নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশফুলে মেঘের মায়া -নুরুন নাহার লিলিয়ান

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪২


এপ্রিল মাস। পৃথিবীতে চলছে সঙ্গ নিরোধকাল।
নিস্তব্ধতায় ঢেকে গেছে পৃথিবীর ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ যেন ঘুমন্ত নগরী। ভয়ংকর মৃত্যুপুরী!
যে শহর ঘুমায় না মানুষের কোলাহলে সে শহর কয়েকদিনের ব্যবধানে ঘুমিয়ে পড়েছে। যে শহরের অভিজাত শপিংমল আর বিনোদন কেন্দ্র গুলোর আলোক ঝলকানি মানুষের ঘুম কেড়ে নিতো সেখানে যেন অমাবস্যার আঁধার নেমেছে।
জনমানবশূণ্য নিভৃত শহরের চারপাশ। কানে শুধু এম্বুল্যান্সের আওয়াজ পাওয়া যায়। শুধু যেন এম্বুলেন্সেই প্রাণ আছে। আর গোটা পৃথিবী মৃত।
বাতাস যেন গভীর কান্নার নোনাজলে ভারী হয়ে উঠেছে। উপরের আকাশ নিরন্তর কষ্টের ভেলায় ভেসে বেড়াচ্ছে । মানুষ থেকে মানুষের দূরত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মানব অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা। বেঁচে থাকতে একাকী নিঃসঙ্গ জীবন যেন সেরা পথ্য।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। মনেহয় যেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন নিউইয়র্ক। একদম অচেনা এক পৃথিবী। আমি জানালার কাছ থেকে একবার বাইরের পরিবেশটা দেখে রুমে এসে বসি। আমার গায়ের জ্বরটা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু আমার স্ত্রী ড. কাশফিয়া খুব দ্রুত বেশ দূর্বল হয়ে পড়েছে। তিন সপ্তাহের জ্বর। আমি প্রথম দিকে খানিকটা দূর্বল হলেও এখন কিছুটা স্বাভাবিক।
আমার অসুস্থ স্ত্রী দু'চামচ ড্যানডাফ দিয়ে হট কফি খেতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্ল্যাক কফি তাঁর আর খাওয়া হয়নি। ব্লাক কফি আমাদের দু'জনেরই খুব পছন্দ।
প্রায় দুই ঘন্টা হয় আমার স্ত্রী মারা গিয়েছে। আমি বুঝতেই পারিনি। সে সকাল থেকে স্বাভাবিক ছিল। দুপুরে হঠাৎ বলল, "শরীর একটু বেশি খারাপ লাগছে। আমি যেন এক কাপ কফি ওকে বেড রুমে দিয়ে আসি।"
আমি ছেলেদের জ্বর মেপে এলোমেলো বাসার সব কিছু গুছিয়ে কফি তৈরি করি।
কিন্তু কফি ওর বেড সাইড টেবিলে রেখে আসি। দুই তিন বার কানের কাছে আস্তে করে বলেও আসি, " কাসফি তোমার কফি। ড্যান ডাফ কফি! দেখো তো লিকার ঠিক আছে কিনা? "
কিন্তু সে তেমন কোন সাড়া শব্দ করেনা। আধা ঘন্টা চলে যাওয়ার পর ও সে তেমন কোন সাড়া দেয় না। কিছুক্ষণ আগে ওর কপালে হাত রাখতে গিয়ে বুঝলাম সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। হয়তো আরও কিছু সময় আগে।
প্রথমে মৃত্যুর বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য মনেহয়নি। আমার নিজের কাছেই অদ্ভুত লাগছিল। ঘন্টা কয়েক আগেই মানুষটা আমাকে কফি বানাতে বলে ঘুমাতে গেল। সে মানুষটা চিরতরে চলে গেছে!
