নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি সভ্য পৃথিবীর, যেখানে মানুষের মাঝে সত্যিই শুধু মানুষ পাবো, যেখানে মানুষের বেশে কোন অমানুষ থাকবে না ।

অচেনা হৃদি

অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!

অচেনা হৃদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতিপ্রাকৃতিক গল্পঃ চুরেল

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬


শিমুল শহর হতে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিল ছুটি কাটাতে। তার বন্ধু অর্ক দুপুরে ফোন দিয়ে জানালো অর্কের বোনের আজ সিজারিয়ান অপারেশন হবে। শিমুল যেন অবশ্যই হাসপাতালে থাকে, যদি রক্তের প্রয়োজন হয় শিমুলের রক্ত কাজে আসবে। শিমুলকে হয়ত রক্ত দিতে হবে না, অর্কের বোনের রক্তের গ্রুপের সাথে অর্কের নিজের এবং তাদের ছোটভাইয়ের রক্তের গ্রুপের মিল আছে। তারপরেও বন্ধুর অনুরোধে শিমুলকে আসতে হচ্ছে।

মোটরসাইকেল নিয়ে শিমুল রওয়ানা হয়। এখনো দুপুর গড়িয়ে বিকেল আসেনি, কিন্তু আকাশে ঘন মেঘের জন্য মনে হচ্ছে যেন এটা শেষ বিকেল। শিমুল যথাসম্ভব দ্রুত যাচ্ছে, বৃষ্টি নেমে পড়ার আগেই সে গন্তব্যে পৌছাতে চায়।
কিন্তু নিয়তি আজ শিমুলের অনুকূলে নেই। শিমুল শহরের উপকন্ঠে পৌঁছাতেই ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হল। বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে একটি পুরনো বাড়ির কাছে বাইক থামিয়ে দৌড়ে গিয়ে বাড়িটির বারান্দায় উঠে। বাইকের সাথে ব্যাগে রেইনকোট আছে। বৃষ্টির ঝাপটা একটু কমলেই রেইনকোট পরে রওয়ানা দিতে হবে। আপাতত কিছুক্ষণ এই বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া উপায় দেখা যাচ্ছে না।

আসা যাওয়ার পথে শিমুল অনেকদিন এই বাড়িটাকে দেখেছে। কিন্তু কখনো ভাবেনি এই বাড়ির বারান্দাতে কোন একদিন এমন বেকায়দায় এসে দাঁড়াতে হতে পারে। কে জানে কতক্ষণ এখানে থাকতে হয়!

পুরনো বাড়ির পুরনো দরজা খোলার শব্দে শিমুল পেছনে ফিরে তাকায়। দরজায় এক অষ্টাদশী মেয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। শিমুল অবাক হয়, এই পুরনো বাড়িতে মানুষ থাকে? মেয়েটার বেশভূষা আর চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে সে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হতে পারে না। নিতান্ত বাধ্য হয়ে এই পুরনো বাড়িতে মেয়ের পরিবার থাকে তা তো মনে হচ্ছে না। মেয়েটা এতো সুন্দর, শিমুল চোখ ফেরাতে পারছে না। মায়াবিনী ঠোঁটে হাসি ছেড়ে মেয়েটি বলল, ‘ভাইয়া কি কোথাও যাচ্ছিলেন?’
শিমুল সম্বিৎ ফিরে পায়, ‘হ্যাঁ, বাইকে যাচ্ছিলাম তো, হঠাত বৃষ্টির কবলে পড়ে গেলাম। বাধ্য হয়ে আপনাদের বারান্দায় উঠেছি। কোন আপত্তি নেই তো?’
মেয়েটা সশব্দে হেসে উঠলো। বৃষ্টির আওয়াজ ছাপিয়েও শিমুল অষ্টাদশীর হাসির সুর শুনতে পায়, এ যেন হাসি নয়, ঝর্নার ধ্বনি। হাসি থামিয়ে অষ্টাদশী বলল, ‘এখন যদি আপত্তি করি আপনি কি আমাদের বারান্দা থেকে নেমে গিয়ে ভিজবেন?’ বলেই আবার ঝর্নার মত হেসে দিল মেয়েটা। সে ভালোই হিউমার জানে। শিমুলও লজ্জা পেয়ে হাসিতে যোগ দেয়।
মেয়েটা আবার বলল, ‘খুব জোরে বৃষ্টি হচ্ছে, আপনি তো বারান্দায় দাঁড়িয়ে থেকেও বৃষ্টির ছাঁট থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। ভেতরে এসে বসুন।’

