নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নামহীন......

নামহীন......

মহাসাগরের মহাত্রাস

একাকী পথিক......।

মহাসাগরের মহাত্রাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুয়েটে পড়ে কি খুব বেশী পাপ করে ফেলেছি ???

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

আজ অনেক ভারাক্রান্ত মনে এই লেখা লেখতে বসেছি। আমি কুয়েটের শেষ বর্ষের একজন অভাগা ছাত্র। অভাগা বলছি এই কারনে, যে কুয়েটে একটি ব্যাচ ৩ বছর ৮ মাসে বের হয়ে যাওয়ার রেকর্ড আছে, সেই কুয়েটে আজ ৪ বছর ৪ মাস অতিক্রান্ত। বের হতে আর ৩ মাস কিংবা ১ বছর লাগবে কিনা, তাও জানা নেই।



২০০৯ সালে যখন কুয়েটে পড়তে আসলাম তখন থেকেই দেখেছি রাজনৈতিক অস্থিরতা। বড় ভাইদের থেকে শুনেছিলাম আগের সরকারের আমলে বড় ধরনের কোনও ঝামেলা ছাড়াই তারা কুয়েট লাইফ পার করেছেন, কিন্তু রাজনৈতিক ভিসি আর তার ছাত্রনামধারী সাঙ্গপাঙ্গদের দুর্নীতি আর বিশৃঙ্খলায় আজ কুয়েট বিপর্যস্ত।



বিগত প্রায় ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে আমাদের এই কুয়েট। কারন কি? কারন হল শিক্ষকরা আন্দোলনে, তারা ধর্মঘট ডেকেছেন যে, তারা ক্লাস-পরীক্ষা কিছুই নেবেন না। তাদের দাবি কি? আসুন দেখি তাদের দাবিগুলো –

১। কুয়েটের এক মেয়ে এক স্যারের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে এবং কিছু ছাত্রছাত্রী মিলে অনলাইনে অপপ্রচার চালিয়েছে।

এর কারনে স্যাররা আগেও ধর্মঘট ডেকেছেন। সেই মেয়ের আগে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে, সাথে আরও কয়েকজনের আর সেটা বিভিন্ন মেয়াদের নিষেধাজ্ঞা। তবে তারা হাইকোর্টে রিট করে ক্লাস-পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি নিয়ে এসেছে।



এখানেই যত বিপত্তি, তারা ক্লাসে আসলে স্যাররা ক্লাস নিবেন না। প্রথমে শুধু সিভিল ডিপার্টমেন্ট গেলো আন্দোলনে, তারপর সবাই, আর আমরা পড়লাম চরম গ্যাঁড়াকলে।

স্যারদের দাবি আইনজীবী নিয়োগ করে ঐ রিটের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।



২। এর সাথে যুক্ত হয়েছে গতবছর একুশে হলে মারামারি করা ছাত্রলীগের ছাত্রদের বিরুদ্ধে শাস্তির সঠিক প্রয়োগের

৩। এছাড়াও ছাত্রলীগ কর্তৃক স্যারদের অপমানের শাস্তি দাবি।

এছাড়াও আরও কিছু দাবি আছে, যেমন ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ, শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা ইত্যাদি।



এখন আসি পরিস্থতি বিশ্লেষণে। আমার কাছে স্যারদের কিছু দাবি যৌক্তিক মনে হয়েছে আর কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে তারা অতিরিক্ত করছেন।

কিছু ক্ষেত্রে তো মনে হচ্ছে তারা ছাত্রদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী রুপে দাড় করিয়েছেন। রাজনৈতিক ভিসির বদৌলতে কিছু ছাত্র খারাপ কাজ করছে আর সেটার ফলাফল আমাদের সবাইকে বইতে হবে কেন?



কালপ্রিটরা বাদে কিছু ছাত্র ভুল করতেই পারে, তাই বলে কি কুয়েটের আড়াইহাজার ছাত্রের উপর ক্ষোভ ঢালতে হবে?