আমি ওর সামনে কতোক্ষণ বসে ছিলাম আমার মনে পড়ে না।
আমি কোন ভাবেই কাসফিয়ার মৃত্যুকে সত্য বলে গ্রহণ করতে পারছিলাম না।
গত সপ্তাহে একবার ৯১১ এ কল দিয়েছিলাম। তখন আমার অবস্থা কিছুটা নাজুক ছিল। শেষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম হয়তো পৃথিবীতে আয়ু আর নেই।
কিন্তু ডিউটিতে থাকা অ্যাটেনডেন্টরা জানাল বাসায় চিকিৎসা নিতে। এতো বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হাসপাতালে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না।খবরে দেখলাম খোলা আকাশের নিচে তাবু করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক অঞ্চলের ইস্ট মিডোর খোলা মাঠ হাসপাতালে পরিনত হয়েছে।
সারা পৃথিবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটা দেশ কয়েক দিনেই যেন লন্ডভন্ড। যখন চীনে মানুষ মারা যাচ্ছে তখন আমেরিকায় চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সচেতন থাকলে হয়তো এতো দ্রুত ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারত না। এখনও ভাবলে দম বন্ধ হয়ে যায়। যখন প্রথম সংক্রমণের কথা প্রকাশ হল নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো জানাল " হয়তো কমিউনিটিতে ছড়াবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। " কিন্তু শুধু কমিউনিটিতে ছড়ায়নি মুহুর্তে লাশের পর লাশ বাতাস ভারী করতে শুরু করল। তীব্র অর্থনৈতিক সংকট ও শুরু হল। আমেরিকায় সমস্যার যেন শেষ নেই।
ডাক্তাররা করোনা ভাইরাস সুরক্ষা সরঞ্জাম পাচ্ছে না। চিকিৎসা সেবা ও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে । সব মিলিয়ে নিউইয়র্ক শহর এক বিচ্ছিন্ন গোরস্থানে পরিনত হয়েছে।
কখন কাশফিয়ার নিথর দেহ নিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত তারপর সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেছে টের পাইনি।
আমার এক বন্ধুকে ফোনে জানালাম। সে বাঙালি কমিউনিটিকে জানাল।তারপর আমার প্রিয়তম স্ত্রী মাটির দেশের বাসিন্দা হয়ে গেল।আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধুটি পরিবারের সবাইকে আচমকাই ভয়ংকর কষ্টের সাগরে ফেলে দিয়ে চলে গেল। আমি আর আমার কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠি।সময় যেতে যেতে আমেরিকার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
কয়েক মাস কেমন করে কেটেছে আমার শূণ্য মস্তিস্ক ধারণ করতে পারেনি। আমার সহকর্মী ও বন্ধুরা সব রকম সহযোগিতা করেছে। কিন্তু জীবনে এমন কিছু কষ্ট থাকে যা কোন সহযোগিতায় সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় না।
আমার ছেলেরা মায়ের মৃত্যুর পর অনেকটাই চুপসে গেছে। সাজানো সুখের সংসার দুঃখবাণে ভেসে গেলো।
করোনা পরিস্থিতি বাড়ছে কমছে জীবন আপন গতিতে চলতে লাগল।
২০২০ সালটা আজীবনের জন্য বিষাক্ত হয়ে গেল।
আমি ড. মুবিন আর আমার স্ত্রী ড. কাশফিয়া দু'জনেই ঢাকার বিক্রমপুরের। স্কুল জীবন থেকেই এক সাথে বেড়ে উঠেছি।
আমাদের অপরিপক্ক প্রেম ছিল। কিন্তু সেই মফস্বল শহর বিক্রমপুর থেকে নিউইয়র্ক এতো দূর আসতে পারবো কোন দিনই ভাবতে পারিনি।
দু'জনে নানামুখী যুদ্ধ করেছি। জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাত গিয়েছে। কিন্তু কাশফিয়া আমার হাতটা ছাড়েনি।