শিমুল প্রথমে একটু ইতস্তত বোধ করে। তবে শেষমেশ এমন আহ্বানে না করা যায় না। মেয়েটার পিছু নিয়ে ভেতরে ঢোকে। আবছা আলোয় শিমুল দেখতে পায় ঘরটা বেশ সাজানো গোছানো। অথচ বাইরের ভাঙ্গা দশা দেখে অনুমানই করা যাবে না ভেতরটা এমন। মেয়েটা বলল, ‘বৃষ্টি আসার আগেই কারেন্ট চলে গেছে । এই অন্ধকারে ভয় পাবেন নাতো?’
শিমুল ত্রস্তকন্ঠে বলল, ‘না না, অন্ধকার কোথায়? আমি তো সব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।’
ঝর্নার সুর আবার বেজে ওঠে, ‘ওহ, তাহলে তো ভালো। বসুন। চা দিই?’
-‘না, আমাকে বসতে দিয়েছেন এটাও আপনার অনেক বড় উদারতা। আমার জন্য আর কোন কষ্ট করতে হবে না।’
-‘বাহ, আপনি খুব কার্টিয়াস। এক কাপ চা অবশ্যই আপনি ডিজার্ভ করেন। চা করতে কষ্ট হবে না। এখুনি নিয়ে আসছি। আপনি আরাম করে বসুন।’

শিমুল মনে মনে বেশ খুশি হয়। মেঘ না চাইতেই যদি এভাবে বৃষ্টি এসে যায় কে খুশি হবে না? দেবীর প্রতিমার মত এমন একটি মেয়ে তাকে ডেকে নিয়ে আতিথেয়তা করছে, ভাগ্য প্রসন্ন না হলে এমন হয়? মনে মনে এই দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়াকে সে ধন্যবাদ জানায়।
পুরো ঘরে একবার নজর বুলিয়ে নেয় শিমুল। শিমুলের কেন যেন মনে হচ্ছে এটা অপরিচিত বাড়ি নয়, এরকম একটা বসার ঘরে শিমুল হয়তো আগে কখনো গিয়ে বসেছিল। বিশেষ করে ঘরের ডেকোরেশন খুব পরিচিত। তিনটা সোফা, দুটি ছোট, একটি বড় সাইজের। মাঝে পুরনো স্টাইলের টি টেবিল। পাশে ছোট একটা খাট। ঘরে আসবাব বেশি নয়। কিন্তু এই অল্প কিছু জিনিসেই বড় রুমটা ভর্তি হয়ে আছে। ব্যপারটা কিঞ্চিত অদ্ভুত।

