেয়ের লাশ আসলে বাংলাদেশের মোহান কুকুর বিরোধী মুমিনদের মন্তব্য এখনো চোখে ভাসছে।
কাউকেই ব্যাথিত মনে হলো না, সামু ও সামাজিক মাধ্যমে সবাই গণহারে ধর্ষনে নিহত মেয়েটিকেই দুষছে, - বলে এত টাকার লোভ কেন, দেশে কি কাজ নেই?
অনেকে রিক্রুটিং দালালদের দোষ খুজছে, লোভি দালালদের ফাসি চাইছে, হাসিনাকে গালাগাল দিচ্ছে হাসিনার এত রেমটেন্সের লোভ কেন?
শত শত কমেন্টের ভেতর একজনকেও খুজে পেলাম না যারা সৌদি সিষ্টেমের নিন্দা করেছে।
একটি প্রানীকেও দেখলাম না সৌদি বিচারহীনতা, পাপিষ্ঠ সৌদি মালিকের পাষবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে, ধর্মের আলখেল্লায় ঢাকা মিথ্যার সাম্রাজ্যকে নিন্দা করতে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

হাসান কালবৈশাখী বলেছেনঃ ধর্মীয় অনুসাশনে মানবিক মুল্যবোধ বাড়ে না, মানবতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে না। মিথ্যাও কমেই না বরং বাড়ে।

আমি যদি আপনার এই কথায় সহমত প্রকাশ না করি বা
বিপক্ষে থাকি তা হলে কি আপনি মাইণ্ড করবেন?
পারিবারিকভাবে ধর্মীয় অনুশাসনে মানবজীবনের
গোড়া পত্তন হয় তবে দ্বারা কখনো মানবজাতির
অকল্যান হয় না। মিথ্যাও বলেনা।

১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমরা মিথ্যের বেসাতির মধ্যেই আছি।সত্য ন্যায় নিষ্ঠা বিবেকদের বহুদিন আগেই ইংরেজরা গনহত্যা করে গেছে। বরং আপদবিপদে যে আমাদের সর্বক্ষণের সাথী তাকে নিয়েই কাটিয়ে দেই, কি আর করব। গল্প ভালো হয়েছে নুরু ভাই। সন্ধ্যের টিফিনের মাঝে পুত্রকে পড়ে শোনালাম। ধন্যবাদ মা.হাসান ভাইকে। পোস্টটি স্কিড করে গেছিল। ধন্যবাদ আপনাকেও।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ পদাতিক দাদা
আজকাল মানুষ নীতি কথা শুনতে চায়না
মানুষ নিজে যা বোঝে তাই প্রতিষ্ঠা করতে
চায়। যার কারণে সমাজে এমন সংঘাত।
মেঘ বাবুকে গল্পটি শুনিয়েছেন যেনে ভালো
লাগলো। তার জন্য শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.