নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ৪ অক্টোবর, বিশ্ব প্রাণী দিবসঃ বিশ্বের সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত হোক

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৪


বিশ্ব প্রাণী দিবস আজ। প্রাণীকুলের অধিকার রক্ষা ও তাদের কল্যাণার্থে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৪ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব প্রাণী দিবস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ন্যাচার ওয়াচ ফাউন্ডেশন দিবসটি সারাবিশ্বে প্রাণীপ্রেমীদের নিয়ে পালন করে থাকে। এ ছাড়াও দেশে দেশে প্রাণী কল্যাণমূলক সংস্থা দিবসটি পালন করে থাকে। একথা বলতে দ্বিধা নেই দিনে দিনে বনাঞ্চল উজাড়, জলবায়ুর পরিবর্তন, বিষাক্ত পানি, হিংস আক্রমণে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ। সাপের সঙ্গে বেজির লড়াই এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। রাতে শোনা যায় না শেয়ালের ডাক। প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও হাসপাতালেই প্রাণী সংরক্ষণ-চিকিৎসার নেই সুষ্ঠু পরিবেশ। অথচ পৃথিবীতে আমাদের টিকে থাকার ও সভ্যতার ক্রমবিকাশের পেছনে প্রাণীদের রয়েছে প্রত্যক্ষ অবদান।

মানুষের পোষা প্রাণীসহ চারপাশের নানা প্রাণী দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অনেকউপকার করে। গাধা বোঝা টানে, কুকুর অনেকের বাড়ি পাহারা দেয়, গাভী দুধ দেয়। ঘোড়া, ভেড়া, ছাগল, বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণী নানা কাজে লাগে। সেই অবদানকে মনে রাখা ও প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়াই হচ্ছে প্রাণী দিবসের উদ্দেশ্য। একথা অনস্বীকার্য যে অনেক উপকার করা সত্বেও আমারা অনেক সময় এসব প্রাণীকে ঠিকমতো খাবার দেই না। যা সত্যিই অমানবিক। প্রাণী হিসেবে তাদের যে বেঁচে থাকার অধিকার সে অধিকার নিশ্চিতে জনসচেতনতার উদ্দেশ্যে ১৯৩১ সালে ইতালীর ফ্লোরেন্স শহরে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের এক সম্মেলনে ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ইতালির আসিজি শহরের সাধু ফ্রান্সিস। তাঁর অত্যান্ত প্রিয় ছিলো পশুপাখি। ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে ইকোলজিস্টদের এক সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৪ অক্টোবর পালন করা হবে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে। কারণ ৪ অক্টোবর ছিল সাধু ফ্রান্সিসের ভোজ উৎসবের দিন। এ দিন বিশ্বের তাবৎ প্রাণিকে ভালোবাসার দিন। অনেকে দিবসটি পোষা প্রাণি হিসেবেও উদযাপন করেন। বিশ্ব প্রাণী দিবসে সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার নিরাপদ আবাসন ও অধিকার নিশ্চিত হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০০

নতুন বলেছেন: কুকুর মেরে ফেলা জায়েজ আছে।

আপনার এই ব্লগটি হাদিসের সাথে। একটু পাল্টে নেবেন কি? :|


গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) | হাদিস নাম্বারঃ ৩০৮৯
১৯৯৯. তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে । কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে, আর অপরটিতে থাকে আরোগ্যে
৩০৮৯। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুকুর মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।’

গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা (كتاب الطهارة) | হাদিস নাম্বারঃ ৬৭
৫৩/ কুকুরের মুখ দেয়া পাত্র মাটি দিয়ে পরিষ্কার করা সম্পর্কে
৬৭। মুহাম্মদ ইবনু আবদুল আ’লা সান’আনী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুকুর মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অবশ্য শিকার ও ছাগপালের পাহারাদারীর জন্য কুকুর রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছেন যে, কোন পাত্রে যখন কুকুর মুখ দেয় তখন তা সাতবার ধৌত করবে এবং অষ্টমবারে মাটি দ্বারা মেজে নেবে।