এক মিনিটেরও কম সময়ে মেয়েটা চা হাতে ফিরে আসে। শিমুল বলল, ‘এতো তাড়াতাড়ি চা হয়ে গেলো?’
-‘জী, চা তো আগেই চুলায় ছিল। কাপে ঢেলে নিয়ে এলাম।’
-‘ধন্যবাদ মিস.... ইয়ে আপনার নাম তো জানা হল না।’
-‘আমি রিয়া, আর আপনার নাম শিমুল।’
শিমুল রীতিমত অবাক হয়ে জানতে চায়, ‘আশ্চর্য। আপনি আমার নাম জানেন কিভাবে ?’
রিয়া হেসে জবাব দেয়, ‘বলব। আগে চা খেয়ে দেখুন তো কেমন লাগে ।’
শিমুল খুব সৌজন্যময় ভঙ্গীতে চায়ের কাপ তুলে নেয়। চায়ে চুমুক দিতেই তার নাকমুখ কুঁচকে গেলো। চায়ের গন্ধ এতো বাজে হয় ? এটা চা নাকি ড্রেইনের পচা পানি! চায়ের কাপের দিকে তাকাতেই তার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় । কাপের তরলের রঙ কালচে খয়েরী, চায়ের রঙ তো এমন হবার নয় । শিমুলের হতবিহ্বল চেহারা দেখে রিয়া অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে । রিয়ার চোখে চোখ রেখে শিমুল কঠোর ভঙ্গীতে জিজ্ঞেস করে, ‘আমাকে আপনি এটা কি দিয়েছেন ?’
হাসি থামিয়ে রিয়া খুব স্বাভাবিকভাবে বলে, ‘রক্ত দিয়েছি ভাইয়া। খেয়ে নিন ?’
শিমুল কি বলবে বুঝতে পারছে না। এই মেয়েটা কি পাগল? পথের পথিককে অতিথির মত ঘরে ডেকে এনে কেউ এমন আচরণ করে! হতবিহ্বল শিমুল অস্ফুট স্বরে বলে উঠে, ‘রক্ত?’
-‘জি ভাইয়া, রক্ত। ব্লাড বলে ইংরেজিতে। তবে একটু পচে গেছে রক্তটা। কি করব বলুন? পুরনো রক্ত তো তাই নষ্ট হয়ে এসেছে। আমার কিন্তু আপনাকে একদম তাজা রক্ত খাওয়াতে মন চেয়েছিল। তাজা রক্ত নেই, এটা আছে। একঢোক খেলে গন্ধটা সয়ে যাবে, তখন আর কোন সমস্যা হবে না, একদমে ঢকঢক করে গিলে ফেলতে পারবেন।’
শিমুল এখনো বিস্ময় ভাব কাটিয়ে উঠতে পারছে না। কিছুটা ধাতস্থ হয়ে শিমুল বলে, ‘রক্ত দিয়েছেন মানে ? এটা কোন ধরনের মশকারি ?’
রিয়া আবার হাসিতে মেতে উঠে । তারপর গম্ভীর হয়ে বলল, ‘মশকারি করব কেন বলুন ? আপনি তো নরম মাংস খেতে ভালোবাসেন । কিন্তু মাংস খেতে গিয়ে জীবনে কত যে রক্ত ঝরিয়েছেন তার হিসেব কে দেবে জনাব ? এতো রক্ত তো বৃথা যেতে পারে না । সব খেয়ে নিন ।’
এবার শিমুল রেগে যায়, উচ্চস্বরে বলল, ‘এভাবে ডেকে এনে অপমান করার কোন মানে হয় না । আমি আপনাকে ভালো মানুষ ভেবেছিলাম, এখন বুঝতে পারছি আপনি একটা আধাপাগল মেয়েমানুষ। আপনার বারান্দায় এসে দাঁড়ানোটাই আমার ভুল ছিল । আমি এখনি বের হচ্ছি।’ হাতের কাপ রাখতে গিয়ে শিমুল যেন হোঁচট খায় । তার সামনে সুন্দর যে টি-টেবিল ছিল এখন সেখানে কোন টেবিল নেই । শুধু তাই নয়, এতক্ষণ যে সোফাতে সে বসেছিল সেই সোফাটা পুরনো ঘুনে ধরা একটা চেয়ারে পরিণত হয়েছে । চেয়ার ছেড়ে সে উঠতে চাইছে, কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তি শিমুলকে যেন অক্টোপাসের মত চেয়ারটাতে চেপে ধরে রেখেছে ।
ভোজবাজির মত চারপাশের এই হঠাত পরিবর্তন দেখে শিমুল ভয় পায় । তার সামনে ঘরজুড়ে চমৎকার আসবাবপত্র ছিল । কিন্তু এখন পুরো ঘরে ভাঙ্গা কাঠ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে । আর তার নাকে কাপের খয়েরী তরলের গন্ধের মত একটা বাজে গন্ধ এসে ধাক্কা দিচ্ছে । মাত্র মিনিটখানেক আগেও এই ঘরটা চমৎকার পরিপাটি ছিল । আর এখন মনে হচ্ছে যেন এটা বৃটিশ আমলে পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়া কোন গুদাম । ঘরের চারদিকে বিহ্বল শিমুল নজর বুলিয়ে নেয় । বিধ্বস্ত ভাঙাচোরা ঘরে শুধু পুরনো জিনিস, রিয়া মেয়েটাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না ! বসে যাওয়া ভয়ার্ত গলায় শিমুল ডাক দেয়, রিয়া । শিমুলের নিজের কানেই নিজের আওয়াজটাকে বিড়ালের ডাকের মত শোনালো । গলায় জোর এনে আবার সে রিয়াকে ডাকে, কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া গেলো না ।

