নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগামী জুনে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ

১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৫


প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত রোগী বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ, আসে প্রথম ঢেউ। এরইমধ্যে ভাইরাসটির দ্বিতীয় ঢেউ বয়ে যাচ্ছে দেশের ওপর দিয়ে। এমন অবস্থায় আগামী মাসেই করোনার ‘তৃতীয় ঢেউ’ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের শীর্ষ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ভাইরোলজিস্টরা জুনের শুরুতে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, 'করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভেরিয়েন্টটি অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একজন থেকে ৪০০ জন পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে। দেশে এই ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তখন সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে'। বিশ্বজুড়েই এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতীয় ধরন। পাশের দেশ হওয়ায় সতর্ক পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরে সরকার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক করে আসছিল। বলা হচ্ছিল এই ভেরিয়েন্ট দেশে ঢুকলে বিপদ অনেক বেশি হবে। বলতে বলতেই ভারতীয় ভেরিয়েন্ট এরই মধ্যে ঢুকে পড়েছে দেশে। তাতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও বেড়ে গেছে। এদিকে, সীমান্ত বন্ধ থাকার পরেও দ্রুত ছড়ানো করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কয়েকজন রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে। জনগণ এখনই সচেতন ও সতর্ক না হলে সেটিও বিস্তারের আশঙ্কা থাকছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. তারেক হুসেন বলেন, যে হারে ভারতীয় ধরনগুলো ছড়িয়ে পড়েছে তা করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনগুলোর তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক এই উপাচার্য এবং কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, দু'টি কারণে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর তৃতীয় তরঙ্গের ধাক্কা এড়ানো সম্ভব নয়। বলেন, “প্রথমত, কোভিডের ভারতীয় ধরনটি ইতোমধ্যে দেশে শনাক্ত করা হয়েছে। তাও এমন সময়ে যখন ফেরি, পরিবহন এবং শপিংমলে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে পাগলের মতো সবাই ভীড় করছে।” “দ্বিতীয়ত, ভ্যাকসিন সংকটের কারণে দেশে টিকাদান কর্মসূচিও সন্তোষজনক নয়,” তিনি আরও বলেন। এর আগেও, উপদেষ্টা কমিটি কোভিডের ভারতীয় ধরনগুলো বিবেচনা করে সরকারকে দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিষয়ে তাদের পূর্বাভাস জানিয়েছিল। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে সরকারকে দেওয়া এক চিঠিতে আমরা পরামর্শ দিয়েছিলাম “যে কোনো মূল্যে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