শুনেছি আমাদের ভিসি নাকি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিশাল ব্যস্ত, তার এদিকে তাকানোর সময় হয় না। কুয়েট মরে যাক, পচে যাক, তার আছে ক্ষমতা আর তিনি কুয়েটের উন্নয়ন(নতুন স্থাপনা নির্মাণ) করছেন।



অনেকে বলে ভিসি কুয়েটে নতুন হল বানাইসে, সৌন্দর্য বর্ধন করেছে। আমি আপনাদেরকে আমার বন্ধুর একটা কথা বলি, “একটা মানুষকে দুনিয়ার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কান্সার আর এইডস এর জীবাণু এমনভাবে পুশ করলেন যে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে তার মৃত্যু নিশ্চিত”।

এটার যেমন মূল্য নেই, ঠিক তেমনি কুয়েটে এখন কান্সার ছড়িয়ে পড়েছে, সৌন্দর্যও দিয়ে একে ঢাকা যাবে না।




ভিসির তো অনেক দুর্নাম করলাম, এখন আসি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের প্রসঙ্গে। সবার প্রতি আমার ক্ষোভ নাই। সব ছাত্ররা যেমন বিপথে যাই না, আমি বিশ্বাস করতে চাই যে, সব শিক্ষকরা আমাদের ক্ষতি চান না।

শুনেছি ইলেকট্রিকাল ফ্যাকাল্টির সিংহভাগ পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে, মেকানিকাল আর সিভিলের কিছু স্যারের জন্য সব বন্ধ আছে।

এক নোংরা রাজনীতি বন্ধের জন্য যদি আরেক রাজনীতির আভাস পাওয়া যায়, তাহলে আমরা কোথায় যাবো স্যার? আমাদের দিকটা কি একবার দেখবেন না?



বিশেষ করে মেকানিক্যাল এর ’০৮ ব্যাচকে তো তাদের স্যাররা দেখতেই পারে না। এই আচরন কি আমরা একজন শিক্ষকের কাছে প্রত্যাশা করি? একটা কথা শুনেছিলাম –“There is no bad student, only bad teachers”. একমত হতেও পারেন, নাও পারেন, সেটা আপনার ব্যাপার।



মাসের পর মাস আপনারা ক্লাস পরীক্ষা না নিলেও আপনারা বেতন পাবেন, আপনাদের পেপার পাবলিশ হবে। আপনারাই বলেন আপানাদের কোনও ক্ষতি হবে না।



কিন্তু গ্রামের যে ছেলেটি কুয়েটে এসেছে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যাবে বলে, বাবার ঋণ শোধ করবে বলে, মা-বোনের দারিদ্রক্লিষ্ট মুখে একটু হাসি ফোটাবে বলে, সেতো আজ বের হতে পারছেনা স্যার। বাসা থেকে মমতাময়ী মা তাকে জিজ্ঞেস করে, “বাবা আর কতদিন?” সেতো জবাব দিতে পারে না স্যার, কি জবাব দিবে? বলেন একবার।



আমার পরিচিত এক বন্ধুর মাস চলার টাকা বাবা-মা দিতে পারে না, তার চাচা দেয়। চার বছরের যা টাকা লাগে একসাথে দিয়ে দিয়েছে। এখন সে কিভাবে চলে স্যার? সে খোঁজ কি আপনারা রাখেন?



বছরের অর্ধেক শেষ, চাকরীর বাজার সংকুচিত হচ্ছে। ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টে স্যামসাঙ এর আসার কথা। কিন্তু এই অনিশ্চয়তায় তারা আসবে না। পরীক্ষা শেষ না হলে তারা কেনইবা আসবে। ২-৩ টা পরীক্ষা দিয়ে আমরা আটকে আছি। বেশী দেরী হলে স্যামসাঙ হয়তোবা আর আসবেই না।



শেষে আমার কিছু কথা বলি, অনেক ইচ্ছা ছিল এবার ঈদে বাসায় সবাইকে কিছু না কিছু কিনে দিবো, যেকোনো একটা চাকরি নিয়ে। তা আর হলো না। আমার নাহয় ঈদ হবে, কুয়েটের সবাই সচ্ছল না। কুয়েটের সব ছাত্রের কি ঈদ টা ঠিকমতো হবে? আমার জানা নাই, আপনার জানা আছে কি স্যার?



তাই বলি সৎসাহস থাকলে স্টেপ নেন, আমাদের ক্লাস-পরিক্ষা নেন। আমাদেরকে মুক্তি দেন।



বি.দ্র. : এখানে আমার অনেক ব্যক্তিগত মতামত আছে, সবার মতের সাথে মিলতে হবে এমন কোনও কথা নেই।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

সুপারনোভা বলেছেন: রাজনৈতিক ভিসির বদৌলতে কিছু ছাত্র খারাপ কাজ করছে আর সেটার ফলাফল আমাদের সবাইকে বইতে হবে কেন?