শিমুল বুঝতে পারে না তার সাথে এসব কি হচ্ছে । সে কোনদিন অতিপ্রাকৃতিক ব্যপারে বিশ্বাস করেনি । এখন যা হচ্ছে তা কি বাস্তব নাকি কোন দুঃস্বপ্ন । হয়তো এটা একটা দুঃস্বপ্ন, এখনি ঘুম থেকে জেগে উঠে শিমুল দেখবে সে তার নিজের ঘরে প্রতিদিনের মত ঘুমুচ্ছিল । শিমুল মনে প্রাণে কামনা করছে এটা একটা দুঃস্বপ্ন হোক । রিয়ার কথাটি মনে পড়ল, ‘মাংস খেতে গিয়ে জীবনে কত যে রক্ত ঝরিয়েছেন তার হিসেব কে দেবে জনাব ? এতো রক্ত তো বৃথা যেতে পারে না ।’ হ্যাঁ, শিমুল কিছু অপরাধ করেছিল। সেই অপরাধবোধ হতেই আজ এই দুঃস্বপ্নের জন্ম । নিজেকে শিমুল প্রবোধ দিতে থাকে, এটা দুঃস্বপ্ন, এটা আমার গিল্ট হতে উদ্ভূত দুঃস্বপ্ন, এখনি আমার ঘুম ভেঙে দুঃস্বপ্নের ঘোর কেটে যাবে।

চলবে....
( এই গল্পের পরের অংশ পড়তে চাইলে ক্লিক করুন- চুরেল ২য় (শেষ) অংশ )

[গল্পটা অনেক আগের লিখা। এই গল্পের পরের অংশ এখনো লিখিনি। আজ একটা বিশেষ কারণে আমার মন খুব ভালো। চাইলাম এই ভালো লাগার দিনে ব্লগে একটা কিছু পোস্ট করে ফেলি। কিন্তু আজকের উপযোগী কোন লেখা আমার ল্যাপটপে পেলাম না। তাই এটাই পোস্ট করলাম। পরের অংশ এক সপ্তাহ পরে আসবে।
লেখাটা একজন ব্লগারকে উৎসর্গ করেছি, তবে এখানেই গল্পটি শেষ নয়। তাই উৎসর্গিত ব্যক্তির নাম আজ উল্লেখ করলাম না, পরের অংশ যেদিন পোস্ট করব সেদিন নামটাও উল্লেখ করে দেব।]

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

গল্প পড়া হয়নি এখনো..... পড়ে পড়ব..... কিন্তু বলেন আপনি কেমন আছেন। সব কিছু ঝেড়ে পেলেছেন তো....

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)
গল্প না পড়েও সুন্দর একটি মন্তব্য করলেন, ধন্যবাদ।

ঝেড়ে ফেলেছি সব।
আমি এখন ভীষণ ভালো ফুরফুরে মন নিয়ে চলছি। :)

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্বপ্নের হিওম্যান ব্লাড পান করতে রাজি নই আমি। রক্ত পান করা হারাম। মানুষের রক্ত একবারে। আমি আবার ঘাবড়াই না । অনেকে ভয় পাবে বোধ হয় । বর্ণানা ভালো হয়েছে ।ঘটনা স্বপ্নের মত । ;)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: আরেহ, ভয় পাবার মত ঘটনা তো এখনো আসেনি। পরের পর্বে দেখবো তো সেলিম ভাইয়া কেমন সাহসী!
এমন বিভীষিকাময় বর্ননা দেব, স্বয়ং কাটাকুটির ওস্তাদ কাইকর ভাইয়াও ভয় পেয়ে যাবেন। ;)