২১. জীব-জন্তুর ছবি অংকন করা নিষিদ্ধ হওয়া এবং চাদর ইত্যাদিতে সুস্পষ্ট ও অবজ্ঞাপূর্ণ নয় এমন ছবি থাকলে তা ব্যবহার করা হারাম হওয়া এবং যে ঘরে কুকুর ও ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশতাগণ প্রবেশ করেন না
৫৩৩৫। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মায়মুনা (রাঃ) আমাকে (হাদীস) অবহিত করেছেন যে, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে বিষণ্ণ অবস্থায় উঠলেন। তখন মায়মুনা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আজ আপনার চেহারা বিমর্ষ দেখছি! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আজ রাতে আমার সঙ্গে মুলাকাত করার ওয়াদা করেছিলেন, কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে মুলাকাত করেননি। জেনে রাখ, আল্লাহর কসম! তিনি (কখনো) আমার সঙ্গে ওয়াদা খেলাফ করেননি। পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সে দিনটি এভাবেই কাটালেন।

এরপর আমাদের পর্দা (ঘেরা খাট) এর নিচে একটি কুকুর ছানার কথা তাঁর মনে পড়ল। তিনি হুকুম দিলে সেটিকে বের করে দেয়া হল। তারপর তিনি তাঁর হাতে সামান্য পানি নিয়ে তা ঐ (কুকুর ছানার বসার) স্থানে ছিঁটিয়ে দিলেন। পরে সন্ধ্যা হলে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাঁর সঙ্গে মুলাকাত করলেন। তখন তিনি তাঁকে বললেন, আপনি তো গতরাতে আমার সাথে মুলাকাতের ওয়াদা করেছিলেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে আমরা (ফিরিশতারা) এমন কোন ঘরে প্রবেশ করিনা, যে ঘরে কোন কুকুর থাকে কিংবা কোন (প্রানীর) ছবি থাকে।

পরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন ভোরবেলায় কুকুর নিধনের আদেশ দিলেন, এমনকি তিনি ছোট বাগানের পাহারাদার কুকুরও মেরে ফেলার হুকুম দিয়েছিলেন এবং বড় বড় বাগানের কুকুরগুলোকে রেহাই দিয়েছিলেন।

গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৪১/ সাপ ইত্যাদি নিধন (كتاب قتل الحيات و غيرها) | হাদিস নাম্বারঃ ৫৬৩২
পরিচ্ছেদ নাই
৫৬৩২। হাজিব ইবনু ওয়ালীদ (রহঃ) ... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি কুকুর নিধনের হুকুম জারী করতে শুনেছি, তিনি বলতেন, সাপগুলি আর কুকুরগুলি মেরে ফেল। আর (বিশেষত) পিঠে দু'সাদা রেখাবিশিষ্ট ও লেজবিহীন সাপ মেরে ফেল। কেননা এ দুটি মানুষের দূষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নেয় এবং গর্ভবতীদের গর্ভপাত ঘটায়। (সনদের মধ্যবর্তী) রাবী যুহরী (রহঃ) বলেন, আমাদের ধারণায় তা এদের বিষের কারণে; তবে আল্লাহ তাআলাই সমধিক অবগত। রাবী সালিম (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেছেন, এরপরে আমার অবস্থা দাঁড়াল এই যে, কোন সাপ দেখতে পেলে তাকে আমি না মেরে ছেড়ে দিতাম না।

একদিনের ঘটনা, আমি বাড়ি-ঘরে অবস্থানকারী ধরনের একটি সাপ তাড়া করছিলাম। সে সময় যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বা আবূ লূবাবা (রাঃ) আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর আমি তাড়া করে যাচ্ছিলাম। তিনি বললেন, থামো! হে আবদুল্লাহ! তখন আমি বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো এদের মেরে ফেলার হুকুম দিয়েছেন। তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘর-দুয়ারে বসবাসকারী সাপ নিধন করতে নিষেধও করেছেন।

হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া, আবদ ইবনু হুমায়দ ও হাসান হুলওয়ানী (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে উল্লেখিত সনদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে (শেষ সনদের) রাবী সালিহ (রহঃ) বলেছেন, অবশেষে আবূ লূবাবা ইবনু আবদুল মুনযির (রাঃ) এবং যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আমাকে দেখলেন ...... এবং তাঁরা দুাজন বললেন যে, ঘর-দুয়ারে বসবাসকারী সাপ নিধন করতে নিষেধ করেছেন। আর (প্রথম সনদের) রাবী ইউনূস (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে- 'সব সাপ মেরে ফেল'। তিনি (বিশেষ করে) 'পিঠে দু'সাদারেখা বিশিষ্ট ও লেজবিহীন সাপ’ কথাটি বলেন নি।

গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ২৭/ পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس) | হাদিস নাম্বারঃ ৪১১০
৪৫. ছবি সম্পর্কে।
৪১১০. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) .... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী মায়মূনা (রাঃ) বলেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আজ রাতে জিবরীল (আঃ) আমার সঙ্গে দেখা করেননি। এরপর তিনি অনুভব করেন যে, তাঁর খাটের নীচে একটি কুকুরের ছানা আছে। তখন তিনি তাকে বের করে ফেলার নির্দেশ দেন এবং নিজের হাতে পানি নিয়ে সেখানে ছিটিয়ে দেন। এরপর জিবরীল (আঃ) তাঁর সঙ্গে দেখা করে বলেনঃ আমি সে ঘরে প্রবেশ করি না, যেখানে কুকুর এবং ছবি থাকে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালে কুকুর মেরে ফেলার নির্দেশ দেন। এমন কি তিনি ছোট বাগানের সংরক্ষণকারী কুকুরও হত্যার নির্দেশ দেন এবং বড় বাগানের কুকুরকে হত্যা করা হতে অব্যাহতি দেন।

গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) | অধ্যায়ঃ ১৬/ শিকার (كتاب الصيد والذبائح عن رسول الله ﷺ) | হাদিস নাম্বারঃ ১৪৮৬
১৬. কুকুর নিধন প্রসঙ্গে
১৪৮৬। আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুকুর (আল্লাহ্ তা'আলার) সৃষ্ট প্রাণীগুলোর একটি প্রাণী না হলে আমি এর সবগুলোকে মেরে ফেলার হুকুম করতাম। অতএব এগুলোর মধ্যে যে কুকুরগুলো অত্যাধিক কালো সেগুলোকে তোমরা মেরে ফেল।

সহীহ্, মিশকাত তাহকীক ছানী (৪১০২), গাইয়াতুল মারাম (১৪৮), সহীহ আৰূ দাউদ (২৫৩৫)

ইবনু উমার, জাবির, আবূ রাফি ও আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। কোন কোন হাদীসের বর্ণনায় আছেঃ “কালো রং-এর কুকুরগুলো শাইতান”।

সেগুলোই ঘোর কালো কুকুরের পর্যায়ে পরে যেগুলোর মধ্যে সাদা রং-এর কোন চিহ্নমাত্রও পাওয়া যায় না। কালো কুকুরের শিকার খাওয়াকে একদল আলিম মাকরূহ মনে করেন।


গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) | অধ্যায়ঃ পর্ব-২০ঃ শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) | হাদিস নাম্বারঃ ৪১০০
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুকুর সম্পর্কে বর্ণনা
৪১০০-[৩] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে (মাদীনার) সমস্ত কুকুর মেরে ফেলার জন্য নির্দেশ দিলেন। ফলে মফস্বল হতে যে মহিলাটি কুকুরসহ আগমন করত, আমরা তাকেও হত্যা করতাম। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল কুকুর বধ করতে নিষেধ করেন এবং বললেন, তোমরা কেবলমাত্র ঐ সমস্ত কুকুর বধ করো, যেগুলো মিশমিশে কালো এবং দু’ চোখের উপরিভাগে দু’টি সাদা ফোঁটার চিহ্ন আছে। কেননা তা শয়তান। (মুসলিম)[1]