কারন, আপনারা যারা সিংহভাগ ছাত্র ভাল তারা অল্পকয়েকজন খারাপ ছাত্রকে ভার্সিটি থেকে হাত-পা ভেঙ্গে বের করে দিতে পারেন না। মেরুদন্ডহীনের মতো তাদের তোয়াজ করে চলেন। ভিসিও সেই খারাপ ছাত্রদের নিয়েই চলাফেরা করেন। শিক্ষকদের আর কি করার আছে ?

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

মহাসাগরের মহাত্রাস বলেছেন: ''কারন, আপনারা যারা সিংহভাগ ছাত্র ভাল তারা অল্পকয়েকজন খারাপ ছাত্রকে ভার্সিটি থেকে হাত-পা ভেঙ্গে বের করে দিতে পারেন না।''

পারবো ভাই, তবে আপনি নিশ্চিত করেন যে, পুলিশ সাধারন ছাত্রদের ধরে রিমান্ডে নেবে না, খুনের মামলায় ফাসাবে না। এই কাজ করলে সাধারন ছাত্ররা যা পরিমাণ নির্যাতনের শিকার হবে তা আপানার জানা উচিত যদি সাম্প্রতিক ঘটনাবলির উপর চোখ রাখেন। আমাদের একবার এই অভিজ্ঞতা আছে।

২| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

চলতি নিয়ম বলেছেন: নস্ট শিক্ষক রাজনীতির বলি হচ্ছে নিরীহ ছাত্ররা। সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কি ই বা করার আছে।

শিক্ষক দের বেতন টা যদি বন্ধ থাকত ভার্সিটি বন্ধ থাকলে তাহলে কোনো ভার্সিটিই বন্ধ থাকতো না।

বিশ্বের আর কোন কোন দেশে এভাবে ভার্সিটি বন্ধ থাকে খুব জানতে ইচ্ছে করে। X(( X((

৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী ক্যাম্পাস ছিল আর কী হৈল! খুব খারাপ লাগলো লেখাটা পড়ে।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

করাত বলেছেন: আহারে আপনের কত দুঃখ , ৪ বছরের জায়গায় ৫ বছর লাগবে, :(( :(( :(( :(( :(( আর আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র-ছাত্রী রা যে ৬ বছর পর এখন মাত্র ৪র্থ বছরে পদার্পণ করলাম তার কি হবে?

৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

রুপালী রাত বলেছেন: ৩ বছর ৮ মাসে আমরা বের হয়ে ছিলাম এর একমাত্র কারন হল আমরা ছাত্রের মত আচরণ করেছি আর শিক্ষকদের শিক্ষক হিসাবে সন্মান দিয়েছি। ফিস্টের টাকা মেরে খাওয়া, শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা, সহপাঠীকে মেরে রক্তাও করা, শিক্ষককে অপবাদ দেয়া খবরের কাগজে এগুলো পড়লে নিজেকে আর কুয়েটের ছাত্র বলে পরিচয় দিতে ইচ্ছে করে না। "শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা" এই ধরনের দাবি তোলার পর্যায়ে কুয়েট কিভাবে চলে আসলো ভেবে বের করতে পারছি না। ছাত্রদল বা ছাত্রলীগের নেতা কাম্পাসে কে ছিল অথবা কেনই বা তারা শহীদের দোকানে বসে এক সাথে চা খেত এগুলো নিয়ে কখনো কারো মাথা ঘামানোর দরকার হয়নি।

দুঃখিত ভাইয়া আপনাদের জন্য আমরা এমন ক্যাম্পাস রেখে আসি নি। এই জঘন্য অবস্থায় কুয়েটকে নেয়ার জন্য আপনারা পুরোপুরি না হলেও সিংহভাগ দায়ী

৬| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

সুপারনোভা বলেছেন: আমার জানামতে কুয়েটের শিক্ষকরা রাজনৈতিক ভাবে খুব একটা একটিভ ছিল না। তাদের অনেকেই তাবলীগ নিয়ে ব্যস্ত থাকতো বা আছে। অবস্থার এই পতন ঘটেছে একমাত্র লীগ তথা ছাত্রলীগের কারনেই। লীগের ভিসির তত্বাবধানেই সমস্ত অকামের সূচনা....