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভাইয়াকে ধন্যবাদ! :)

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ওরে বাবা, এতো সত্যি ভয়ংকর গল্প।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: হায় হায়, মূল গল্প আসার আগেই বিখ্যাত ব্লগারগণ কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন, আমি নিজেও এখন ভয় পাচ্ছি। ;)

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
আজকের এই শুভ্র মন নিয়েই মাতিয়ে রাখুন ব্লগ।
বিষাদের বুজা মাটিতে চাপিয়ে রেখে.....

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১১

অচেনা হৃদি বলেছেন: তাই হোক ভাইয়া, তাই হোক। এই শুভেচ্ছা বৃথা না যাক!

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: পরেরগুলো কিভাবে পাব?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: পেয়ে যাবেন নো টেনশন।
:)
হৃদির ব্লগে শুধু চোখ রাখুন, পরের পর্বে ভয়ানক কিছু আসছে। ;)

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটোবোন,

গল্প বলার কৌশলটা ভালো লাগলো, তবে ঘটনাটা যেসময়ে ঘটছে সেটা বেশ অড লাগলো। আস এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে কথোপোকথোনটা বেশ অন্য রকম লাগলো। যাক পর্ব চলুক।



শুভকামনা রইল।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪২

অচেনা হৃদি বলেছেন: =p~

কেন ভাইয়া? ভৌতিক গল্পের টাইম বিকেলে হয় না? ভৌতিক গল্প লিখতে হলে কি শুধু অমাবস্যার রাতকেই বেছে নিতে হয়?
মন্তব্যে অনেক ভালো লাগা! :)

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আমি ভূত ভয় পাইনা :(( =p~

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমিও ভয় পাই না! :)

তবে অন্যদের ভয় পাইয়ে দিতে ভালো লাগে! ;)

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

রাজীব নুর বলেছেন: শরতের মেঘলা আকাশ আর এলোমেলো কাশফুল,,,

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: ইয়েস ভাই! ফটো তোলার দারুণ সাবজেক্ট!

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

জাদিদ বলেছেন: একটা বাংলাগল্পের নাম চুড়েল হলে, আগ্রহটা অনেকখানিই মিইয়ে যায়।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)

ঠিক বলেছেন।
তবে চুরেল শব্দটির ভালো কোন বাংলা প্রতিশন্দ আমি খুঁজে পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে এই শব্দটিকে ব্যবহার করেছি।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই ধরণের গল্প লিখতে তেমন ভাবতে হয় না, মনে হয়; যদিও আমি কোনদিন চেষ্টা করিনি

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: এই ধরণের গল্প লিখতে তেমন ভাবতে হয় না, মনে হয়; আপনার এই কথাটা ঝানু লেখকদের জন্য সত্য হতে পারে। তবে আমাকে এই গল্পটা নিয়ে অনেক ভাবতে হয়েছে। হয়তো এই প্লট চেনা মনে হচ্ছে, কিন্তু চেনা দৃশ্যপটকে সাজিয়ে লিখতে আমার অনেক সময় লেগে গেছে। এখন আমি দ্বিতীয় অংশ লিখতে পারবো কি না সেটাই ভাবছি।
যদি দ্বিতীয় অংশ আসে, তবে পুরো ভিন্ন একটা আমেজ পাবেন; নিশ্চিত থাকুন।

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইয়াক! :-P

রক্ত! চায়ের কাপে রক্ত!

হা হা হা
দেখা যাক সামনে কি হয়??

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি...
আপনার ডাক্তার হওয়া উচিৎ ছিল।

সামনে সানডে হরর ঘটে যেতে পারে, সাবধানে, খুব সাবধানে!
;)

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

সূর্যালোক । বলেছেন: গল্পের প্লট পুরাতন হলেও শেষ দিকে এসে জমছে । পরের অংশে পাঠক তৃপ্তি দিবে পারবেন বলে ,সে আশাবাদ রাখছি ।

১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

সূর্যালোক । বলেছেন: গল্পের প্লট পুরাতন হলেও শেষ দিকে এসে জমছে । পরের অংশে পাঠক কে তৃপ্তি দিতে পারবেন বলে ,সে আশাবাদ রাখছি।শুভকামনা ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)
অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!