[1] সহীহ : মুসলিম (১৫৭২)-৪৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৬৫১, মুসনাদে আহমাদ ইবনু হাম্বল ১৪৬১৫, সহীহুল জামি‘ ৭৫০৬, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৩৫৭, সহীহ ওয়া য‘ঈফ আল জামি‘ আস্ সগীর ৭৫০৬।
ব্যাখ্যাঃ এখানে কালো কুকুর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যে কুকুরের শরীরে কোন ধরনের সাদা বর্ণ নেই। কোন কোন ‘উলামা এ বৈশিষ্ট্যধারী কুকুর শিকারীর কাজে ব্যবহার করতেও অনিহা প্রকাশ করেছেন, হাদীসে কুকুরকে শয়তানের সাথে তুলনা করার কারণ হলো, কালো বর্ণের কুকুরগুলো সর্বনিকৃষ্ট, এগুলোর অনিষ্টতা বেশি ও উপকার অতি নগণ্য।

শারহুস্ সুন্নাহ্য় রয়েছে কুকুর হত্যার নির্দেশ দ্বারা মাদীনার কুকুর উদ্দেশ্য, কারণ মাদীনাতুল মুনাওয়ারায় মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) ওয়াহী দ্বারা বেষ্টন করে রাখে, আর যে বাড়ীতে কুকুর থাকে সে বাড়ীতে তো মালাক (ফেরেশতা) প্রবেশ করে না। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪৮৬) সাংঘষিক

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বারো হাত কাকুড়ের তের হাত বিঁচি !!
আপনার মন্তব্য একটি গুরুত্বপূর্ণ
আলাদা পোস্ট হতে পারতো।
তাতে লাইক ও মন্তব্য
অনেক বেশী পেতেন।

স্বামী বিবেকানন্দ.বলেছিলেন "জীবে প্রেম করে যেইজন
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর"।
মহাবিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে সবই স্রষ্টার সৃষ্টি। সমস্ত জীবজগৎ তিনিই সৃষ্টি করেছেন
পরম যত্নে নিয়ে, যেমন পরম ভালোবাসায় তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে। তাঁর মহাশক্তির
অন্ততঃ কিঞ্চিৎ ক্ষুদ্রাংশ শক্তি জীবজগতের তাঁর সৃষ্ট প্রত্যেক জীবের মধ্যেই বিরাজমান।
অর্থাৎ জীবজগতের সবকিছুর মধ্যেই তাঁর শক্তির এবং তাঁর অস্তিত্বের উপস্থিতি রয়েছে।
কাজেই প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া পদর্শন করা আমাদের প্রত্যেকেরই পরম কর্তব্য।
কেননা জীবসেবা করলেই প্রকারান্তরে স্রষ্টার সেবা করা হয়। প্রত্যেক জীবের প্রতি
যত্নবান হলে এবং তাদের ভালোবাসলে, তবেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন
করা হয়। স্রষ্টা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন মানবীয় গুণাবলি দিয়ে, জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধি
দিয়ে। যে কারণে জীবজগতের মধ্যে মানুষই শ্রেষ্ঠ জীব। কাজেই সেরা হিসেবে মানুষের
প্রতি যেমন মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, তেমনি প্রতিটি অন্যান্য জীবের প্রতিও
রয়েছে সমান দায়িত্ব এবং কর্তব্য। জীবে সেবা না করে শুধুই ঈশ্বর চিন্তায় মগ্ন হলে
প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করা যায় না। জীবজগৎ নিধনে ব্যাপৃত হলে
একসময় মনুষ্যজীবনও বিপন্ন হয়ে পড়ে। এজন্য বৌদ্ধধর্মে বলা হয়েছে “জীবহত্যা মহাপাপ”।
কথাটা বর্তমান পৃথিবীতে অধিকতর প্রণিধানযোগ্য। উদ্ভিদ ও জীবজগৎ ধ্বংস করার ফলে
এই পৃথিবীর পার্থিব পরিবেশ ক্রমশ বিপন্ন হয়ে পড়ছে। আর তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে কিন্তু মানুষকেই।
তাই নির্বিচারে সকল কুকুর মেরে ফেলা হারাম।
প্রণিজগেক পৃথক জাতিসত্তার স্বীকৃতি দিয়ে কোরআন বলছে : ‘পৃথিবীতে বিচরণশীল যত
প্রাণী আছে আর যত পাখি দুই ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়, তারা সবাই তোমাদের মতো
একেক জাতি।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৩৮)
সে হিসেবে বলা যায়, কুকুর আল্লাহর বিশেষ সৃষ্টি। তাই শিকারির জন্য রাখা কুকুর,
পাহারার জন্য রাখা কুকুর মেরে ফেলা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম বা অবৈধ।

