নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃতি ও পৃথিবী

তানজিলা নুসরাত

পরিবেশ, বিজ্ঞান এবং মানব প্রকৃতি নিয়ে ভাবতে আমার অনেক ভাল লাগে।

তানজিলা নুসরাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুইড - সমুদ্রের লাল শয়তান

১৫ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত অমেরুদণ্ডী প্রানিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাণী হল স্কুইড ।উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর এর ৩০০০ ফুট পানির নিচে এদের বাস। এদের অধিকাংশই দেড় ফুটের মতো লম্বা হয়ে থাকে তবে বড় স্কুইডগুলো আকারে ৪০ ফুটের মতো লম্বা হয়।স্কুইড (ইংরেজি: Squid) টেউথিডা (Teuthida একপ্রকার সামুদ্রিক প্রাণী। টেউথিডা বর্গে প্রায় ৩০০ প্রজাতির স্কুইড রয়েছে। স্কুইডের অন্যান্য সেফলাপোডার মতো স্বতন্ত্র মস্তক, বাহু, ও ছদ্মবেশি আবরণ রয়েছে। স্কুইড দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম। ক্যাটলফিসের মতো স্কুইডের আটটি বাহু, ও দুইটি লম্বা জোড়বদ্ধ শুড় রয়েছে। এ সম্পর্কে যতোদূর জানা যায়—একমাত্র ব্যতিক্রমী স্কুইডটি হচ্ছে বিগফিন স্কুইড; এদের দশটি বেশ লম্বা ও চিকন বাহু রয়েছে।প্রাণিজগতের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোখ ওয়ালা প্রাণী হলো স্কুইড। স্কুইডের দেহে ফটোফর নামক একটি তন্ত্র আছে যা আলো তৈরির মাধ্যমে স্কুইডকে চলাচলে সাহায্য করে। কেউ এদের আক্রমন করলে এরা শত্রুর গায়ে কালি ছুঁড়ে মারে। এই কালির প্রধান উপাদান মেলানিন। স্কুইডদের মাঝে সবচেয়ে সাহসী হল হামবোল্ড স্কুইড। এরা হাঙ্গরকে ও আক্রমণ করে। গায়ের রঙ লাল বলে স্থানীয়রা হামবোল্ড স্কুইডকে লাল শয়তান বলে। স্কুইডের অনেকগুলো প্রজাতি গ্রীক, জাপানি, ইতালীয়, স্পেনীয়, এবং কোরীয় রান্নায় খুবই জনপ্রিয়।



ইংরেজিভাষী দেশগুলোতে, খাদ্য হিসেবে স্কুইড ইতালীয় শব্দ ক্যালামারি নামে পরিচিত।



স্কুইডের আলাদা আলাদা প্রজাতি সুনির্দিষ্ট কতোগুলো স্থানে অল্প পরিমাণে দেখা যায়, যা মৎস শিকারীদের দ্বারা ব্যাপকভাবে ধৃত হয়।



স্কুইডের শরীরের অভ্যন্তরে মশলার পুর দিয়ে, অতঃপর লম্বা বা গোলাকৃতি টুকরা করা হয়। বাহু, আবরণী, শুড় এগুলোও খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্কুইডের শুধুমাত্র যে অংশগুলো খাবার উপযোগী নয় তা হলো, ঠোঁট ও গ্লাডিয়াস (পেন)।



খাবার হিসেবে স্কুইডে প্রচুর পরিমাণ সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি১২, এবং রিবোফ্লাভিন রয়েছে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.