সেই মফস্বল শহর থেকে আমেরিকা এসে আমরা দু'জন একই সাথে পিএইচডি করেছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। কাশফিয়া একটি রিসার্চ ফার্মে গবেষক হিসেবে কাজ করছে অনেক দিন হলো। আমাদের ছেলেদের বয়সের ব্যবধান আড়াই বছর। কিন্তু দু'জনেই শৈশব থেকেই জমজ শিশুর মতো বেড়ে উঠেছে। আমাদের সংসারে ছেলে দু'টো বেশ সুন্দর ভাবেই বেড়ে উঠছিল। হঠাৎ সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেল। কোন দিন এক মুহুর্তের জন্য ভাবিনি কাশফিয়া এমন করে চলে যাবে।
আজকে আমার ছেলেদের মা নেই। আমার পাশে থাকা পরম আপন মানুষটা নেই।
ডিসেম্বর, ২০২১। নিউইয়র্কে এখন করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন নিয়ে সবাই আতংকিত। আমি নিজে বাঁচব কিনা জানি না। হয়ত এখন মরেই বেঁচে আছি। একটা জীবিত লাশ নিরন্তর পৃথিবীর নিয়ম মেনে চলেছে।
কাশফিয়া তখন ক্লাস নাইনে পড়ে। ওর বাবা সেখানকার শিক্ষা অফিসার।ওদের সরকারি বাসার সামনে দিয়েই আমাদের বাসায় যেতে হয়। তবে মাঝখানে কয়েকটা বাসা আছে।
নতুন ফরিদপুর থেকে বদলি হয়ে বিক্রমপুরে এসেছে। আমি ছিলাম পাড়ার বাউন্ডুলে ছেলেদের একজন।
কাশফিয়াদের বাসার পেছনে বড় একটা খোলা মাঠ ছিল। সে মাঠেই আমরা কয়েকজন ক্রিকেট খেলতাম। হঠাৎ একবার বল করতে গিয়ে এক বাসার জানালায় চোখ পড়ে। একটা নির্মল স্নিগ্ধ চেহারার মেয়ে দূরে কিছু একটা দেখছে।
আমি খেয়াল করে দেখলাম মাঠের শেষ প্রান্তে অনেক এলাকা জুড়ে কাশবন।কাশফুলের সৌন্দর্যে মেয়েটি অদ্ভুত বিস্ময়ে উপভোগ করছে।
সেদিনই হয়তো প্রথম দেখায় কাশফিয়াকে ভালোবেসে ফেলে ছিলাম। তারপর পড়াশুনা ও খেলাধুলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি। বেশ কিছুদিন পরের ঘটনা।
একদিন যে কোচিংয়ে আমরা ম্যাথ করতাম। সেইখানে একদিন স্যার দু'টো মেয়েকে আমাদের ব্যাচে ঢুকালো। ম্যাথ ক্লাসের হিসাব নিকাশ করতে করতে কখন যে একটা বেহিসেবী সম্পর্ক জন্ম নিল আমরা টের পাইনি। বুঝতাম দু'জন দু'জনকে ছাড়া থাকা অসম্ভব।
সেই যে কাশফিয়া আমার জীবনে চলে এলো আমৃত্যু রয়ে গেছে।
ওর মনটা কাশফুলের মতো শুভ্র সাদা ছিল। এই জগত সংসারের যাপিত লোভ লালসা ওর মধ্যে দেখিনি।বয়সে কাশফিয়া আমার দু'বছরের ছোট ছিল৷ অল্প বয়সেই ছাত্রজীবন থাকতেই আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। প্রথমে পরিবার মানতে চায়নি। তারপর আমাদের জেদের কাছে দুই পরিবার হার মানে। পড়াশুনা শেষ করে আমি একটা ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। সেই সাথে উচ্চতর পড়াশোনার প্রস্তুতিটা ও চলে। সংসারের শত কষ্টের মাঝেও সম্পর্কের নির্ভরতা, সৌন্দর্য ও শান্তি ছিল।
আমার সাথে সাথে নিজের সংসার, সন্তান ও নিজের ক্যারিয়ারটা সুন্দর ভাবে গুছিয়ে নেয়। জাগতিক জীবনের বৈষয়িক চাহিদা কমই ছিল। শুধু কাশফুলের প্রতি ছিল তীব্র আকর্ষণ।
শহর গ্রাম দেশ বিদেশ যেখানে কাশফুল দেখত ও কেমন বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যেত।
ওকে খুশী করতে হলে এক মুঠো কাশফুল দিলেই হতো।