“ঈদের সময়ে ফেরি, লঞ্চ টার্মিনাল এবং শপিংমলগুলোতে অনিয়ন্ত্রিত জনসমাবেশ কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গের কারণ হয়ে উঠবে এবং এর প্রভাব ঈদের দুই সপ্তাহ পর অর্থাৎ জুনের শুরুতে দৃশ্যমান হবে।” স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গত কয়েক দিনে যেভাবে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে মানুষ ভিড় করছে, গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে পথে পথে ঢল নেমেছে লাখো মানুষের, তাতে এই ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে গোটা দেশকে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহীদুল্লা বলেন, ‘ভারত ভেরিয়েন্ট যদি বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে জুনে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। দ্বিতীয় যে ঢেউটা কমিয়ে আনা হয়েছে তা আবার ইউটার্ন নিতে পারে। এর মধ্যে করোনার ভারত ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে নেপালের মতো পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বজুড়েই এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতীয় ধরন। পাশের দেশ হওয়ায় সতর্ক পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। যেমনটি হয়েছে নেপালে। কিছুদিন আগেও নেপালে ভালো পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু হঠাৎই পরিস্থিতির অবনতি হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ইতালি, ইংল্যান্ড থেকে এসে যদি দেশে করোনা সৃষ্টি হতে পারে তাহলে আমাদের পাশের দেশ থেকে এটা আসতে পারে বা আসবে তা ধরেই নিতে হবে। দফায় দফায় লকডাউনের কারনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমতে থাকলেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য লকডাউন জারি রেখেছে সরকার। কিন্তু ঈদে স্বাস্থ্যবিধির না মেনে মানুষ বাড়ি ফেরায় আরেকটি ঢেউ আসতে পারে, বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এদিকে ঈদ শপিং আর ঈদযাত্রায় বাধা হতে পারেনি করোনা সংক্রমণ। ঝুঁকি নিয়েই মানুষ বাড়ি ফিরছে। শপিং করছে ক্রেতাসাধারণ। সর্বত্রই উপচে পড়া ভিড়। একজনের গায়ে অন্যজন লেগে কেনাকাটা করছে। বাড়ি ফিরতে গিয়ে লঞ্চেও ছিল বিপুলসংখ্যক মানুষ। সর্বত্রই উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। অনেক মানুষই পরছে না মাস্ক। মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। এ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। ঈদে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট যানবাহন ও ফেরিতে গাদাগাদি করে প্রচুর মানুষ বাড়ি ফিরছে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণ ঝুঁকি অনেক বেড়েছে। এসব মানুষ বাড়িতে গিয়ে পরিবারের জীবনও বিপন্ন করে তুলছেন। ঈদ-পরবর্তী সময়ে গ্রাম থেকে ফিরে কর্মস্থলে যোগদানে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করতে পারে। দেশে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হলেও ঈদের পর গ্রাম ও মফস্বল শহরগুলোয় ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। ঈদের সাত থেকে ১০ দিন পর সংক্রমণের সংখ্যা অবশ্যই বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সেটি যদি দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের পাশের দেশের ভেরিয়েন্টের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যায় তাহলে কিন্তু বিশাল বিপত্তি বাধবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম লেছেন, ‘ইতিমধ্যে ৬৫ লক্ষ মানুষ ঢাকা শহর ছেড়ে গেছে, তাই ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধিসমূহ প্রতিপালনে আরও কঠোর হয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে।’এটি আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের বিভিন্ন উৎসব, চাকুরী, ব্যবসায় বাণিজ্য নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেগুলো নিশ্চয়ই জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।

এ তথ্য অপ্রসাঙ্গিক নয় যে, গত ৭ মে পর্যন্ত ৩৪ লাখ জন ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজই গ্রহণ করেছে। যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ। আর ৫৮ দশমিক ২ লাখ জনেরও কম মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে। যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)এর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, একটি দেশে কোনো রোগের বিরুদ্ধে জনগণের শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য দেশটির মোট জনসংখ্যার অন্তত ৭০ শতাংশকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। ডা. তারেক বলেন, “যেহেতু আমাদের টিকা দেওয়ার আদর্শ কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গ মোকাবেলায় আইসিইউগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করে আবারও হাসপাতালগুলো প্রস্তুত করা উচিত।” স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমিতসংখ্যক যারা বাংলাদেশে আসছেন তাদের যথাযথভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ঈদের পর আরও কয়েক দিন যানবাহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতে অর্ধেক কর্মী নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সামাজিক, সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক বা ধর্মীয় জনসমাগম বন্ধ রাখতে হবে। কঠোরভাবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। টিকা দিলেও বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। তাহলেই করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।এজন্য আমাদের সীমান্ত আরও কিছুদিন বন্ধ রাখতে হবে।’ সতর্কাতা হিসেবে দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভেরিয়েন্ট রোধে ঈদুল ফিতরের পর চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ১৬ মে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনার বিস্তার রোধে আমাদের পরিকল্পনা আছে আর এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর। দেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এটা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।’ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরলেই নিরাপদ, আর না পরলে বিপদ- এ কথাটি মাথায় রাখতে হবে।’ উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন চলছে এবং ১৬ মে লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ১৬ মের পরে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে। বেকরোনার কারণে ঈদে লঞ্চ, ট্রেন এবং দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ঈদের পর মানুষ কর্মস্থলে ফিরলে মহাসংক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় ঈদের ফিরতি যাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার সুপারিশ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষ যেভাবে ভিড় জমিয়ে বাড়ি গিয়েছেন, তাদের ফিরতি যাত্রা বিলম্বিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। পরে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ফেরানোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।

প্রসঙ্গতঃ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১২৪ জনে। এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৬১ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৬ জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে সুস্থ ৯৬৪ জন।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। দুই মাস পর আজই শনাক্তের সংখ্যা এতটা কমল। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
সূত্রঃ Dhaka Tribune

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভারত থেকে মানুষ কিভাবে দেশে প্রবেশ করলো?

