![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!
লজ্জা লজ্জা লজ্জা...........................।
আমরা বীর বাঙ্গালীর জাতি।
অনেক গর্ব করার মত একটা মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস দিয়ে গেছেন আমাদের মহান পূর্বপুরুষেরা, মহান বাঙ্গালী মুক্তিযোদ্ধারা। দুই লাখের অধিক মা-বোনের সম্মান হারানোর বেদনা, আর তিরিশ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা এই পবিত্র ভুমিতে আমরা বসবাস করি। কোন প্রতিদানেই তাদের ঋণ আমরা কোনদিন শোধ করতে পারবো না।
এমন একটি দেশের নাগরিক হয়ে যখন দেখি এই দেশেরি কিছু কিশোর-তরুন পাকিস্তানিদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে...!
যখন দেখি জামায়াত-শিবিরের মত দেশবিরুদ্ধ সংগঠন গুলোকে সমর্থন/সাপোর্ট করে...!!
যখন দেখি একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধে সাধারন মানুষ আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারী নর পিশাচ রাজাকার/আলবদরদের বাচাতে এই দেশেরি কিছু বিভ্রান্ত তরুন যুবক রাস্তায় আন্দলোন করে, ভাংচুর করে, দেশের সম্পদ ধংশ করে......!!!
তখন রাগে ক্ষোভে লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে।
এই তরুনেরা কেন বোঝেনা, যারা ধর্মীয় আবেগকে পুজি করে তাদের মাঠে নামায় আন্দলোন করতে, ভাংচুর করতে, সেই একি পিশাচেরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ধর্মের নাম করে অসংখ্য নিরিহ মুসলমাকে নিজ হাতে জবাই করে, গুলি করে, অত্যাচার করে হত্যা করেছে। আজ সেই নরঘাতক, মুসলমান নামের কলংক কুলাঙ্গার রাজাকারদের পক্ষে কেনো, কোন যুক্তিতে তোমারা তাদের পক্ষ নও?
কোন যুক্তিতে তোমরা তাদের বাচাতে আন্দলোন করো?
আমি বুঝি না,
মৃতরা নিরব থাকে, নিশ্চুপ থাকে। কোন প্রতিবাদ তারা করে না। যদি তারা তা করত যদি সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা এসে আমাদের কাছে এর জবাব চাইত? কি জবাব দিতাম আমরা তখন?
আমি জানি না।
আমি শুধু ভাবি আর লজ্জা বোধ করি... শুধুই লজ্জা...।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪১
অচেনা হিমালয় বলেছেন: আপনার কথার সাথে দ্বিমত করব না। তবে একটা বিষয় তো বোঝেন, আমরা আমরা হলাম দুনিয়ার অন্যতম দ্বিধা বিভক্ত জাতি (সম্ভবত ১ নাম্বারে) মানুষ আবার ১৬/১৭ কোটি!
সরকার চাইলেই কতটুকু কি করতে পারে বলেন?
মানলাম, সরকার চাইলেই সব করতে পারে। কিন্তু এই সমাজের ভুল/অনিয়ম গুলো ঠিক করতে যে যাদের প্রয়োজন তা তা তো এই সমাজ থেকেই নিতে হবে। এত সৎ মানুষ আপনি কোথায় পাবেন? কেই বা তা ঠিক করবে? আমরা দূর থেকে অনেক কিছুই বলতে পারি, অনেক সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু কাছ থেকে দেখলে জটিলতা কি জিনিস তা হারে হারে টের না পেয়ে উপায় থাকবে না।
সরকার চাইলেই সাথে সাথে সব করতে পারে না। আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে আগে।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪৪
খাটাস বলেছেন: গ্রামের অশিক্ষিত কোন ধার্মিক ব্যক্তিকে যদি আগের ও পরের আয়াত বাদ দিয়ে দেখান হয় যে কোরআনে আছে, কাফির মারা জায়েজ। আর কাওকে কাফির হিসেবে দেখাতে এমনি আগের পেছনের আয়াত বাদ দিয়ে কোন আয়াত দেখান হয় যে উমুক কাফির। তবে গ্রামের ওই মানুষ টি একটি কাফির মারাকে ধর্মীয় দায়িত্ব মনে করবে।
ওই গ্রামের মানুষ টাকে মেরে কি কোন লাভ আছে আদৌ? ওই জ্ঞান পাপী এমন হাজার কাফির মারা ধার্মিক বানাতে পারেন।
এই ক্ষেত্রে দোষ তাদের ও আছে, যারা ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ওই জ্ঞান পাপীদের মেরে এবং তাদের ব্যাখ্যার ভুল গুলো ধরিয়ে না দিয়ে বরং ওই রকম হাজার হাজার গ্রামের মানুষের কাফির বধের কাহিনী হাই লাইট করে, মুক্তিযুদ্ধের মুলা দেখিয়ে ধর্ম ব্যবসায়িদের ধর্ম ব্যবসা বাচিয়ে রেখে নিজেরা লাভবান হয়।
কি সমস্যা হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কারা কারা কারা দায়ি? সব কিছু মুক্ত মনে ভাবতে হবে। আবেগে কাটাকাটি করলে সম্ভবত ১৬ কোটি কমতে থাকবে, কিন্তু যারা ক্ষমতা লোভী তারা ক্ষমতায় থেকে ই যাবে। সত্য এর সাথে কখনই ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধ সাঙ্ঘরসিক হতে পারে না।
শুভ কামনা জানবেন।