আমার ছেলে দু'টো পড়াশুনায় ভালো। ওরা মায়ের মতোই শোক কষ্ট চেপে নীরবে নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে। বাইরের জগত নিয়ে আমার তেমন কোন দুঃশ্চিন্তা নেই। ভেতরটা যে পুড়ে গেছে সে দহন জ্বালা বহন করতে তীব্র কষ্ট হয়।
প্রিয় মানুষ গুলো পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। রেখে যায় আরেকটা অদৃশ্য ক্লোন মানুষ। প্রতি পদক্ষেপে সেই অদৃশ্য ক্লোন মানুষটা গভীরভাবে মায়ায় জড়িয়ে থাকে। সে সুখের স্মৃতি গুলোকে ক্ষণে ক্ষণে কুড়িয়ে আনে।
কখন ও কখনও জীবনটাকে থামিয়ে রাখে।
আমার পরিবারের একজন চলে গেছে। এমন অনেক পরিবার আছে যারা একাধিক প্রিয়জন হারিয়েছে অল্প সময়ের ব্যবধানে।
অতলান্তিক সমুদ্র তলে তলিয়ে যাওয়া পৃথিবীটা সব কষ্ট বুকে নিয়ে আবারও মাথা তুলে দাঁড়াবে। সময়ের ব্যবধানে সবাইকে চলে যেতে হবে। কিন্তু পৃথিবীর পৃষ্ঠায় এই ভয়াবহ মহামারির গল্প চোখের জলে লেখা থাকবে।
আজকে দুপুরে নিউইয়র্কের আকাশটা বেশ ঝলমলে ছিল। তেমন একটা ঠান্ডা পড়েনি। মানুষজনের মনে অমিক্রনের আতংক হয়তো আছে। কিন্তু জীবনের গতিতে ঠিকই মানিয়ে নিয়েছে। বাসার কাছেই একটা সুপার সুপ থেকে কিছু খাবার দাবার কিনে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ পথে চোখ আটকালো।
আমি গাড়ি থামিয়ে শান্তভাবে দেখার চেষ্টা করলাম। একটা পার্কে কিছু কাশবন যেন দুলছে। আমি গাড়ি রেখে হেঁটে হেঁটে এগিয়ে গেলাম।
যতো কাছে যেতে থাকি ততো বেশি অচেনা হতে থাকে। কাশফুল নয় অজানা কোন ফুল। অনেকটাই কাশফুলের মতো। আমি ফুল গুলোর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। তারপর সেগুলো তুলে নিলাম। চারিদিকে কেমন একটা নিস্তব্ধতা।
ফের গাড়িতে এসে ফ্লাস্ক থেকে এক কাপ গরম কফি নিলাম। আমার প্রিয় ব্ল্যাক কফি। আমাদের প্রিয় ব্ল্যাক কফি। কফি থেকে গরম ধোঁয়া উড়ছে। আমি যে আবার আমাদের পুরোনো দিনে ফিরে গেছি। ফুল গুলোকে আমার পাশেই গাড়ির সীটে রাখলাম যেখানটায় কাশফিয়া বহু বছর বসেছে। এখনও যেন ওর গায়ের সেই চেনা ঘ্রাণটা আমাকে মোহিত করে রেখেছে।
কফি শেষ করে আমি ড্রাইভ করি বাসার উদ্দ্যেশে। ছেলেরা বাসায় ফিরবে। আমি মনোযোগ দিয়ে ড্রাইভ করছি। আমার পাশে থাকা ফুল গুলো যেন আচমকাই প্রাণ পেয়েছে। অদ্ভুত ভাবে গাড়ির সাথে দুলছে। যেন কাশফিয়া আমার পাশেই বসে দুলছে। আমি বিস্ময় ভরা চোখে তাকাই। গভীর ভালোবাসা ও মায়া নিয়ে তাকাই।
বুকের কোথাও গভীরভাবে একটা শীতল অনুভূতি ছুঁয়ে যায়। আমাকে যেন অবশ করে দেয়।
যে কাশফুলে একটা সময়ে গভীর ভালোবাসার স্বপ্ন ছিল। সেখানে আজ মেঘের মায়া! সেখানে কেবলই শোকের ছায়া!
যে মায়া শেষ নিঃশ্বাস অবধি ছায়া হয়ে আকড়ে থাকবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



করোনায় জ্বর ৩ সপ্তাহ থাকে না; খুব বেশী হলে ১ সপ্তাহ, তাও উঠানামাতে থাকে; ফুসফুসের অবস্হা বুঝে, পরে কাশি থাকতে পারে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আমার পাশের ফ্ল্যাটেই হয়েছিল ১ মাস ছিল জ্বর। আমার প্রকাশক করোনায় মারা গেছেন উনি ও ২৮ দিন হাসপাতালে ছিলেন । আমার কাজিনের ছিল । ধন্যবাদ

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন আবেগময় লেখা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা । অনেক ধন্যবাদ রাজিব ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.