১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বাঙ্গালীর বুদ্ধি সম্পর্কে আপনার ধারণা খুবই কম!
চান্দের মাটি খুড়লে যে দেশে বাঙ্গালী পাওয়া যায়
সেই বাঙ্গালী কি করে ভারত থেকে প্রবেশ করলো
তা জিজ্ঞাসিয়া আপনি আপনার মেধা শক্তির গায়ে
কালিমা লেপন করলেন !! আপনি শুনে থাকব্নে হয়তো
এরা যশোহর বর্ডার পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে।
আপনার জন্য খবরটি আবার পরিবেশন করছিঃ
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান,
দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। যশোরে কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত ৪ রোগীর
দেহে ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা ভারত থেকে ফিরেছেন।
তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে যশোরে অবস্থান করছেন। এদিকে
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভারত থেকে দেশে ফেরার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে
থাকাদের মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ফিরেছেন।

২| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



যেদিন বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা বলেছিলো যে, ভারতে অধিক সংক্রমণ ক্ষমতার ১টা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে; সেদিন থেকে ২ দিনের মাঝে, পিএম'এর উচিত ছিলো সীমান্তে ৪ লাখ ভলনটিয়ার নিয়োগ দেয়া।

১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বাঙ্গালী ভাবিয়া করেনা কাজ
করিয়া পরে ভাবে !!
আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন
সবই উতরে যাবে!

৩| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ কারো কথা শুনে না। করোনা নিয়েও দেশের মানুষের মধ্যে কোন ভত ডর নেই। এই জন্য এই জাতকে ভুগতে হবে।

১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এই জন্য কবি গুরু আক্ষেপে করে
বলেছিলেনঃ
“ সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী
রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি ”

এরা জানে শুধু ভাত খেতে
এই জন্যই ভেতো বাঙ্গালী বলা হয়।

৪| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "বাঙ্গালী ভাবিয়া করেনা কাজ করিয়া পরে ভাবে !! আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন সবই উতরে যাবে! "

-আল্লাহ ভাইরাস বানান না, টিকাও বানান না; মানুষ কলেরা, বসন্ত, যক্ষা ও করোনার টিকা বানায়েছেন।

১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভাইরাসের কোন শক্তি নাই মানুষকে ক্ষতি করার যদিনা
সে আল্লাহর কাছ থেকে আদেশ না পায়।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এমন কোনো রোগ নেই যা আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেননি। আর তিনি এর প্রতিষেধকও সৃষ্টি করেছেন। ’
মুমিনের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সে সর্বদা আল্লাহর ফায়সালা ও সিদ্ধান্তের ওপর সমর্পিত থাকে।
বিশেষ করে বান্দা যখন আল্লাহ তায়ালার হুকুম মেনে চলে তবে তার জীবন হয় চিন্তামুক্ত।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘জেনে রাখো, আল্লাহর বন্ধুদের
কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (সূরা ইউনূস : ৬২)।

...যখন কোনো কওমের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা তা প্রকাশ্যেও করতে শুরু করে
তবে তাদের মাঝে দুর্ভিক্ষ ও মহামারি ব্যাপক আকার ধারণ করে, যা তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে ছিল না। ’
(ইবনু মাজাহ, আসসুনান : ৪০১৯)।
করোনা ভাইরাস মহামারি বছর পার করলেও জীবাণুটি এখনও দুর্বল হয়নি জানিয়ে কেমব্রিজের
পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই গবেষক বলেন, “ভাইরাস থেকে যেসব রোগ মহামারি আকারে ছড়ায়
সেগুলো বিভিন্ন কারণে এক সময় দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে করোনা ভাইরাস দুর্বল হয়েছে এমন
কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। ”
দুনিয়াবি এই মহামারি বা বিপর্যয় ও বিভিন্ন বিপদ-আপদ সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুণ বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন
করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে। ’ (সূরা: রূম, পারা: ৩০, আয়াত: ৪১)।