৭| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: আমাদের যে কি হবে ভাইয়া!! আল্লাহই জানে

৮| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

ডার্লিং বলেছেন: কি ছিল ক্যাম্পাস আর এখন কি অবস্থা । নিজের স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের ধানদায় ব্যস্ত কয়েক্টা শুয়োরের বাচ্চা টিচারের জন্য এই অবস্থা । পুলাপান তো তাগো হাতের পুতুল । রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ক্যাম্পাস্টা ইউজ হইতাসে ।


ভিসি হটাও আনদলনে যাওয়া উচিত ।

৯| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

অপাংক্তেয় বলেছেন: ভাই, কুয়েটের সবচেয়ে বড় সমস্যাটা কি জানেন? এখানকার ৩০০০ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ২৯৫০ ই রুমে বসে বসে অনলাইনে বড় বড় ডায়লগ কপচাইতে জানে,আর কিছুই জানে না। আর বাকি ৫০ জন তো বেয়াদপ আখ্যা পাওয়া। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে আপনারা আসলে কি করতেসেন? ২মাস ধরে বন্ধ, আপনারা বের হতে পারছেন না সব ঠিক আছে, কিন্তু একজন ও কি চেষ্টা করেছেন পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য কিছু একটা করার? সব ব্যাচ সব ডিপার্টমেন্ট বাদ দেন নিজেরা মিলে কি একবার স্যারদের কাছে গেসেন? একবার চেষ্টা করসেন যে সিংহভাগ স্যার পরীক্ষা নিতে চায় তাদের নিয়ে অল্প কিছু শিক্ষকরুপী অমানুষের মোকাবেলা করতে? করেন নাই। কারন কারো কোন মুরোদ নাই, গরজও নাই। কুয়েট এর দুরবস্থার জন্য দায়ি শুধুমাত্র আমরা, ছাত্ররা, আর কেউ না। যদি পারেন তো কিছু করার চেষ্টা করেন। রুমে বসে দুঃখ কপচায় কোন লাভ নাই। আপনার দুঃখে কারো কিছুই যায় আসে না (যেহেতু ৪ বছর পার করে ফেলসেন এইটা এতদিনে উপলদ্ধি করে ফেলার কথা)।

১০| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

ভোজন রসিক বলেছেন: ৩-৪ বছর আগের সেই গতিশীল কুয়েট এখন আর নাই। এর প্রধান কারণ হল রাজনৈতিক রেষারেষি আর কিছু মেরুদণ্ডহীন ছাত্রের রাজনীতির নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। আর এর মদদদাতা হল জনৈক বিচী আর শিক্ষক নামধারী কিছু স্বার্থপর কূপমণ্ডূক। শুনেছি জুনিওর সকল শিক্ষকের দাবি এই স্ট্রাইক তুলে নিয়ে অবিলম্বে একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা। কিন্তু ওইসব সিনিওর বিশেষায়িত কূপমণ্ডূকগুলোর জন্য জুনিওর স্যাররা কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেন না, ভয়ে। কোথায় ৩য় বছরের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষ হয়ে ৪র্থ বর্ষে উঠার কথা, আর ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের থিসিস প্রেসেন্টেশন দিয়ে কর্মক্ষেত্রে পদার্পণ করার কথা- সব ব্যাহত হচ্ছে। কারন এই রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ওই ভণ্ড-কূপমণ্ডূকদের জন্য। এখন বর্তমান সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সবাই যদি এক হয়ে অবস্থান না নেয়, কার্যক্রম পিছাতেই থাকবে, কারন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ ছাত্রছাত্রী।
সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। সকল ডিপার্টমেন্ট প্রধানের সাথে মুখোমুখি কথা বলে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার ব্যাবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে একাডেমিক ভবন ঘেরাও, ভিসি বাড়ি ঘেড়াও, মানববন্ধন, প্রেস-ব্রিফিং প্রভৃতি কর্মসূচি নিতে হবে। এখন আর রাজনৈতিক শক্তি না, ছাত্রশক্তি কাজে এই দুরদশাময় পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে।