তকে কুকুর সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা হলোঃ

১। শিকারের উদ্দেশ্যে, ফসল হেফাজতের উদ্দেশ্যে, পাহারাদারির জন্য, ছাগল-ভেড়া ইত্যাদির হেফাজতের লক্ষ্যে, ঘরবাড়ি, দোকান ও অফিস পাহারার জন্য, অপরাধের উৎস সন্ধান ও অপরাধীকে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে কুকুর লালন-পালন করা বৈধ। (ফতোয়াতে মাহমুদিয়া : খ. ১৮, পৃ. ২৬৪/ ফতোয়ায়ে আলমগিরি : খ. ৪, পৃ. ২৪২)

২। শখ করে ঘরে কুকুর রাখা, মানুষের চেয়ে কুকুরের যত্ন বেশি নেওয়া, কুকুরের সঙ্গে মানবীয় সম্পর্ক স্থাপন করা ইসলামে নিষিদ্ধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু পাহারা অথবা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর লালন-পালন করে, প্রতিদিন ওই ব্যক্তির দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়।’ (মুসলিম : হাদিস ১৫৭৫; তিরমিজি : হাদিস ১৪৮৭) অন্য হাদিসে আছে, ‘এক কিরাত হলো, উহুদ পাহাড় সমপরিমাণ।’ (মুসনাদে আহমদ : হা. ৪৬৫০)

৩। আমাদের হানাফি মাজহাব মতে, কুকুরের শরীর নাপাক নয়। তাই কুকুর কারো শরীর বা কাপড় স্পর্শ করলে তা নাপাক হবে না। তবে কুকুরের লালা নাপাক। কুকুর মুখ দিয়ে কারো জামা টেনে ধরলে যদি কাপড়ে লালা লেগে যায়, তবে কাপড় নাপাক হয়ে যাবে; অন্যথায় নাপাক হবে না। (আল-বাহরুর রায়েক : ১/১০১; ফতোয়াতে হিন্দিয়া : ১/৪৮; আদ্দুররুল মুখতার : ১/২০৮)

৪। ইসলামসহ আসমানি সব ধর্ম মতে কুকুরের গোশত খাওয়া হারাম।

৫। শিকারির জন্য রাখা কুকুর, পাহারার জন্য রাখা কুকুর মেরে ফেলা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম বা অবৈধ। পাগলা কুকুর, কষ্টদায়ক কুকুর মেরে ফেলা সব আলেমের মতে বৈধ। সাধারণ অবস্থায় থাকা কুকুর নিধন করা, মেরে ফেলা ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়। (সূত্র : কুয়েতভিত্তিক ইসলামী বিশ্বকোষ ‘আল-মওসুআতুল ফিকহিয়্যা আল-কুয়েতিয়্যা : খ. ৩৫, পৃ. ১৩২-১৩৩)

৬। সম্ভব হলে কুকুরকে খাবার দেওয়া, পানি দেওয়া, কুকুর কোথাও পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করা ইসলামের দৃষ্টিতে সওয়াবের কাজ। বিশুদ্ধ হাদিসে কুকুরকে পানি খাওয়ানোর কারণে ব্যভিচারী নারীকেও জান্নাত দান করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একবার এক পিপাসাকাতর কুকুর কূপের পাশে ঘোরাঘুরি করছিল। পিপাসায় তার প্রাণ বের হওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ বনি ইসরাইলের এক ব্যভিচারী নারী তা দেখতে পায়। সে নিজের পায়ের মোজা খুলে কুকুরটিকে পানি পান করায়। এ কারণে তার অতীত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি : ৩৪৬৭)