সামনে অবশ্যই থ্রিল পাবেন, সাথে থাকুন।

১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গল্পের শিরোনামের সাথে কাহিনীর দারুন একটা মিল আছে; বিষয়টি আপনি সচেতনভাবে করেছেন নাকি কাকতালীয় জানি না!! তবে চমৎকার হয়েছে৷জানি না অতিপ্রাকৃতিক গল্পটির পরিসমাপ্তি কেমন হবে? এ পর্যন্ত গল্পের কাহিনী সাবলীলভাবে এগিয়ে গেছে৷লেখতে লেখতে শব্দ চয়ন, ডায়লগ আর বাক্য গঠনে আরো পরিণিত বোধ আসবে৷পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম৷+++

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: গল্পের শিরোনামের সাথে কাহিনীর দারুন একটা মিল আছে; বিষয়টি আপনি সচেতনভাবে করেছেন নাকি কাকতালীয় জানি না!! সচেতনভাবেই করেছি ভাইয়া। আমার ব্যপারে কাকতালীয় ঘটনা কেবল তখনই ঘটে, যখন আমার মেজাজ মর্জি ঠিক থাকে না!
;)
অন্যথায় আমি সব সময় সচেতন! :)

তবে চমৎকার হয়েছে৷জানি না অতিপ্রাকৃতিক গল্পটির পরিসমাপ্তি কেমন হবে? আশা করি চমৎকার একটি গল্প পাবেন। দয়া করে পরের পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! :)

১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অচেনা হৃদি ,




অতিপ্রাকৃতিকতার আড়ালে একটা সতর্কবাণী দিয়ে গেলেন ।
চলুক .......................

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩০

অচেনা হৃদি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
চবে ভাইয়া। আশা করি পরের পার্ট পড়ে আরও বেশি মজা পাবেন। :)

১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১

আখেনাটেন বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: অতিপ্রাকৃতিকতার আড়ালে একটা সতর্কবাণী দিয়ে গেলেন । -- আমিও তাই বলি। পরের পর্ব ক্যামন হয় তার উপর মন্তব্য হবে। ভৌতিক হিসেবে এ পর্যন্ত ভালোই হয়েছে।

পরের পর্বের অপেক্ষায়...।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: পরের পর্ব ক্যামন হয় তার উপর মন্তব্য হবে। ভৌতিক হিসেবে এ পর্যন্ত ভালোই হয়েছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায়...।

:)

সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রাণিত করায় নাট ভাইয়াকে (সোহানী আপু বলেছেন :P ) অনেক অনেক ধন্যবাদ!

১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গল্প কি পড়ুম! সুন্দরী দেখতে দেখতেই তো টাইম শেষ! সুন্দরীটা কেডা?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২

অচেনা হৃদি বলেছেন: =p~
আমি কি জানি এইডা কেডা! গুগল মামারে কইলাম আমারে পুরনো বাড়ির জানালায় দাঁড়ানো একটা মেয়ের ছবি দেন। তখন মামা এই ছবিটা দিলেন!

১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইয়েস ভাই! ফটো তোলার দারুণ সাবজেক্ট!

আপনি গিয়েছেন?
ছবি তুলেছেন?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২

অচেনা হৃদি বলেছেন: ইয়ে মানে, না। যাইনি। কাশবনে যদি বাসবনের মত ভূত থাকে এই ভয়ে যাইনি। আপনি কি আমাকে একটা ছবি তুলে দেবেন? ;)

১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালোই তো। পরের অংশের জন্য অপেক্ষায় থাকতে চাই।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)
ধন্যবাদ ভাইয়া। উৎসাহিত করলেন! পরের পর্ব এখনো শুরু করিনি। সময় পাচ্ছি না। তবে সামনের সপ্তাহে অবশ্যই পেয়ে যাবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.