অবস্য এসব কথা ঈমানদার মুমিনে জন্য। অবিশ্বাসীদের জন্য নয়।

৫| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: আল্লাহ ভরসা।

১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আসুন সবাই আমরা আল্লাহর উপর ভরসা রাখি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা
মেনে করোনাসহ যে কোনো মহামারিমুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন।
হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

৬| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এখন কত তম ঢেউ চলছে??

১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জনাব এখন চলছে দ্বিতীয় ঢেউ
যা আমার অদ্যকার এ লেখার
দ্বিতীয় লাইনে স্পষ্ট করে লেখা
আছে। আগে পড়ুন পরে প্রশ্ন
করুন।

৭| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ মানুষের অপকার করে না,উপকারও করে না।শুধু বসে বসে দেখে।

১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আল্লাহর যা হুকুম, নির্দেশ তা নাজিল করে বান্দাদের দেখতেছেন
তারা কি ভাবে তার আদেশ নির্দেশপালনা করে !! নির্দেশ অমান্যকারীদের
জন্য শাস্তি এবং পালনকারীদের জন্য পুরস্কার আছে যা কিছু দুনিয়াতে এবং
কিছু পরকালের জন্য জমা থাকে। এটা বিশ্বাসীদের জন্য্। অবিশ্বাসীরা এটা
মানতে চাইবেনা কারন তাদের কান ও চোখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

৮| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করেছি। সবাই সতর্ক থাকা উচিৎ। সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রয়োজনীয় খাদ্যাভ্যাস এবং সাস্থ্যবিধি মেনে আমরা আমাদের বাঁচতে সহায়তা করতে পারি।

১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সেলিম ভাই অনেক দিন পরে এলেন !
আশা করি সুস্থ্য আর নিরাপদে আছেন।
সবারই আপনার মতো সচেতন হওয়া
আবশ্যক।

৯| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসবে না।
খেলায় করে দেখবেন, গত কয়েকদিনে আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খানসাব করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অলরেডি চলতেছে !
তৃতীয় ঢেউ আসার শঙ্কা করা হচ্ছে এই কারনে যে
যে হারে মানুষ গাদাগাদি করে ঈদ করতে দেশে
গেছে তারা আবার ঢাকা আসবে গাদাগাদি করে
কোন রকম সামাজিক নিরাপত্তা না মেনে ঢাকা
ফিরবে তখনই হবে বিপত্তি । যা হোক আমরা
আশা করবো আমাদের দেশ করোনার তৃতীয়
ঢেউ থেকে মুক্ত থাকবে। আল্লাহ আমাদের
সহায় হবেন।

১০| ১৬ ই মে, ২০২১ ভোর ৫:৫৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কানাডার প্রাদেশিক সরকারগুলো এস্ট্রোজেনকার ভেকসিন স্থগিত করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে এস্ট্রোজেনেকার ভেকসিনের বিশাল স্টক পড়ে রয়েছে। তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে হলে বাংলাদেশের উচিত কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে এই স্টক থেকে টিকা আনার ব্যবস্থা করা।

১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমেরিকা বেনিয়ার জাত
মানবিকতার ধুয়া তোেলে!
লাভ না হলে তারা কারো
জন্যই কিছু করেনা।
তারা জানে দেশের
অবস্থা ইচ্ছা করলে
সহয়তার হাত
বাড়াতে পারে।
কিন্তু তা তারা
করবেনা !
বলে লাভ
নাই।

১১| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩০

রানার ব্লগ বলেছেন: এই যন্ত্রনা আর ভালো লাগে না, প্রথম প্রতজম ভাবছিলাম আহ অফিস বন্ধ কি মজা কিন্তু এখন আঃর ভালো লাগে না, সারাক্ষন ভয়ে থাকি।

১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালোনা
বেশী সুখও ভালা না !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.