ঘরে কুকুর রাখা নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ কুকুরের ব্যাপারে ইসলামের কঠোর নির্দেশ কেবল এটাই যে শখ করে ঘরে কুকুর রাখা নিষেধ। হাদিস শরিফে আছে, ‘যে ঘরে কুকুর আছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।’ (বুখারি শরিফ : হা. ৫৫২৫)
তবে কুকুরের লালা যেহেতু নাপাক, তাই কোনো পাত্রে কুকুর মুখ দিলে তা তিন বা সাতবার ধৌত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশের পেছনে কয়েকটি যুক্তি আছে—

প্রথমত, কুকুরের মধ্যে শয়তানের প্রভাব বেশি। তাই আজানের সময় কুকুর আওয়াজ করে।
দ্বিতীয়ত, কুকুর মনিবভক্ত হলেও তার মধ্যে খারাপ স্বভাব বেশি। যেমন—অন্যকে সহ্য না করা, সব সময় খেলাধুলা-দৌড়ের ওপর থাকা, পচা ও নিকৃষ্ট খাবার খাওয়া, যেখানে-সেখানে অশ্লীল কাজে লিপ্ত থাকা, মানুষকে কষ্ট দেওয়া, খাবার দেখলে লালায়িত হওয়া ইত্যাদি। ‘সঙ্গীর প্রভাবে মানুষ প্রভাবান্বিত হয়’—এর আলোকে কুকুরের সঙ্গ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
তৃতীয়ত, কুকুর যাতে মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, এ জন্য কুকুরের সঙ্গ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। কেননা কুকুরের নখ ও মুখে বিষাক্ত জীবাণু রয়েছে। কুকুরের ওপর আস্থা রাখা যায় না। যেকোনো সময় সে মানুষের ক্ষতি করতে পারে। এতে জলাতঙ্কসহ নানা রোগ হতে পারে।
চতুর্থত, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, নিজ ঘরে, বিছানায় কুকুর রাখলে অ্যালার্জি, ভাইরাস সংক্রমণসহ বিভিন্ন বিপত্তি ঘটতে পারে। এ বিষয়ে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. ইউসুফ কারজাভি তাঁর ‘আল-হালালু ওয়াল হারামু ফিল ইসলাম’ নামের বইয়ে কুকুর নিয়ে জার্মান ও লন্ডনের বিভিন্ন গবেষকের গবেষণা উল্লেখ করেছেন। তাঁরা কুকুরের সঙ্গ মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে অভিমত দিয়েছেন।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে বাঘ উধাও, এগুলো কোথায় গেলো?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

চট্রগ্রামের সব বাঘগুলি আমেরিকায় পালিয়ে গেছে !!
ট্রম গাধাকে বলতে হবে আমাদের বাঘ গুলি ফেরৎ দাও
নইলে গুল্লি মাইরা দিমু !!

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: সব প্রানীর সেরা প্রানী মানুষ। আগে মানুষ ভালো ভাবে বাচুক। মানুষ বাচলেই সব প্রানী বাঁচবে।

লাউ- ৬০/৭০ টাকা
আলু- ৪০ টাকা
যে কোনো সবজি ৭০/৯০ টাকা করে।
চাল- ৬০ টাকা।
৬ শ' টাকার কমে তো কোনো মাছই পাওয়া যায় না। (তাও আবার চাষের মাছ)


মানুষ বাঁচবে কেমন করে?

গতকাল সুরভিদের বাসা থেকে নানান রকম খাবার রান্না করে পাঠিয়েছে। প্রায়ই পাঠায়। এটা কি আপনাদের বরিশালের নিয়ম?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

খানসাব মহান আল্লাহ তায়ালা
জগতের কোন কিছুই অপ্রয়োজনে
সৃষ্টি করেন নি। অমরা অবুঝ এবং
সীমিত জ্ঞানে তার কুদরত বুঝতে
পারিনা বলেই সব কিছু নিয়ে তুচ্ছ
তাচ্ছিল্য করে থাকি। মানুষের যেমন
অধিকার আছে পৃথিবীীতে বেঁচে থাকার
তেমনি অন্য সবার। সব প্রাণি বেচে থাকলে
মানুষও বেঁচে থাকবে।

মানুষের হায়াৎ যতদিন আছে কষ্ট হলেও সে
ততদিন বেঁচে থাকবে। আপনি বরিশালের জামাই
আপনার চিন্তা কি ? প্রয়োজনে সব কিছুই পাবেন
শ্বশুর বাড়ি থেকে এটা বরিশালের রেওয়াজ। অভাগা
তারা যারা বিক্রম পুরের জামা্ই !!