১১| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫

লাইফ বলেছেন: অনেক আশা নিয়ে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী ঢাকা ভার্সিটি, রুয়েট, চুয়েট বাদ দিয়ে একটি মাত্র কথা চিন্তা করে কুয়েটে ভর্তি হয় তা হল কুয়েটে কোন সেশন জ্যাম নেই+কুয়েটে রাজনীতি মুক্ত পড়াশুনা করার জন্য একটি ভাল পরিবেশ। কিন্তু বর্তমানে যা কন্ডিশন হতে চলছে তাতে কুয়েটের এই সুনাম আর থাকবে না মনে হচ্ছে।

কোন শিক্ষক কি বলতে পারবেন যে ছাত্র রাজনীতির কারনে চার বছরের মাঝে কোন সময় টানা ২ মাস ক্লাশ এবং পরীক্ষা বন্ধ থাকছে???
তবে আজ কেন থাকছে ??

আজ থেকে দেড় বছর আগেও তো কিছু ছাত্র বহিস্কার হইছিল। কই তখন তো কোন শিক্ষক ক্লাশ পরীক্ষা বন্ধ করে ধর্মঘট করলো না।
তবে আজ কিছু শিক্ষক কি এমন পেল যার জন্য ছাত্রদের এমন বাশ দিতে ডিটারমাইন হল। তাদের তো আর সমস্যা হচ্ছে না। বসে বসে বেতন পাচ্ছে আর শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। অনুধাপন কুরতে পারছেন না সেই ছেলেটির কথা যে কিনা টাকার অভাবে সকাল এবং বিকালের নাস্তা না করে কাটায়।

আগে জানতাম ছাত্ররা নষ্ট হয়ে যায় এখনতো দেখি শিক্ষরাও ভাল নেই, তাদের চরিত্র পালটে হয়ে গেছে দেশের স্বার্থানেস্বী পলিটিশিয়ানদের মত।

আমাদের মুক্তি দেন নয়ত এমন দিন আসবে আপনাদের সন্তান, ছোট ভাই বোনদের এ রকম পরিস্থিতির স্বীকার হতে হবে। নাকি তাদেরকে দেশের বাইরে/প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ানোর সু-ব্যবস্তা করায় ব্যস্ত আছেন।।

১২| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০৮

গেস্টাপো বলেছেন: সব জায়গাতেই দেখছি আওয়ামী লীগ,ছাত্রলীগ,শিক্ষক্লীগ আমাদের সোনার বাংলা উপহার দিচ্ছে।গুড গুড

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আরও ভোট চাই।সবাই বলেন ভোট দেব কিসে,নৌকা মার্কা বাক্সে :)

১৩| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

ইউক্লিড রনি বলেছেন:
আমার পরিচিত এক বন্ধুর মাস চলার টাকা বাবা-মা দিতে পারে না, তার চাচা দেয়। চার বছরের যা টাকা লাগে একসাথে দিয়ে দিয়েছে। এখন সে কিভাবে চলে স্যার? সে খোঁজ কি আপনারা রাখেন?

সব দায়িত্ব প্রশাসনের উপর চাপিয়ে চোথা নিয়া সংসার সাজালে এমনি হবে ভাই। আপনারা ওই পরিচিত বন্ধুর জন্য কি করেছেন, জানতে মুঞ্চায়! আর কেদে লাভ নেই, চোখ মুছুন।

১৪| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

মুণণা বলেছেন: নাম টা ই সুরু কু দিয়া।

১৫| ১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মুস্তাফা সাধ বলেছেন: ইউক্লিড রনি বলেছেন:
আমার পরিচিত এক বন্ধুর মাস চলার টাকা বাবা-মা দিতে পারে না, তার চাচা দেয়। চার বছরের যা টাকা লাগে একসাথে দিয়ে দিয়েছে। এখন সে কিভাবে চলে স্যার? সে খোঁজ কি আপনারা রাখেন?

সব দায়িত্ব প্রশাসনের উপর চাপিয়ে চোথা নিয়া সংসার সাজালে এমনি হবে ভাই। আপনারা ওই পরিচিত বন্ধুর জন্য কি করেছেন, জানতে মুঞ্চায়! আর কেদে লাভ নেই, চোখ মুছুন।


কি কি করতে হবে লেখককে? নিশ্চয়ই ছাত্রদের কেউই গাট্টি গাট্টি টাকা কামায় না? এর বাইরে আর যা করার তা করার চেষ্টা তো করেই পোলাপাইন....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.