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানুষ সহ সকল প্রাণীর বেচে থাকার অধিকার নিশ্চিত হউক। আমিন।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সাচু ভাই
এ পৃথিবী সবার জন্য সকল
প্রাণীর জন্য। খোদার দুনিয়ায়
কেউ কারো মুখাপেক্ষী নয় সবাই
এক মাত্র আল্লাহর মুখাপেক্ষী।

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বারো হাত কাকুড়ের তের হাত বিঁচি !! আপনার মন্তব্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আলাদা পোস্ট হতে পারতো। তাতে লাইক ও মন্তব্য অনেক বেশী পেতেন।

লাইক আর মন্তব্য পেতে তো লিখি না মনের তাগিদে লিখি।

তাহলে উপরের ব্লগে আপনার দাবী কি হাদিসের আলোকে ঠিক আছে?

আজ ৪ অক্টোবর, বিশ্ব প্রাণী দিবসঃ বিশ্বের সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত হোক

নাকি আজ ৪ অক্টোবর, বিশ্ব প্রাণী দিবসঃ কুকুর বাদে বিশ্বের সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত হোক

কারন হাদিস অনুযায়ী কুকুর কালো বলে মেরে ফেলার হুকুম আছে...

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

নতুন ভাই আমি আপনাকে বুঝাতে চেয়েছি
নির্বিচারে সকল কুকুর মেরে ফেলা হারাম।
কারণ প্রণিজগেক পৃথক জাতিসত্তার স্বীকৃতি দিয়ে
কোরআন বলছে : ‘পৃথিবীতে বিচরণশীল যত
প্রাণী আছে আর যত পাখি দুই ডানা মেলে উড়ে
বেড়ায়, তারা সবাই তোমাদের মতো
একেক জাতি।
’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৩৮)

সে কারনে শিকারির জন্য রাখা কুকুর, পাহারার জন্য রাখা কুকুর মেরে ফেলা
সর্বসম্মতিক্রমে হারাম বা অবৈধ। পাগলা কুকুর, কষ্টদায়ক কুকুর মেরে ফেলা সব
আলেমের মতে বৈধ। সাধারণ অবস্থায় থাকা কুকুর নিধন করা, মেরে ফেলা ইসলামের
দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়। (সূত্র : কুয়েতভিত্তিক ইসলামী বিশ্বকোষ ‘আল-মওসুআতুল
ফিকহিয়্যা আল-কুয়েতিয়্যা : খ. ৩৫, পৃ. ১৩২-১৩৩)

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ক্ষতিকর ও ভয়ঙ্কর কুকুর মেরে ফেলার অনুমতি আছে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমি আমার মন্তব্যে তা উল্লেখ করেছে নতুন সাহেবের প্রতি উত্তরে।
তবে ইসলাম নির্বিচারে কুকুর হত্যার কথা বলে নি যা নুতুন সাহেব
দাবী করেছেন !!

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সব কিছুতেই কোরান হাদিস টেনে আনা ঠিক না।পৃথীবির বেশির ভাগ লোক কোরান হাদিস ছাড়াই সুন্দর জীবন যাপন করছে।
আর এই দিহস টাও কোরান হাদিসের আলোকে নির্ধারণ করা হয় নই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমার লেখাটি কোন কোরআন হাদিসের আলোকে
লেখা হয়নি। কিন্তু কেউ কেউ যখন তাদের মন্তব্যে
কোরআন হাদিস টেনে আনেন তখন তার প্রতিউত্তরে
কোরআন হাদিসের রেফারেন্স না টেনে কোন উপায়
থাকেনা। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.